ভাগ্নেকে ফিরে পেতে সোহেল তাজের সংবাদ সম্মেলন
এক
সপ্তাহ ধরে নিখোঁজ ভাগ্নের সন্ধান চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সাবেক
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ। গতকাল রাজধানীর
সেগুনবাগিচার ডিআরইউ’র সাগর-রুনি মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
সোহেল তাজ বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের নাগরিক। কোনোভাবেই এ অবস্থা আমরা আশা
করতে পারি না। কোনো নাগরিক গুম কিংবা অপহৃত হোক। কার কী পরিচয় তা মুখ্য
বিষয় নয়। এ ধরনের ঘটনা কারো জন্য কাম্য নয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী
কাজ করছে।
আশা করছি ভাগ্নেকে ফিরে পাব। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নিখোঁজ সৌরভের মা সৈয়দা ইয়াসমিন আরজুমান ও বাবা মো. ইদ্রিস আলম।
নিখোঁজের আগে গুলশান জোনের উপকমিশনার মোশতাক আহমেদের কাছে একটি চিঠি দিয়েছিলেন সৌরভ। ওই চিঠির কপি সংবাদ সম্মেলনে সরবরাহ করে সৌরভের পরিবার। লিখিত বক্তব্যে সৈয়দা ইয়াসমিন আরজুমান বলেন, আমি একজন মা হিসেবে আমার হারানো ছেলেকে ফিরে পাওয়ার জন্য আপনাদের (সাংবাদিক) সামনে উপস্থিত হয়েছি। আপনাদের মাধ্যমে প্রধানন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাচ্ছি আমার ছেলেকে ফিরে পাওয়ার জন্য। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০১৭ সালে সৌরভের তৈরি সিনেমা ‘বেঙ্গলী বিউটি’ দেশ-বিদেশে খ্যাতি অর্জন করে। সে সময় সওদা নামে এক মেয়ের সঙ্গে পরিচয় ও যোগাযোগ শুরু হয়। পর্দানশিন পরিবারের সদস্য সওদা মোবাইল ফোনেই বিবাহ সম্পন্ন করার প্রস্তাব দেয়। তাতে রাজি না হলে আত্মহত্যার হুমকি দেয় সওদা। এর মধ্যে সওদার অমতে পরিবার তাকে অন্যত্র বিয়ে দেয়। তবে সে বিয়ে ২০১৮ সালেই ভেঙে যায়।
সৌরভের মা সৈয়দা ইয়াসমিন আরজুমান বলেন, এরপর থেকে সওদার বাবা আজাদ চৌধুরী আমার ছেলেকে দোষারোপ করে এবং আমার ছেলেকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এরই জেরে ২০১৯ সালের ৭ই ফেব্রুয়ারি সৌরভকে উত্তরা র্যাব সদর দপ্তরে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ ও ভয়ভীতি দেখানো হয়। ১২ই ফেব্রুয়ারি বনানী থানার ওসি সৌরভকে ডেকে নিয়ে দুর্ব্যবহার করেন।
সৌরভের সন্ধান দাবি করে তিনি আরো বলেন, বিকাল ৩টার দিকে সৌরভকে চট্টগ্রাম মিমি সুপার মার্কেটের আগোরার সামনে থেকে তুলে নেয়া হয়। এরপর আর ফিরে আসেনি সৌরভ। আমরা সৌরভকে ফিরে পেতে চাই।
সৌরভের মামা সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। তার ক্ষেত্রে যদি এমন ঘটনা ঘটে তাহলে অন্য সাধারণ নাগরিকের ক্ষেত্রে কী হতে পারে? সংবাদ সম্মেলনে এই প্রশ্নের জবাবে সোহেল তাজ বলেন, আমরা বাংলাদেশের নাগরিক। আমরা আশা করবো না অন্য কোনো নাগরিকের ক্ষেত্রে এমন কিছু হোক। আজকে আমার ভাগ্নে, কালকে হয় তো আপনার ভাই হতে পারে। আরেক দিন হয়তো আপনার সন্তান হতে পারে। এটা আমাদের কারো কাম্য নয়। কার কী পরিচয় সেটা মুখ্য বিষয় নয়, আমার কী পরিচয় তাও মুখ্য বিষয় নয়। এখানে আইনের শাসনে রাষ্ট্র চলবে। ন্যায়বিচার সুবিচারের রাষ্ট্রে এ রকমটা হওয়া বা এমন পরিণতির শিকার হওয়া কাম্য নয়।
অপহরণকারীরা কী এতটাই প্রভাবশালী যে, তাদের পরিচয় প্রকাশ করতে চেয়েছিলেন ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে- এমন প্রশ্নে সোহেল তাজ বলেন, আমাদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, লোকাল পুলিশ যোগাযোগ করছে। রাষ্ট্রীয় সংস্থার কর্মকর্তার নম্বর থেকে কল গেছে সৌরভের ফোনে। সেটা আমরা জানতে পেরেছি। এ অবস্থায় আমাদের একটাই লক্ষ্য আমাদের ছেলেকে ফিরে পাওয়া। আট দিন হয়ে গেছে। সৌরভকে ফিরে পাওয়ার চেষ্টায় আছি।
