মধ্যরাতে সচিবালয়ে ভয়াবহ আগুন: দুর্ঘটনা না নাশকতা?

আগুনে পুড়লো প্রশাসনের কেন্দ্র সচিবালয়ের একটি ভবন। বুধবার মধ্যরাতে রহস্যজনক আগুনে ৭ নম্বর ভবনের চারটি তলা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব তলায় অন্তত চারটি মন্ত্রণালয়ের দপ্তর আগুনে ভস্মীভূত হয়েছে। ছাই  হয়ে গেছে নথিপত্র-কম্পিউটার ও আসবাবপত্র। বড়দিনের ছুটির পর মধ্য রাতের এই অগ্নিকাণ্ড নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। অনেকে ধারণা করছেন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি নাশকতা হতে পারে। তবে ঠিক কীভাবে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত তা পরিষ্কার হয়নি। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের কেউ কেউ এই ঘটনা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। ঘটনা তদন্তে একাধিক উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী তিনদিনের মধ্যে প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বুধবার দিবাগত রাত ১টা ৫২ মিনিটে আগুন লাগার তথ্য পায় ফায়ার সার্ভিস। তাদের ১৯টি ইউনিটের দীর্ঘ চেষ্টায় বৃহস্পতিবার সকালে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন নেভানোর সময় সচিবালয়ের পাশের রাস্তায় ট্রাকচাপায় ফায়ার ফাইটার সোহানুর জামান নয়নের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন আরও দুইজন ফায়ার ফাইটার। আগুনের ঘটনা গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করতে সরকারের প্রতি পরামর্শ দিয়েছে বিএনপি, জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। আগুনের ধরন দেখে নাশকতার বিষয়কে গুরুত্ব দিচ্ছেন অনেকে। বলা হচ্ছে- কোনো পক্ষ নথিপত্র ধ্বংস করে দেয়ার জন্য এই চেষ্টা চালাতে পারে। আগুন লাগার পর প্রথমে ভবনটির দুই পাশের ভিন্ন তলায় আগুন জ্বলতে দেখা যায়। অনেকে বলছেন, বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে আগুন ধরলে সেটা একস্থান থেকে হতে পারে। কিন্তু ভবনের দুই পাশের ভিন্ন তলায় আগুন সন্দেহ তৈরি করেছে। কয়েকদিন ধরে প্রশাসন ও অন্যান্য ক্যাডারের কর্মকর্তাদের মধ্যে পাল্টাপাল্টির মধ্যে সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা ঘটলো। বড়দিনের ছুটিতে বুধবার প্রশাসন ক্যাডারের বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তারা সভা করে প্রশাসন সংস্কার কমিটির প্রধানের পদত্যাগ দাবি করেন। গতকাল অন্যান্য ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তারাও সারা দেশে মানববন্ধন করেছেন। সচিবালয়ে আগুনের পর ক্যাডার কর্মকর্তাদের এই পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি নিয়েও নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ। আগুনের ঘটনায় ঘাপটি মেরে থাকা কোনো পক্ষের দোসররা জড়িত থাকতে পারে এমনটিও সন্দেহ করছেন অনেকে।

এ ঘটনাকে ‘ষড়যন্ত্র’ হিসেবে দেখছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। তার ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে লেখেন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের বিগত সময়ে হওয়া অর্থলোপাট, দুর্নীতি নিয়ে আমরা কাজ করছিলাম। কয়েক হাজার কোটি টাকা লুটপাটের প্রমাণও পাওয়া গিয়েছিল। আগুনে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এখনো জানা যায়নি। আমাদেরকে ব্যর্থ করার এই ষড়যন্ত্রে যে বা যারাই জড়িত থাকবে তাদের বিন্দু পরিমাণ ছাড় দেয়া হবে না।

