চট্টগ্রাম চেম্বার বড় প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুঁজিবাজারে আসতে উদ্বুদ্ধ করবে by হাসান ইমাম,
পুঁজিবাজার থেকে শিল্পায়নের জন্য মূলধন সংগ্রহের আহ্বানে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠিত শিল্পোদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী নেতারা। তাঁরা বলেছেন, পুঁজিবাজার থেকে সহজে মূলধন সংগ্রহ করা গেলে ব্যাংক থেকে উচ্চসুদে ঋণ নিয়ে শিল্প স্থাপনের প্রবণতা কমবে। তবে এ জন্য বিধিবিধান আরও সহজ ও শিল্পবান্ধব করতে হবে।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) আয়োজিত দুই দিনের পুঁজিবাজার মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) চেয়ারম্যান জিয়াউল হক খোন্দকার চট্টগ্রামের বড় বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোকে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। এ আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় শিল্পপতি ও ব্যবসায়ী নেতাদের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে প্রথম আলোকে তাঁরা এসব কথা বলেন।
যোগাযোগ করা হলে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (সিসিসিআই) জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আবদুস সালাম বলেন, ‘পুঁজিবাজার থেকে সহজে মূলধন সংগ্রহ করা গেলে উদ্যোক্তারা যেমন লাভবান হবেন, তেমনি বাজারে নতুন বিনিয়োগকারীর সংখ্যাও অনেক বাড়বে। এ জন্য শেয়ারবাজারকে অর্থ সংগ্রহের বিকল্প বাজার হিসেবে গড়ে তুলতে আইন-কানুন সহজ করা জরুরি।’
আবদুস সালাম বলেন, এখন কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়তে গেলে ব্যাংক থেকে চড়া সুদে ঋণ নিতে হয়। তাই উত্পাদন শুরুর আগেই শিল্পমালিকদের নিয়মিত ঋণ পরিশোধের দুশ্চিন্তায় ভুগতে হয়।
নিজেকে একজন শিল্পোদ্যোক্তা হিসেবে উল্লেখ করে আবদুস সালাম আরও বলেন, ‘শেয়ারবাজার থেকে যদি আমি সহজে প্রয়োজনীয় অর্থ সংগ্রহ করতে পারি, তাহলে ১৮ শতাংশ সুুদে ব্যাংক থেকে কেন টাকা নিতে যাব?’ চট্টগ্রামের শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোকে শেয়ারবাজারে মূলধন সংগ্রহের ব্যাপারে আগ্রহী করে তুলতে চেম্বারের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
চট্টগ্রামের শিল্পোদ্যোক্তা এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম বলেন, ‘আমি মনে করি এসইসির আহ্বানে শিল্পপতিরা উদ্বুদ্ধ হবেন। এতে চট্টগ্রামে বড় বড় অনেক শিল্পপ্রতিষ্ঠান রয়েছে, যেগুলো শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার বিষয়টি নতুন করে চিন্তা করতে শুরু করবে। আর এসব প্রতিষ্ঠান তালিকাভুক্ত হলে তা পুঁজিবাজারকে আরও শক্তিশালী করবে।’
উল্লেখ্য, এস আলম গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এস আলম কোল্ড রোল স্টিল মিলস লিমিটেড বর্তমানে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত রয়েছে।
চট্টগ্রামের অন্য বৃহত্ শিল্পগোষ্ঠী পিএইচপির পরিচালক মোহাম্মদ আকতার পারভেজ জানান, তাঁরা শিগগিরই পিএইচপি ফ্লোট গ্লাস ইন্ডাস্ট্রিজকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করবেন। এ জন্য প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে এ শিল্পগোষ্ঠীর অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকেও পুঁজিবাজারে নিয়ে আসা হবে। এ ছাড়া তাঁরা একটি মিউচুয়াল ফান্ড গঠনেরও চিন্তাভাবনা করছেন বলে জানান আকতার পারভেজ।
মেলায় আগ্রহীদের ভিড়: সিএসই আয়োজিত পুঁজিবাজার মেলার দ্বিতীয় ও শেষ দিনে গতকাল বুধবার সকাল থেকে চট্টগ্রাম ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনের মেলা প্রাঙ্গণে ছিল ব্যাপক ভিড়।
