পুলিশ সংস্কারে কিছু প্রস্তাবনা by শহীদুল্লাহ ফরায়জী

বিগত সরকারের সময় পুলিশ দলীয় স্বার্থে বড় ধরনের অপরাধ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাহিনীপ্রধান বাহারুল আলম। পুলিশের মহাপরিদর্শক(আইজিপি) বলেছেন, ‘বর্তমানে পুলিশ মনভাঙা অবস্থায় আছে। ভয়-আতঙ্কে তাদের মন ভেঙে গেছে। গণ-অভ্যুত্থানে সিনিয়র পুলিশ সদস্যরা জুনিয়রদের হুকুম দিয়ে তাদেরকে অনিরাপদ রেখে পালিয়ে গেছে।’

পুলিশ ফোর্সকে জাগিয়ে তোলা এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ মন্তব্য করে তিনি আরো বলেন, ‘বিগত সময়ে পুলিশ দলীয় স্বার্থ উদ্ধারে বড় ধরনের অপরাধ করেছে, এ জন্য আমরা লজ্জিত।
এই ধরনের সাহসী ও নৈতিক স্বীকারোক্তি পুলিশ ব্যবস্থা সংস্কারের ন্যায়সংগত ভিত্তি হতে পারে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, রাষ্ট্রের কোনো সংস্থা জনগণের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে বা রাষ্ট্রের আইন-কানুনের ঊর্ধ্বে অবস্থান গ্রহণ করতে পারে কি না! কী করে পুলিশবাহিনীর মতো ঐতিহ্যবাহী একটি প্রতিষ্ঠানের ন্যায়নীতি বা কর্তব্যবোধ বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিলো, তা গভীরভাবে অনুসন্ধান করা জরুরি। যারা জনগণের সার্বভৌমত্বকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছিলো এবং রাষ্ট্রকে ধ্বংসের কিনারে নিয়ে গিয়েছিলো, আওয়ামী লীগের অবৈধ ও অগণতান্ত্রিক শাসনকে যারা চিরস্থায়ী করতে চেয়েছিলো, আইনের অনুমোদনবিহীন শক্তি প্রয়োগ করে যারা হত্যার উৎসবে মেতেছিলো, তাদের দায় কীভাবে নির্ধারিত হবে তাও আমাদেরকে সুস্পষ্ট করতে হবে। বাহিনীর পক্ষে আইজিপি সাহেবের ক্ষমাপ্রার্থনা বা লজ্জিত হওয়াই সমগ্র পুলিশবাহিনীর অপরাধের স্খলন বা নৈতিক অবস্থান কিংবা চরিত্রের পরিবর্তন নিশ্চিত করে কি না তাও আমাদেরকে গভীর পর্যালোচনা করতে হবে। জনগণের ন্যায়সঙ্গত অধিকার অপহরণ করে ক্ষমা প্রার্থনা কোনো প্রতিকারের প্রতিফলন নয়। একজন মানুষ যখন অব্যাহত হত্যার কাজে যুক্ত থাকে তখন সে সংবেদনহীন হয়ে যায়,অভ্যাসগত পাপের বিরুদ্ধে সে আর প্রতিবাদ করে না। দীর্ঘকালীন পাপ বিবেকের নির্দেশকে অস্বীকার করে, কারণ তার বিবেক তখন নিকৃষ্টতর হয়ে পড়ে।
বাহিনী প্রধানের ব্যক্তিগত নৈতিকজগত বা নৈতিক উৎকর্ষতা প্রশংসনীয়, কিন্তু তা সমস্ত পুলিশবাহিনীর নৈতিকতার প্রতিনিধিত্ব করে কি না তাও আমাদের তলিয়ে দেখতে হবে।

