স্বায়ত্তশাসনের বিকল্প নেই -বিটিভি নিয়ে অসন্তোষ
তথ্য মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যরা গত মঙ্গলবার এক সভায় বিটিভির সংবাদের মান নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে অভিযোগ তুলেছেন যে বিটিভি এখনো সরকারি প্রচারযন্ত্রের বদনাম ঘোচাতে পারেনি। কমিটি মন্তব্য করেছে, খবরজুড়ে শুধু সরকারের প্রচার থাকলে তা গণতন্ত্রের জন্য ভালো নয়। এ কথাগুলো নতুন নয়; বিটিভির ব্যাপারে আসল কথাই বলা হলো না। বিটিভি শুধু যে সংবাদ বা সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে জনগণের আস্থা ও আকর্ষণ হারিয়েছে তা-ই নয়, বিটিভির নাটকসহ বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানের গুণগত মানের ক্ষেত্রেও ভীষণ অবনতি ঘটেছে। অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা, অদক্ষতা ও দলবাজির অন্যতম সেরা নিদর্শন বাংলাদেশ টেলিভিশন।
১৯৯৬ সালের নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে প্রতিশ্রুতি ছিল, নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করতে পারলে তারা রাষ্ট্রায়ত্ত বেতার-টিভির স্বায়ত্তশাসন দেবে। দলটি সেবার নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করেছিল, কিন্তু সেই নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ করেনি। বিটিভির স্বায়ত্তশাসনের লক্ষ্যে তত্কালীন আওয়ামী লীগ সরকার একটি কমিটি গঠন করেছিল, সে কমিটি বেশ কিছু সুপারিশসহ একটি প্রতিবেদন সরকারকে দিয়েছিল। কিন্তু সেটি বাস্তবায়ন করেনি। মেয়াদ শেষ হওয়ার কিছু সময় আগে ২০০১ সালের জুলাই মাসে তত্কালীন আওয়ামী লীগ সরকার বিটিভিকে স্বায়ত্তশাসন দেওয়ার নামে ‘বাংলাদেশ টেলিভিশন অথরিটি অ্যাক্ট ২০০১’ আইন পাস করে। কিন্তু আইনটি ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়। কারণ, সেটি করা হয়েছিল সরকার-গঠিত এক কমিশনের সুপারিশমালা উপেক্ষা করে, যাতে বেতার-টিভির ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ আরও বেড়ে যাওয়ার কথা। পরবর্তী বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আইনটি কার্যকর করেনি। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ওই আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধনী এনে বিটিভিকে স্বায়ত্তশাসন দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিল বলে খবর বেরিয়েছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা ঘটেনি।
সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সরকারি দলেরই একজন সাংসদ, ওবায়দুল কাদের। মঙ্গলবারের সভায় তিনি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদসহ কমিটির অন্য সদস্যরা এবং তথ্যসচিবও। অর্থাত্ বিটিভি সম্পর্কে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ওই সব পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন কোনো বিরুদ্ধবাদী রাজনৈতিক শিবিরের নয়। তাই সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে এগুলোর গুরুত্ব পাওয়া উচিত। কিন্তু বিটিভির এই দুরবস্থা দূর করতে কী করা প্রয়োজন, স্থায়ী কমিটির সভা থেকে তেমন কোনো দিকনির্দেশনা মেলেনি। প্রধানমন্ত্রী-ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কাজে বিটিভিকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে। আর তথ্যমন্ত্রী বলেছেন, বিটিভির সংবাদ আরও আধুনিক করার চেষ্টা চলছে। আসলে বিটিভিকে সরকারের সরাসরি নিয়ন্ত্রণে রেখে এর দুরবস্থা কাটানো সম্ভব হবে না। সরকার ও সরকারি দলের পাশাপাশি বিরোধী দলগুলোর সংবাদ পরিবেশন করলেই বিটিভির সাংবাদিকতায় পেশাদারি ও নিরপেক্ষতা সৃষ্টি হবে না, অন্যান্য অনুষ্ঠানের গুণগত মানও বর্তমান নীতি ও ব্যবস্থাপনায় বাড়ানো সম্ভব হবে না। প্রতিষ্ঠানটির আমূল সংস্কার প্রয়োজন; এর স্বায়ত্তশাসনের কোনো বিকল্প নেই।