মেলায় আসা মানুষের বেশির ভাগই তরুণ-তরুণী। তাঁরা মেলায় অংশ নেওয়া বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউসে গিয়ে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের পদ্ধতি সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়েছেন।
মেলায় আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের কর্মকর্তা সেহেলী শমসের বলেন, ‘অনেক তরুণ-তরুণী বিও হিসাব খোলার নিয়ম-কানুন জানতে চেয়েছেন। অনেকে হিসাব খোলারও আগ্রহ প্রকাশ করছেন। তবে মেলায় কোনো বিও হিসাব খোলার ব্যবস্থা না থাকায় আমরা তাঁদের মেলা শেষে অফিসে যোগাযোগ করার পরামর্শ দিয়েছি।’
মেলার সার্বিক দায়িত্বে থাকা সিএসইর পরিচালক বিজন চক্রবর্তী বলেন, ‘নতুন বিনিয়োগকারীদের পুঁজিবাজারে আগ্রহী করে তোলাই মেলা আয়োজনের একমাত্র উদ্দেশ্য নয়। তাঁরা যাতে বুঝে-শুনে সঠিকভাবে বিনিয়োগ করতে পারেন, সেটিও আমাদের উদ্দেশ্য।’
মেলার সমাপনী দিনে গতকাল দেশের জ্বালানি খাত, ওষুধশিল্প ও অবকাঠামো উন্নয়নের বিষয়ে আলাদা আলাদা তিনটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
জ্বালানি খাতবিষয়ক সেমিনারে আলোচকেরা বলেন, জ্বালানি খাতের উন্নয়নে শেয়ারবাজার থেকে টাকা সংগ্রহের এখনই উপযুক্ত সময়। কারণ, তারল্যের দিক থেকে বাজার এখন বেশ শক্তিশালী অবস্থায় রয়েছে।
তিনটি সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিএসইর পরিচালক ও সিটি ব্যাংক এনএর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মামুন রশিদ, সামিট গ্রুপের পরিচালক আয়েশা আজিজ খান এবং বেক্সিমকো ফার্মার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হাসান।
এসব সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন যথাক্রমে সিএসইর সাবেক সভাপতি এম কে এম মহিউদ্দিন ও বর্তমান সহসভাপতি এ কিউ আই চৌধুরী। সেমিনারে অতিথি ছিলেন এসইসির সদস্য ইয়াছিন আলী ও নির্বাহী পরিচালক এ টি এম তারেকুজ্জামান।
সমাপনী: চট্টগ্রামের একটি কমিউনিটি সেন্টারে ঐতিহ্যবাহী মেজবান আয়োজনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় দুই দিনের এ মেলার। সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান আ হ ম মোস্তফা কামাল।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) আয়োজিত দুই দিনের পুঁজিবাজার মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) চেয়ারম্যান জিয়াউল হক খোন্দকার চট্টগ্রামের বড় বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোকে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। এ আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় শিল্পপতি ও ব্যবসায়ী নেতাদের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে প্রথম আলোকে তাঁরা এসব কথা বলেন।
যোগাযোগ করা হলে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (সিসিসিআই) জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আবদুস সালাম বলেন, ‘পুঁজিবাজার থেকে সহজে মূলধন সংগ্রহ করা গেলে উদ্যোক্তারা যেমন লাভবান হবেন, তেমনি বাজারে নতুন বিনিয়োগকারীর সংখ্যাও অনেক বাড়বে। এ জন্য শেয়ারবাজারকে অর্থ সংগ্রহের বিকল্প বাজার হিসেবে গড়ে তুলতে আইন-কানুন সহজ করা জরুরি।’
আবদুস সালাম বলেন, এখন কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়তে গেলে ব্যাংক থেকে চড়া সুদে ঋণ নিতে হয়। তাই উত্পাদন শুরুর আগেই শিল্পমালিকদের নিয়মিত ঋণ পরিশোধের দুশ্চিন্তায় ভুগতে হয়।
নিজেকে একজন শিল্পোদ্যোক্তা হিসেবে উল্লেখ করে আবদুস সালাম আরও বলেন, ‘শেয়ারবাজার থেকে যদি আমি সহজে প্রয়োজনীয় অর্থ সংগ্রহ করতে পারি, তাহলে ১৮ শতাংশ সুুদে ব্যাংক থেকে কেন টাকা নিতে যাব?’ চট্টগ্রামের শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোকে শেয়ারবাজারে মূলধন সংগ্রহের ব্যাপারে আগ্রহী করে তুলতে চেম্বারের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
