হর্ষল কুমার ক্ষীরসাগর। পেশায় একজন কম্পিউটার অপারেটর। মাসিক বেতন মাত্র ১৩ হাজার রুপি। অথচ তিনি বান্ধবীকে উপহার দিয়েছেন ২১ কোটি রুপি। সেই অর্থ ব্যবহার করে কেনা হয়েছে বিলাসবহুল গাড়ী ও একটি ফ্লাট। ওই ফ্লাটে আছে ৪টি বেডরুম, একটি হলরুম এবং একটি কিচেন। এ জন্য সংক্ষেপে এ জাতীয় ফ্লাটকে ৪বিএইচকে নামে অভিহিত করা হয়। এ খবর দিয়েছে অনলাইন এনডিটিভি। এতে বলা হয়, রাষ্ট্র পরিচালিত একটি স্পোর্টস কমপ্লেক্সে কম্পিউটার অপারেটরের দায়িত্ব পালন করেন হর্ষল কুমার ক্ষরসাগর। ছত্রাপতি সভাজিনগরে একটি স্পোর্টস কমপ্লেক্সের একটি বিভাগে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। তাকে সমর্থন দেয়ার কারণে সহকর্মী যশোদা শেঠী এবং তার স্বামী বিকে জীবনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তদন্তে প্রকাশ পেয়েছে কিভাবে ২৩ বছর বয়সী এই যুবক অর্থ সরিয়েছেন। বলা হয়েছে, স্পোর্টস কমপ্লেক্সের পুরনো লেটারহেড ব্যবহার করে ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। স্পোর্টস কমপ্লেক্সের অ্যাকাউন্টের সঙ্গে সম্পর্ক আছে এমন ইমেইলের মাধ্যমে অর্থ পরিশোধের অনুরোধ করেন। ওই স্পোর্টস কমপ্লেক্সের অ্যাকাউন্টের মতো একই রকম একাউন্ট ব্যবহার করে নতুন ইমেইল খোলেন তিনি। তাতে শুধু একটি বর্ণ পরিবর্তন করেছেন। ওই ইমেইল ব্যবহার করে হর্ষল ওটিপি সুবিধা পেতেন। একই সঙ্গে অন্যান্য লেনদেনের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতেন। বিভাগীয় স্পোর্টস কমপ্লেক্স কমিটির ব্যাংক একাউন্টে ইন্টারনেট ব্যাংকিং সচল করেন হর্ষল।
এ বছর ১লা জুলাই থেকে ৭ই ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি ১৩টি ব্যাংক একাউন্ট থেকে ২১.৬ কোটি রুপি সরিয়েছেন বলে অভিযোগ আছে। পুলিশ বলেছে, এই অর্থ থেকে ১.২ কোটি রুপি ব্যয় করে কেনা হয়েছে একটি বিএমডব্লিউ, ১.৩ কোটি রুপি দিয়ে কেনা হয়েছে একটি এসইউভি, ৩২ লাখ রুপি দিয়ে কেনা হয়েছে একটি বিএমডব্লিউ বাইক। ছত্রাপতি বিমানবন্দরের কাছে একটি বিলাসী ৪বিএইটকে ফ্লাট কিনে তা উপহার দিয়েছেন গার্লফ্রেন্ডকে। এখানেই শেষ নয়। তদন্তে দেখা গেছে, তিনি বান্ধবীর জন্য ডায়মন্ড খচিত চশমারও অর্ডার দিয়েছেন।
পুলিশের সন্দেহ এতে আরও মানুষ জড়িত থাকতে পারে। ব্যাংক একাউন্ট ব্যবহার করে যেসব স্থানে অর্থ স্থানান্তর করা হয়েছে কর্তৃপক্ষ এখন সেগুলোর অনুসন্ধান করছে। হর্ষলকে গ্রেপ্তারে তল্লাশি অভিযানে বিলাসবহুল গাড়ি জব্দ করেছে পুলিশ। তারা বলেছে, স্পোর্টস ডিপার্টমেন্টের এক কর্মকর্তা সম্প্রতি লক্ষ্য করেন তাদের আর্থিক অনিয়ম আছে। এ নিয়ে তিনি অভিযোগ দাখিল করেন। সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা প্রশান্ত কদম বলেছেন, এফআইআরে এ পর্যন্ত তিনজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তার মধ্যে দু;জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একজন পলাতক।
No comments