প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের ভাই মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত -নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন by ইব্রাহীম চৌধুরী,
আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের ভাই আহমেদ ওয়ালি কারজাই মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ ওয়ালি কারজাইকে নিয়মিত ভাতা দিয়ে আসছে। এ ছাড়া আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক নির্বাচনে ভোট কারচুপির অন্যতম নায়ক ছিলেন প্রেসিডেন্টের এ সহোদর। প্রভাবশালী মার্কিন দৈনিক নিউইয়র্ক টাইমস গতকাল বুধবার এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
নিউইয়র্ক টাইমস-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা ওয়ালি কারজাইকে বিভিন্ন অজুহাতে অর্থ দিয়ে আসছে। দক্ষিণ আফগানিস্তানের কান্দাহার অঞ্চলে জঙ্গি দমনের জন্য আধাসামরিক বাহিনী গঠন করা হয়। এ আধাসামরিক বাহিনী গঠনের জন্য মার্কিন কর্তৃপক্ষকে মোটা অঙ্কের অর্থ দিতে হয়েছে ওয়ালি কারজাইকে।
আফগানিস্তানে অবস্থানরত মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাদক ব্যবসার ওপর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে ওয়ালি কারজাইয়ের। বিশ্বে এখন সবচেয়ে বেশি আফিম উত্পাদিত হচ্ছে আফগানিস্তানে। এসব আফিম আফগানিস্তান থেকে পাচার হয় সারা বিশ্বে। বড় বড় মাদক ব্যবসায়ী কোটি কোটি ডলারের এ অপরাধমূলক বাণিজ্যের নিয়ন্ত্রক। মার্কিন সমর্থনপুষ্ট আফগান সরকার থেকে শুরু করে প্রশাসনের লোকজন পর্যন্ত এ মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। আফিম পাচার থেকেই তালেবানসহ জঙ্গিগোষ্ঠী তাদের অর্থের জোগান পেয়ে আসছে। বিশ্বের সবচেয়ে সংগঠিত এ মাদক পাচার বন্ধে ব্যর্থ হয়েছে মার্কিন বাহিনী। দক্ষিণ আফগানিস্তানে আফিম পাচার থেকে টোল আদায় হয় ওয়ালি কারজাইয়ের নামে।
বিতাড়িত তালেবান নেতা মোল্লা ওমরের বাড়িটিও এখন ওয়ালি কারজাইয়ের নিয়ন্ত্রণে। মার্কিন সমর্থিত যৌথ বাহিনী জঙ্গি দমনে বিশেষ অভিযান পরিচালনার জন্য বাড়িটি ভাড়া নিয়েছে ওয়ালি কারজাইয়ের কাছ থেকে।
নিউইয়র্ক টাইমস তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, সাম্প্রতিক বিতর্কিত নির্বাচনে ওয়ালি কারজাই ভুয়া ব্যালট পেপার তৈরিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। বিভিন্ন স্থানে তাঁবু খাটিয়ে ওয়ালি কারজাই বলেছেন, তাঁবুগুলো ভোটকেন্দ্র ছিল। জনমানবহীন এসব তাঁবু, ভোটকেন্দ্র আর ব্যালট পেপার ছিল হামিদ কারজাইকে নির্বাচন করার জন্য সাজানো নাটক।
তবে ওয়ালি কারজাই তাঁর বিরুদ্ধে আনা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, মাদক ব্যবসার সঙ্গে তাঁর কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে কোনো অর্থ পাওয়ার কথাও তিনি অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, মার্কিন বাহিনীকে তিনি যথাসাধ্য সহযোগিতা করে আসছেন। খরচপাতির জন্য নিজের ভাই প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের কাছ থেকে নিয়মিত অর্থ পাওয়ার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, এ অর্থের উেসর কথা তাঁর অজানা।
আফগান বিষয়ে অভিজ্ঞ মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস তাদের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
আফগানিস্তান প্রশ্নে ইতিমধ্যেই ওবামা প্রশাসন বিভক্ত। মার্কিন সেনা উপস্থিতিতেই ওই দেশে জঙ্গিবাদের নতুন করে উত্থান ঘটছে। আফিম পাচারের অঢেল অর্থে পুষ্ট তালেবান ও অন্যান্য জঙ্গিগোষ্ঠী। সাধারণ আফগানদের কাছে ‘মার্কিন দালাল’ হিসেবে পরিচিত হামিদ কারজাইয়ের জনপ্রিয়তা শূন্যের কোঠায়। গত আগস্টের নির্বাচনে ভোট কারচুপি করে পশ্চিমাদের কাছে তাঁর সর্বশেষ গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছেন হামিদ কারজাই। তার ওপর ওয়ালি কারজাইকে নিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস-এর সর্বশেষ প্রতিবেদন ওয়াশিংটনকে বিব্রত করে তুলেছে। আফগান বিষয়ে মার্কিন জনমত ইতিমধ্যেই চরমভাবে নেতিবাচক।
