জম্মু ও কাশ্মীরের সাংবিধানিক মর্যাদা বাতিল ‘অবৈধ ও একতরফা’ -ওআইসি
ইসলামী
দেশগুলোর আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা ওআইসি ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও
কাশ্মীরের সাংবিধানিক মর্যাদা বাতিল করে নেয়া বিজেপি সরকারের সিদ্ধান্তের
বিরোধিতা করে সিদ্ধান্তটিকে ‘অবৈধ ও একতরফা’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। ভারতের
রাজ্যসভায় সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীরের
সাংবিধানিক স্বাধীন মর্যাদা বিলুপ্ত করার পরদিন, গত ৬ আগস্ট সৌদি আরবের
জেদ্দায় অনুষ্ঠিত ওআইসির কাশ্মীর বিষয়ক স্থায়ী প্রতিনিধি দেশগুলোর এক জরুরি
বৈঠকে ভারত সরকারের নেয়া সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়ে সংস্থাটি বলেছে, জম্মু
ও কাশ্মীরের জনগণের আইনসম্মত অধিকারের সুরক্ষা, বিশেষ করে জাতিগত
আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার রক্ষার বিষয়ে ওআইসির পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।
তুরস্ক, সৌদি আরব, আজারবাইজান ও নাইজারের স্থায়ী প্রতিনিধিরা ছাড়াও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত বৈঠকশেষে দেয়া এক বিবৃতিতে ওআইসি জম্মু-কাশ্মীরের সংকটময় পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করার পাশাপাশি সেখানে গুরুতর মানবাধিকার লংঘনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। মানবাধিকার লংঘনের ঘটনা অনুসন্ধানের জন্য স্থায়ী মানবাধিকার কমিশনসহ সকল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাকে জম্মু-কাশ্মীরে প্রবেশ করার অনুমতি দেয়ার জন্যও বিজেপি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ওআইসি।
জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা বাতিল করাসহ ভারতের পার্লামেন্ট রাজ্যসভা ও লোকসভায় গৃহীত বিভিন্ন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ওআইসির এই নিন্দা, প্রতিবাদ ও আহ্বানের প্রতি মুসলিম দেশগুলোর পাশাপাশি বিশ্বের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রকামী সকল দেশও দৃঢ় সমর্থন জানিয়েছে। কারণ প্রথমত, ওআইসি কোনো সাধারণ আঞ্চলিক সংগঠন নয়। এটা ইসলামী দেশগুলোর খুবই প্রভাবশালী আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা। এর প্রতিটি বক্তব্যেই মুসলিম বিশ্বের প্রকৃত মনোভাবের প্রকাশ ঘটে থাকে। সেদিক থেকে স্বীকার করতে হবে, জম্মু-কাশ্মীর প্রশ্নেও ওআইসি কাশ্মীরিদের পাশাপাশি মুসলিম বিশ্বের ইচ্ছা ও আকাংক্ষারই প্রতিধ্বনি করেছে।
দীর্ঘ প্রায় ৭২ বছর পর ৩৭০ ধারা বাতিলের মাধ্যমে ভারত এবার শুধু জম্মু-কাশ্মীরের স্বাধীন মর্যাদাই বাতিল করেনি, রাজ্যটিকে কাশ্মীর এবং লাদাখ নামে দুটি পৃথক রাজ্য বানানোরও উদ্যোগ নিয়েছে। অন্যদিকে ভারতের পার্লামেন্টে নেয়া সিদ্ধান্ত অনুসারে প্রস্তাবিত দুই রাজ্য কাশ্মীর এবং লাদাখ শাসন করা হবে নয়াদিল্লি থেকে। অর্থাৎ রাজ্য দুটির স্বাধীন মর্যাদা তো থাকবেই না, সেখানকার জনগণ এমনকি ভোটাধিকার থেকেও বঞ্চিত হবে। ভারতের অন্য ২৮টি রাজ্যের মতো কাশ্মীর ও লাদাখে কোনো বিধান সভাও রাখতে দেয়া হবে না। পরিকল্পিত এ রাজ্য দুটিতে একযোগে ভারতের অন্য সকল অঞ্চল থেকেও লোকজন এনে তাদের জন্য স্থায়ী বসবাসের সুযোগ সৃষ্টি করা হবে। যার ফলে কাশ্মীর হারাবে তার হাজার বছরের স্বকীয়তা।
তুরস্ক, সৌদি আরব, আজারবাইজান ও নাইজারের স্থায়ী প্রতিনিধিরা ছাড়াও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত বৈঠকশেষে দেয়া এক বিবৃতিতে ওআইসি জম্মু-কাশ্মীরের সংকটময় পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করার পাশাপাশি সেখানে গুরুতর মানবাধিকার লংঘনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। মানবাধিকার লংঘনের ঘটনা অনুসন্ধানের জন্য স্থায়ী মানবাধিকার কমিশনসহ সকল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাকে জম্মু-কাশ্মীরে প্রবেশ করার অনুমতি দেয়ার জন্যও বিজেপি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ওআইসি।
জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা বাতিল করাসহ ভারতের পার্লামেন্ট রাজ্যসভা ও লোকসভায় গৃহীত বিভিন্ন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ওআইসির এই নিন্দা, প্রতিবাদ ও আহ্বানের প্রতি মুসলিম দেশগুলোর পাশাপাশি বিশ্বের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রকামী সকল দেশও দৃঢ় সমর্থন জানিয়েছে। কারণ প্রথমত, ওআইসি কোনো সাধারণ আঞ্চলিক সংগঠন নয়। এটা ইসলামী দেশগুলোর খুবই প্রভাবশালী আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা। এর প্রতিটি বক্তব্যেই মুসলিম বিশ্বের প্রকৃত মনোভাবের প্রকাশ ঘটে থাকে। সেদিক থেকে স্বীকার করতে হবে, জম্মু-কাশ্মীর প্রশ্নেও ওআইসি কাশ্মীরিদের পাশাপাশি মুসলিম বিশ্বের ইচ্ছা ও আকাংক্ষারই প্রতিধ্বনি করেছে।
দীর্ঘ প্রায় ৭২ বছর পর ৩৭০ ধারা বাতিলের মাধ্যমে ভারত এবার শুধু জম্মু-কাশ্মীরের স্বাধীন মর্যাদাই বাতিল করেনি, রাজ্যটিকে কাশ্মীর এবং লাদাখ নামে দুটি পৃথক রাজ্য বানানোরও উদ্যোগ নিয়েছে। অন্যদিকে ভারতের পার্লামেন্টে নেয়া সিদ্ধান্ত অনুসারে প্রস্তাবিত দুই রাজ্য কাশ্মীর এবং লাদাখ শাসন করা হবে নয়াদিল্লি থেকে। অর্থাৎ রাজ্য দুটির স্বাধীন মর্যাদা তো থাকবেই না, সেখানকার জনগণ এমনকি ভোটাধিকার থেকেও বঞ্চিত হবে। ভারতের অন্য ২৮টি রাজ্যের মতো কাশ্মীর ও লাদাখে কোনো বিধান সভাও রাখতে দেয়া হবে না। পরিকল্পিত এ রাজ্য দুটিতে একযোগে ভারতের অন্য সকল অঞ্চল থেকেও লোকজন এনে তাদের জন্য স্থায়ী বসবাসের সুযোগ সৃষ্টি করা হবে। যার ফলে কাশ্মীর হারাবে তার হাজার বছরের স্বকীয়তা।
No comments