মেঘনার ভয়াবহ ভাঙন হুমকির মুখে ১০ গ্রাম by আব্বাছ হোসেন
বর্ষা
আসতে না আসতেই লক্ষ্মীপুরে মেঘনায় ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। এ কারণে
দুশ্চিন্তায় রয়েছে দুই উপজেলার তিন লাখ মানুষ। হুমকির মুখে রয়েছে ১০
কিলোমিটার এলাকার ১০ গ্রামের বাড়িঘর ও ফসলি জমি। মেঘনার ভাঙন প্রতিরোধে ও
তীর রক্ষা বাঁধের দাবিতে লক্ষ্মীপুরে রামগতি-কমলনগরে বিক্ষোভ সমাবেশ
অব্যাহত রেখেছে হাজার হাজার মানুষ। এসব কর্মসূচি পালন করছে ‘কমলনগর-রামগতি
বাঁচাও মঞ্চ’ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে। ইতিমধ্যে ৭ই জুন
থেকে ৯ই জুন পর্যন্ত টানা তিন দিনের কর্মসূচি পালন করে এ সংগঠন। উপজেলার
প্রতিটি হাট-বাজারে সড়ক অবরোধ, মানববন্ধন, সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করে
সর্বস্তরের মানুষ। এর আগেও একই কর্মসূচি পালন করা হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যথাযথভাবে ডাম্পিং না করেই বাঁধ নির্মাণ করেছে।
বাঁধ নির্মাণে ব্যবহার করা হয়েছে নিম্নমানের বালু ও জিও ব্যাগ। এ কারণে গত এক বছর বাঁধে সাত বার ধস নামে। ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতে বাঁধে আবারো নতুন করে ধস দেখা দেয়। অন্যত্র থেকে মাটি সংগ্রহ করে বাঁধ নির্মাণ করার কথা থাকলেও নদীর তীর থেকে মাটি উত্তোলন করে বাঁধ নির্মাণ করায় বারবার বাঁধে ধস নামছে।
এবার বর্ষার শুরুতেই ফের ধস দেখা দেয়ায় আতঙ্কে রয়েছে কমলনগর উপজেলার দু’ লাখ মানুষ। দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু না হওয়ায় বাঁধের দুপাশের এলাকায় অব্যাহতভাবে ভাঙছে।
নিম্নমানের কাজ করায় বারবার বাঁধে ধস নামছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। তাই দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু করে কমলনগর উপজেলাবাসীকে মেঘনার ভাঙন থেকে রক্ষা করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় জনগণ।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বলছেন, অধিক স্রোতের কারণে বাঁধে ধস দেখা দিয়েছে। এ ধসের কারণে পুরো বাঁধই এখন হুমকির মুখে। বাঁধ রক্ষায় কাজ চলছে। বর্ষা না আসতে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে।
তোরাবগঞ্জ স্থানীয় ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন চৌধুরী ও মোশারেফ হোসেন হাওলাদার জানান, গত দুই মাসের মধ্যে কমলনগর মেঘনা নদীর তীর রক্ষা বাঁধ ধসে দক্ষিণ অংশের প্রায় ৪০০ মিটার নদীগর্ভে তলিয়ে গেছে। হুমকির মুখে রয়েছে পুরো বাঁধ। এরইমধ্যে অনেকে ঘর বাড়ি হারিয়ে রাস্তার পাশে খুপড়ি ঘর তুলে মানবেতর জীবনযাপন করছে। নতুন করে বসতবাড়ি হারিয়ে ১০ হাজার মানুষ বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছে।
জানা গেছে, লক্ষ্মীপুর জেলায় ৯৬ কিলোমিটার বন্যা প্রতিরোধ বেড়ি বাঁধ রয়েছে। মেঘনার ভয়ঙ্কর থাবায় এরইমধ্যে ৩৭ কিলোমিটার বেড়ি বাঁধ বিলীন হয়ে গেছে। বর্ষা না আসতেই রামগতি ও কমলনগর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নতুন করে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। হুমকিতে রয়েছে কমলনগর উপজেলার সাহেবেরহাট, পাটওয়ারীরহাট, চরফলকন, মাতব্বরহাট, লুধুয়া ও রামগতি উপজেলার বাংলা বাজার, আসলপাড়া, গাবতলী ও বড়খেরীসহ ১০টি এলাকার প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকা। আর ভেসে গেছে নবীগঞ্জ, সাহেবের হাট, চর লরেঞ্জ, কাদির পন্ডিতের হাট, তালতলী, মাতাব্বর হাট, তুলাতলীর এলাকার ৫০ ভাগ এলাকা।
লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মুসা জানান, রামগতি থেকে কমলনগর উপজেলার মতিরহাট এলাকা পর্যন্ত ৩৭ কিলোমিটার বেড়ি বাঁধের জন্য একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। প্রথম ধাপে ১ কিলোমিটারের কাজ শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৬ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের জন্য ১৭শ ৮ কোটি টাকার একটি প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে কাজ শুরু হবে। তবে বর্তমানে নদীতে ধসে যাওয়া অংশসহ নতুন করে আরো ৪শ’ মিটার বাঁধের মেরামতের টেন্ডার হয়েছে।
