চামড়ায় ক্ষতি হাজার কোটি টাকা
এবার
কোরবানির ঈদে ন্যায্য দাম না পেয়ে লক্ষাধিক পিস পশুর চামড়া ধ্বংস করা
হয়েছে। যার বেশির ভাগ মাটি চাপা দেয়া হয়। কিছু ভাসিয়ে দেয়া হয় নদীতে।
চামড়ার মূল্য না থাকায় স্মরণকালের ভয়াবহ বিপর্যয়ের কবলে পড়ে দেশের চামড়া
বাজার। দামে ধ্বস নামায় প্রায় হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন
খাত সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি দরিদ্র জনগোষ্ঠী এই টাকা থেকে বঞ্চিত
হয়েছেন। ব্যবসায়ীদের মতে, দেশে বছরে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার চামড়া লেনদেন
হয়। এবার কোরবানির পশুর চামড়া নিয়ে রীতিমতো অরাজক অবস্থা তৈরি হওয়ায় গরুর
৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ এবং ছাগলের ৮০ শতাংশ চামড়া নষ্ট হয়েছে।
বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) তথ্য অনুযায়ী, বছরে গড়ে ২২ কোটি বর্গফুট চামড়া পাওয়া যায়। এর মধ্যে ৬৪.৮৩ শতাংশ গরুর চামড়া, ৩১.৮২ শতাংশ ছাগলের, ২.২৫ শতাংশ মহিষের এবং ১.২ শতাংশ ভেড়ার চামড়া। বিটিএ হিসাব অনুযায়ী, প্রায় অর্ধেকের মতো চামড়া নষ্ট হয়েছে বা সংরক্ষণ করা যাবে না। তাছাড়া যে চামড়া কেনাবেচা হয়েছে তাও নির্ধারিত দরের অনেক কম। সেই হিসাবে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকার মতো চমড়ার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কাঁচা চামড়ার খুচরা ব্যবসায়ী, আড়তদার ও ট্যানারির মালিকদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়, গত বছরের অবিক্রিত চামড়া মজুত রয়েছে প্রায় ৬০ লাখ পিস। এ বছর যুক্ত হয় আরো ১ কোটি ১৮ লাখ পিস পশুর চামড়া। সব মিলে কোরবানির মৌসুমে সারা দেশে চামড়ার মজুদ দাঁড়াবে ১ কোটি ৭৮ লাখ পিস।
কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন বলেন, দেশে চমড়ার বাজার প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা। এবার কোরবানির পশুর চামড়ার মধ্যে ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ গরুর চামড়া নষ্ট হয়েছে বা ফেলে দেয়া হয়েছে। খাসির চামড়া ৮০ শতাংশ ট্যানারিতে আসবে না। সে হিসেবে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ৭০০ থেকে সাড়ে ৮০০ কোটি টাকা। এর সঙ্গে অন্যান্য ব্যয় যুক্ত করলে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা হবে বলে জানান তিনি।
বাজার বিশ্লেষকরা জানান, অব্যবস্থাপনার কারণে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এর নেতিবাচক প্রভাব পুরো চামড়া খাতে পড়বে। রপ্তানির দ্বিতীয় এই খাত ভাবমূর্তি হারাবে। দেশের সম্পদ নষ্ট হওয়ায় বড় অঙ্কের আর্থিক ক্ষতি হবে। কম আয়ের মানুষ বঞ্চিত হয়েছে। তাদের মতে, চমড়াকে বাণিজ্যিক পণ্য হিসেবে দেখতে হবে। এর মূল্য অর্থনৈতিক বিবেচনায় হওয়া উচিত।
রাজধানীর সরজমিনে দেখা গেছে, দেশের অনেক এলাকায় ক্রেতা খুঁজে না পাওয়ায় সরকার-নির্ধারিত দর তো দূরের কথা, চামড়া বিক্রিই করা যায়নি। দাম না পেয়ে প্রতিবাদস্বরূপ অনেকে চামড়া ফেলে দিয়েছেন, মাটিতে পুঁতে ফেলেছেন। কোথাও কোথায় পুড়িয়ে ফেলা হয়। আবার কোথায় নদীতে ভাসিয়ে দেয়া হয়েছে। দর না থাকায় চামড়া সঠিকভাবে সংগ্রহে জোর দেননি ব্যবসায়ীরা। আবার গরম আর বৈরী আবহাওয়ার কারণে চামড়া বৃষ্টিতে ভিজে গেছে। ফলে গত বছরের চেয়ে অনেক বেশি চামড়া এবার নষ্ট হয়েছে। এ কারণে আড়তে নিয়ে এসেও দাম না পেয়ে চামড়া ফেলে দিতে হয়েছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের।
