একসঙ্গে ৫৮ জনের জানাজা! by মুফতি এনায়েতুল্লাহ
জানাজার নামাজের জন্য মরদেহ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে |
শুক্রবার
(১৬ আগস্ট) মসজিদে হারামে ফজরের নামাজের পর দুইবারে ৫৮ জনের নামাজে জানাজা
অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে মসজিদে হারামের এত সংখ্যক মানুষের নামাজে
জানাজা একসঙ্গে আদায়ের ঘটনা আর ঘটেনি। ৫৮ জনের মধ্যে নারী-পুরুষ ও শিশুসহ
বেশ কয়েকজন হাজি রয়েছেন।
মসজিদে হারামে প্রতি ওয়াক্ত ফরজ নামাজ শেষে ‘আস সালাতু আলাল আমওয়াতি ইয়ারহামু কুমুল্লাহ', অথবা 'আস সালাতু আলাল আমওয়াতি ওয়াল আতফালি ইয়ারহামু কুমুল্লাহ' বলে জানাজার নামাজের ঘোষণা দেওয়া হয়।
চলতি হজ মৌসুমে ফরজ নামাজের পর একবার জানাজা শেষে দ্বিতীয়বার ঘোষণা দিয়ে আবার জানাজার নামাজ পড়া হচ্ছে। এটা নিয়ে এক ধরণের কৌতূহল কাজ করছে। এ বিষয়ে খোজ নিয়ে জানা গেছে, জানাজার জন্য আসা লাশের সংখ্যা বেশি হওয়ার কারণে দুইবার জানাজা পড়তে হচ্ছে। শুক্রবার ফজরের নামাজের পরও দু'বার ঘোষণা দিয়ে জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
হজযাত্রী এবং মক্কার আশপাশের এলাকার স্থানীয় সৌদি নাগরিক কিংবা কোনা প্রবাসী মারা গেলে তাদের জানাজা মসজিদে হারামে অনুষ্ঠিত হয়। হজযাত্রীরা ফরজ নামাজের পর সঙ্গে সঙ্গে সুন্নত নামাজ শুরু না করে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেন জানাজার জন্য, এটাই রীতি।
হজপালন করতে এসে কোনো হজযাত্রী হোটেল, বাড়ি কিংবা রাস্তায় দুর্ঘটনার শিকার হয়ে অথবা হাসপাতালে মারা গেলে তার মরদেহ দেশে পাঠানো হয় না। তবে লাশ দেশে না পাঠালেও মৃত্যুবরণকারী হাজির মৃত্যুর সনদ যথাসময়ে তাদের পরিবার বা তাদের প্রতিনিধি কিংবা এজেন্সির কাছে হস্তান্তর করা হয়।
মরদেহের গোসল করানো, কাফন পরানো, জানাজা পড়ানো ও দাফন করাসহ যাবতীয় কাজ নির্দিষ্ট বিভাগ করে থাকে। মক্কার রুশাইফায় রয়েছে লাশের গোসল ও কাফন পরানোর ব্যবস্থা। হজপালনকারীদের লাশ বহন করার জন্য সরকারি গাড়ির ব্যবস্থা রয়েছে। মৃত ব্যক্তির ওয়ারিশের এখানে কোনো কিছু করতে হয় না।
মসজিদে হারামে জানাজার জন্য লাশ গাড়িতে করে কাবা শরিফের দক্ষিণে নবী করিম (সা.)-এর জন্মস্থানের পাশে বাবে ইসমাইলের কাছে রাখা হয়। ফরজ নামাজের পর ইমাম সাহেব লাশ রাখার স্থানে এসে জানাজার নামাজ পড়ান।
আরবদের মাঝে লাশ বহরকারী খাটিয়া কাঁধে নেওয়ার আগ্রহ অনেক। এটা তাদের একটি বিশেষ গুণ। এটাকে তারা সৌভাগ্য মনে করে। এজন্য লাশ পরিচিত হওয়া জরুরি নয়।
পবিত্র হাদিসের ভাষ্যমতে, জানাজার নামাজ আদায় করলে উহুদ পর্বত সমান সওয়াব ব্যক্তির আমলনামায় যোগ হয়। জানাজার নামাজ আদায় করা- ‘ফরজে কেফায়া।’ অর্থাৎ সমাজের কিছু মানুষ তা আদায় করলে সবাই দায়িত্ব থেকে মুক্তি লাভ করেন। আর কেউ যদি এই কাজ না করেন, তাহলে সবাই পাপের ভাগীদার।
ভারতীয় উপমহাদেশের সাধারণ মানুষের কাছে ‘জানাজার নামাজ’ বলে যে ইবাদতটি পরিচিত, আরব দেশের জনগণ সেটিকে ‘সালাত আলাল মাইয়্যেত’ বা মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া বলে থাকেন। জানাজার নামাজ মূলতঃ মৃত ব্যক্তির জন্য ক্ষমা প্রার্থনা।
