জঙ্গিদের ঘাঁটি ধ্বংস করা পাকিস্তান সরকারের প্রধান দায়িত্ব
ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং পাকিস্তানের প্রতি জঙ্গি দমনের আহ্বান জানিয়েছেন। গতকাল বুধবার কাশ্মীরে এক সফরকালে তিনি এ আহ্বান জানান। তিনি বলেন, জঙ্গিদের ঘাঁটি ধ্বংস এবং তাদের সব অবকাঠামো উচ্ছেদ করা পাকিস্তান সরকারের প্রধান দায়িত্ব। তিনি আরও বলেন, দুই দেশের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হোক, এটা ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশের মানুষই চায়। কিন্তু এই শান্তিপ্রক্রিয়া নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনার আগে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে অবশ্যই সন্ত্রাসবাদকে নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।
কাশ্মীরের দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলা অনন্তনাগে একটি রেলপথের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মনমোহন সিং বলেন, জঙ্গিরা যেখানেই অবস্থান করুক না কেন, পাকিস্তান সরকারের উচিত তাদের নিশ্চিহ্ন করা।
মনমোহন সিং বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, পাকিস্তানের বেশির ভাগ মানুষ প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে বন্ধুসুলভ ও সহযোগিতামূলক সম্পর্ক চায়। তারা স্থায়ী শান্তি চায়। এটা আমাদের দেশের মানুষও চায়।’ তিনি জানান, মানবিক ও অন্যান্য বিষয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনায় বসতে ভারত প্রস্তুত।
প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে গতকাল কাশ্মীর উপত্যকায় কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়। বিতর্কিত কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে এখন পর্যন্ত দুটি যুদ্ধ হয়েছে। এ প্রসঙ্গে মনমোহন সিং বলেন, দুই দেশের মধ্যকার শান্তিপ্রক্রিয়া নস্যাত্কারী জঙ্গিগোষ্ঠীকে দমন করার এটাই হচ্ছে পাকিস্তানের জন্য মোক্ষম সময়।
কাশ্মীরে দুই দশক ধরে ভারতবিরোধী জঙ্গি তত্পরতা চলছে। ভারত বরাবরই অভিযোগ করে আসছে, পাকিস্তান এসব বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীকে অস্ত্র সরবরাহ করছে এবং উসকানি দিচ্ছে। তবে পাকিস্তান সব সময়ই এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। জঙ্গি হামলার ঘটনায় কাশ্মীরে এ পর্যন্ত ৪৭ হাজার মানুষ মারা গেছে। তবে ২০০৪ সালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে শান্তিপ্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর থেকে কাশ্মীরের মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় জঙ্গি তত্পরতা কিছুটা কমেছে। কিন্তু সর্বশেষ মুম্বাই হামলার পর ভারত এই শান্তি আলোচনার পথ থেকে সরে আসে। ভারত মুম্বাই হামলার জন্য পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গিদের দায়ী করেছে।
মনমোহন সিং কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীসহ সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনায় বসার আগ্রহও প্রকাশ করেছেন। কাশ্মীরে সহিংসতা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের দিন শেষ হয়ে আসছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কাশ্মীরের সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনায় বসতে তাঁর সরকার প্রস্তুত। তিনি বলেন, ‘কাশ্মীরে শান্তি ও উন্নয়ন নিশ্চিত করার পক্ষে যাঁরা কাজ করতে চান, আমরা তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি।’
প্রধানমন্ত্রীর কাশ্মীর সফরের প্রতিবাদে সেখানকার বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলো ধর্মঘটের ডাক দেয়। অনন্তনাগ ও কাশ্মীরের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী শ্রীনগরে বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়। শ্রীনগরে গতকাল সন্ধ্যায় নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে মনমোহন সিং এক বৈঠক করেন।
এ মাসের শুরুর দিকে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরম বলেছিলেন, কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর সঙ্গে কূটনৈতিকভাবে আলোচনায় বসা যেতে পারে। সরকারের এই ঘোষণাকে মধ্যপন্থী গোষ্ঠীগুলো স্বাগত জানালেও কট্টরপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলো এর বিরোধিতা করে। তারা দাবি করেছে, এ ধরনের আলোচনায় বসার আগে ভারত সরকারকে কাশ্মীর থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। ২০০৬ সালে সর্বশেষ দিল্লি সরকার ও বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে আলোচনা হয়।
