পঞ্চায়েতের অর্ধেক আসন থাকবে নারীদের জন্য
গ্রামীণ নারীর ক্ষমতায়নের পথে এক নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে ভারতে। সারা দেশে পঞ্চায়েতের অর্ধেক আসন নারীদের জন্য সংরক্ষণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার। গতকাল বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সংক্রান্ত একটি নতুন বিল অনুমোদন করা হয়।
ভারতে প্রায় দুই লাখ ৫২ হাজার পঞ্চায়েতে প্রায় ৩০ লাখ আসন রয়েছে। এ সিদ্ধান্তের ফলে নারীদের জন্য প্রায় ১৪ লাখ পঞ্চায়েত আসন সংরক্ষণ করা হবে। আসন সংরক্ষণের এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে। ভারতের জাতীয় মহিলা কমিশন ও লোকসভার নারী সাংসদেরা সরকারের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন।
ভারতের মন্ত্রিসভা গত বৃহস্পতিবার সংবিধান সংশোধনের লক্ষ্যে একটি বিল অনুমোদন করে। এ বিলে পঞ্চায়েতের এক-তৃতীয়াংশ থেকে ধাপে ধাপে শতকরা ৫০ ভাগ আসন নারীদের জন্য সংরক্ষণ করার বিধান রাখা হয়েছে। কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী আম্বিকা সোনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে সব সরাসরি নির্বাচনে এ আইন বলবত্ থাকবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এ আইন পাস হলে ভারতে রাজনীতি থেকে শুরু করে প্রশাসনের সব ক্ষেত্রে নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত হবে। পঞ্চায়েতে আরও বেশিসংখ্যক নারী নির্বাচিত হয়ে এলে তাঁরা যেকোনো রাজ্যে জনগণের কল্যাণে আরও বেশি অবদান রাখতে পারবেন বলে মনে করা হচ্ছে।’
তবে সরকারের এ সিদ্ধান্তে এখনই উচ্ছ্বসিত হতে পারছেন না অনেকে। কারণ ১৯৯৬ সালে ভারতের লোকসভা ও রাজ্যসভায় শতকরা ৩৩ ভাগ আসন সরাসরি নির্বাচনের জন্য সংরক্ষণের আইন পাস হলেও এখন পর্যন্ত তা পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি। সরকার এরই মধ্যে আইনটি দ্রুত বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে। গত মে মাসে আইনটি পুনর্মূল্যায়নের জন্য আবার রাজ্যসভায় উপস্থাপন করা হয়।
এদিকে ভারতের বিভিন্ন নারী সংগঠন এ আইন পাসের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে। জাতীয় মহিলা কমিশনের সভানেত্রী গিরিজা ব্যাস বলেন, ‘সরকার নারীর ক্ষমতায়নের এ উদ্যোগ নেওয়ায় আমরা অত্যন্ত খুশি হয়েছি। এর মধ্য দিয়ে বিভিন্ন উন্নয়ন ইস্যুতে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত হবে।’ প্রথমবারের মতো নির্বাচিত কংগ্রেস সাংসদ মীনাক্ষি নটরাজন বলেন, ‘কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক রাহুল গান্ধী কংগ্রেস সংসদীয় দলে নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন, আজকের আমি তারই ফসল।’
ভারতের জাতীয় নারী কমিশনের চেয়ারপারসন গিরিজা ব্যাসের মতে, ‘নারীরা বাড়ি থেকে শুরু করে সর্বত্র, এমনকি লোকসভায়ও বৈষম্যের শিকার হন। যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণে তাঁদের সমান অংশগ্রহণ জরুরি।’
নারীর ক্ষমতায়নের প্রশ্নে কংগ্রেস সরকারের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টি। বিজেপির সাংসদ দর্শনা বিক্রম জারদোশ বলেন, ‘এ উদ্যোগ আরও আগে নেওয়া উচিত ছিল। ১৯৯৬ সালে প্রস্তাবিত লোকসভা ও রাজ্যসভায় নারীদের জন্য শতকরা ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষণের প্রস্তাব দ্রুত বাস্তবায়ন করা উচিত। কেন্দ্র তাদের প্রথম ১০০ দিনের কর্মসূচিতে এ প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত করেছে। আমরা তা বাস্তবায়নের অপেক্ষায় আছি।’