এদিকে চামড়া না কেনার আতঙ্ক ছড়িয়ে দিয়ে কম দামে কেনার সুযোগ নিয়েছেন এবার ট্যানারি মালিক ও আড়তদাররা। তবে তারা কম দামে কিনলেও সব চমড়া সংগ্রহ করে সংরক্ষণে ব্যর্থ হয়েছেন। এ কারণে বড় অঙ্কের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে দরিদ্র মানুষ ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের। চামড়া সংগঠনগুলোর তথ্য অনুযায়ী, ঈদে সোয়া ১ কোটির বেশি পশু জবাই হয়েছে। এই পশুর চামড়া অন্যান্য বারের মতো নির্ধারিত দরে বিক্রি হলে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার বেশি লেনদেন হতো। এই লেনদেনের প্রথম ধাপে মাঠ পর্যায়ের কোরবানিদাতাদের কাছ থেকে ক্ষুদ্র ও মৌসুমি ব্যবসায়ীরা কিনে নেন। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা আবার আড়তদারদের কাছে বিক্রি করেন। আড়তদারদের কাছ থেকে কিনে নেন ট্যানারি মালিকরা। আগামী শনিবার থেকে ট্যানারি মালিকরা কাঁচা চামড়া কেনা শুরুর কথা জানিয়েছেন। কেনার আগে শুরুতেই দাম কমিয়ে বেচাকেনায় কারসাজি করেছেন আড়তদার ও ট্যানারি মালিকরা। চামড়া নিয়ে এবার অরাজকতার কারণে লেনদেনের পরিমাণ অর্ধেকেরও কম হবে।
কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা জানান, এবার ঈদে ৫৫ থেকে ৬০ লাখ গরুর চামড়ার মধ্যে একটা উল্লেখযোগ্য সংখ্যক চামড়া ফেলে দেয়া হয়েছে। আর ২০ শতাংশ অল্প নষ্ট হওয়ায় ২০ থেকে ৮০ টাকায় বেচাকেনা হয়েছে। বাকি চামড়া ১০০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে বেশিরভাগ কেনাবেচা হয়েছে। সূত্র জানায়, সবচেয়ে বড় ক্ষতি হয়েছে ছাগলের চামড়ায়। ঈদে ছাগল ও ভেড়ার ৪০ লাখ চামড়ার মধ্যে সারাদেশে ২ লাখ চামড়া সংগ্রহ করেননি ব্যবসায়ীরা। চামড়া ফেলে দেয়া ও নষ্ট হওয়ায় সরাসরি ২৫০ কোটি টাকার সম্পদ হারাতে হয়েছে। পাশাপাশি দামে ধস নামায় আরো ২৫০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। দরিদ্র জনগোষ্ঠী কমপক্ষে ৫০০ কোটি টাকা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। আর এই কম দামে এবার চামড়া কিনে ৫০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত মুনাফা লুফে নেয়ার সুযোগ তৈরি করেছেন আড়তদার, ব্যবসায়ী ও ট্যানারি মালিকরা।
আড়তদার ব্যবসায়ীদের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের তুলনায় এবার লালবাগের পোস্তার আড়তে প্রায় অর্ধেক চামড়া সংরক্ষণ হয়েছে। সারাদেশে আরো কম চামড়া সংরক্ষণ হয়েছে বলে মনে করছেন আড়তদার ব্যবসায়ীরা। ছাগলের চামড়া কেনেননি বেশিরভাগ আড়তদার। আড়তে ছাগলের চামড়া নিয়ে গিয়ে ফেলে দিয়েছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। দু-চারজন কিনলেও প্রতিটি ছাগলের চামড়া ৫ থেকে ১০ টাকা দিয়েছেন।
