হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সম্মেলন বাহাত্তরের সংবিধান পুনর্বহাল ও আদিবাসীদের স্বীকৃতি দাবি
১৯৭২ সালে রচিত বাংলাদেশের প্রথম সংবিধান পুনর্বহাল, অর্পিত সম্পত্তি আইন বাতিল, আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র দিন ইস্টার সানডেকে সরকারি ছুটি ঘোষণার দাবি জানিয়েছে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। দাবি বাস্তবায়নে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করার আহ্বান জানিয়েছেন সংগঠনের নেতারা।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ঐক্য পরিষদের জাতীয় সম্মেলনে (কাউন্সিল) এসব দাবি জানানো হয়। সম্মেলনের স্লোগান নির্ধারণ করা হয়েছে ‘হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান এক জাতি, এক প্রাণ’। বক্তারা বলেন, পরিষদ একটি অসাম্প্রদায়িক সংগঠন। সংগঠনের মূল দাবি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা। তাঁরা বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার দাবি করেন।
সকাল সাড়ে ১০টায় সম্মেলনের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। বিচারপতি গোলাম রাব্বানী কাউন্সিলের উদ্বোধন করেন। সারা দেশ থেকে কয়েক হাজার কাউন্সিলর এতে যোগ দেন। এরপর বিশিষ্টজনেরা সংখ্যালঘুদের সমস্যা, নির্যাতন এবং এ ব্যাপারে করণীয় সম্পর্কে বক্তব্য দেন।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী প্রমোদ মানকিন বলেন, বাহাত্তরের সংবিধানে ফিরে যেতেই হবে। একটি দল পরে সেটিকে নষ্ট করে ফেলেছে। এ কারণেই দেশে আজ জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদের উত্থান ঘটেছে। আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়ার দাবিও জানান তিনি। তিনি বলেন, দেশে ১০ লাখ খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী রয়েছে। তাদের পবিত্র ইস্টার সানডেতে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা উচিত।
বিচারপতি গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘অবিকৃতভাবে বাহাত্তরের সংবিধানের পুনর্বহাল চাই। বাহাত্তরের সংবিধান বিকৃত করার কারণেই দেশ আজ জঙ্গিবাদের হুমকিতে পড়েছে।’
সভাপতির বক্তব্যে সি আর দত্ত বলেন, যে রাজনৈতিক দলই এসেছে, তারাই সংখ্যালঘুদের নিয়ে খেলা করেছে। এই খেলা বন্ধ করতে হবে। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে সাম্প্রদায়িকতার বীজ বপন করা হয়েছে। এর থেকে মুক্তি পেতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নীম চন্দ্র ভৌমিক, অধ্যাপক ললিত মোহন নাথ, শিরিল সিকদার, সাধনা হালদার, বীরেন সিকদার প্রমুখ বক্তব্য দেন।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ঐক্য পরিষদের জাতীয় সম্মেলনে (কাউন্সিল) এসব দাবি জানানো হয়। সম্মেলনের স্লোগান নির্ধারণ করা হয়েছে ‘হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান এক জাতি, এক প্রাণ’। বক্তারা বলেন, পরিষদ একটি অসাম্প্রদায়িক সংগঠন। সংগঠনের মূল দাবি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা। তাঁরা বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার দাবি করেন।
সকাল সাড়ে ১০টায় সম্মেলনের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। বিচারপতি গোলাম রাব্বানী কাউন্সিলের উদ্বোধন করেন। সারা দেশ থেকে কয়েক হাজার কাউন্সিলর এতে যোগ দেন। এরপর বিশিষ্টজনেরা সংখ্যালঘুদের সমস্যা, নির্যাতন এবং এ ব্যাপারে করণীয় সম্পর্কে বক্তব্য দেন।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী প্রমোদ মানকিন বলেন, বাহাত্তরের সংবিধানে ফিরে যেতেই হবে। একটি দল পরে সেটিকে নষ্ট করে ফেলেছে। এ কারণেই দেশে আজ জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদের উত্থান ঘটেছে। আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়ার দাবিও জানান তিনি। তিনি বলেন, দেশে ১০ লাখ খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী রয়েছে। তাদের পবিত্র ইস্টার সানডেতে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা উচিত।
বিচারপতি গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘অবিকৃতভাবে বাহাত্তরের সংবিধানের পুনর্বহাল চাই। বাহাত্তরের সংবিধান বিকৃত করার কারণেই দেশ আজ জঙ্গিবাদের হুমকিতে পড়েছে।’
সভাপতির বক্তব্যে সি আর দত্ত বলেন, যে রাজনৈতিক দলই এসেছে, তারাই সংখ্যালঘুদের নিয়ে খেলা করেছে। এই খেলা বন্ধ করতে হবে। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে সাম্প্রদায়িকতার বীজ বপন করা হয়েছে। এর থেকে মুক্তি পেতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নীম চন্দ্র ভৌমিক, অধ্যাপক ললিত মোহন নাথ, শিরিল সিকদার, সাধনা হালদার, বীরেন সিকদার প্রমুখ বক্তব্য দেন।
No comments