কাশ্মির ইস্যুতে ভারতকে ‘স্তম্ভিত’ করলো রাশিয়া
দিল্লিকে
অবাক করে শুক্রবার রাশিয়া কাশ্মির সংকট সমাধানে জাতিসংঘের চার্টার ও
রেজুলেশন অনুসরণের আহ্বান জানিয়েছে। একই সঙ্গে দেশটি আশা প্রকাশ করেছে ভারত
ও পাকিস্তান দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় সংকটটির সমাধান করবে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ডেকান হেরাল্ড জানিয়েছে, শুক্রবার কাশ্মির ইস্যুতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রুদ্ধদ্বার বৈঠকে রাশিয়া জানিয়েছে, তারা আশা করে কাশ্মির নিয়ে বিরোধ সমাধানে ভারত ও পাকিস্তান জাতিসংঘের চার্টার, সংশ্লিষ্ট রেজুলেশন এবং দ্বিপক্ষীয় চুক্তি মেনে চলবে।
রাশিয়ার প্রতিনিধি হিসেবে নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে অংশ নেওয়া রুশ কূটনীতিক দিমিত্রি পলিয়ানস্কি টুইটারে লিখেছেন, রাশিয়া সব সময়েই ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের পক্ষে জোর দিয়ে আসছে।
রুশ কূটনীতিক আরও লিখেছেন, আমরা আশা করি কাশ্মির বিরোধ রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক উপায়ে দ্বিপক্ষীয়ভাবে সমাধান হবে। যার ভিত্তি হবে ১৯৭২ সালের সিমলা চুক্তি ও ১৯৯৯ সালের লাহোর ঘোষণা এবং জাতিসংঘের চার্টার, জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট রেজুলেশন এবং ভারত ও পাকিস্তানের দ্বিপক্ষীয় চুক্তি।
ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসন ও বিশেষ অধিকার বাতিলের পর শুক্রবার চীনের আহ্বানে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ এক অনানুষ্ঠানিক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসে। ১৯৭১ সালের পর কাশ্মির ইস্যুতে এই প্রথমবারের মতো বৈঠক করলো জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকটি আনুষ্ঠানিক না হওয়ায় এর ফলাফলের কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হবে না। বৈঠকে হাজির হয়নি ভারত ও পাকিস্তান। এই বৈঠকে যোগ দিতে পারে শুধু পাঁচ স্থায়ী ও ১০টি অস্থায়ী সদস্য। ৯০ মিনিটের রুদ্ধদ্বার বৈঠকে চীন কাশ্মির পরিস্থিতি উদ্বেগজনক বললেও নিরাপত্তা পরিষদের পক্ষ থেকে কোনও বিবৃতি দিতে সম্মত হয়নি সদস্য রাষ্ট্রগুলো।
ভারতের বিস্মিত হওয়ার কারণ হলো কাশ্মির সংকট সমাধানে জাতিসংঘের চার্টার ও সংশ্লিষ্ট রেজুলেশনের ওপর রাশিয়ার গুরুত্বারোপ করা এবং বিষয়টি নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের সমঝোতা। দীর্ঘদিন ধরেই ভারত জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ বা নিরাপত্তা পরিষদে কাশ্মির বিরোধ উত্থাপনের ক্ষেত্রে সিমলা চুক্তি ও লাহোর ঘোষণাকে হাতিয়ার করে পাকিস্তানকে ঠেকিয়ে আসছে। ভারত সব সময় দাবি করে আসছে, কাশ্মির ইস্যু তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এছাড়া নয়া দিল্লি সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে কাশ্মির ইস্যুতে মধ্যস্থতা করতে মোদির অনুরোধের বিষয় অস্বীকার করেছে। কাশ্মির নিয়ে ভারতের এই অবস্থান তাদের ‘পুরনো বন্ধু’ রাশিয়ার জানা। কিন্তু এরপরও শুক্রবার জাতিসংঘে নিযুক্ত রুশ দূত আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ চার্টার ও রেজুলেশন অনুসারে দ্বিপক্ষীয় সমঝোতার ভিত্তিতে সমাধানের জন্য।
নিরাপত্তা পরিষদের রুদ্ধদ্বার বৈঠকের সিদ্ধান্ত হওয়ার পর তা শুরুর আগে ২৪ ঘণ্টায় ভারত জাতিসংঘের পাঁচ স্থায়ী সদস্য- যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের কাছে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরে। নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী দশ সদস্য রাষ্ট্রের কাছেও যায় নয়া দিল্লি। যাতে করে নিরাপত্তা পরিষদ বিষয়টি আনুষ্ঠানিক আলোচনায় না আনে। কিন্তু পাঁচ স্থায়ী সদস্যের মধ্যে রাশিয়াকে নিয়েই ভারতের কোনও সংশয় ছিল না। ভারতের ধারণা ছিল, তাদের অবস্থানের পক্ষে দৃঢ় সমর্থন জানাবে রাশিয়া। পাকিস্তান যাতে কাশ্মির ইস্যুকে আন্তর্জাতিকীকরণ করতে না পারে সেজন্য ভারতের পক্ষে থাকবে রাশিয়া।
এর আগে রাশিয়া কাশ্মির ইস্যুতে মোদি সরকারের সিদ্ধান্তকে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে স্বীকৃতিও দিয়েছে। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে কাশ্মির ইস্যু নিয়ে পাকিস্তানের তোলা প্রস্তাবে বেশ কয়েকবার ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করেছে। ফলে এই ইস্যুতে কোনও রেজুলেশন পাস হয়নি।
