ডেঙ্গু নিয়ে এ পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি ৫০,০০০ by ফরিদ উদ্দিন আহমেদ
বাংলাদেশের
ইতিহাসে এবছর রাজধানীসহ সারা দেশের সরকারি বেসরকারি হাসপাতালে সর্বোচ্চ
সংখ্যক ৫০ হাজার ডেঙ্গু রোগী ভর্তির রেকর্ড হয়েছে। ইতিমধ্যে সুস্থ হয়ে
বাড়ি ফিরেছেন ৪২ হাজার ২৪৩ জন। অর্থাৎ আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হওয়া রোগীর ৮৪
শতাংশ সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি
অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। স্বাস্থ্য
অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ৪৯ হাজার ৯৯৯
জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বেসরকারি হিসাবে এই সংখ্যা
কয়েকগুণ বেশি। আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়াদের মধ্যে মারা গেছের ৪০
জন। প্রতিদিনই আক্রান্তের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মারা যাচ্ছে ডেঙ্গু রোগী।
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ১২৬ মাঠকর্মী এখন ঢাকায় বিরামহীনভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে তাদের ঢাকায় আনা হয়েছে।
এদিকে রাজধানীসহ সারাদেশে বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে এক হাজার ৭১৯ ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। আগের দিন এই সংখ্যা ছিল এক হাজার ৯২৯ জন। মোট ভর্তি রোগীর মধ্যে রাজধানী ঢাকায় ৭৫৯ জন এবং ঢাকার বাইরে ৯৬০ জন ভর্তি হন। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রাজধানী ঢাকার বাইরেই বেশিসংখ্যক ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। চলতি আগস্ট মাসের ১৬ দিনে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩১ হাজার ৫৩৮ জন। এই সংখ্যা জুলাই মাসে ছিল ১৬ হাজার ২৫৩ জন। জুনে ছিল এক হাজার ৮৮৪ জন, মে মাসে ১৯৩ জন, এপ্রিলে ৫৮ জন, মার্চে ১৭ জন, ফেব্রুয়ারিতে ১৮ জন এবং জানুয়ারিতে ৩৮ জন। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে সারাদেশের হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগী ৭ হাজার ৭১৬ জন, যার মধ্যে ঢাকায় ৪ হাজার ১৫ এবং ঢাকার বাইরে ৩ হাজার ৭০১ জন। গত জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত হাসপাতালগুলো থেকে ৪২ হাজার ২৪৩ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন মোট ৪৯ হাজার ৯৯৯ জন। সরকারি হিসেবে মৃতের পরিসংখ্যানে দেখা যায, আগস্টে ১০ জন, জুলাইতে ২৪ জন, জুনে ৪ জন, এপ্রিলে ২ জন।
অন্যদিকে প্রতিদিনই আক্রান্তের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মারা যাচ্ছে ডেঙ্গু রোগী। গতকালও ঢাকার বাইরে চৌদ্দগ্রামে একজন মারা যাওয়ার খবর পাওযা গেছে। গত এক সপ্তাহে দেশের হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু রোগে ভর্তিকৃত রোগীর সংখ্যা পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, দেশের হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু রোগী ভর্তির সংখ্যা ধীরে ধীরে কমছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত সাতদিনে ভর্তিকৃত ডেঙ্গু রোগীদের মধ্যে ৯ই আগস্ট ২ হাজার ২, ১০ই আগস্ট ২ হাজার ১৭৬, ১১ই আগস্ট ২ হাজার ৩৩৪, ১২ই আগস্ট ২ হাজার ৯৩, ১৩ই আগস্ট এক হাজার ২০০ জন, ১৪ই আগস্ট এক হাজার ৮৮০ জন, ১৫ই আগস্ট এক হাজার ৯২৯ জন এবং গতকাল এক হাজার ৭১৯ জন।
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ১২৬ কর্মী এখন ঢাকায়: ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ার পর থেকেই স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা বিরামহীনভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে ১২৬ জন কর্মীকে ঢাকায় আনা হয়েছে। এসব জনবল রাজধানীর দুই সিটি কপোরেশনে ভাগ হয়ে কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, সিটি কপোরেশন যতক্ষণ পর্যন্ত মনে করবেন তাদের থাকার দরকার ততক্ষণ পর্যন্ত তারা থাকবেন। এসব কর্মী এডিস মশা নিয়ন্তণে যে কমিটি হয়েছে তাতে সহযোগিতা করছেন। এদিকে রোগীর সেবায় বিরামহীনভাবে কাজ করছেন চিকিৎসক,নার্স,কর্মকর্তা-কর্মচারিরা। বিরামহীন চিকিৎসা দিতে গিয়ে ক্লান্ত পরিশ্রান্ত চিকিৎসক-নার্সরা। সরকারি হাসপাতালগুলোতে স্থান না পেয়ে অনেকে বেসরকারি হাসপাতালে ভিড় করছেন। বেশি রোগীর চাপে হিমশিম খাচ্ছেন সেখানকার চিকিৎসক ও নার্সরা। তারপরেও হাসিমুখে রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন তারা।
