ধ্বংসস্তূপে সব হারানো মানুষের আর্তনাদ
আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে সব |
নগরীর
নিন্মবিত্ত মানুষের আবাস বস্তি। যেখানে সাধ্যের মধ্যে শত-সহস্র স্বপ্নের
মেলবন্ধন ঘটান তারা। ছোট-ছোট ঘরগুলোতেই সুখের নীড় বাঁধেন সমাজের ন্যূনতম
চাওয়া-পাওয়ার মানুষগুলো।
তবে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে সাধ্যের মধ্যে সাজানো-গোছানো আশ্রয়স্থল হারিয়ে যেন বাকরুদ্ধ তারা। সামনের দিনগুলোতে কীভাবে কি করবেন এমন দুশ্চিন্তা ভর করেছে তাদের মনে।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টা ২২ মিনিটের দিকে মিরপুরের চলন্তিকা মোড় সংলগ্ন ঝিলপাড় বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। দীর্ঘ তিন ঘণ্টা ধরে ২৪টি ইউনিটের প্রচেষ্টায় রাত সাড়ে ১০টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিস। তবে রাত দেড়টার দিকে আগুন পুরোপুরি নির্বাপন করা সম্ভব হয়।
আগুনের ভয়াবহ তীব্রতায় ঝিলপাড় বস্তি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। পুড়ে ছাই হয়ে গেছে কাঁচা টিনের ঘরগুলো এবং ঘরের সব সরঞ্জাম। আর এই ধ্বংসস্তূপে সব হারানো মানুষগুলো খুঁজে ফিরছেন অবশিষ্ট সম্বল। পোড়া ছাইয়ের নিচ থেকে নেড়ে-চেড়ে লোহার আসবাবের ফ্রেমগুলো বের করছিলেন তারা।
পেশায় সুইপার আলমগীর নিজের পুড়ে যাওয়া ঘর থেকে অবশিষ্ট আসবাব টেনে তুলছিলেন আর কিছুক্ষণ পরপর চোখ মুছছিলেন। কারো সঙ্গে কথা বলতে গেলেই চিৎকার করে উঠছেন স্বপ্ন পুড়ে যাওয়া মানুষটি।
তিনি জানান, তার ১৩টা ঘর ছিলো বস্তিতে। সেখানে স্ত্রী-পুত্র, ছেলের স্ত্রী, নাতিদের নিয়ে বসবাস করছিলেন। ১৩ সদস্যের পরিবার নিয়ে বসবাস করা আলমগীরের এই বস্তিতে অস্থায়ী ঠিকানা প্রায় ৩০ বছরের। গ্রামের বাড়ি বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জে।
তিনি বলেন, আমরা সবাই বাঁইচা আছি বাবা, তয় না বাঁচার মতো। আগুন লাগার পর সবাই সুস্থভাবে কোনমতে জানডা নিয়া বাইর হইয়া আইছি। লগে কিছু আনতে পারি নাই। আমার সবকিছু শেষ হইয়া গেলো, দেহেন বাবা সব ছাই হইয়া গেছে।
দীর্ঘদিনের আবাস এই বস্তির সংসারে তিলে তিলে খাট, টিভি-ফ্রিজ, আলমারিসহ বিভিন্ন আসবাব জুড়িয়েছিলেন তিনি। যার সবকিছুই প্রায় ছাই হয়ে গেছে।
গত রাত থেকে না খেয়ে থাকা আলমগীর বলেন, আইজও দুপুর হইতে লাগলো এহনো কিছু খাইতে পারি নাই। কিছু কিন্না খাওনের মতো কাছে একটা টাকাও নাই। এহন আমরা কই যামু, কই থাকমু, কেমনে খামু? এসব বলতেই আবার কেঁদে ওঠেন তিনি।
অটোরিকশাচালক তৈয়ব বলেন, উত্তর দিকে যখন আগুন লাগে মানুষ সব দৌড়াদৌড়ি কইরা বাইর হইছে। এর মইধ্যে কোনমতে এক কাপড়ে বউ-ছেলে নিয়া বাইর হইছি। কিছু লগে নিতে পারি নাই।