চট্টগ্রামের শিল্পোদ্যোক্তা এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম বলেন, ‘আমি মনে করি এসইসির আহ্বানে শিল্পপতিরা উদ্বুদ্ধ হবেন। এতে চট্টগ্রামে বড় বড় অনেক শিল্পপ্রতিষ্ঠান রয়েছে, যেগুলো শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার বিষয়টি নতুন করে চিন্তা করতে শুরু করবে। আর এসব প্রতিষ্ঠান তালিকাভুক্ত হলে তা পুঁজিবাজারকে আরও শক্তিশালী করবে।’
উল্লেখ্য, এস আলম গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এস আলম কোল্ড রোল স্টিল মিলস লিমিটেড বর্তমানে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত রয়েছে।
চট্টগ্রামের অন্য বৃহত্ শিল্পগোষ্ঠী পিএইচপির পরিচালক মোহাম্মদ আকতার পারভেজ জানান, তাঁরা শিগগিরই পিএইচপি ফ্লোট গ্লাস ইন্ডাস্ট্রিজকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করবেন। এ জন্য প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে এ শিল্পগোষ্ঠীর অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকেও পুঁজিবাজারে নিয়ে আসা হবে। এ ছাড়া তাঁরা একটি মিউচুয়াল ফান্ড গঠনেরও চিন্তাভাবনা করছেন বলে জানান আকতার পারভেজ।
মেলায় আগ্রহীদের ভিড়: সিএসই আয়োজিত পুঁজিবাজার মেলার দ্বিতীয় ও শেষ দিনে গতকাল বুধবার সকাল থেকে চট্টগ্রাম ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনের মেলা প্রাঙ্গণে ছিল ব্যাপক ভিড়।
মেলায় আসা মানুষের বেশির ভাগই তরুণ-তরুণী। তাঁরা মেলায় অংশ নেওয়া বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউসে গিয়ে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের পদ্ধতি সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়েছেন।
মেলায় আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের কর্মকর্তা সেহেলী শমসের বলেন, ‘অনেক তরুণ-তরুণী বিও হিসাব খোলার নিয়ম-কানুন জানতে চেয়েছেন। অনেকে হিসাব খোলারও আগ্রহ প্রকাশ করছেন। তবে মেলায় কোনো বিও হিসাব খোলার ব্যবস্থা না থাকায় আমরা তাঁদের মেলা শেষে অফিসে যোগাযোগ করার পরামর্শ দিয়েছি।’
মেলার সার্বিক দায়িত্বে থাকা সিএসইর পরিচালক বিজন চক্রবর্তী বলেন, ‘নতুন বিনিয়োগকারীদের পুঁজিবাজারে আগ্রহী করে তোলাই মেলা আয়োজনের একমাত্র উদ্দেশ্য নয়। তাঁরা যাতে বুঝে-শুনে সঠিকভাবে বিনিয়োগ করতে পারেন, সেটিও আমাদের উদ্দেশ্য।’
মেলার সমাপনী দিনে গতকাল দেশের জ্বালানি খাত, ওষুধশিল্প ও অবকাঠামো উন্নয়নের বিষয়ে আলাদা আলাদা তিনটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
জ্বালানি খাতবিষয়ক সেমিনারে আলোচকেরা বলেন, জ্বালানি খাতের উন্নয়নে শেয়ারবাজার থেকে টাকা সংগ্রহের এখনই উপযুক্ত সময়। কারণ, তারল্যের দিক থেকে বাজার এখন বেশ শক্তিশালী অবস্থায় রয়েছে।
তিনটি সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিএসইর পরিচালক ও সিটি ব্যাংক এনএর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মামুন রশিদ, সামিট গ্রুপের পরিচালক আয়েশা আজিজ খান এবং বেক্সিমকো ফার্মার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হাসান।
এসব সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন যথাক্রমে সিএসইর সাবেক সভাপতি এম কে এম মহিউদ্দিন ও বর্তমান সহসভাপতি এ কিউ আই চৌধুরী। সেমিনারে অতিথি ছিলেন এসইসির সদস্য ইয়াছিন আলী ও নির্বাহী পরিচালক এ টি এম তারেকুজ্জামান।
সমাপনী: চট্টগ্রামের একটি কমিউনিটি সেন্টারে ঐতিহ্যবাহী মেজবান আয়োজনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় দুই দিনের এ মেলার। সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান আ হ ম মোস্তফা কামাল।
No comments