পোস্তার আড়তের ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম বলেন, ট্যানারি মালিকরা পাওনা টাকা সব পরিশোধ না করায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ৮টি ট্যানারি মালিকের কাছে তার তিন কোটি টাকা পাওনা রয়েছে। তা থেকে মাত্র ৫ লাখ টাকা এবার ঈদে পাওয়া গেছে। এই টাকায় নির্ধারিত দরে চামড়া কেনা সম্ভব হয়নি। তিনি অন্যান্য বছর পাঁচ থেকে ছয় হাজার চামড়া কিনলেও এবার মাত্র ৩ হাজার চামড়া কিনেছেন। এর মধ্যে ২ হাজার চামড়া বাকিতে কিনেছেন। এছড়া মাঠ পর্যায়ের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের হাতে টাকা না থাকায় চামড়ার দামে বিপর্যয় এসেছে।
বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) তথ্য অনুযায়ী, বছরে গড়ে ২২ কোটি বর্গফুট চামড়া পাওয়া যায়। এর মধ্যে ৬৪.৮৩ শতাংশ গরুর চামড়া, ৩১.৮২ শতাংশ ছাগলের, ২.২৫ শতাংশ মহিষের এবং ১.২ শতাংশ ভেড়ার চামড়া। বিটিএ হিসাব অনুযায়ী, প্রায় অর্ধেকের মতো চামড়া নষ্ট হয়েছে বা সংরক্ষণ করা যাবে না। তাছাড়া যে চামড়া কেনাবেচা হয়েছে তাও নির্ধারিত দরের অনেক কম। সেই হিসাবে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকার মতো চমড়ার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কাঁচা চামড়ার খুচরা ব্যবসায়ী, আড়তদার ও ট্যানারির মালিকদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়, গত বছরের অবিক্রিত চামড়া মজুত রয়েছে প্রায় ৬০ লাখ পিস। এ বছর যুক্ত হয় আরো ১ কোটি ১৮ লাখ পিস পশুর চামড়া। সব মিলে কোরবানির মৌসুমে সারা দেশে চামড়ার মজুদ দাঁড়াবে ১ কোটি ৭৮ লাখ পিস।
কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন বলেন, দেশে চমড়ার বাজার প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা। এবার কোরবানির পশুর চামড়ার মধ্যে ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ গরুর চামড়া নষ্ট হয়েছে বা ফেলে দেয়া হয়েছে। খাসির চামড়া ৮০ শতাংশ ট্যানারিতে আসবে না। সে হিসেবে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ৭০০ থেকে সাড়ে ৮০০ কোটি টাকা। এর সঙ্গে অন্যান্য ব্যয় যুক্ত করলে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা হবে বলে জানান তিনি।
বাজার বিশ্লেষকরা জানান, অব্যবস্থাপনার কারণে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এর নেতিবাচক প্রভাব পুরো চামড়া খাতে পড়বে। রপ্তানির দ্বিতীয় এই খাত ভাবমূর্তি হারাবে। দেশের সম্পদ নষ্ট হওয়ায় বড় অঙ্কের আর্থিক ক্ষতি হবে। কম আয়ের মানুষ বঞ্চিত হয়েছে। তাদের মতে, চমড়াকে বাণিজ্যিক পণ্য হিসেবে দেখতে হবে। এর মূল্য অর্থনৈতিক বিবেচনায় হওয়া উচিত।
রাজধানীর সরজমিনে দেখা গেছে, দেশের অনেক এলাকায় ক্রেতা খুঁজে না পাওয়ায় সরকার-নির্ধারিত দর তো দূরের কথা, চামড়া বিক্রিই করা যায়নি। দাম না পেয়ে প্রতিবাদস্বরূপ অনেকে চামড়া ফেলে দিয়েছেন, মাটিতে পুঁতে ফেলেছেন। কোথাও কোথায় পুড়িয়ে ফেলা হয়। আবার কোথায় নদীতে ভাসিয়ে দেয়া হয়েছে। দর না থাকায় চামড়া সঠিকভাবে সংগ্রহে জোর দেননি ব্যবসায়ীরা। আবার গরম আর বৈরী আবহাওয়ার কারণে চামড়া বৃষ্টিতে ভিজে গেছে। ফলে গত বছরের চেয়ে অনেক বেশি চামড়া এবার নষ্ট হয়েছে। এ কারণে আড়তে নিয়ে এসেও দাম না পেয়ে চামড়া ফেলে দিতে হয়েছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের।
