স্নায়ু যুদ্ধে চোরাগোপ্তা অভিযানে গোয়েন্দা-কবুতর ব্যবহার করতো সিআইএ
মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সেন্ট্রাল
ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি (সিআইএ) রাশিয়ার বিরুদ্ধে স্নায়ু যুদ্ধে পরিচালিত
গোয়েন্দা-কবুতর মিশনের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেছে। প্রকাশিত তথ্যে দেখা
যায়, সোভিয়েত ইউনিয়নের অভ্যন্তরে স্পর্শকাতর স্থাপনার ছবি তুলতে কীভাবে
প্রশিক্ষিত কবুতরকে কাজে লাগানো হয়েছে। এছাড়া জানালায় ধারে আড়িপাতা যন্ত্র
ফেলতে কাক ও ডুবোপথের চোরাগোপ্তা অভিযানে প্রশিক্ষিত ডলফিনকে কাজে লাগানোর
তথ্যও সামনে এসেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এখবর জানিয়েছে।
সিআইএ মনে করে, গোয়েন্দা সংস্থার চোরাগোপ্তা অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে পারে এসব প্রাণি। সিআইএ’র অবমুক্ত করা নথি অনুসারে, ১৯৭০-এর দশকে টাকানা কোডনামের অভিযানে ছোট ক্যামেরা লাগিয়ে কবুতরকে ছবি তুলতে পাঠানো হয়েছিল। কবুতরকে এই কাজে লাগানোর পেছনে যুক্তি ছিল, যে কোনও জায়গা পাঠানো যায় এবং কয়েকশ মাইল পাড়ি দিয়ে পুনরায় ফিরে আসতে পারে।
যোগাযোগের জন্য কবুতর কয়েক হাজার বছর ধরেই ব্যহৃত হচ্ছে। তবে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহে কাজে লাগানো হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা এমআই ১৪ (ডি) গোপন কবুতর সার্ভিস চালু করেছিল। প্যারাসুটের মাধ্যমে দখলকৃত ইউরোপে পাখি পাঠানো হতো। সহস্রাধিক কবুতর জার্মানির ভি১ রকেট উৎক্ষেপণ স্থাপনা ও রাডার স্টেশনের তথ্য নিয়ে ফিরেছিল।
সিআইএ’র অপারেশন টাকানাতে বিভিন্ন প্রাণি ব্যবহার করা হয়েছে। অবমুক্ত হওয়া নথি অনুসারে, প্রবেশ করা সম্ভব নয় এমন ভবনে ৪০ গ্রাম ওজনের বস্তু জানালায় রাখার জন্য কাককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো। অতিথি পাখিকেও সোভিয়ে ইউনিয়নে রাসায়নিক অস্ত্র শনাক্তের কাজে লাগানোর বিষয়ে পরিকল্পনা করেছিল সিআইএ।
আগে অবমুক্ত হওয়া নথিতে জানা গিয়েছিল, অকাস্টিক কিটি নামের অভিযানে বিড়ালের শরীরে আড়িপাতার যন্ত্র পাঠানো হয়েছিল।
ষাটের দশকে সিআইএ বন্দরে অনুপ্রবেশের জন্য ডলফিনকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছিল।
সিআইএ মনে করে, গোয়েন্দা সংস্থার চোরাগোপ্তা অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে পারে এসব প্রাণি। সিআইএ’র অবমুক্ত করা নথি অনুসারে, ১৯৭০-এর দশকে টাকানা কোডনামের অভিযানে ছোট ক্যামেরা লাগিয়ে কবুতরকে ছবি তুলতে পাঠানো হয়েছিল। কবুতরকে এই কাজে লাগানোর পেছনে যুক্তি ছিল, যে কোনও জায়গা পাঠানো যায় এবং কয়েকশ মাইল পাড়ি দিয়ে পুনরায় ফিরে আসতে পারে।
যোগাযোগের জন্য কবুতর কয়েক হাজার বছর ধরেই ব্যহৃত হচ্ছে। তবে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহে কাজে লাগানো হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা এমআই ১৪ (ডি) গোপন কবুতর সার্ভিস চালু করেছিল। প্যারাসুটের মাধ্যমে দখলকৃত ইউরোপে পাখি পাঠানো হতো। সহস্রাধিক কবুতর জার্মানির ভি১ রকেট উৎক্ষেপণ স্থাপনা ও রাডার স্টেশনের তথ্য নিয়ে ফিরেছিল।
সিআইএ’র অপারেশন টাকানাতে বিভিন্ন প্রাণি ব্যবহার করা হয়েছে। অবমুক্ত হওয়া নথি অনুসারে, প্রবেশ করা সম্ভব নয় এমন ভবনে ৪০ গ্রাম ওজনের বস্তু জানালায় রাখার জন্য কাককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো। অতিথি পাখিকেও সোভিয়ে ইউনিয়নে রাসায়নিক অস্ত্র শনাক্তের কাজে লাগানোর বিষয়ে পরিকল্পনা করেছিল সিআইএ।
আগে অবমুক্ত হওয়া নথিতে জানা গিয়েছিল, অকাস্টিক কিটি নামের অভিযানে বিড়ালের শরীরে আড়িপাতার যন্ত্র পাঠানো হয়েছিল।
ষাটের দশকে সিআইএ বন্দরে অনুপ্রবেশের জন্য ডলফিনকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছিল।
No comments