গতকাল প্রধানমন্ত্রীর কাশ্মীর সফরকালে কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীও উপস্থিত ছিলেন।
কাশ্মীরের দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলা অনন্তনাগে একটি রেলপথের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মনমোহন সিং বলেন, জঙ্গিরা যেখানেই অবস্থান করুক না কেন, পাকিস্তান সরকারের উচিত তাদের নিশ্চিহ্ন করা।
মনমোহন সিং বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, পাকিস্তানের বেশির ভাগ মানুষ প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে বন্ধুসুলভ ও সহযোগিতামূলক সম্পর্ক চায়। তারা স্থায়ী শান্তি চায়। এটা আমাদের দেশের মানুষও চায়।’ তিনি জানান, মানবিক ও অন্যান্য বিষয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনায় বসতে ভারত প্রস্তুত।
প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে গতকাল কাশ্মীর উপত্যকায় কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়। বিতর্কিত কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে এখন পর্যন্ত দুটি যুদ্ধ হয়েছে। এ প্রসঙ্গে মনমোহন সিং বলেন, দুই দেশের মধ্যকার শান্তিপ্রক্রিয়া নস্যাত্কারী জঙ্গিগোষ্ঠীকে দমন করার এটাই হচ্ছে পাকিস্তানের জন্য মোক্ষম সময়।
কাশ্মীরে দুই দশক ধরে ভারতবিরোধী জঙ্গি তত্পরতা চলছে। ভারত বরাবরই অভিযোগ করে আসছে, পাকিস্তান এসব বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীকে অস্ত্র সরবরাহ করছে এবং উসকানি দিচ্ছে। তবে পাকিস্তান সব সময়ই এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। জঙ্গি হামলার ঘটনায় কাশ্মীরে এ পর্যন্ত ৪৭ হাজার মানুষ মারা গেছে। তবে ২০০৪ সালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে শান্তিপ্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর থেকে কাশ্মীরের মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় জঙ্গি তত্পরতা কিছুটা কমেছে। কিন্তু সর্বশেষ মুম্বাই হামলার পর ভারত এই শান্তি আলোচনার পথ থেকে সরে আসে। ভারত মুম্বাই হামলার জন্য পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গিদের দায়ী করেছে।
মনমোহন সিং কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীসহ সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনায় বসার আগ্রহও প্রকাশ করেছেন। কাশ্মীরে সহিংসতা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের দিন শেষ হয়ে আসছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কাশ্মীরের সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনায় বসতে তাঁর সরকার প্রস্তুত। তিনি বলেন, ‘কাশ্মীরে শান্তি ও উন্নয়ন নিশ্চিত করার পক্ষে যাঁরা কাজ করতে চান, আমরা তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি।’
প্রধানমন্ত্রীর কাশ্মীর সফরের প্রতিবাদে সেখানকার বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলো ধর্মঘটের ডাক দেয়। অনন্তনাগ ও কাশ্মীরের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী শ্রীনগরে বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়। শ্রীনগরে গতকাল সন্ধ্যায় নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে মনমোহন সিং এক বৈঠক করেন।
এ মাসের শুরুর দিকে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরম বলেছিলেন, কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর সঙ্গে কূটনৈতিকভাবে আলোচনায় বসা যেতে পারে। সরকারের এই ঘোষণাকে মধ্যপন্থী গোষ্ঠীগুলো স্বাগত জানালেও কট্টরপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলো এর বিরোধিতা করে। তারা দাবি করেছে, এ ধরনের আলোচনায় বসার আগে ভারত সরকারকে কাশ্মীর থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। ২০০৬ সালে সর্বশেষ দিল্লি সরকার ও বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে আলোচনা হয়।
গতকাল প্রধানমন্ত্রীর কাশ্মীর সফরকালে কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীও উপস্থিত ছিলেন।
No comments