আকলিমা নামের গার্মেন্টকর্মী ধ্বংসস্তূপ থেকে পুড়ে যাওয়া অবশিষ্ট আসবাব ভ্যানে করে বের করছিলেন। তিনি জানান, ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়ি ভোলা ছিলেন তিনি। বস্তিতে আগুন লাগার খবর পেয়ে রাতেই রওনা দিয়ে আসেন। এসে তার ঘরের আর কিছুই অবশিষ্ট পাননি।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, আগুনে প্রায় ৫০০-৬০০ ঘর পুড়ে গেছে, আর এতে প্রায় তিন হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আগুনের উৎস নিশ্চিত করতে এরইমধ্যে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তবে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে সাধ্যের মধ্যে সাজানো-গোছানো আশ্রয়স্থল হারিয়ে যেন বাকরুদ্ধ তারা। সামনের দিনগুলোতে কীভাবে কি করবেন এমন দুশ্চিন্তা ভর করেছে তাদের মনে।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টা ২২ মিনিটের দিকে মিরপুরের চলন্তিকা মোড় সংলগ্ন ঝিলপাড় বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। দীর্ঘ তিন ঘণ্টা ধরে ২৪টি ইউনিটের প্রচেষ্টায় রাত সাড়ে ১০টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিস। তবে রাত দেড়টার দিকে আগুন পুরোপুরি নির্বাপন করা সম্ভব হয়।
আগুনের ভয়াবহ তীব্রতায় ঝিলপাড় বস্তি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। পুড়ে ছাই হয়ে গেছে কাঁচা টিনের ঘরগুলো এবং ঘরের সব সরঞ্জাম। আর এই ধ্বংসস্তূপে সব হারানো মানুষগুলো খুঁজে ফিরছেন অবশিষ্ট সম্বল। পোড়া ছাইয়ের নিচ থেকে নেড়ে-চেড়ে লোহার আসবাবের ফ্রেমগুলো বের করছিলেন তারা।
পেশায় সুইপার আলমগীর নিজের পুড়ে যাওয়া ঘর থেকে অবশিষ্ট আসবাব টেনে তুলছিলেন আর কিছুক্ষণ পরপর চোখ মুছছিলেন। কারো সঙ্গে কথা বলতে গেলেই চিৎকার করে উঠছেন স্বপ্ন পুড়ে যাওয়া মানুষটি।
তিনি জানান, তার ১৩টা ঘর ছিলো বস্তিতে। সেখানে স্ত্রী-পুত্র, ছেলের স্ত্রী, নাতিদের নিয়ে বসবাস করছিলেন। ১৩ সদস্যের পরিবার নিয়ে বসবাস করা আলমগীরের এই বস্তিতে অস্থায়ী ঠিকানা প্রায় ৩০ বছরের। গ্রামের বাড়ি বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জে।
তিনি বলেন, আমরা সবাই বাঁইচা আছি বাবা, তয় না বাঁচার মতো। আগুন লাগার পর সবাই সুস্থভাবে কোনমতে জানডা নিয়া বাইর হইয়া আইছি। লগে কিছু আনতে পারি নাই। আমার সবকিছু শেষ হইয়া গেলো, দেহেন বাবা সব ছাই হইয়া গেছে।
দীর্ঘদিনের আবাস এই বস্তির সংসারে তিলে তিলে খাট, টিভি-ফ্রিজ, আলমারিসহ বিভিন্ন আসবাব জুড়িয়েছিলেন তিনি। যার সবকিছুই প্রায় ছাই হয়ে গেছে।
গত রাত থেকে না খেয়ে থাকা আলমগীর বলেন, আইজও দুপুর হইতে লাগলো এহনো কিছু খাইতে পারি নাই। কিছু কিন্না খাওনের মতো কাছে একটা টাকাও নাই। এহন আমরা কই যামু, কই থাকমু, কেমনে খামু? এসব বলতেই আবার কেঁদে ওঠেন তিনি।
অটোরিকশাচালক তৈয়ব বলেন, উত্তর দিকে যখন আগুন লাগে মানুষ সব দৌড়াদৌড়ি কইরা বাইর হইছে। এর মইধ্যে কোনমতে এক কাপড়ে বউ-ছেলে নিয়া বাইর হইছি। কিছু লগে নিতে পারি নাই।
আকলিমা নামের গার্মেন্টকর্মী ধ্বংসস্তূপ থেকে পুড়ে যাওয়া অবশিষ্ট আসবাব ভ্যানে করে বের করছিলেন। তিনি জানান, ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়ি ভোলা ছিলেন তিনি। বস্তিতে আগুন লাগার খবর পেয়ে রাতেই রওনা দিয়ে আসেন। এসে তার ঘরের আর কিছুই অবশিষ্ট পাননি।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, আগুনে প্রায় ৫০০-৬০০ ঘর পুড়ে গেছে, আর এতে প্রায় তিন হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আগুনের উৎস নিশ্চিত করতে এরইমধ্যে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
No comments