অক্সফামের সতর্কবার্তা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে নেপালে খাদ্যসংকট দেখা দিতে পারে
আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা অক্সফাম আশঙ্কা করছে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে নেপালের দরিদ্র গ্রামীণ জনগোষ্ঠী খাদ্যসংকটে পড়তে পারে। সংস্থার একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খারাপ ফলন, পানি ঘাটতি ও তাপমাত্রার তারতম্য দারিদ্রসীমার নিচে বসবাসকারী নেপালের কয়েক লাখ দরিদ্র মানুষকে চাপে ফেলবে। রাজধানী কাঠমান্ডুতে আসন্ন জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক একটি সম্মেলনের আগে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। হিমালয় পর্বতমালার ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকি বিষয়ে ওই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।
সম্প্রতি গত চার দশকের মধ্যে সবচেয়ে শুষ্ক শীতকাল পার করেছে নেপালিরা। তার ওপর মৌসুমি বৃষ্টিপাতও শুরু হয়েছে দেরিতে এবং বৃষ্টিপাত নিয়মিতভাবে হচ্ছে না। এতে করে ভূমি ক্ষয়ের আশঙ্কা বেড়ে যাচ্ছে। এ ধরনের শুষ্ক মৌসুমের বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে সেখানে।
এদিকে নেপালের পাহাড়ি এলাকায় বসবাসকারী কয়েক লাখ মানুষ পানিসংকটে রয়েছে। এর প্রভাব পড়ছে তাদের চাষাবাদে এবং ফলন কমছে। ভূগর্ভস্থ উত্স থেকে পানিপ্রাপ্তি কমে যাওয়ায় ডায়রিয়ার মতো রোগের সংক্রমণ বেড়ে গেছে। কারণ খাবার পানির উেসর জন্য মানুষ পুকুর, খাল, ঝরনা বা নদীর পানির ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। আর এসব পানি অস্বাস্থ্যকর।
অক্সফামের কর্মী প্রবীণ মান সিং বলেন, আবহাওয়ার পরিবর্তন দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। জীবনযাপন করতে তাদের এখনই যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে। আর জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তাদের বেঁচে থাকার এই সংগ্রাম আরও কঠিন হয়ে পড়বে।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট এসব সংকট নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্বেগ জানিয়েছে। নেপালের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত ভাট্টেগাওয়ের নাইনা শাহি (৩৫) বলেন, ‘আমাদের কৃষির ফলন কমে গেছে। আমাদের জীবন ধারণের জন্য এখন আমরা আর কৃষির ওপর নির্ভরশীল থাকতে পারছি না।’ গ্রামের বাসিন্দাদের একমাত্র পানির উত্সটির ধারা শুকিয়ে এসেছে। গ্রামবাসী পানির সংকটের বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলার জন্য নেপালকে সহায়তা করতে বিশ্বের ধনী দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে অক্সফাম।
সম্প্রতি গত চার দশকের মধ্যে সবচেয়ে শুষ্ক শীতকাল পার করেছে নেপালিরা। তার ওপর মৌসুমি বৃষ্টিপাতও শুরু হয়েছে দেরিতে এবং বৃষ্টিপাত নিয়মিতভাবে হচ্ছে না। এতে করে ভূমি ক্ষয়ের আশঙ্কা বেড়ে যাচ্ছে। এ ধরনের শুষ্ক মৌসুমের বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে সেখানে।
এদিকে নেপালের পাহাড়ি এলাকায় বসবাসকারী কয়েক লাখ মানুষ পানিসংকটে রয়েছে। এর প্রভাব পড়ছে তাদের চাষাবাদে এবং ফলন কমছে। ভূগর্ভস্থ উত্স থেকে পানিপ্রাপ্তি কমে যাওয়ায় ডায়রিয়ার মতো রোগের সংক্রমণ বেড়ে গেছে। কারণ খাবার পানির উেসর জন্য মানুষ পুকুর, খাল, ঝরনা বা নদীর পানির ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। আর এসব পানি অস্বাস্থ্যকর।
অক্সফামের কর্মী প্রবীণ মান সিং বলেন, আবহাওয়ার পরিবর্তন দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। জীবনযাপন করতে তাদের এখনই যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে। আর জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তাদের বেঁচে থাকার এই সংগ্রাম আরও কঠিন হয়ে পড়বে।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট এসব সংকট নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্বেগ জানিয়েছে। নেপালের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত ভাট্টেগাওয়ের নাইনা শাহি (৩৫) বলেন, ‘আমাদের কৃষির ফলন কমে গেছে। আমাদের জীবন ধারণের জন্য এখন আমরা আর কৃষির ওপর নির্ভরশীল থাকতে পারছি না।’ গ্রামের বাসিন্দাদের একমাত্র পানির উত্সটির ধারা শুকিয়ে এসেছে। গ্রামবাসী পানির সংকটের বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলার জন্য নেপালকে সহায়তা করতে বিশ্বের ধনী দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে অক্সফাম।
No comments