ঘরহারা মানুষের শহরে রূপান্তরিত হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলস
যুক্তরাষ্ট্রের
ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলস কাউন্টিতে (মেট্রো পলিট্রন
অঞ্চল) ঘরহারা মানুষের সংখ্যা ৫৯ হাজারে পৌঁছেছে। এদের মধ্যে ৩৬ হাজারেরও
বেশি মানুষ থাকেন শহরে। মঙ্গলবার প্রকাশিত লস এঞ্জেলেস কাউন্টির বার্ষিক
প্রতিবেদনের তথ্যের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান বলছে,
বিগত এক বছরে বাস্তুহারাদের সংখ্যা প্রায় ১৬ শতাংশ বেড়েছে। আয় বৈষম্য,
আবাসন সংকট, অনিয়ন্ত্রিত ভাড়া ও এই খাতে কেন্দ্রীয় সরকারের বরাদ্দের
অভাবকেই এর কারণ মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রতিবছর জানুয়ারিতে হাজার হাজার স্বেচ্ছাসেবক মিলে কাউন্টির বার্ষিক প্রতিবেদন তৈরি করে থাকে। রাস্তায়, তাবুতে কিংবা গাড়িতে বসবাস করা মানুষদের তালিকা করে থাকে তারা। সেই প্রতিবেদনে দেখা যায়, ৫৩ শতাংশ মানুষ এবারই প্রথমবারের মতো বাস্তুহারা হয়েছেন। মূলত তাদের অর্থনৈতিক দুর্দশাই এজন্য দায়ী। প্রাপ্ত বয়স্কদের এক চতুর্থাংশ ঘর হারিয়েছেন ২০১৮ সালে। এছাড়া বাস্তুহারাদের বেশিরভাগই যুক্তরাষ্ট্রে ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বসবাস করছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এক বছরে বাস্তুহারা পরিবার বেড়েছে ৮ হাজার ৮০০টি। এর মধ্যে ১৬০০ এরও বেশি পরিবার একদমই অরক্ষিত অবস্থায় আছে। তরুণদের মাঝে ঘরহারাদের সংখ্যা বেড়েছে ২৪ শতাংশ যা প্রায় ৪ হাজারের কাছাকাছি। এর অর্ধেকের বেশিই একেবারে অরক্ষিত অবস্থায় আছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান বলছে, এই পরিসংখ্যান ক্যালিফোর্নিয়ার আবাসন সংকট ও আয় বৈষম্যের প্রকটতাকেই সামনে এনেছে।
পরিসংখ্যানে উঠে আসা চিত্রকে হৃদয়বিদারক আখ্যা দিয়ে লস এঞ্জেলেসের মেয়র এরিক গারসেটি বলছেন, ‘এই চিত্র আমাদেরকে কঠিন সত্যের মুখোমুখি দাঁড়াতে বাধ্য করে। আবাসন প্রকল্পে কেন্দ্রীয় বিনিয়োগের অভাব এবং বাসা ভাড়া বেড়ে যাওয়াই এমন পরিস্থিতির কারণ। এই পরিস্থিতিতে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তারা। তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে ঘর ছেড়ে দিচ্ছেন। ’
ইউনিয়ন রেসকিউ মিশনের প্রধান নির্বাহী রেভ অ্যান্ডি বেলস বলেন, 'আমি অনেকদিন ধরেই এটা নিয়ে চিৎকার করে আসছি। হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। যতদিন তারা মাথার ওপর ছাদ না পাবে ততদিন পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে থাকবে।'
কৃষ্ণাঙ্গ মার্কিনিরাই আবাসন সংকটের প্রধান বলি। অন্য যেকোনও গোষ্ঠীর চেয়ে তাদের মধ্যে ঘরহারার হার চারগুণ বেশি। কৃষ্ণাঙ্গরা সামগ্রিক যুক্তরাষ্ট্রের ৮ শতাংশ হলেও বাস্তুহারা গোষ্ঠীর ৩৩ শতাংশই ওই জনগোষ্ঠীর মানুষ। লস অ্যাঞ্জেলস হোমলেস সার্ভিসন অথরিটি জানিয়েছে, সেখানে এক বেডরুমের ফ্ল্যাটের ভাড়া বহন করতে হলে সপ্তাহে ৭৯ কর্মঘণ্টা ব্যয় করতে হয়। স্বল্প আয়ের মানুষের চাহিদা মেটাতে সেখানে ৫ লাখ নতুন বাড়ির প্রয়োজন। সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক পিটার লিন জানিয়েছেন, তার নিজের কর্মীদের অনেকেই লস অ্যাঞ্জেলসে থাকার মতো ব্যয় বহন করতে পারে না। তিনি দাবি করেন, সরকার চাইলে হাজার হাজার মানুষকে এই পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার করতে পারে।