বিগত অবৈধ সরকারের আমলে বিভিন্ন আন্দোলন ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে পুলিশের ভূমিকা জনমনে প্রচণ্ড রোষের সৃষ্টি করেছে। ভয়াবহ, অমানবিক ও পরিমাণহীন রক্তপাতের দায় নিয়ে পুলিশ এখন নৈতিকভাবে ধ্বংসপ্রাপ্ত। মানুষহত্যা, দুর্ব্যবহার, নির্যাতন, ক্ষমতা, ক্রোধান্নিত আচরণ এবং রক্তাক্ত গণ-অভ্যুত্থানের পর পুলিশ গণ-শত্রুতে পরিণত হয়েছে।
একদিকে ঔপনিবেশিক আইন-কানুন-প্রথা এবং অন্যদিকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহৃত হওয়া— এই দু'টি প্রধান কারণে পুলিশ-প্রশাসন গণমুখী চরিত্র লাভ করতে পারেনি। ফলে পেশাদারিত্বের বাইরে গিয়ে মারমুখী আচরণ এবং বল প্রয়োগে অস্বাভাবিক হিংস্র কর্মকাণ্ড পুলিশের মর্যাদাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। আন্দোলন দমনের নামে নির্বিচারে মানুষ হত্যার পুলিশি কর্মকাণ্ড দেশবাসীকে স্তব্ধ করে দিয়েছে। বিশেষ করে পুলিশের নির্বিচারে আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার, হত্যার নির্মম দৃশ্য এবং দুষ্কৃতিকারীদের সশস্ত্র আক্রমণে সক্রিয় সমর্থন দেয়া, সরকারবিরোধী মত-পথের লোকদের গুম ও ক্রসফায়ারের মতো ন্যাক্কারজনক কাজে জড়িত থাকায় পুলিশের ওপর জনগণ চরম ক্ষুব্ধ। বিরোধীদলের বৃহৎ সমাবেশকে বেআইনিভাবে কঠোর হস্তে দমন করে ক্রমাগত লাশের সংখ্যা বৃদ্ধি করার ব্যাডপুলিশিং— জনগণ থেকে পুলিশকে একেবারে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। আইন ও বিধিতে নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও সরকারের অভিপ্রায় পূরণে লাঠিয়াল হওয়ার কারণে পুলিশের প্রতি জনগণের ক্ষোভ ক্রমাগত পুঞ্জিভূত হয়। পুলিশি হেফাজতে নির্মম নির্যাতন, অমর্যাদাকর নিষ্ঠুর আচরণ— পুলিশকে দানব করে তোলে। জীবন্ত-লাশ পোড়ানো, এপিসি থেকে গুলিবিদ্ধ আহত ছাত্রকে রাস্তায় ছুঁড়ে ফেলার মতো লোমহর্ষক ঘটনা জাতির মননকে মারাত্মকভাবে আহত করে। কিন্তু রাষ্ট্রের প্রয়োজনে ও সামাজিক নিরাপত্তায় পুলিশ-প্রশাসন খুবই অত্যাবশ্যকীয়। জনবান্ধব পুলিশ-প্রশাসন গড়ে তোলা এখন অনিবার্য হয়ে পড়েছে।
পুলিশ সংস্কারের বিভিন্ন প্রস্তাবনার উল্লেখযোগ্য দিক হচ্ছে:—
ক. পুলিশবাহিনীর কাঠামো পরিচালন পদ্ধতি, স্বাধীনতা এবং পেশাদারিত্ব
১. জনবান্ধব পুলিশবাহিনী গঠন
জনবান্ধব করার লক্ষ্যে পুলিশকে দ্রুততম সময়ে স্বতন্ত্র, বৈষম্যহীন, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপমুক্ত এবং শতভাগ পেশাদারিত্ব ও জবাবদিহিমূলক ইউনিফর্মধারী বেসামারিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
২  শৃঙ্খলাবাহিনীর সংজ্ঞার আওতামুক্ত করা
পুলিশ একটি ইউনিফর্মধারী বেসামরিক সংস্থা, যা জনগণের কাছে একটি সহানুভূতিশীল ও সেবামূলকবাহিনী হিসেবে পরিচিত হওয়া উচিত। সংবিধানের ১৫২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী শৃঙ্খলাবাহিনীর সংজ্ঞা থেকে পুলিশকে অব্যাহতি দেয়া আবশ্যক, যাতে এটি সামরিক বাহিনীর কঠোর শৃঙ্খলার পরিবর্তে সাধারণ সরকারি কর্মচারীদের জন্য প্রযোজ্য শৃঙ্খলা-বিধি অনুসরণ করতে পারে এবং প্রকৃত বেসামরিক সংগঠন হিসেবে জনগণের কাছাকাছি থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে।  
৩. বেসামরিক পরিচালন ও শৃঙ্খলার প্রতিষ্ঠা
পুলিশ যেহেতু একটি বেসামরিক সংস্থা, সেহেতু তার পরিচালন-বিধিবিধান ও অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা বেসামারিক হওয়া ন্যায়সংগত।
৪. পুলিশের কাজের যৌক্তিক পরিধি নির্ধারণ
পুলিশকে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ এবং তদন্ত কাজে মনোনিবেশ করার সুযোগ দিতে— ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের কাছে হস্তান্তর করা যেতে পারে।
৫. স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠন এবং পুলিশের বিরাজনীতিকরণ
পুলিশের নীতি-নির্ধারণ, পদায়ন, নিয়োগ ও পদোন্নতি এবং পুলিশের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ অনুসন্ধান-প্রতিকারের বিষয়টি পুলিশ সদর দপ্তর বা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে না রেখে একটি স্বাধীন পুলিশ কমিশনের উপর ন্যস্ত করতে হবে (১১১)। এতে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ দূর হবে।
৬. পুলিশ অভিযোগ কর্তৃপক্ষ গঠন
পুলিশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ, তদন্ত ও ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষমতাসম্পন্ন একটি স্বতন্ত্র পুলিশ অভিযোগ কর্তৃপক্ষ গঠন করতে হবে।
খ. নিয়োগ, প্রশিক্ষণ, পদোন্নতি
১. বৈষম্যহীন নিয়োগ ও পদোন্নতি ব্যবস্থা
নিয়োগ, পদোন্নতি, প্রশিক্ষণ ও শান্তি মিশনে গমনসহ সকল ধরনের বৈষম্য দূর করতে হবে।
