জজ মিয়ার জবানবন্দি নেওয়া ম্যাজিস্ট্রেটকে জিজ্ঞাসাবাদ
জজ মিয়ার সাজানো জবানবন্দি নেওয়া ঢাকা মহানগর মুখ্য হাকিম আদালতের তখনকার ম্যাজিস্ট্রেট জাহাঙ্গীর আলমকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিআইডি। তিনি বর্তমানে ভূমি সংস্কার বোর্ডের উপসচিব। গত বৃহস্পতিবার সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) রওনাকুল হক চৌধুরী এ জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনা ভিন্ন খাতে নিতে জজ মিয়াসহ তিনজনের সাজানো জবানবন্দি আদায় করেছিলেন তত্কালীন তদন্ত কর্মকর্তারা। এই জবানবন্দি নেওয়া তত্কালীন আরেক ম্যাজিস্ট্রেট শফিক আনোয়ারের বক্তব্য কাল রোববার নেওয়া হবে বলে সিআইডির সূত্র জানায়।
পুলিশ জজ মিয়াসহ তিনজনের কাছ থেকে সাজানো জবানবন্দি আদায় করে গ্রেনেড হামলা মামলার তদন্ত ভিন্ন খাতে নেওয়ার ঘটনায় সাবেক তিন তদন্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পরে মামলা হয়েছে। এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এএসপি রওনাকুল হক চৌধুরী বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত জাহাঙ্গীর আলমের বক্তব্য নেন। জাহাঙ্গীর আলম ঢাকার মহানগর হাকিম থাকাকালে ২০০৫ সালের ২৬ জুন জজ মিয়ার কথিত ‘স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি’ নিয়েছিলেন।
এএসপি রওনাকুল হক প্রথম আলোকে বলেন, তদন্তের স্বার্থে তিনি জাহাঙ্গীর আলমের বক্তব্য নিয়েছেন। তিনি ওই সময় কীভাবে ও কোন পরিস্থিতিতে জজ মিয়ার জবানবন্দি নিয়েছেন, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। জাহাঙ্গীর আলম বলেন, তিনি বিধিমোতাবেক নির্ধারিত ফরমে জজ মিয়ার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন। জজ মিয়াকে মিথ্যা বক্তব্য দেওয়ার জন্য তিনি কোনো ধরনের চাপ প্রয়োগ করেননি। জজ মিয়া যা যা বলেছেন, তিনি তা-ই লিপিবদ্ধ করেছেন। তত্কালীন মুখ্য মহানগর হাকিম তাঁকে জজ মিয়ার জবানবন্দি নেওয়ার জন্য দায়িত্ব দিয়েছিলেন বলে জানান তিনি। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জজ মিয়ার জবানবন্দি নেওয়ার পর তাঁকে নিয়ে সিআইডির এএসপি আবদুর রশিদ ও মুন্সী আতিকের সঙ্গে একত্রে বসে বিরিয়ানি খেয়েছিলেন কি না—এ প্রশ্নের জবাবে জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, কোনো আসামির বক্তব্য নেওয়ার পর তাঁর সঙ্গে বা তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে একত্রে বসে খাওয়ার সুযোগ, সময় বা রীতি কোনোটাই নেই। ম্যাজিস্ট্রেটের খাসকামরার বাইরে তাঁরা কিছু খেয়েছেন কি না, তা তিনি জানেন না।
জাহাঙ্গীর আলম ২০০৫ সালের ১৬ নভেম্বর আবুল হাসেম রানা নামের আরেক নিরীহ যুবকের জবানবন্দি নেন। রানাও জজ মিয়ার অনুরূপ বক্তব্য দেন। এর পরদিন তত্কালীন আরেক মহানগর হাকিম শফিক আনোয়ার নেন শফিক নামের আরেক যুবকের জবানবন্দি।
শফিক আনোয়ার এখন ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে উপসচিব পদে আছেন। তাঁর বক্তব্য আগামী রোববার নেওয়া হবে বলে এএসপি রওনাকুল হক চৌধুরী জানান।
বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২১ আগস্ট মামলার তদন্তে বেরিয়ে আসে, বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে তদন্তকে ভিন্ন খাতে নিতে তত্কালীন তদন্ত কর্মকর্তারা নির্যাতনের মাধ্যমে তিন নিরীহ যুবকের কাছ থেকে ‘স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি’ আদায় করেছেন। গত বছরের ১১ জুন মামলার অভিযোগপত্র দেওয়ার পর জজ মিয়াসহ এই তিন নিরীহ যুবক অব্যাহতি পান।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনা ভিন্ন খাতে নিতে জজ মিয়াসহ তিনজনের সাজানো জবানবন্দি আদায় করেছিলেন তত্কালীন তদন্ত কর্মকর্তারা। এই জবানবন্দি নেওয়া তত্কালীন আরেক ম্যাজিস্ট্রেট শফিক আনোয়ারের বক্তব্য কাল রোববার নেওয়া হবে বলে সিআইডির সূত্র জানায়।
পুলিশ জজ মিয়াসহ তিনজনের কাছ থেকে সাজানো জবানবন্দি আদায় করে গ্রেনেড হামলা মামলার তদন্ত ভিন্ন খাতে নেওয়ার ঘটনায় সাবেক তিন তদন্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পরে মামলা হয়েছে। এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এএসপি রওনাকুল হক চৌধুরী বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত জাহাঙ্গীর আলমের বক্তব্য নেন। জাহাঙ্গীর আলম ঢাকার মহানগর হাকিম থাকাকালে ২০০৫ সালের ২৬ জুন জজ মিয়ার কথিত ‘স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি’ নিয়েছিলেন।
এএসপি রওনাকুল হক প্রথম আলোকে বলেন, তদন্তের স্বার্থে তিনি জাহাঙ্গীর আলমের বক্তব্য নিয়েছেন। তিনি ওই সময় কীভাবে ও কোন পরিস্থিতিতে জজ মিয়ার জবানবন্দি নিয়েছেন, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। জাহাঙ্গীর আলম বলেন, তিনি বিধিমোতাবেক নির্ধারিত ফরমে জজ মিয়ার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন। জজ মিয়াকে মিথ্যা বক্তব্য দেওয়ার জন্য তিনি কোনো ধরনের চাপ প্রয়োগ করেননি। জজ মিয়া যা যা বলেছেন, তিনি তা-ই লিপিবদ্ধ করেছেন। তত্কালীন মুখ্য মহানগর হাকিম তাঁকে জজ মিয়ার জবানবন্দি নেওয়ার জন্য দায়িত্ব দিয়েছিলেন বলে জানান তিনি। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জজ মিয়ার জবানবন্দি নেওয়ার পর তাঁকে নিয়ে সিআইডির এএসপি আবদুর রশিদ ও মুন্সী আতিকের সঙ্গে একত্রে বসে বিরিয়ানি খেয়েছিলেন কি না—এ প্রশ্নের জবাবে জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, কোনো আসামির বক্তব্য নেওয়ার পর তাঁর সঙ্গে বা তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে একত্রে বসে খাওয়ার সুযোগ, সময় বা রীতি কোনোটাই নেই। ম্যাজিস্ট্রেটের খাসকামরার বাইরে তাঁরা কিছু খেয়েছেন কি না, তা তিনি জানেন না।
জাহাঙ্গীর আলম ২০০৫ সালের ১৬ নভেম্বর আবুল হাসেম রানা নামের আরেক নিরীহ যুবকের জবানবন্দি নেন। রানাও জজ মিয়ার অনুরূপ বক্তব্য দেন। এর পরদিন তত্কালীন আরেক মহানগর হাকিম শফিক আনোয়ার নেন শফিক নামের আরেক যুবকের জবানবন্দি।
শফিক আনোয়ার এখন ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে উপসচিব পদে আছেন। তাঁর বক্তব্য আগামী রোববার নেওয়া হবে বলে এএসপি রওনাকুল হক চৌধুরী জানান।
বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২১ আগস্ট মামলার তদন্তে বেরিয়ে আসে, বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে তদন্তকে ভিন্ন খাতে নিতে তত্কালীন তদন্ত কর্মকর্তারা নির্যাতনের মাধ্যমে তিন নিরীহ যুবকের কাছ থেকে ‘স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি’ আদায় করেছেন। গত বছরের ১১ জুন মামলার অভিযোগপত্র দেওয়ার পর জজ মিয়াসহ এই তিন নিরীহ যুবক অব্যাহতি পান।
No comments