ভারতকে স্বস্তি দিতে...
ভারতকে
স্বস্তি দিতে চীনের সঙ্গে সমুদ্র বিষয়ক একটি চুক্তি বাতিল করতে পারে
মালদ্বীপ। ভারত মহাসাগরে একটি অবজার্ভেটরি নির্মাণের জন্য মালদ্বীপের সঙ্গে
ওই চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল চীন। মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ
ইয়ামিন ২০১৭ সালে ওই চুক্তি করেছিলেন। এ নিয়ে ভারতে নিরাপত্তা উদ্বেগ
সৃষ্টি হয়। আবদুল্লাহ ইয়ামিনের পতনের পর ভারতের সঙ্গে মালদ্বীপের সম্পর্ক
জোরালো হতে থাকে। সম্প্রতি দ্বিতীয় মেয়াদে ভারতে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত
হওয়ার পর নরেন্দ্র মোদি প্রথম বিদেশ সফরে বেছে নেন মালদ্বীপকে। এসব কথা
লিখেছে অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া।
চীনের সঙ্গে মালদ্বীপের সম্পাদিত ওই চুক্তির শিরোনাম- প্রোটোকল অন এস্টাবলিশমেন্ট অব জয়েন্ট ওশিন অবজার্ভেশন স্টেশন। ওই অবজার্ভেশন স্টেশন নির্মাণ করার কথা মালদ্বীপের মাকুনুধুতে। কিন্তু এই চুক্তি চূড়ান্ত হওয়ায় ভারতে ব্যাপক উদ্বেগ সৃষ্টি হয়।
কারণ, এমন স্থাপনা নির্মাণের মধ্য দিয়ে ভারত মহাসাগরে যে রুটে বহু বাণিজ্যিক ও অন্যান্য জাহাজ চলাচল করে, সেখানে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে সুবিধা পাবে চীন। তা ছাড়া এর অবস্থান হবে ভারতের জলসীমার খুব কাছাকাছি। এতে অস্বস্তিকর অবস্থায় পড়বে ভারত।
বর্তমানে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর যখন পররাষ্ট্র সচিব, তখন তিনি এ ইস্যুটি নিয়ে তখনকার মালদ্বীপের দূত আহমেদ মোহামেদের সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন। সেই সময় চুক্তির সুনির্দিষ্ট বিষয়গুলো শেয়ার না করে ওই দূত এটা বলেছিলেন যে, আবহাওয়া বিষয়ক একটি অবজার্ভেশন সেন্টার নির্মাণ করতে চাইছে চীন। আবদুল্লাহ ইয়ামিনের সরকার কখনো এ চুক্তির বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনো কথা বলে নি। কিন্তু গত বছর ২৬ ফেব্রুয়ারি ভারতীয় মিডিয়ায় এ নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পর চীন কর্তৃপক্ষ তাদের অবস্থান পরিষ্কার করে। তারা বলে, কোনো সামরিক উদ্দেশে তারা ওই অবজার্ভেটরি নির্মাণ করবে না।
তবে ভারতে অনেকেই এটাকে ভাল চোখে দেখে নি। তারা মনে করেছে, এটা ভারতের কৌশলগত অবস্থানের বিরুদ্ধে চীনের একটি উদ্যোগ। ভারতীয় নৌবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা ও কৌশল নির্ধারণ বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা বলেন, অপারেশন চালানোর জন্য হাইড্রোলজিক্যাল প্রকৃত ডাটা সংগ্রহে এটা চীনা উদ্যোগ। এমন কি তারা এর মাধ্যমে পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন, ব্যাপক বিধ্বংসী সাবমেরিন মোতায়েন করতে পারে।
কিন্তু মালদ্বীপের এই পরিস্থিতি দ্রুত নাটকীয়তার সঙ্গে পাল্টে যেতে থাকে প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিনের বিদায়ের পরে। ৮ বছরের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ দ্বিপক্ষীয় সফরে মালদ্বীপ যান ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি। তিনি এ সময় উপকূলীয় নজরদারি বিষয়ক একটি রাডার স্টেশনের উদ্বোধন প্রত্যক্ষ করেন। মালদ্বীপের প্রতিরক্ষা বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি মালদ্বীপকে যে বার্তাটি দেন তা হলো, ভারতের ওপর নির্ভরতা বাড়িয়ে কাউকে ক্ষমতাশালী করা বা কাউকে দুর্বল করে দেয়া ভারতের অংশীদারিত্বের অর্থ নয়। এর মধ্য দিয়ে তিনি চীনের কাছে মালদ্বীপের ঋণের বিষয়ে ইঙ্গিত করেছেন। মালদ্বীপ বৈদেশিক যে ঋণের দায়ে আবদ্ধ তার অর্ধেকের বেশি ঋণ চীনের কাছে।
মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং শক্তিধর নেতা মোহাম্মদ নাশিদ এখনও ভারতের কড়া সমর্থক। তাই তিনি কয়েক দিন আগেও বলেছেন, ভারত আর চীনের সঙ্গে একইভাবে সম্পর্কের ভারসাম্য রক্ষা করা উচিত নয় মালদ্বীপের। তিনি বলেছেন, চীনের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা রক্ষা করার সামর্থ রাখতে পারে না মালদ্বীপ।
চীনের সঙ্গে মালদ্বীপের সম্পাদিত ওই চুক্তির শিরোনাম- প্রোটোকল অন এস্টাবলিশমেন্ট অব জয়েন্ট ওশিন অবজার্ভেশন স্টেশন। ওই অবজার্ভেশন স্টেশন নির্মাণ করার কথা মালদ্বীপের মাকুনুধুতে। কিন্তু এই চুক্তি চূড়ান্ত হওয়ায় ভারতে ব্যাপক উদ্বেগ সৃষ্টি হয়।
কারণ, এমন স্থাপনা নির্মাণের মধ্য দিয়ে ভারত মহাসাগরে যে রুটে বহু বাণিজ্যিক ও অন্যান্য জাহাজ চলাচল করে, সেখানে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে সুবিধা পাবে চীন। তা ছাড়া এর অবস্থান হবে ভারতের জলসীমার খুব কাছাকাছি। এতে অস্বস্তিকর অবস্থায় পড়বে ভারত।
বর্তমানে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর যখন পররাষ্ট্র সচিব, তখন তিনি এ ইস্যুটি নিয়ে তখনকার মালদ্বীপের দূত আহমেদ মোহামেদের সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন। সেই সময় চুক্তির সুনির্দিষ্ট বিষয়গুলো শেয়ার না করে ওই দূত এটা বলেছিলেন যে, আবহাওয়া বিষয়ক একটি অবজার্ভেশন সেন্টার নির্মাণ করতে চাইছে চীন। আবদুল্লাহ ইয়ামিনের সরকার কখনো এ চুক্তির বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনো কথা বলে নি। কিন্তু গত বছর ২৬ ফেব্রুয়ারি ভারতীয় মিডিয়ায় এ নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পর চীন কর্তৃপক্ষ তাদের অবস্থান পরিষ্কার করে। তারা বলে, কোনো সামরিক উদ্দেশে তারা ওই অবজার্ভেটরি নির্মাণ করবে না।
তবে ভারতে অনেকেই এটাকে ভাল চোখে দেখে নি। তারা মনে করেছে, এটা ভারতের কৌশলগত অবস্থানের বিরুদ্ধে চীনের একটি উদ্যোগ। ভারতীয় নৌবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা ও কৌশল নির্ধারণ বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা বলেন, অপারেশন চালানোর জন্য হাইড্রোলজিক্যাল প্রকৃত ডাটা সংগ্রহে এটা চীনা উদ্যোগ। এমন কি তারা এর মাধ্যমে পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন, ব্যাপক বিধ্বংসী সাবমেরিন মোতায়েন করতে পারে।
কিন্তু মালদ্বীপের এই পরিস্থিতি দ্রুত নাটকীয়তার সঙ্গে পাল্টে যেতে থাকে প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিনের বিদায়ের পরে। ৮ বছরের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ দ্বিপক্ষীয় সফরে মালদ্বীপ যান ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি। তিনি এ সময় উপকূলীয় নজরদারি বিষয়ক একটি রাডার স্টেশনের উদ্বোধন প্রত্যক্ষ করেন। মালদ্বীপের প্রতিরক্ষা বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি মালদ্বীপকে যে বার্তাটি দেন তা হলো, ভারতের ওপর নির্ভরতা বাড়িয়ে কাউকে ক্ষমতাশালী করা বা কাউকে দুর্বল করে দেয়া ভারতের অংশীদারিত্বের অর্থ নয়। এর মধ্য দিয়ে তিনি চীনের কাছে মালদ্বীপের ঋণের বিষয়ে ইঙ্গিত করেছেন। মালদ্বীপ বৈদেশিক যে ঋণের দায়ে আবদ্ধ তার অর্ধেকের বেশি ঋণ চীনের কাছে।
মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং শক্তিধর নেতা মোহাম্মদ নাশিদ এখনও ভারতের কড়া সমর্থক। তাই তিনি কয়েক দিন আগেও বলেছেন, ভারত আর চীনের সঙ্গে একইভাবে সম্পর্কের ভারসাম্য রক্ষা করা উচিত নয় মালদ্বীপের। তিনি বলেছেন, চীনের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা রক্ষা করার সামর্থ রাখতে পারে না মালদ্বীপ।
No comments