২. উচ্চতর শিক্ষা ও নৈতিক প্রশিক্ষণের সুযোগ বৃদ্ধি
পুলিশ সদস্যদের উচ্চতর শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি করতে হবে। বাধ্যতামূলকভাবে নৈতিকতা ও মানবিক আচরণ বিষয়ক ধারাবাহিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
৩. আধুনিক ও স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়া
নিয়োগ হতে হবে আধুনিক ও অধিকতর স্বচ্ছ পদ্ধতিতে। দুই স্তরে নিয়োগ হবে— কনস্টেবল এবং এসপি পর্যায়ে। কনস্টেবলদের জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা হবে এইচএসসি। মামলা তদন্তের জন্য বিভাগীয় প্রশিক্ষণ এবং স্নাতক ডিগ্রি বাধ্যতামূলক করতে হবে।
৪. মানবাধিকার ও মব-সাইকোলজির প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা
পুলিশ প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে ‘মানবাধিকার’ এবং ‘শক্তি প্রয়োগ’ বিষয়ে জোরালো প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। উচ্ছৃঙ্খল জনতা নিয়ন্ত্রণের উপর প্রশিক্ষণ দিতে হবে। এছাড়া মব-সাইকোলজি বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করতে হবে।
৫. নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি
পুলিশ বাহিনীতে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করে তাদের জন্য বিশেষ সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।
গ. পুলিশ বাহিনীর পুনর্গঠন এবং রাজনৈতিক প্রভাব দূরীকরণ
১. র্যা ব বিলুপ্তি এবং বিশেষ ইউনিট গঠন
র্যা বকে মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। অস্ত্রশস্ত্র সজ্জিত কালো কাপড় বেঁধে যুদ্ধংদেহি মনোভাবে চলাফেরায় ত্রাসের সৃষ্টি করে। জনগণ ইউনিফর্মধারী পুলিশ চায়, কিন্তু অস্ত্রসজ্জিত সৈনিক চায় না। র্যা ব বিলুপ্ত করা জরুরি। তবে সন্ত্রাস বা বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী মোকাবেলায় বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ইউনিট রাখা যেতে পারে।
২. বেআইনি আদেশ প্রতিরোধ এবং রাষ্ট্রীয় সম্মান নিশ্চিতকরণ
অধস্তনদের বেআইনি বা অবৈধ কিংবা জনস্বার্থবিরোধী আদেশ পালনে বাধ্য করা যাবে না। কর্তব্যরত অবস্থায় আহত বা নিহত হলে রাষ্ট্রীয় সম্মান ও স্বীকৃতি দিতে হবে।
৩. ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণ এবং পুলিশ সুপারের হাতে ফেরত
জেলা পুলিশের অনেক আর্থিক সম্পর্কিত ক্ষমতা সদর দপ্তরে কেন্দ্রীভূত করা হয়েছে, কিন্তু সুশাসনের স্বার্থে বিকেন্দ্রীকরণ করে পুলিশ সুপারের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে।
৪. থানার সংস্কার এবং সেবামুখী সংস্কৃতি তৈরি
থানায় সাধারণ সেবা পেতে জনগণের হয়রানির অভিযোগ রোধ করতে থানা সংস্কারের মাধ্যমে সেবামুখী সংস্কৃতি সৃষ্টি করতে হবে। নিয়মিত নজরদারি, অবৈধ লেনদেন বন্ধ করা এবং সেবা প্রত্যাশীদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
ঘ. পুলিশ জবাবদিহিতা এবং জনসম্পৃক্ততা
১. নাগরিক কমিটি গঠন ও জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধি
থানা, তদন্তকেন্দ্র, পুলিশফাঁড়ি ও পুলিশক্যাম্পের নিত্যকার অপরাধদমন কাজে জনসম্পৃক্ততা বাড়ানো এবং পুলিশকে অপরাধের স্থানীয় গতি-প্রকৃতি সম্পর্কে অবহিত করে পরামর্শদানের জন্য এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে নাগরিক কমিটি গঠন করা যেতে পারে।
২. গ্রেপ্তারের জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ
ক্ষমতার অপব্যবহার রোধ, দায়ীদের শাস্তি ও ক্ষেত্রবিশেষে পুরস্কার প্রদানের নিমিত্তে পুলিশের প্রতিটি গ্রেপ্তারের বিষয়ে বিশদ তথ্য সম্বলিত একটি গ্রেপ্তারের ফর্ম তৈরি করতে হবে। এর মাধ্যমে প্রতিটি গ্রেপ্তারের জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে।
৩. কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থা সম্প্রসারণ
সমাজের সাথে পুলিশের সম্পর্ক আরো দৃঢ় করার জন্য কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা ও সম্প্রসারণর নিশ্চিত করতে হবে।
ঙ. আইনগত এবং প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার
১. জনবান্ধব পুলিশের জন্য যুগোপযোগী আইন প্রণয়ন
পুলিশ অ্যাক্ট ১৮৬১ সনের আইন পরিবর্তন করে স্বাধীন দেশের যুগোপযোগী জনবান্ধব পুলিশ-প্রশাসন গড়ে তোলার জন্য নতুন আইন প্রতিস্থাপন করতে হবে।
২. ‘বাংলাদেশ পুলিশ অধ্যাদেশ ২০০৭’ কার্যকর করা
পুলিশের রিফর্ম প্রজেক্ট যা, ‘বাংলাদেশ পুলিশ অধ্যাদেশ ২০০৭’— নামে প্রণয়ন করা হয়, তা প্রয়োজনীয় সংযোজন, বিয়োজন ও যুগের চাহিদা পূরণ উপযোগী করে অবিলম্বে কার্যকর করতে হবে।

