ভারত ব্রিটেনের অকৃত্রিম বন্ধু -লন্ডনে প্রতিভা পাতিল
ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাতিল বলেছেন, ব্রিটেন ও ভারত পরস্পর অকৃত্রিম বন্ধু। ঐতিহ্যের বহুমুখিতা আর অনুসৃত গণতান্ত্রিক ধারা দুটি দেশের সম্পর্ককে নিবিড় করেছে। বর্তমানে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে ভালো। ভারত এ সম্পর্ক ধরে রাখার ক্ষেত্রে সচেতন।
গত মঙ্গলবার ব্রিটেনের উইন্ডসর ক্যাসলে এক ভোজসভায় প্রতিভা পাতিল এ কথা বলেন। ব্রিটেন সরকার তাঁর সম্মানে এই বিশেষ ভোজসভার আয়োজন করে। তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতের রাষ্ট্রপতি ব্রিটেনে যান। তাঁর সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন স্বামী দেবীসিং রামসিংশেখাওয়াত।
প্রতিভা পাতিল বলেন, ব্রিটেন ও ভারতের মধ্যে অনেক মিল রয়েছে। দুই দেশের দুই রাজধানী বহু ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষের সম্মিলনে ‘ক্ষুদ্র বিশ্বে’ পরিণত হয়েছে। এই দুই দেশ নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে এবং একবিংশ শতাব্দীর রূপ পরিগ্রহের চেষ্টা করছে।
ভোজসভায় রানি এলিজাবেথ দুই দেশের মধ্যকার সুসম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেন, ব্রিটেন ও ভারতের মধ্যে ঐতিহাসিকভাবেই সম্পর্ক রয়েছে। এ সম্পর্কই নতুন শতাব্দীতে দুই দেশের সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করার ক্ষেত্রে শক্তি হিসেবে কাজ করছে। তিনি বলেন, ব্রিটেনের প্রায় ২০ লাখ লোক বংশানুক্রমে ভারতীয়দের সঙ্গে সম্পর্কিত। ভারতের সঙ্গে এসব ব্রিটিশ নাগরিকের পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে।
ভোজসভায় রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ, প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড মিলিব্যান্ড, লন্ডনে নিযুক্ত পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের হাইকমিশনার, হ্যারি পটার সিরিজের লেখিকা জে কে রাউলিং, ব্রিটিশ পার্লামেন্টের স্পিকার ও ব্রিটেনের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা অংশ নেন। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে ২০১০ সালে দিল্লি কমনওয়েলথ গেমস উপলক্ষে ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানান প্রতিভা পাতিল।
ব্রিটেনে পৌঁছালে প্রতিভা পাতিলকে রাজকীয় সংবর্ধনা দেন রানি। ভারতের রাষ্ট্রপতিকে লন্ডনের হোটেল থেকে প্রিন্স চার্লস ও ডাচেস অব কর্নওয়াল রাজপ্রাসাদে নিয়ে যাওয়া হয়। উইন্ডসর প্রাসাদে গার্ড অব অনার দেওয়া হয় তাঁকে। সেখানে ২১ বার তোপধ্বনি করে তাঁকে সম্মান জানানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ও তাঁর স্বামী ডিউক অব এডিনবরা। এরপর রাজপরিবারের ঐতিহ্য অনুযায়ী তাঁকে ঘোড়ার গাড়িতে করে উইন্ডসর পার্কের ‘লং ওয়াক’ ধরে নিয়ে যাওয়া হয় প্রাসাদে। ওই প্রাসাদেই প্রতিভা পাতিল তিন দিন অবস্থান করবেন।
ভারতের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গতকাল বুধবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন ও রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাতিলের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ ছাড়া আজ বৃহস্পতিবার রানি এলিজাবেথ ও প্রতিভা পাতিল দিল্লি কমনওয়েলথ গেমসের মশাল উদ্বোধন করবেন। লন্ডনের বাকিংহাম প্রাসাদ থেকে এই মশালদৌড় শুরু হবে। দিল্লিতে পৌঁছানোর আগে এটি ঘুরবে ৭০টি দেশ। আগামী শনিবার দেশে ফেরার আগে প্রতিভা পাতিল সাইপ্রাস সফরে যাবেন।
ব্রিটেনে আসা ভারতীয় রাষ্ট্রপতিদের মধ্যে প্রতিভা পাতিল হলেন তৃতীয়। এর আগে ১৯৬৩ সালে এস রাধাকৃষ্ণন ও ১৯৯০ সালে আর ভেঙ্কটরমণ ব্রিটেন সফর করেন। ২০০৪ সালে কৌশলগত দ্বিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষর করার পর এটাই হলো কোনো ভারতীয় রাষ্ট্রপতির প্রথম ব্রিটেন সফর।
লন্ডনে পৌঁছানোর পর প্রতিভা পাতিল একটি পাঁচতারা হোটেলে ওঠেন। সেখানে এক অনুষ্ঠানে তিনি নোবেল পুরস্কার বিজয়ী বিজ্ঞানী রামকৃষ্ণকে অভিনন্দন জানান। প্রবাসী ভারতীয় বিজ্ঞানী, চিকিত্সক ও শিল্পপতিদের ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি। ওই অনুষ্ঠানে কয়েক শ ভারতীয় প্রবাসী উপস্থিত ছিলেন।