আগুন পরিকল্পিতভাবে লাগানো হয়েছে বলে মনে করেন সচিবালয়ের কাছে থাকা এক প্রত্যক্ষদর্শী। তিনি মানবজমিনকে বলেন, সুনিশ্চিতভাবে ধরে নিতে পারেন এটা সুপরিকল্পিত। সচিবালয়ের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন এক প্রত্যক্ষদর্শী। উষ্মা প্রকাশ করে তিনি মানবজমিনকে বলেন, সচিবালয়ের ভেতরে একশ’ থেকে দেড়শ’ সিকিউরিটি গার্ড থাকেন। আগুন লাগার পর কি একজনেরও চোখে পড়েনি। এটা কীভাবে সম্ভব। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর সকাল ৯টার দিকে সচিবালয়ে উপস্থিত হন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। সেখানে এক ব্রিফিংয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ভেতরে আমরা দেখবো। পুরো সার্চ করে কোনো কিছু পাওয়া যায় কি-না দেখা হবে। নাশকতা কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তদন্ত হওয়ার পর বিষয়টি জানা যাবে।

অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল বলেন, বুধবার দিবাগত রাত ১টা ৫২ মিনিটে আমাদের কাছে খবর আসে সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে আগুন লাগে। ১টা ৫৪ মিনিটের মধ্যে আমাদের ইউনিট পৌঁছে যায়। একে একে ২০টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। তবে ফায়ার সার্ভিসের গাড়িগুলো সচিবালয়ের গেটের মধ্যে ঢোকাতে অনেক বেগ পেতে হয়। পরে সচিবালয়ের গেট ভেঙে দু’টি বড় গাড়ি ভেতরে ঢোকানো হয়। ২১১ জন ফায়ার সার্ভিস কর্মীর সমন্বিত প্রচেষ্টায় ৬ ঘণ্টা পর সকাল ৮টা ৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে আগুন পুরোপুরি নেভে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে। তিনি বলেন, আগুনটা মূলত লেগেছে ৭ নম্বর ভবনের ৬ষ্ঠ তলায়। আগুন নিচের দিকে না এসে উপরের দিকে উঠে যায়। তাই ভবনের নিচের অংশে তেমন ক্ষতি না হলেও উপরের ৬, ৭, ৮ ও ৯ এই চারটি ফ্লোর পুড়ে গেছে।  ষষ্ঠ ও সপ্তমতলা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ লাইন দিয়ে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছিল। তাই দুর্ঘটনা এড়াতে সাময়িকভাবে বিদ্যুৎ বন্ধ রাখা হয়েছে।

সরেজমিন দেখা যায়, আগুনে পুড়ে গেছে সচিবালয়ের ৯তলাবিশিষ্ট সাত নম্বর ভবনের ৬ থেকে ৯তলা পর্যন্ত চারটি ফ্লোর। ভবনের ছয়তলায় রয়েছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, সাত তলায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় (একাংশ), আট তলায় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়  (একাংশ) এবং অর্থ মন্ত্রণালয় (একাংশ) ছিল। এছাড়া নবম তলায় রয়েছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের একাংশ। আগুন লেগে পুড়ে যাওয়া ভবনটিতে থাকা সকল দপ্তরের কাজ আপাতত সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। দপ্তরগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের অফিসে প্রবেশের জন্য সকাল থেকে এসে অপেক্ষা করলেও সচিবালয়ের মূল গেট দিয়ে কাউকেই ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। ৫ নম্বর গেট দিয়ে সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভেতরে প্রবেশ করতে পারেন। তবে ৪ নম্বর ভবন ছাড়া অন্য কোনো ভবনে বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় কার্যত সকল কাজ বন্ধ রয়েছে প্রশাসনিক এই সদর দপ্তরের। তাই  যারা ভেতরে প্রবেশ করেছেন তারাও কিছুক্ষণ পর বাইরে বের হয়ে আসেন। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভেতরে ঢোকার সুযোগ পেলেও কোনো কক্ষেই প্রবেশ করা যাচ্ছে না। পুরো সচিবালয় বিদ্যুৎহীন। কিছু স্থানে জেনারেটর চললেও অধিকাংশ স্থানে অন্ধকার পরিবেশ।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের এক কর্মচারী বলেন, আমাদের মন্ত্রণালয়ের একাংশ পুড়ে  গেছে। পুরো ভবন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে আছে। আমরা অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে বেরিয়ে এসেছি। ছয় নম্বর ভবনে থাকা নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের কর্মী আফসানা আক্তার বলেন, অন্য ভবনে আগুন লাগলেও আমাদের ভবনে বিদ্যুৎ না থাকায় ঢুকতে পারছি না। সেজন্য বেরিয়ে এসেছি। পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব রাজীব আহমেদ বলেন, ভেতরে প্রবেশ করলেও বিদ্যুৎ না থাকায় তাদের দপ্তরের সকল কাজ বন্ধ রয়েছে। সচিবালয়ের মধ্যে অন্ধকার পরিবেশ।