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ১২৬ মাঠকর্মী এখন ঢাকায় বিরামহীনভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে তাদের ঢাকায় আনা হয়েছে।
এদিকে রাজধানীসহ সারাদেশে বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে এক হাজার ৭১৯ ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। আগের দিন এই সংখ্যা ছিল এক হাজার ৯২৯ জন। মোট ভর্তি রোগীর মধ্যে রাজধানী ঢাকায় ৭৫৯ জন এবং ঢাকার বাইরে ৯৬০ জন ভর্তি হন। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রাজধানী ঢাকার বাইরেই বেশিসংখ্যক ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। চলতি আগস্ট মাসের ১৬ দিনে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩১ হাজার ৫৩৮ জন। এই সংখ্যা জুলাই মাসে ছিল ১৬ হাজার ২৫৩ জন। জুনে ছিল এক হাজার ৮৮৪ জন, মে মাসে ১৯৩ জন, এপ্রিলে ৫৮ জন, মার্চে ১৭ জন, ফেব্রুয়ারিতে ১৮ জন এবং জানুয়ারিতে ৩৮ জন। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে সারাদেশের হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগী ৭ হাজার ৭১৬ জন, যার মধ্যে ঢাকায় ৪ হাজার ১৫ এবং ঢাকার বাইরে ৩ হাজার ৭০১ জন। গত জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত হাসপাতালগুলো থেকে ৪২ হাজার ২৪৩ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন মোট ৪৯ হাজার ৯৯৯ জন। সরকারি হিসেবে মৃতের পরিসংখ্যানে দেখা যায, আগস্টে ১০ জন, জুলাইতে ২৪ জন, জুনে ৪ জন, এপ্রিলে ২ জন।
অন্যদিকে প্রতিদিনই আক্রান্তের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মারা যাচ্ছে ডেঙ্গু রোগী। গতকালও ঢাকার বাইরে চৌদ্দগ্রামে একজন মারা যাওয়ার খবর পাওযা গেছে। গত এক সপ্তাহে দেশের হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু রোগে ভর্তিকৃত রোগীর সংখ্যা পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, দেশের হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু রোগী ভর্তির সংখ্যা ধীরে ধীরে কমছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত সাতদিনে ভর্তিকৃত ডেঙ্গু রোগীদের মধ্যে ৯ই আগস্ট ২ হাজার ২, ১০ই আগস্ট ২ হাজার ১৭৬, ১১ই আগস্ট ২ হাজার ৩৩৪, ১২ই আগস্ট ২ হাজার ৯৩, ১৩ই আগস্ট এক হাজার ২০০ জন, ১৪ই আগস্ট এক হাজার ৮৮০ জন, ১৫ই আগস্ট এক হাজার ৯২৯ জন এবং গতকাল এক হাজার ৭১৯ জন।
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ১২৬ কর্মী এখন ঢাকায়: ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ার পর থেকেই স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা বিরামহীনভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে ১২৬ জন কর্মীকে ঢাকায় আনা হয়েছে। এসব জনবল রাজধানীর দুই সিটি কপোরেশনে ভাগ হয়ে কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, সিটি কপোরেশন যতক্ষণ পর্যন্ত মনে করবেন তাদের থাকার দরকার ততক্ষণ পর্যন্ত তারা থাকবেন। এসব কর্মী এডিস মশা নিয়ন্তণে যে কমিটি হয়েছে তাতে সহযোগিতা করছেন। এদিকে রোগীর সেবায় বিরামহীনভাবে কাজ করছেন চিকিৎসক,নার্স,কর্মকর্তা-কর্মচারিরা। বিরামহীন চিকিৎসা দিতে গিয়ে ক্লান্ত পরিশ্রান্ত চিকিৎসক-নার্সরা। সরকারি হাসপাতালগুলোতে স্থান না পেয়ে অনেকে বেসরকারি হাসপাতালে ভিড় করছেন। বেশি রোগীর চাপে হিমশিম খাচ্ছেন সেখানকার চিকিৎসক ও নার্সরা। তারপরেও হাসিমুখে রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন তারা।
No comments