৩. পুলিশ কমিশন গঠনের আইনি কাঠামো নির্ধারণ
আইন দ্বারা পুলিশ কমিশন গঠন প্রক্রিয়া সুনির্দিষ্ট করা।
এইচ জি ওয়েলস্ এর একটি বিখ্যাত গল্প আছে,নাম তার “অন্ধের দেশ”(The Country of the Blind), তাতে এক অন্ধ জনগোষ্ঠীকে একজন স্বাভাবিক দৃষ্টিসম্পন্ন -মানুষ বোঝানোর চেষ্টা করেন যে, তার এমন এক ইন্দ্রিয়ানুভূতি আছে,যা থেকে তারা বঞ্চিত, এই কথা অন্ধ জনগোষ্ঠীকে বোঝাতে তিনি ব্যর্থ হন এবং পরিশেষে তাকে তার বিভ্রম থেকে আরোগ্য করার জন্য তার চক্ষু উৎপাটনের সিদ্ধান্ত হয়। নৈতিক স্বজ্ঞার অধিকারীদের বেলায়ও  এমন হতে পারে, যেখানে অধিকাংশ মানুষ নৈতিকভাবে অন্ধ, সেখানে নৈতিক দৃষ্টির অধিকারীর ভাগ্য কী হয় তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

লেখক: গীতিকবি
faraizees@gmail.com

mzamin

No comments

Powered by Blogger.