বেতার-টিভির স্বায়ত্তশাসন কমিশনের প্রতিবেদনটি সরকারের কাছেই আছে। সেটির সুপারিশমালা অনুযায়ী ২০০১ সালের আইনটি সংশোধন করে বা প্রয়োজনে নতুন আইন করে বেতার-টিভির স্বায়ত্তশাসন দেওয়া উচিত। এ ছাড়া বিটিভিকে রক্ষা করার কোনো বিকল্প নেই।
১৯৯৬ সালের নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে প্রতিশ্রুতি ছিল, নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করতে পারলে তারা রাষ্ট্রায়ত্ত বেতার-টিভির স্বায়ত্তশাসন দেবে। দলটি সেবার নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করেছিল, কিন্তু সেই নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ করেনি। বিটিভির স্বায়ত্তশাসনের লক্ষ্যে তত্কালীন আওয়ামী লীগ সরকার একটি কমিটি গঠন করেছিল, সে কমিটি বেশ কিছু সুপারিশসহ একটি প্রতিবেদন সরকারকে দিয়েছিল। কিন্তু সেটি বাস্তবায়ন করেনি। মেয়াদ শেষ হওয়ার কিছু সময় আগে ২০০১ সালের জুলাই মাসে তত্কালীন আওয়ামী লীগ সরকার বিটিভিকে স্বায়ত্তশাসন দেওয়ার নামে ‘বাংলাদেশ টেলিভিশন অথরিটি অ্যাক্ট ২০০১’ আইন পাস করে। কিন্তু আইনটি ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়। কারণ, সেটি করা হয়েছিল সরকার-গঠিত এক কমিশনের সুপারিশমালা উপেক্ষা করে, যাতে বেতার-টিভির ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ আরও বেড়ে যাওয়ার কথা। পরবর্তী বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আইনটি কার্যকর করেনি। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ওই আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধনী এনে বিটিভিকে স্বায়ত্তশাসন দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিল বলে খবর বেরিয়েছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা ঘটেনি।
সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সরকারি দলেরই একজন সাংসদ, ওবায়দুল কাদের। মঙ্গলবারের সভায় তিনি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদসহ কমিটির অন্য সদস্যরা এবং তথ্যসচিবও। অর্থাত্ বিটিভি সম্পর্কে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ওই সব পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন কোনো বিরুদ্ধবাদী রাজনৈতিক শিবিরের নয়। তাই সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে এগুলোর গুরুত্ব পাওয়া উচিত। কিন্তু বিটিভির এই দুরবস্থা দূর করতে কী করা প্রয়োজন, স্থায়ী কমিটির সভা থেকে তেমন কোনো দিকনির্দেশনা মেলেনি। প্রধানমন্ত্রী-ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কাজে বিটিভিকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে। আর তথ্যমন্ত্রী বলেছেন, বিটিভির সংবাদ আরও আধুনিক করার চেষ্টা চলছে। আসলে বিটিভিকে সরকারের সরাসরি নিয়ন্ত্রণে রেখে এর দুরবস্থা কাটানো সম্ভব হবে না। সরকার ও সরকারি দলের পাশাপাশি বিরোধী দলগুলোর সংবাদ পরিবেশন করলেই বিটিভির সাংবাদিকতায় পেশাদারি ও নিরপেক্ষতা সৃষ্টি হবে না, অন্যান্য অনুষ্ঠানের গুণগত মানও বর্তমান নীতি ও ব্যবস্থাপনায় বাড়ানো সম্ভব হবে না। প্রতিষ্ঠানটির আমূল সংস্কার প্রয়োজন; এর স্বায়ত্তশাসনের কোনো বিকল্প নেই।
বেতার-টিভির স্বায়ত্তশাসন কমিশনের প্রতিবেদনটি সরকারের কাছেই আছে। সেটির সুপারিশমালা অনুযায়ী ২০০১ সালের আইনটি সংশোধন করে বা প্রয়োজনে নতুন আইন করে বেতার-টিভির স্বায়ত্তশাসন দেওয়া উচিত। এ ছাড়া বিটিভিকে রক্ষা করার কোনো বিকল্প নেই।
No comments