ব্রিটেনে ১৩ লাখ ভারতীয় বসবাস করছেন, যা ব্রিটেনের মোট জনসংখ্যার প্রায় ২ শতাংশ।
গত মঙ্গলবার ব্রিটেনের উইন্ডসর ক্যাসলে এক ভোজসভায় প্রতিভা পাতিল এ কথা বলেন। ব্রিটেন সরকার তাঁর সম্মানে এই বিশেষ ভোজসভার আয়োজন করে। তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতের রাষ্ট্রপতি ব্রিটেনে যান। তাঁর সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন স্বামী দেবীসিং রামসিংশেখাওয়াত।
প্রতিভা পাতিল বলেন, ব্রিটেন ও ভারতের মধ্যে অনেক মিল রয়েছে। দুই দেশের দুই রাজধানী বহু ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষের সম্মিলনে ‘ক্ষুদ্র বিশ্বে’ পরিণত হয়েছে। এই দুই দেশ নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে এবং একবিংশ শতাব্দীর রূপ পরিগ্রহের চেষ্টা করছে।
ভোজসভায় রানি এলিজাবেথ দুই দেশের মধ্যকার সুসম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেন, ব্রিটেন ও ভারতের মধ্যে ঐতিহাসিকভাবেই সম্পর্ক রয়েছে। এ সম্পর্কই নতুন শতাব্দীতে দুই দেশের সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করার ক্ষেত্রে শক্তি হিসেবে কাজ করছে। তিনি বলেন, ব্রিটেনের প্রায় ২০ লাখ লোক বংশানুক্রমে ভারতীয়দের সঙ্গে সম্পর্কিত। ভারতের সঙ্গে এসব ব্রিটিশ নাগরিকের পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে।
ভোজসভায় রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ, প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড মিলিব্যান্ড, লন্ডনে নিযুক্ত পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের হাইকমিশনার, হ্যারি পটার সিরিজের লেখিকা জে কে রাউলিং, ব্রিটিশ পার্লামেন্টের স্পিকার ও ব্রিটেনের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা অংশ নেন। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে ২০১০ সালে দিল্লি কমনওয়েলথ গেমস উপলক্ষে ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানান প্রতিভা পাতিল।
ব্রিটেনে পৌঁছালে প্রতিভা পাতিলকে রাজকীয় সংবর্ধনা দেন রানি। ভারতের রাষ্ট্রপতিকে লন্ডনের হোটেল থেকে প্রিন্স চার্লস ও ডাচেস অব কর্নওয়াল রাজপ্রাসাদে নিয়ে যাওয়া হয়। উইন্ডসর প্রাসাদে গার্ড অব অনার দেওয়া হয় তাঁকে। সেখানে ২১ বার তোপধ্বনি করে তাঁকে সম্মান জানানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ও তাঁর স্বামী ডিউক অব এডিনবরা। এরপর রাজপরিবারের ঐতিহ্য অনুযায়ী তাঁকে ঘোড়ার গাড়িতে করে উইন্ডসর পার্কের ‘লং ওয়াক’ ধরে নিয়ে যাওয়া হয় প্রাসাদে। ওই প্রাসাদেই প্রতিভা পাতিল তিন দিন অবস্থান করবেন।
ভারতের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গতকাল বুধবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন ও রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাতিলের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ ছাড়া আজ বৃহস্পতিবার রানি এলিজাবেথ ও প্রতিভা পাতিল দিল্লি কমনওয়েলথ গেমসের মশাল উদ্বোধন করবেন। লন্ডনের বাকিংহাম প্রাসাদ থেকে এই মশালদৌড় শুরু হবে। দিল্লিতে পৌঁছানোর আগে এটি ঘুরবে ৭০টি দেশ। আগামী শনিবার দেশে ফেরার আগে প্রতিভা পাতিল সাইপ্রাস সফরে যাবেন।
ব্রিটেনে আসা ভারতীয় রাষ্ট্রপতিদের মধ্যে প্রতিভা পাতিল হলেন তৃতীয়। এর আগে ১৯৬৩ সালে এস রাধাকৃষ্ণন ও ১৯৯০ সালে আর ভেঙ্কটরমণ ব্রিটেন সফর করেন। ২০০৪ সালে কৌশলগত দ্বিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষর করার পর এটাই হলো কোনো ভারতীয় রাষ্ট্রপতির প্রথম ব্রিটেন সফর।
লন্ডনে পৌঁছানোর পর প্রতিভা পাতিল একটি পাঁচতারা হোটেলে ওঠেন। সেখানে এক অনুষ্ঠানে তিনি নোবেল পুরস্কার বিজয়ী বিজ্ঞানী রামকৃষ্ণকে অভিনন্দন জানান। প্রবাসী ভারতীয় বিজ্ঞানী, চিকিত্সক ও শিল্পপতিদের ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি। ওই অনুষ্ঠানে কয়েক শ ভারতীয় প্রবাসী উপস্থিত ছিলেন।
ব্রিটেনে ১৩ লাখ ভারতীয় বসবাস করছেন, যা ব্রিটেনের মোট জনসংখ্যার প্রায় ২ শতাংশ।
No comments