আফগানিস্তানে নতুন করে সেনা বাড়াবেন কি না এ নিয়ে ধীরলয়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। পূর্বসূরি প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের শুরু করা যুদ্ধজট থেকে সরে আসার কৌশল নিয়েও ভাবতে হচ্ছে বর্তমান ওয়াশিংটন প্রশাসনকে।
নিউইয়র্ক টাইমস-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা ওয়ালি কারজাইকে বিভিন্ন অজুহাতে অর্থ দিয়ে আসছে। দক্ষিণ আফগানিস্তানের কান্দাহার অঞ্চলে জঙ্গি দমনের জন্য আধাসামরিক বাহিনী গঠন করা হয়। এ আধাসামরিক বাহিনী গঠনের জন্য মার্কিন কর্তৃপক্ষকে মোটা অঙ্কের অর্থ দিতে হয়েছে ওয়ালি কারজাইকে।
আফগানিস্তানে অবস্থানরত মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাদক ব্যবসার ওপর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে ওয়ালি কারজাইয়ের। বিশ্বে এখন সবচেয়ে বেশি আফিম উত্পাদিত হচ্ছে আফগানিস্তানে। এসব আফিম আফগানিস্তান থেকে পাচার হয় সারা বিশ্বে। বড় বড় মাদক ব্যবসায়ী কোটি কোটি ডলারের এ অপরাধমূলক বাণিজ্যের নিয়ন্ত্রক। মার্কিন সমর্থনপুষ্ট আফগান সরকার থেকে শুরু করে প্রশাসনের লোকজন পর্যন্ত এ মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। আফিম পাচার থেকেই তালেবানসহ জঙ্গিগোষ্ঠী তাদের অর্থের জোগান পেয়ে আসছে। বিশ্বের সবচেয়ে সংগঠিত এ মাদক পাচার বন্ধে ব্যর্থ হয়েছে মার্কিন বাহিনী। দক্ষিণ আফগানিস্তানে আফিম পাচার থেকে টোল আদায় হয় ওয়ালি কারজাইয়ের নামে।
বিতাড়িত তালেবান নেতা মোল্লা ওমরের বাড়িটিও এখন ওয়ালি কারজাইয়ের নিয়ন্ত্রণে। মার্কিন সমর্থিত যৌথ বাহিনী জঙ্গি দমনে বিশেষ অভিযান পরিচালনার জন্য বাড়িটি ভাড়া নিয়েছে ওয়ালি কারজাইয়ের কাছ থেকে।
নিউইয়র্ক টাইমস তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, সাম্প্রতিক বিতর্কিত নির্বাচনে ওয়ালি কারজাই ভুয়া ব্যালট পেপার তৈরিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। বিভিন্ন স্থানে তাঁবু খাটিয়ে ওয়ালি কারজাই বলেছেন, তাঁবুগুলো ভোটকেন্দ্র ছিল। জনমানবহীন এসব তাঁবু, ভোটকেন্দ্র আর ব্যালট পেপার ছিল হামিদ কারজাইকে নির্বাচন করার জন্য সাজানো নাটক।
তবে ওয়ালি কারজাই তাঁর বিরুদ্ধে আনা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, মাদক ব্যবসার সঙ্গে তাঁর কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে কোনো অর্থ পাওয়ার কথাও তিনি অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, মার্কিন বাহিনীকে তিনি যথাসাধ্য সহযোগিতা করে আসছেন। খরচপাতির জন্য নিজের ভাই প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের কাছ থেকে নিয়মিত অর্থ পাওয়ার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, এ অর্থের উেসর কথা তাঁর অজানা।
আফগান বিষয়ে অভিজ্ঞ মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস তাদের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
আফগানিস্তান প্রশ্নে ইতিমধ্যেই ওবামা প্রশাসন বিভক্ত। মার্কিন সেনা উপস্থিতিতেই ওই দেশে জঙ্গিবাদের নতুন করে উত্থান ঘটছে। আফিম পাচারের অঢেল অর্থে পুষ্ট তালেবান ও অন্যান্য জঙ্গিগোষ্ঠী। সাধারণ আফগানদের কাছে ‘মার্কিন দালাল’ হিসেবে পরিচিত হামিদ কারজাইয়ের জনপ্রিয়তা শূন্যের কোঠায়। গত আগস্টের নির্বাচনে ভোট কারচুপি করে পশ্চিমাদের কাছে তাঁর সর্বশেষ গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছেন হামিদ কারজাই। তার ওপর ওয়ালি কারজাইকে নিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস-এর সর্বশেষ প্রতিবেদন ওয়াশিংটনকে বিব্রত করে তুলেছে। আফগান বিষয়ে মার্কিন জনমত ইতিমধ্যেই চরমভাবে নেতিবাচক।
আফগানিস্তানে নতুন করে সেনা বাড়াবেন কি না এ নিয়ে ধীরলয়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। পূর্বসূরি প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের শুরু করা যুদ্ধজট থেকে সরে আসার কৌশল নিয়েও ভাবতে হচ্ছে বর্তমান ওয়াশিংটন প্রশাসনকে।
No comments