গত ২০ বছর ধরে মেঘনার ভাঙনের ফলে কমলনগরের ৪টি ইউনিয়ন সহ প্রায় ৪০ কিলোমিটার এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যথাযথভাবে ডাম্পিং না করেই বাঁধ নির্মাণ করেছে।
বাঁধ নির্মাণে ব্যবহার করা হয়েছে নিম্নমানের বালু ও জিও ব্যাগ। এ কারণে গত এক বছর বাঁধে সাত বার ধস নামে। ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতে বাঁধে আবারো নতুন করে ধস দেখা দেয়। অন্যত্র থেকে মাটি সংগ্রহ করে বাঁধ নির্মাণ করার কথা থাকলেও নদীর তীর থেকে মাটি উত্তোলন করে বাঁধ নির্মাণ করায় বারবার বাঁধে ধস নামছে।
এবার বর্ষার শুরুতেই ফের ধস দেখা দেয়ায় আতঙ্কে রয়েছে কমলনগর উপজেলার দু’ লাখ মানুষ। দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু না হওয়ায় বাঁধের দুপাশের এলাকায় অব্যাহতভাবে ভাঙছে।
নিম্নমানের কাজ করায় বারবার বাঁধে ধস নামছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। তাই দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু করে কমলনগর উপজেলাবাসীকে মেঘনার ভাঙন থেকে রক্ষা করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় জনগণ।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বলছেন, অধিক স্রোতের কারণে বাঁধে ধস দেখা দিয়েছে। এ ধসের কারণে পুরো বাঁধই এখন হুমকির মুখে। বাঁধ রক্ষায় কাজ চলছে। বর্ষা না আসতে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে।
তোরাবগঞ্জ স্থানীয় ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন চৌধুরী ও মোশারেফ হোসেন হাওলাদার জানান, গত দুই মাসের মধ্যে কমলনগর মেঘনা নদীর তীর রক্ষা বাঁধ ধসে দক্ষিণ অংশের প্রায় ৪০০ মিটার নদীগর্ভে তলিয়ে গেছে। হুমকির মুখে রয়েছে পুরো বাঁধ। এরইমধ্যে অনেকে ঘর বাড়ি হারিয়ে রাস্তার পাশে খুপড়ি ঘর তুলে মানবেতর জীবনযাপন করছে। নতুন করে বসতবাড়ি হারিয়ে ১০ হাজার মানুষ বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছে।
জানা গেছে, লক্ষ্মীপুর জেলায় ৯৬ কিলোমিটার বন্যা প্রতিরোধ বেড়ি বাঁধ রয়েছে। মেঘনার ভয়ঙ্কর থাবায় এরইমধ্যে ৩৭ কিলোমিটার বেড়ি বাঁধ বিলীন হয়ে গেছে। বর্ষা না আসতেই রামগতি ও কমলনগর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নতুন করে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। হুমকিতে রয়েছে কমলনগর উপজেলার সাহেবেরহাট, পাটওয়ারীরহাট, চরফলকন, মাতব্বরহাট, লুধুয়া ও রামগতি উপজেলার বাংলা বাজার, আসলপাড়া, গাবতলী ও বড়খেরীসহ ১০টি এলাকার প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকা। আর ভেসে গেছে নবীগঞ্জ, সাহেবের হাট, চর লরেঞ্জ, কাদির পন্ডিতের হাট, তালতলী, মাতাব্বর হাট, তুলাতলীর এলাকার ৫০ ভাগ এলাকা।
লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মুসা জানান, রামগতি থেকে কমলনগর উপজেলার মতিরহাট এলাকা পর্যন্ত ৩৭ কিলোমিটার বেড়ি বাঁধের জন্য একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। প্রথম ধাপে ১ কিলোমিটারের কাজ শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৬ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের জন্য ১৭শ ৮ কোটি টাকার একটি প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে কাজ শুরু হবে। তবে বর্তমানে নদীতে ধসে যাওয়া অংশসহ নতুন করে আরো ৪শ’ মিটার বাঁধের মেরামতের টেন্ডার হয়েছে।
গত ২০ বছর ধরে মেঘনার ভাঙনের ফলে কমলনগরের ৪টি ইউনিয়ন সহ প্রায় ৪০ কিলোমিটার এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়।
No comments