আর কত পৈশাচিকতা -অগ্নিদগ্ধ ফাতেমা
আক্ষরিক
অর্থেই গৃহবধূ ফাতেমা বেগম (২৫) মানুষের নীচতা, নৃশংসতা আর পৈশাচিকতার
জ্বলন্ত নজির হয়ে অসহ্য যন্ত্রণায় ভুগছেন। শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন লাগিয়ে
তাঁর বুক থেকে কোমর পর্যন্ত জ্বালিয়ে দিয়েছে তাঁর স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির
লোকজন। সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার মর্যাদাপুর গ্রামে গত ৫ সেপ্টেম্বর এ
ঘটনা ঘটেছে। যৌতুক দিতে না পারার জন্যই তাঁর জীবনে নেমে এল এমন অভিশাপ।
যৌতুক আইনত নিষিদ্ধ। কিন্তু সেই যৌতুকের জন্যই কিনা তাঁকে পুড়তে হলো লোভের
আগুনে। আবারও প্রমাণিত হলো, কেবল আইন করলেই হয় না, সেই আইনের কঠোর প্রয়োগ
এবং মানুষের চিন্তা-চেতনার পরিবর্তন প্রয়োজন। এ ছাড়া নারীর জন্য নিরাপদ
পারিবারিক জীবন নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।
সমাজে অপরাধ কম-বেশি একটা মাত্রায় থাকবেই। কিন্তু নারীকে বীভত্স নির্যাতন করা এবং আগুনে বা এসিডে পোড়ানোর মতো পাশবিক অপরাধ কোনোভাবেই চলতে পারে না। অথচ কিছুদিন পরপর সেটাই ঘটতে দেখা যাচ্ছে। আগুনে পোড়ানো কিংবা এসিড ছুড়ে মারার মতো জঘন্য উপায়ই হয় এসব পাষণ্ডের অবলম্বন। এবং চিন্তার কথা যে, এ ধরনের কার্যকলাপের বেশির ভাগই হয় পারিবারিক সম্পর্কের মধ্যে। অথচ পারিবারিক সম্পর্কের মধ্যেই মানুষ সবচেয়ে নিরাপদ বোধ করে অভ্যস্ত। কিন্তু সেখানে যদি এই মাত্রায় সহিংসতার বীজ লুকিয়ে থাকে, তাহলে কীভাবে একজন তার নিকটজনদের বিশ্বাস করবে? অবশ্য এ কথা ঠিক যে অধিকাংশ পরিবারের সঙ্গে ফাতেমার স্বামীর পরিবারের কোনো তুলনা চলে না।
ফাতেমা বাঁচতে চেয়েছেন। আমাদের আশা, চিকিত্সকেরা তাঁকে বাঁচিয়ে রাখতে সর্বোচ্চ যা করা দরকার তা করবেন। কিন্তু কোন সমাজে তিনি বেঁচে থাকতে চাইছেন? এখনো বেশির ভাগ পরিবার পুরুষপ্রধান এবং নারী সেখানে তুচ্ছ হিসেবে চিহ্নিত হয়। মানুষ হিসেবে নারীর মর্যাদা প্রতিষ্ঠা এখনো সুদূরপরাহত। নইলে যৌতুকের মতো অমানবিক অসভ্য প্রথার জন্য এখনো অজস্র নারীকে নিপীড়ন সইতে হতো না। একদিকে সরকার ও বেসরকারি সংস্থাগুলো যখন নারী উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন ইত্যাদি স্লোগান নিয়ে অঢেল অর্থ খরচ করে উদ্যোগ নিয়ে চলছে, অন্যদিকে চোখের সামনে ঘটে চলছে নারীর ওপর অনাচার। পরিস্থিতি বদলের জন্য দৃষ্টিভঙ্গি বদলের প্রয়োজন। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানকে নারীবান্ধব হওয়া প্রয়োজন। এর জন্য শিক্ষাসহ সর্বস্তরে নারীকে মানুষ হিসেবে বিবেচনা করার প্রণোদনা থাকতে হবে। পাশাপাশি এ ধরনের ঘটনা ঘটলে দ্রুত বিচার ও কঠিনতম শাস্তির ব্যবস্থা করার বাধ্যবাধকতা বিনা শর্তে পালিত হতে হবে।
সমাজে অপরাধ কম-বেশি একটা মাত্রায় থাকবেই। কিন্তু নারীকে বীভত্স নির্যাতন করা এবং আগুনে বা এসিডে পোড়ানোর মতো পাশবিক অপরাধ কোনোভাবেই চলতে পারে না। অথচ কিছুদিন পরপর সেটাই ঘটতে দেখা যাচ্ছে। আগুনে পোড়ানো কিংবা এসিড ছুড়ে মারার মতো জঘন্য উপায়ই হয় এসব পাষণ্ডের অবলম্বন। এবং চিন্তার কথা যে, এ ধরনের কার্যকলাপের বেশির ভাগই হয় পারিবারিক সম্পর্কের মধ্যে। অথচ পারিবারিক সম্পর্কের মধ্যেই মানুষ সবচেয়ে নিরাপদ বোধ করে অভ্যস্ত। কিন্তু সেখানে যদি এই মাত্রায় সহিংসতার বীজ লুকিয়ে থাকে, তাহলে কীভাবে একজন তার নিকটজনদের বিশ্বাস করবে? অবশ্য এ কথা ঠিক যে অধিকাংশ পরিবারের সঙ্গে ফাতেমার স্বামীর পরিবারের কোনো তুলনা চলে না।
ফাতেমা বাঁচতে চেয়েছেন। আমাদের আশা, চিকিত্সকেরা তাঁকে বাঁচিয়ে রাখতে সর্বোচ্চ যা করা দরকার তা করবেন। কিন্তু কোন সমাজে তিনি বেঁচে থাকতে চাইছেন? এখনো বেশির ভাগ পরিবার পুরুষপ্রধান এবং নারী সেখানে তুচ্ছ হিসেবে চিহ্নিত হয়। মানুষ হিসেবে নারীর মর্যাদা প্রতিষ্ঠা এখনো সুদূরপরাহত। নইলে যৌতুকের মতো অমানবিক অসভ্য প্রথার জন্য এখনো অজস্র নারীকে নিপীড়ন সইতে হতো না। একদিকে সরকার ও বেসরকারি সংস্থাগুলো যখন নারী উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন ইত্যাদি স্লোগান নিয়ে অঢেল অর্থ খরচ করে উদ্যোগ নিয়ে চলছে, অন্যদিকে চোখের সামনে ঘটে চলছে নারীর ওপর অনাচার। পরিস্থিতি বদলের জন্য দৃষ্টিভঙ্গি বদলের প্রয়োজন। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানকে নারীবান্ধব হওয়া প্রয়োজন। এর জন্য শিক্ষাসহ সর্বস্তরে নারীকে মানুষ হিসেবে বিবেচনা করার প্রণোদনা থাকতে হবে। পাশাপাশি এ ধরনের ঘটনা ঘটলে দ্রুত বিচার ও কঠিনতম শাস্তির ব্যবস্থা করার বাধ্যবাধকতা বিনা শর্তে পালিত হতে হবে।
No comments