একটি কুকুরের মরদেহ উদ্ধার: সচিবালয়ে ভয়াবহ আগুনে পুড়ে যাওয়া ভবন পরিদর্শন করেছে পুলিশের ফরেনসিক বিভাগ। পুড়ে যাওয়া সাত নম্বর ভবনের অষ্টম তলা থেকে আগুনে পুড়ে যাওয়া একটি কুকুরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণের পর বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সচিবালয়ে প্রবেশ করে পুলিশের ফরেনসিক বিভাগের দল।

তদন্ত কমিটি: সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। বৃহস্পতিবার এই কমিটি গঠন করা হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রশাসন ও শৃঙ্খলা শাখার এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (জেলা ও মাঠ প্রশাসন) মোহাম্মদ খালেদ রহীমকে আহ্বায়ক করে এ কমিটি গঠন করা হয়। আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে কমিটি। কমিটির কার্যপরিধি সম্পর্কে ওই অফিস আদেশে বলা হয়েছে, অগ্নিকাণ্ডের উৎস ও কারণ উদ্‌ঘাটন, অগ্নিদুর্ঘটনার পেছনে কারও ব্যক্তিগত বা পেশাগত দায়দায়িত্ব আছে কি না, তা উদ্‌ঘাটন এবং এ জাতীয় দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সুপারিশ করা। কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন- জননিরাপত্তা বিভাগের প্রতিনিধি (যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার নিচে নয়), দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি (যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার নিচে নয়), স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রতিনিধি (যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার নিচে নয়), ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রতিনিধি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের প্রতিনিধি এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি (যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার নিচে নয়)। কমিটিকে সংঘটিত অগ্নিকাণ্ডের উৎস ও কারণ উদ্‌ঘাটন, অগ্নি দুর্ঘটনার পেছনে কারও ব্যক্তিগত বা পেশাগত দায়-দায়িত্ব আছে কি না তা উদ্‌ঘাটন করতে বলা হয়েছে। এছাড়া এ জাতীয় দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সুপারিশও দেবে তদন্ত কমিটি। কমিটি প্রয়োজনে এক বা একাধিক সদস্য অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে। এছাড়া সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে দু’টি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে দু’টি কমিটিকেই প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। এ ঘটনায় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে দু’টি কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেন। উপদেষ্টার নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত দু’টি অফিস আদেশ জারি করা হয়। মন্ত্রণালয়ের নথিপত্র ও গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ড-সমূহের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ ও তালিকা প্রস্তুত করা এবং ভবিষ্যতে যেকোনো দুর্ঘটনার ফলে উদ্ভূত ক্ষয়ক্ষতি রোধকল্পে করণীয় বিষয়ে সুপারিশ প্রদানের জন্য প্রশাসন অধিশাখার যুগ্মসচিব মোর্শেদা আক্তারকে আহ্বায়ক করে ৫ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে সদস্য হিসেবে আছেন- শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন, সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, সহকারী সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান এবং সদস্য সচিব হিসেবে আছেন সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ মাসুম।

এছাড়াও মন্ত্রণালয়ের সম্পদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণের জন্য প্রশাসন অধিশাখার যুগ্মসচিব মো. আবদুছ সামাদ আল আজাদকে আহ্বায়ক করে অন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। গঠিত এ কমিটিতে সদস্য হিসেবে আছেন উপ-সচিব মোহাম্মদ সাইদুর রহমান, সিস্টেম এনালিস্ট সুকান্ত বসাক, সহকারী মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার এএসএম মেহরাব হোসেন। সদস্যসচিব হিসেবে আছেন, উপ-সচিব মো. কামাল হোসেন। এই দু’টি কমিটিকে আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

mzamin


No comments

Powered by Blogger.