এর আগে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিলো লস অ্যাঞ্জেলসের ডেভলপাররা সেখানে বিলাসবহুল বাড়ি তৈরি করছেন যেগুলোর দাম লাখ লাখ ডলার। সেখানকার টেনান্টস ইউনিয়ন এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা জেন রোজেনথাল বলেন, ‘এই শহরের ব্যয়ের কারণেই দিন দিন মানুষ পথে বসছে। এখানে বিলাসবহুল বাড়ি বেশি তৈরি হয়, ভাড়ার ওপর কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। যদি একবার কাউকে উচ্চ ভাড়ার কারণে পথে বসতে হয় তবে তার আর কোনও উপায় থাকে না। তাই যদি আপনি মাথার ওপর ছাদ চান,তবে এই শহর ছাড়তে হবে।’
প্রতিবছর জানুয়ারিতে হাজার হাজার স্বেচ্ছাসেবক মিলে কাউন্টির বার্ষিক প্রতিবেদন তৈরি করে থাকে। রাস্তায়, তাবুতে কিংবা গাড়িতে বসবাস করা মানুষদের তালিকা করে থাকে তারা। সেই প্রতিবেদনে দেখা যায়, ৫৩ শতাংশ মানুষ এবারই প্রথমবারের মতো বাস্তুহারা হয়েছেন। মূলত তাদের অর্থনৈতিক দুর্দশাই এজন্য দায়ী। প্রাপ্ত বয়স্কদের এক চতুর্থাংশ ঘর হারিয়েছেন ২০১৮ সালে। এছাড়া বাস্তুহারাদের বেশিরভাগই যুক্তরাষ্ট্রে ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বসবাস করছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এক বছরে বাস্তুহারা পরিবার বেড়েছে ৮ হাজার ৮০০টি। এর মধ্যে ১৬০০ এরও বেশি পরিবার একদমই অরক্ষিত অবস্থায় আছে। তরুণদের মাঝে ঘরহারাদের সংখ্যা বেড়েছে ২৪ শতাংশ যা প্রায় ৪ হাজারের কাছাকাছি। এর অর্ধেকের বেশিই একেবারে অরক্ষিত অবস্থায় আছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান বলছে, এই পরিসংখ্যান ক্যালিফোর্নিয়ার আবাসন সংকট ও আয় বৈষম্যের প্রকটতাকেই সামনে এনেছে।
পরিসংখ্যানে উঠে আসা চিত্রকে হৃদয়বিদারক আখ্যা দিয়ে লস এঞ্জেলেসের মেয়র এরিক গারসেটি বলছেন, ‘এই চিত্র আমাদেরকে কঠিন সত্যের মুখোমুখি দাঁড়াতে বাধ্য করে। আবাসন প্রকল্পে কেন্দ্রীয় বিনিয়োগের অভাব এবং বাসা ভাড়া বেড়ে যাওয়াই এমন পরিস্থিতির কারণ। এই পরিস্থিতিতে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তারা। তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে ঘর ছেড়ে দিচ্ছেন। ’
ইউনিয়ন রেসকিউ মিশনের প্রধান নির্বাহী রেভ অ্যান্ডি বেলস বলেন, 'আমি অনেকদিন ধরেই এটা নিয়ে চিৎকার করে আসছি। হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। যতদিন তারা মাথার ওপর ছাদ না পাবে ততদিন পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে থাকবে।'
কৃষ্ণাঙ্গ মার্কিনিরাই আবাসন সংকটের প্রধান বলি। অন্য যেকোনও গোষ্ঠীর চেয়ে তাদের মধ্যে ঘরহারার হার চারগুণ বেশি। কৃষ্ণাঙ্গরা সামগ্রিক যুক্তরাষ্ট্রের ৮ শতাংশ হলেও বাস্তুহারা গোষ্ঠীর ৩৩ শতাংশই ওই জনগোষ্ঠীর মানুষ। লস অ্যাঞ্জেলস হোমলেস সার্ভিসন অথরিটি জানিয়েছে, সেখানে এক বেডরুমের ফ্ল্যাটের ভাড়া বহন করতে হলে সপ্তাহে ৭৯ কর্মঘণ্টা ব্যয় করতে হয়। স্বল্প আয়ের মানুষের চাহিদা মেটাতে সেখানে ৫ লাখ নতুন বাড়ির প্রয়োজন। সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক পিটার লিন জানিয়েছেন, তার নিজের কর্মীদের অনেকেই লস অ্যাঞ্জেলসে থাকার মতো ব্যয় বহন করতে পারে না। তিনি দাবি করেন, সরকার চাইলে হাজার হাজার মানুষকে এই পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার করতে পারে।
এর আগে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিলো লস অ্যাঞ্জেলসের ডেভলপাররা সেখানে বিলাসবহুল বাড়ি তৈরি করছেন যেগুলোর দাম লাখ লাখ ডলার। সেখানকার টেনান্টস ইউনিয়ন এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা জেন রোজেনথাল বলেন, ‘এই শহরের ব্যয়ের কারণেই দিন দিন মানুষ পথে বসছে। এখানে বিলাসবহুল বাড়ি বেশি তৈরি হয়, ভাড়ার ওপর কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। যদি একবার কাউকে উচ্চ ভাড়ার কারণে পথে বসতে হয় তবে তার আর কোনও উপায় থাকে না। তাই যদি আপনি মাথার ওপর ছাদ চান,তবে এই শহর ছাড়তে হবে।’
No comments