কালো টাকা বিনিয়োগ করলে উত্স খতিয়ে দেখা হবে না
শিল্প স্থাপনে বিনিয়োগ করলে কালো টাকার মালিকদের অর্থের উত্স খতিয়ে দেখবে না জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। তবে কালো টাকার উত্স সম্পর্কে মালিকদের শুধু একটি ঘোষণা দিতে হবে, এর বেশি কিছু নয়। আর এ ঘোষণা বিনা প্রশ্নেই গ্রহণ করবে এনবিআর। অর্থাত্ এর পেছনে ছুটে বেড়াবে না কখনোই।
গতকাল বুধবার এনবিআরের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বিশেষ সংবাদ ব্রিফিংয়ে এনবিআরের চেয়ারম্যান নাসিরউদ্দিন আহমেদ এ কথা জানিয়েছেন।
এনবিআরের চেয়ারম্যান জানান, ২০১০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বিনা প্রশ্নে অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করার সুযোগ দেওয়া রয়েছে। উত্স খতিয়ে দেখার সুযোগ নেই। আইনে তা বলা হয়নি। সুতরাং সহজ করে দেওয়া সুযোগ অপ্রদর্শিত অর্থের মালিকেরা গ্রহণ করবেন বলে তিনি আশা করছেন।
ব্রিফিংয়ে চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ও আয়ের বিবরণীও তুলে ধরেন এনবিআরের চেয়ারম্যান।
এনবিআরের চেয়ারম্যান জানান, তিন মাসে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১২ হাজার ১৮৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা। আর লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে আদায় হয়েছে ১২ হাজার ৪০৮ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।
এ ছাড়া গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৯ দশমিক ১৪ শতাংশ অর্থাত্ এক হাজার ৩৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকার বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তবে আদায়ের হার বেশি হওয়ার যুক্তি হিসেবে তিনি বলেন, বিশ্বমন্দার কারণে এবার লক্ষ্যমাত্রাই কমিয়ে ধরা হয়েছিল।
এনবিআরের চেয়ারম্যান আরও জানান, আমদানি শুল্ক, স্থানীয় পর্যায়ের মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) এবং আয়কর—এই তিনটি হলো রাজস্ব আদায়ের মূল খাত। আমদানি শুল্ক বাবদ ৪০ শতাংশ, ভ্যাট ৩০ শতাংশ এবং আয়কর বাবদ আদায় হয় গড়ে ২০ শতাংশ। বিশ্বমন্দার কারণে আমদানি শুল্ক বাবদ এবার রাজস্ব আয় কমেছে।
১৮ হাজার মামলায় সরকারের আট হাজার কোটি টাকা আটকে থাকার কথা জানান নাসিরউদ্দিন আহমেদ। এর মধ্যে আগামী জুনের মধ্যে কয়েক হাজার কোটি টাকা পেয়ে যাবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এ প্রসঙ্গে এনবিআরের চেয়ারম্যান জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অর্থমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী, অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ও অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে এনবিআরের মামলা নিষ্পত্তির বিষয় নিয়ে আলাদা বৈঠক হয়েছে। এ ব্যাপারে হাইকোর্টে কয়েকটি বিশেষায়িত বেঞ্চ গঠন করতে সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে আলোচনায় বসবে আইন মন্ত্রণালয়।
জাতীয় সংসদের অনেক সদস্যের বিরুদ্ধে কর না দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে এবং সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি তালিকা জাতীয় সংসদ থেকে এনবিআরে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি কী পর্যায়ে রয়েছে জানতে চাইলে এনবিআরের চেয়ারম্যান জানান, এখন পর্যন্ত সাংসদদের এ বিষয়ক কোনো তালিকা তাঁর হাতে এসে পৌঁছায়নি।
ব্রিফিংয়ে আরও জানানো হয়, রাজস্ব আদায়ের বিবিধ খাতের মধ্যে গত অর্থবছরের প্রথম তিন মাসের তুলনায় চলতি অর্থবছরের তিন মাসে ২০২ কোটি টাকা কম আদায় হয়েছে আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট বাবদ। গত বছর আদায় হয়েছিল দুই হাজার ৩৩৬ কোটি টাকা। আর এ বছর হয়েছে দুই হাজার ১৩৪ কোটি টাকা। এ খাতে রাজস্ব আদায় কমার হার ৮ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
আমদানি শুল্ক বাবদ গত বছরের প্রথম প্রান্তিকে আদায় হয়েছিল দুই হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা। আর এ বছর হয়েছে দুই হাজার ২৮৩ কোটি টাকা। আদায় কমেছে ৫২ কোটি টাকা। কমার হার ২ দশমিক ২৫ শতাংশ।
আরও জানানো হয়, প্রায় সব খাতেই আগের বারের তুলনায় আদায় বেড়েছে। যেমন—সম্পূরক শুল্ক (আমদানি পর্যায়ে) ৫৭০ কোটি টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৫৮৬ কোটি টাকা। বৃদ্ধির হার ২০ দশমিক ২৭ শতাংশ।