এক হাদিসের মর্মার্থ হলো- জানাজা মুসলমানের অন্যতম হক। এতে অংশ নিলে পরকালের কল্যাণ লাভের সঙ্গে সঙ্গে মুসলমানের অধিকার সংরক্ষণের মতো মহৎ একটি কর্ম সম্পাদিত হয়।
মসজিদে হারামে প্রতি ওয়াক্ত ফরজ নামাজ শেষে ‘আস সালাতু আলাল আমওয়াতি ইয়ারহামু কুমুল্লাহ', অথবা 'আস সালাতু আলাল আমওয়াতি ওয়াল আতফালি ইয়ারহামু কুমুল্লাহ' বলে জানাজার নামাজের ঘোষণা দেওয়া হয়।
চলতি হজ মৌসুমে ফরজ নামাজের পর একবার জানাজা শেষে দ্বিতীয়বার ঘোষণা দিয়ে আবার জানাজার নামাজ পড়া হচ্ছে। এটা নিয়ে এক ধরণের কৌতূহল কাজ করছে। এ বিষয়ে খোজ নিয়ে জানা গেছে, জানাজার জন্য আসা লাশের সংখ্যা বেশি হওয়ার কারণে দুইবার জানাজা পড়তে হচ্ছে। শুক্রবার ফজরের নামাজের পরও দু'বার ঘোষণা দিয়ে জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
হজযাত্রী এবং মক্কার আশপাশের এলাকার স্থানীয় সৌদি নাগরিক কিংবা কোনা প্রবাসী মারা গেলে তাদের জানাজা মসজিদে হারামে অনুষ্ঠিত হয়। হজযাত্রীরা ফরজ নামাজের পর সঙ্গে সঙ্গে সুন্নত নামাজ শুরু না করে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেন জানাজার জন্য, এটাই রীতি।
হজপালন করতে এসে কোনো হজযাত্রী হোটেল, বাড়ি কিংবা রাস্তায় দুর্ঘটনার শিকার হয়ে অথবা হাসপাতালে মারা গেলে তার মরদেহ দেশে পাঠানো হয় না। তবে লাশ দেশে না পাঠালেও মৃত্যুবরণকারী হাজির মৃত্যুর সনদ যথাসময়ে তাদের পরিবার বা তাদের প্রতিনিধি কিংবা এজেন্সির কাছে হস্তান্তর করা হয়।
মরদেহের গোসল করানো, কাফন পরানো, জানাজা পড়ানো ও দাফন করাসহ যাবতীয় কাজ নির্দিষ্ট বিভাগ করে থাকে। মক্কার রুশাইফায় রয়েছে লাশের গোসল ও কাফন পরানোর ব্যবস্থা। হজপালনকারীদের লাশ বহন করার জন্য সরকারি গাড়ির ব্যবস্থা রয়েছে। মৃত ব্যক্তির ওয়ারিশের এখানে কোনো কিছু করতে হয় না।
মসজিদে হারামে জানাজার জন্য লাশ গাড়িতে করে কাবা শরিফের দক্ষিণে নবী করিম (সা.)-এর জন্মস্থানের পাশে বাবে ইসমাইলের কাছে রাখা হয়। ফরজ নামাজের পর ইমাম সাহেব লাশ রাখার স্থানে এসে জানাজার নামাজ পড়ান।
আরবদের মাঝে লাশ বহরকারী খাটিয়া কাঁধে নেওয়ার আগ্রহ অনেক। এটা তাদের একটি বিশেষ গুণ। এটাকে তারা সৌভাগ্য মনে করে। এজন্য লাশ পরিচিত হওয়া জরুরি নয়।
পবিত্র হাদিসের ভাষ্যমতে, জানাজার নামাজ আদায় করলে উহুদ পর্বত সমান সওয়াব ব্যক্তির আমলনামায় যোগ হয়। জানাজার নামাজ আদায় করা- ‘ফরজে কেফায়া।’ অর্থাৎ সমাজের কিছু মানুষ তা আদায় করলে সবাই দায়িত্ব থেকে মুক্তি লাভ করেন। আর কেউ যদি এই কাজ না করেন, তাহলে সবাই পাপের ভাগীদার।
ভারতীয় উপমহাদেশের সাধারণ মানুষের কাছে ‘জানাজার নামাজ’ বলে যে ইবাদতটি পরিচিত, আরব দেশের জনগণ সেটিকে ‘সালাত আলাল মাইয়্যেত’ বা মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া বলে থাকেন। জানাজার নামাজ মূলতঃ মৃত ব্যক্তির জন্য ক্ষমা প্রার্থনা।
এক হাদিসের মর্মার্থ হলো- জানাজা মুসলমানের অন্যতম হক। এতে অংশ নিলে পরকালের কল্যাণ লাভের সঙ্গে সঙ্গে মুসলমানের অধিকার সংরক্ষণের মতো মহৎ একটি কর্ম সম্পাদিত হয়।
No comments