তবে নারীর ক্ষমতায়নের এই চমত্কার উদ্যোগের বাইরে থাকছে পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য নাগাল্যান্ড, মেঘালয়, মিজোরাম ও আসামের উপজাতি-অধ্যুষিত পঞ্চায়েতগুলো। এ ছাড়া উত্তর-পূর্বের ত্রিপুরা এবং মণিপুরের পার্বত্যাঞ্চলের পঞ্চায়েতগুলোও এর বাইরে থাকছে।
ভারতে প্রায় দুই লাখ ৫২ হাজার পঞ্চায়েতে প্রায় ৩০ লাখ আসন রয়েছে। এ সিদ্ধান্তের ফলে নারীদের জন্য প্রায় ১৪ লাখ পঞ্চায়েত আসন সংরক্ষণ করা হবে। আসন সংরক্ষণের এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে। ভারতের জাতীয় মহিলা কমিশন ও লোকসভার নারী সাংসদেরা সরকারের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন।
ভারতের মন্ত্রিসভা গত বৃহস্পতিবার সংবিধান সংশোধনের লক্ষ্যে একটি বিল অনুমোদন করে। এ বিলে পঞ্চায়েতের এক-তৃতীয়াংশ থেকে ধাপে ধাপে শতকরা ৫০ ভাগ আসন নারীদের জন্য সংরক্ষণ করার বিধান রাখা হয়েছে। কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী আম্বিকা সোনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে সব সরাসরি নির্বাচনে এ আইন বলবত্ থাকবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এ আইন পাস হলে ভারতে রাজনীতি থেকে শুরু করে প্রশাসনের সব ক্ষেত্রে নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত হবে। পঞ্চায়েতে আরও বেশিসংখ্যক নারী নির্বাচিত হয়ে এলে তাঁরা যেকোনো রাজ্যে জনগণের কল্যাণে আরও বেশি অবদান রাখতে পারবেন বলে মনে করা হচ্ছে।’
তবে সরকারের এ সিদ্ধান্তে এখনই উচ্ছ্বসিত হতে পারছেন না অনেকে। কারণ ১৯৯৬ সালে ভারতের লোকসভা ও রাজ্যসভায় শতকরা ৩৩ ভাগ আসন সরাসরি নির্বাচনের জন্য সংরক্ষণের আইন পাস হলেও এখন পর্যন্ত তা পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি। সরকার এরই মধ্যে আইনটি দ্রুত বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে। গত মে মাসে আইনটি পুনর্মূল্যায়নের জন্য আবার রাজ্যসভায় উপস্থাপন করা হয়।
এদিকে ভারতের বিভিন্ন নারী সংগঠন এ আইন পাসের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে। জাতীয় মহিলা কমিশনের সভানেত্রী গিরিজা ব্যাস বলেন, ‘সরকার নারীর ক্ষমতায়নের এ উদ্যোগ নেওয়ায় আমরা অত্যন্ত খুশি হয়েছি। এর মধ্য দিয়ে বিভিন্ন উন্নয়ন ইস্যুতে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত হবে।’ প্রথমবারের মতো নির্বাচিত কংগ্রেস সাংসদ মীনাক্ষি নটরাজন বলেন, ‘কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক রাহুল গান্ধী কংগ্রেস সংসদীয় দলে নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন, আজকের আমি তারই ফসল।’
ভারতের জাতীয় নারী কমিশনের চেয়ারপারসন গিরিজা ব্যাসের মতে, ‘নারীরা বাড়ি থেকে শুরু করে সর্বত্র, এমনকি লোকসভায়ও বৈষম্যের শিকার হন। যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণে তাঁদের সমান অংশগ্রহণ জরুরি।’
নারীর ক্ষমতায়নের প্রশ্নে কংগ্রেস সরকারের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টি। বিজেপির সাংসদ দর্শনা বিক্রম জারদোশ বলেন, ‘এ উদ্যোগ আরও আগে নেওয়া উচিত ছিল। ১৯৯৬ সালে প্রস্তাবিত লোকসভা ও রাজ্যসভায় নারীদের জন্য শতকরা ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষণের প্রস্তাব দ্রুত বাস্তবায়ন করা উচিত। কেন্দ্র তাদের প্রথম ১০০ দিনের কর্মসূচিতে এ প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত করেছে। আমরা তা বাস্তবায়নের অপেক্ষায় আছি।’
তবে নারীর ক্ষমতায়নের এই চমত্কার উদ্যোগের বাইরে থাকছে পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য নাগাল্যান্ড, মেঘালয়, মিজোরাম ও আসামের উপজাতি-অধ্যুষিত পঞ্চায়েতগুলো। এ ছাড়া উত্তর-পূর্বের ত্রিপুরা এবং মণিপুরের পার্বত্যাঞ্চলের পঞ্চায়েতগুলোও এর বাইরে থাকছে।
No comments