আবগারি শুল্ক ২৯ লাখ টাকা থেকে বেড়ে তিন কোটি ৯৬ লাখ টাকা আদায় হয়েছে। এ ছাড়া স্থানীয় পর্যায়ে ভ্যাট ১৬ দশমিক ৮১ শতাংশ, স্থানীয় পর্যায়ে সম্পূরক শুল্ক ১৪ দশমিক ১৯ শতাংশ, আয়কর ২৫ দশমিক ৯২ শতাংশ এবং ভ্রমণকর দশমিক ৭৩ শতাংশ বেড়েছে।
গতকাল বুধবার এনবিআরের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বিশেষ সংবাদ ব্রিফিংয়ে এনবিআরের চেয়ারম্যান নাসিরউদ্দিন আহমেদ এ কথা জানিয়েছেন।
এনবিআরের চেয়ারম্যান জানান, ২০১০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বিনা প্রশ্নে অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করার সুযোগ দেওয়া রয়েছে। উত্স খতিয়ে দেখার সুযোগ নেই। আইনে তা বলা হয়নি। সুতরাং সহজ করে দেওয়া সুযোগ অপ্রদর্শিত অর্থের মালিকেরা গ্রহণ করবেন বলে তিনি আশা করছেন।
ব্রিফিংয়ে চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ও আয়ের বিবরণীও তুলে ধরেন এনবিআরের চেয়ারম্যান।
এনবিআরের চেয়ারম্যান জানান, তিন মাসে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১২ হাজার ১৮৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা। আর লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে আদায় হয়েছে ১২ হাজার ৪০৮ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।
এ ছাড়া গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৯ দশমিক ১৪ শতাংশ অর্থাত্ এক হাজার ৩৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকার বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তবে আদায়ের হার বেশি হওয়ার যুক্তি হিসেবে তিনি বলেন, বিশ্বমন্দার কারণে এবার লক্ষ্যমাত্রাই কমিয়ে ধরা হয়েছিল।
এনবিআরের চেয়ারম্যান আরও জানান, আমদানি শুল্ক, স্থানীয় পর্যায়ের মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) এবং আয়কর—এই তিনটি হলো রাজস্ব আদায়ের মূল খাত। আমদানি শুল্ক বাবদ ৪০ শতাংশ, ভ্যাট ৩০ শতাংশ এবং আয়কর বাবদ আদায় হয় গড়ে ২০ শতাংশ। বিশ্বমন্দার কারণে আমদানি শুল্ক বাবদ এবার রাজস্ব আয় কমেছে।
১৮ হাজার মামলায় সরকারের আট হাজার কোটি টাকা আটকে থাকার কথা জানান নাসিরউদ্দিন আহমেদ। এর মধ্যে আগামী জুনের মধ্যে কয়েক হাজার কোটি টাকা পেয়ে যাবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এ প্রসঙ্গে এনবিআরের চেয়ারম্যান জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অর্থমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী, অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ও অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে এনবিআরের মামলা নিষ্পত্তির বিষয় নিয়ে আলাদা বৈঠক হয়েছে। এ ব্যাপারে হাইকোর্টে কয়েকটি বিশেষায়িত বেঞ্চ গঠন করতে সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে আলোচনায় বসবে আইন মন্ত্রণালয়।
জাতীয় সংসদের অনেক সদস্যের বিরুদ্ধে কর না দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে এবং সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি তালিকা জাতীয় সংসদ থেকে এনবিআরে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি কী পর্যায়ে রয়েছে জানতে চাইলে এনবিআরের চেয়ারম্যান জানান, এখন পর্যন্ত সাংসদদের এ বিষয়ক কোনো তালিকা তাঁর হাতে এসে পৌঁছায়নি।
ব্রিফিংয়ে আরও জানানো হয়, রাজস্ব আদায়ের বিবিধ খাতের মধ্যে গত অর্থবছরের প্রথম তিন মাসের তুলনায় চলতি অর্থবছরের তিন মাসে ২০২ কোটি টাকা কম আদায় হয়েছে আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট বাবদ। গত বছর আদায় হয়েছিল দুই হাজার ৩৩৬ কোটি টাকা। আর এ বছর হয়েছে দুই হাজার ১৩৪ কোটি টাকা। এ খাতে রাজস্ব আদায় কমার হার ৮ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
আমদানি শুল্ক বাবদ গত বছরের প্রথম প্রান্তিকে আদায় হয়েছিল দুই হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা। আর এ বছর হয়েছে দুই হাজার ২৮৩ কোটি টাকা। আদায় কমেছে ৫২ কোটি টাকা। কমার হার ২ দশমিক ২৫ শতাংশ।
আরও জানানো হয়, প্রায় সব খাতেই আগের বারের তুলনায় আদায় বেড়েছে। যেমন—সম্পূরক শুল্ক (আমদানি পর্যায়ে) ৫৭০ কোটি টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৫৮৬ কোটি টাকা। বৃদ্ধির হার ২০ দশমিক ২৭ শতাংশ।
আবগারি শুল্ক ২৯ লাখ টাকা থেকে বেড়ে তিন কোটি ৯৬ লাখ টাকা আদায় হয়েছে। এ ছাড়া স্থানীয় পর্যায়ে ভ্যাট ১৬ দশমিক ৮১ শতাংশ, স্থানীয় পর্যায়ে সম্পূরক শুল্ক ১৪ দশমিক ১৯ শতাংশ, আয়কর ২৫ দশমিক ৯২ শতাংশ এবং ভ্রমণকর দশমিক ৭৩ শতাংশ বেড়েছে।
No comments