এদিকে চামড়া না কেনার আতঙ্ক ছড়িয়ে দিয়ে কম দামে কেনার সুযোগ নিয়েছেন এবার ট্যানারি মালিক ও আড়তদাররা। তবে তারা কম দামে কিনলেও সব চমড়া সংগ্রহ করে সংরক্ষণে ব্যর্থ হয়েছেন। এ কারণে বড় অঙ্কের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে দরিদ্র মানুষ ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের। চামড়া সংগঠনগুলোর তথ্য অনুযায়ী, ঈদে সোয়া ১ কোটির বেশি পশু জবাই হয়েছে। এই পশুর চামড়া অন্যান্য বারের মতো নির্ধারিত দরে বিক্রি হলে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার বেশি লেনদেন হতো। এই লেনদেনের প্রথম ধাপে মাঠ পর্যায়ের কোরবানিদাতাদের কাছ থেকে ক্ষুদ্র ও মৌসুমি ব্যবসায়ীরা কিনে নেন। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা আবার আড়তদারদের কাছে বিক্রি করেন। আড়তদারদের কাছ থেকে কিনে নেন ট্যানারি মালিকরা। আগামী শনিবার থেকে ট্যানারি মালিকরা কাঁচা চামড়া কেনা শুরুর কথা জানিয়েছেন। কেনার আগে শুরুতেই দাম কমিয়ে বেচাকেনায় কারসাজি করেছেন আড়তদার ও ট্যানারি মালিকরা। চামড়া নিয়ে এবার অরাজকতার কারণে লেনদেনের পরিমাণ অর্ধেকেরও কম হবে।
কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা জানান, এবার ঈদে ৫৫ থেকে ৬০ লাখ গরুর চামড়ার মধ্যে একটা উল্লেখযোগ্য সংখ্যক চামড়া ফেলে দেয়া হয়েছে। আর ২০ শতাংশ অল্প নষ্ট হওয়ায় ২০ থেকে ৮০ টাকায় বেচাকেনা হয়েছে। বাকি চামড়া ১০০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে বেশিরভাগ কেনাবেচা হয়েছে। সূত্র জানায়, সবচেয়ে বড় ক্ষতি হয়েছে ছাগলের চামড়ায়। ঈদে ছাগল ও ভেড়ার ৪০ লাখ চামড়ার মধ্যে সারাদেশে ২ লাখ চামড়া সংগ্রহ করেননি ব্যবসায়ীরা। চামড়া ফেলে দেয়া ও নষ্ট হওয়ায় সরাসরি ২৫০ কোটি টাকার সম্পদ হারাতে হয়েছে। পাশাপাশি দামে ধস নামায় আরো ২৫০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। দরিদ্র জনগোষ্ঠী কমপক্ষে ৫০০ কোটি টাকা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। আর এই কম দামে এবার চামড়া কিনে ৫০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত মুনাফা লুফে নেয়ার সুযোগ তৈরি করেছেন আড়তদার, ব্যবসায়ী ও ট্যানারি মালিকরা।
আড়তদার ব্যবসায়ীদের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের তুলনায় এবার লালবাগের পোস্তার আড়তে প্রায় অর্ধেক চামড়া সংরক্ষণ হয়েছে। সারাদেশে আরো কম চামড়া সংরক্ষণ হয়েছে বলে মনে করছেন আড়তদার ব্যবসায়ীরা। ছাগলের চামড়া কেনেননি বেশিরভাগ আড়তদার। আড়তে ছাগলের চামড়া নিয়ে গিয়ে ফেলে দিয়েছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। দু-চারজন কিনলেও প্রতিটি ছাগলের চামড়া ৫ থেকে ১০ টাকা দিয়েছেন।
পোস্তার আড়তের ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম বলেন, ট্যানারি মালিকরা পাওনা টাকা সব পরিশোধ না করায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ৮টি ট্যানারি মালিকের কাছে তার তিন কোটি টাকা পাওনা রয়েছে। তা থেকে মাত্র ৫ লাখ টাকা এবার ঈদে পাওয়া গেছে। এই টাকায় নির্ধারিত দরে চামড়া কেনা সম্ভব হয়নি। তিনি অন্যান্য বছর পাঁচ থেকে ছয় হাজার চামড়া কিনলেও এবার মাত্র ৩ হাজার চামড়া কিনেছেন। এর মধ্যে ২ হাজার চামড়া বাকিতে কিনেছেন। এছড়া মাঠ পর্যায়ের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের হাতে টাকা না থাকায় চামড়ার দামে বিপর্যয় এসেছে।
No comments