সম্প্রতি পাকিস্তানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেশির সঙ্গে আলোচনায় রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছিলেন, ভারত-পাকিস্তানের বিরোধ সমাধানে দ্বিপক্ষীয় রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক উপায়ের চেয়ে কোনও বিকল্প নেই।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ডেকান হেরাল্ড জানিয়েছে, শুক্রবার কাশ্মির ইস্যুতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রুদ্ধদ্বার বৈঠকে রাশিয়া জানিয়েছে, তারা আশা করে কাশ্মির নিয়ে বিরোধ সমাধানে ভারত ও পাকিস্তান জাতিসংঘের চার্টার, সংশ্লিষ্ট রেজুলেশন এবং দ্বিপক্ষীয় চুক্তি মেনে চলবে।
রাশিয়ার প্রতিনিধি হিসেবে নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে অংশ নেওয়া রুশ কূটনীতিক দিমিত্রি পলিয়ানস্কি টুইটারে লিখেছেন, রাশিয়া সব সময়েই ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের পক্ষে জোর দিয়ে আসছে।
রুশ কূটনীতিক আরও লিখেছেন, আমরা আশা করি কাশ্মির বিরোধ রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক উপায়ে দ্বিপক্ষীয়ভাবে সমাধান হবে। যার ভিত্তি হবে ১৯৭২ সালের সিমলা চুক্তি ও ১৯৯৯ সালের লাহোর ঘোষণা এবং জাতিসংঘের চার্টার, জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট রেজুলেশন এবং ভারত ও পাকিস্তানের দ্বিপক্ষীয় চুক্তি।
ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসন ও বিশেষ অধিকার বাতিলের পর শুক্রবার চীনের আহ্বানে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ এক অনানুষ্ঠানিক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসে। ১৯৭১ সালের পর কাশ্মির ইস্যুতে এই প্রথমবারের মতো বৈঠক করলো জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকটি আনুষ্ঠানিক না হওয়ায় এর ফলাফলের কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হবে না। বৈঠকে হাজির হয়নি ভারত ও পাকিস্তান। এই বৈঠকে যোগ দিতে পারে শুধু পাঁচ স্থায়ী ও ১০টি অস্থায়ী সদস্য। ৯০ মিনিটের রুদ্ধদ্বার বৈঠকে চীন কাশ্মির পরিস্থিতি উদ্বেগজনক বললেও নিরাপত্তা পরিষদের পক্ষ থেকে কোনও বিবৃতি দিতে সম্মত হয়নি সদস্য রাষ্ট্রগুলো।
ভারতের বিস্মিত হওয়ার কারণ হলো কাশ্মির সংকট সমাধানে জাতিসংঘের চার্টার ও সংশ্লিষ্ট রেজুলেশনের ওপর রাশিয়ার গুরুত্বারোপ করা এবং বিষয়টি নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের সমঝোতা। দীর্ঘদিন ধরেই ভারত জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ বা নিরাপত্তা পরিষদে কাশ্মির বিরোধ উত্থাপনের ক্ষেত্রে সিমলা চুক্তি ও লাহোর ঘোষণাকে হাতিয়ার করে পাকিস্তানকে ঠেকিয়ে আসছে। ভারত সব সময় দাবি করে আসছে, কাশ্মির ইস্যু তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এছাড়া নয়া দিল্লি সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে কাশ্মির ইস্যুতে মধ্যস্থতা করতে মোদির অনুরোধের বিষয় অস্বীকার করেছে। কাশ্মির নিয়ে ভারতের এই অবস্থান তাদের ‘পুরনো বন্ধু’ রাশিয়ার জানা। কিন্তু এরপরও শুক্রবার জাতিসংঘে নিযুক্ত রুশ দূত আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ চার্টার ও রেজুলেশন অনুসারে দ্বিপক্ষীয় সমঝোতার ভিত্তিতে সমাধানের জন্য।
নিরাপত্তা পরিষদের রুদ্ধদ্বার বৈঠকের সিদ্ধান্ত হওয়ার পর তা শুরুর আগে ২৪ ঘণ্টায় ভারত জাতিসংঘের পাঁচ স্থায়ী সদস্য- যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের কাছে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরে। নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী দশ সদস্য রাষ্ট্রের কাছেও যায় নয়া দিল্লি। যাতে করে নিরাপত্তা পরিষদ বিষয়টি আনুষ্ঠানিক আলোচনায় না আনে। কিন্তু পাঁচ স্থায়ী সদস্যের মধ্যে রাশিয়াকে নিয়েই ভারতের কোনও সংশয় ছিল না। ভারতের ধারণা ছিল, তাদের অবস্থানের পক্ষে দৃঢ় সমর্থন জানাবে রাশিয়া। পাকিস্তান যাতে কাশ্মির ইস্যুকে আন্তর্জাতিকীকরণ করতে না পারে সেজন্য ভারতের পক্ষে থাকবে রাশিয়া।
এর আগে রাশিয়া কাশ্মির ইস্যুতে মোদি সরকারের সিদ্ধান্তকে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে স্বীকৃতিও দিয়েছে। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে কাশ্মির ইস্যু নিয়ে পাকিস্তানের তোলা প্রস্তাবে বেশ কয়েকবার ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করেছে। ফলে এই ইস্যুতে কোনও রেজুলেশন পাস হয়নি।
সম্প্রতি পাকিস্তানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেশির সঙ্গে আলোচনায় রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছিলেন, ভারত-পাকিস্তানের বিরোধ সমাধানে দ্বিপক্ষীয় রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক উপায়ের চেয়ে কোনও বিকল্প নেই।
No comments