সত্যিই নতুন ইসিনবায়েভা
একের পর এক জয়ই তাহলে ইয়েলেনা ইসিনবায়েভার পরাজয়ের কারণ? এই রুশ পোল্ট ভোল্ট তারকার নিজের ধারণা এমনটাই। প্রতিযোগিতায় নামলেই সহজ জয়, আত্মবিশ্বাসটা তাই এমন পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল যে তাঁকে কেউ হারাতে পারে এটা ভাবতেই পারেননি, ভুলে গিয়েছিলেন হার বলেও কিছু আছে। আর এর মাশুলই বার্লিনে দিয়েছেন পোল ভোল্টের বিশ্ব রেকর্ডধারী, ‘অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসই ছিল সবচেয়ে বড় ভুল। আমি ভেবেছিলাম আরেকটি সোনা জয়, হয়তো বা রেকর্ড গড়াও খুব বেশি সমস্যা হবে না। ভেবেছিলাম ৪.৮০-ই জয়ের জন্য যথেষ্ট। যখন ট্র্যাকে নামলাম মনে হলো আমি যেন ঠিক এখানে নেই। আমি আসলে মনোযোগ হারিয়ে ফেলেছিলাম এবং খুব বেশি নির্ভার ছিলাম। সবই ছিল ভুল।’
২৭ বছর বয়সী তারকা জানালেন বার্লিনের হারে ভীষণ মর্মাহত তাঁর কোচও, ‘‘সে মনে খুবই কষ্ট পেয়েছিল। আমাকে বলেছিল, ‘তোমার সমস্যা কী? টেকনিক, রানআপ সবই ঠিক আছে, কিন্তু মনে হচ্ছিল তোমার দেহটা ট্র্যাকে থাকলেও মনটা যেন অন্য কোথাও।’ সে খুবই হতাশ হয়েছে।”
তবে ধাক্কাটা ভালোই খেয়েছেন ইসিনবায়েভা। স্বপ্নরাজ্যে থাকা দুবারের অলিম্পিক ও বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন বাস্তবের জমিন খুঁজে পেয়েছেন এই হারে, ‘বার্লিনের আগে জয়টা বিশেষ কিছু ছিল না। সবাই জানত আমিই জিতব, আমারও তেমন কিছু মনে হতো না। এ ঘটনা আমাকে শিক্ষা দিয়েছে, আপনি যে-ই হোন না কেন, ট্র্যাকে প্রতিবারই নিজেকে প্রমাণ করতে হবে। অবসরের আগ পর্যন্ত এটা আমার মাথায় থাকবে।’ সব মিলিয়ে এই পরাজয়টা তাঁকে এক নতুন জীবনদর্শনও দিয়েছে, ‘এটা আমার মনোজগতকে পাল্টে দিয়েছে। আমি আমার খেলাটাকে এখন আরও মূল্য দিই। ভবিষ্যত্ সাফল্যের জন্যই এই হার প্রয়োজনীয় ছিল।’
হতোদ্যম না হয়ে তাই সবকিছু আবার নতুন করে শুরু করতে চান তিনি, ‘হয়তো আগে ফ্যান, ফেডারেশন, কোচের কাছ থেকে অনেক চাপ ছিল। কিন্তু এটা এখন শূন্য। আমাকে শুরু থেকে আবার শুরু করতে হবে এবং নিজেকে প্রমাণ করতে হবে। কোচের সঙ্গে আলোচনা করেছি এবং আমরা সামনের দিকেই তাকাচ্ছি। আমি নিশ্চিত, ভবিষ্যতে সবকিছুই ঠিক হয়ে যাবে।’
শিক্ষাটা কতটুকু কাজে লেগেছে এটা অবশ্য ইতিমধ্যেই প্রমাণিত হয়ে যাওয়ার কথা। গতকাল রাতেই জুরিখে গোল্ডেন লিগে জ্যাকপটের লড়াইয়ে নামার কথা তাঁর।
২৭ বছর বয়সী তারকা জানালেন বার্লিনের হারে ভীষণ মর্মাহত তাঁর কোচও, ‘‘সে মনে খুবই কষ্ট পেয়েছিল। আমাকে বলেছিল, ‘তোমার সমস্যা কী? টেকনিক, রানআপ সবই ঠিক আছে, কিন্তু মনে হচ্ছিল তোমার দেহটা ট্র্যাকে থাকলেও মনটা যেন অন্য কোথাও।’ সে খুবই হতাশ হয়েছে।”
তবে ধাক্কাটা ভালোই খেয়েছেন ইসিনবায়েভা। স্বপ্নরাজ্যে থাকা দুবারের অলিম্পিক ও বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন বাস্তবের জমিন খুঁজে পেয়েছেন এই হারে, ‘বার্লিনের আগে জয়টা বিশেষ কিছু ছিল না। সবাই জানত আমিই জিতব, আমারও তেমন কিছু মনে হতো না। এ ঘটনা আমাকে শিক্ষা দিয়েছে, আপনি যে-ই হোন না কেন, ট্র্যাকে প্রতিবারই নিজেকে প্রমাণ করতে হবে। অবসরের আগ পর্যন্ত এটা আমার মাথায় থাকবে।’ সব মিলিয়ে এই পরাজয়টা তাঁকে এক নতুন জীবনদর্শনও দিয়েছে, ‘এটা আমার মনোজগতকে পাল্টে দিয়েছে। আমি আমার খেলাটাকে এখন আরও মূল্য দিই। ভবিষ্যত্ সাফল্যের জন্যই এই হার প্রয়োজনীয় ছিল।’
হতোদ্যম না হয়ে তাই সবকিছু আবার নতুন করে শুরু করতে চান তিনি, ‘হয়তো আগে ফ্যান, ফেডারেশন, কোচের কাছ থেকে অনেক চাপ ছিল। কিন্তু এটা এখন শূন্য। আমাকে শুরু থেকে আবার শুরু করতে হবে এবং নিজেকে প্রমাণ করতে হবে। কোচের সঙ্গে আলোচনা করেছি এবং আমরা সামনের দিকেই তাকাচ্ছি। আমি নিশ্চিত, ভবিষ্যতে সবকিছুই ঠিক হয়ে যাবে।’
শিক্ষাটা কতটুকু কাজে লেগেছে এটা অবশ্য ইতিমধ্যেই প্রমাণিত হয়ে যাওয়ার কথা। গতকাল রাতেই জুরিখে গোল্ডেন লিগে জ্যাকপটের লড়াইয়ে নামার কথা তাঁর।
No comments