উল্লেখ্য, গত ৯ই জুন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে থেকে সৈয়দ ইফতেখার আলম ওরফে সৌরভ অপহৃত হয়। ওই দিন রাতে তার বাবা সৈয়দ মোহাম্মদ ইদ্রিস আলম পাঁচলাইশ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। গত শনিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেয়া এক পোস্টে তার ভাগ্নেকে অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ।
আশা করছি ভাগ্নেকে ফিরে পাব। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নিখোঁজ সৌরভের মা সৈয়দা ইয়াসমিন আরজুমান ও বাবা মো. ইদ্রিস আলম।
নিখোঁজের আগে গুলশান জোনের উপকমিশনার মোশতাক আহমেদের কাছে একটি চিঠি দিয়েছিলেন সৌরভ। ওই চিঠির কপি সংবাদ সম্মেলনে সরবরাহ করে সৌরভের পরিবার। লিখিত বক্তব্যে সৈয়দা ইয়াসমিন আরজুমান বলেন, আমি একজন মা হিসেবে আমার হারানো ছেলেকে ফিরে পাওয়ার জন্য আপনাদের (সাংবাদিক) সামনে উপস্থিত হয়েছি। আপনাদের মাধ্যমে প্রধানন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাচ্ছি আমার ছেলেকে ফিরে পাওয়ার জন্য। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০১৭ সালে সৌরভের তৈরি সিনেমা ‘বেঙ্গলী বিউটি’ দেশ-বিদেশে খ্যাতি অর্জন করে। সে সময় সওদা নামে এক মেয়ের সঙ্গে পরিচয় ও যোগাযোগ শুরু হয়। পর্দানশিন পরিবারের সদস্য সওদা মোবাইল ফোনেই বিবাহ সম্পন্ন করার প্রস্তাব দেয়। তাতে রাজি না হলে আত্মহত্যার হুমকি দেয় সওদা। এর মধ্যে সওদার অমতে পরিবার তাকে অন্যত্র বিয়ে দেয়। তবে সে বিয়ে ২০১৮ সালেই ভেঙে যায়।
সৌরভের মা সৈয়দা ইয়াসমিন আরজুমান বলেন, এরপর থেকে সওদার বাবা আজাদ চৌধুরী আমার ছেলেকে দোষারোপ করে এবং আমার ছেলেকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এরই জেরে ২০১৯ সালের ৭ই ফেব্রুয়ারি সৌরভকে উত্তরা র্যাব সদর দপ্তরে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ ও ভয়ভীতি দেখানো হয়। ১২ই ফেব্রুয়ারি বনানী থানার ওসি সৌরভকে ডেকে নিয়ে দুর্ব্যবহার করেন।
সৌরভের সন্ধান দাবি করে তিনি আরো বলেন, বিকাল ৩টার দিকে সৌরভকে চট্টগ্রাম মিমি সুপার মার্কেটের আগোরার সামনে থেকে তুলে নেয়া হয়। এরপর আর ফিরে আসেনি সৌরভ। আমরা সৌরভকে ফিরে পেতে চাই।
সৌরভের মামা সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। তার ক্ষেত্রে যদি এমন ঘটনা ঘটে তাহলে অন্য সাধারণ নাগরিকের ক্ষেত্রে কী হতে পারে? সংবাদ সম্মেলনে এই প্রশ্নের জবাবে সোহেল তাজ বলেন, আমরা বাংলাদেশের নাগরিক। আমরা আশা করবো না অন্য কোনো নাগরিকের ক্ষেত্রে এমন কিছু হোক। আজকে আমার ভাগ্নে, কালকে হয় তো আপনার ভাই হতে পারে। আরেক দিন হয়তো আপনার সন্তান হতে পারে। এটা আমাদের কারো কাম্য নয়। কার কী পরিচয় সেটা মুখ্য বিষয় নয়, আমার কী পরিচয় তাও মুখ্য বিষয় নয়। এখানে আইনের শাসনে রাষ্ট্র চলবে। ন্যায়বিচার সুবিচারের রাষ্ট্রে এ রকমটা হওয়া বা এমন পরিণতির শিকার হওয়া কাম্য নয়।
অপহরণকারীরা কী এতটাই প্রভাবশালী যে, তাদের পরিচয় প্রকাশ করতে চেয়েছিলেন ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে- এমন প্রশ্নে সোহেল তাজ বলেন, আমাদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, লোকাল পুলিশ যোগাযোগ করছে। রাষ্ট্রীয় সংস্থার কর্মকর্তার নম্বর থেকে কল গেছে সৌরভের ফোনে। সেটা আমরা জানতে পেরেছি। এ অবস্থায় আমাদের একটাই লক্ষ্য আমাদের ছেলেকে ফিরে পাওয়া। আট দিন হয়ে গেছে। সৌরভকে ফিরে পাওয়ার চেষ্টায় আছি।
উল্লেখ্য, গত ৯ই জুন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে থেকে সৈয়দ ইফতেখার আলম ওরফে সৌরভ অপহৃত হয়। ওই দিন রাতে তার বাবা সৈয়দ মোহাম্মদ ইদ্রিস আলম পাঁচলাইশ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। গত শনিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেয়া এক পোস্টে তার ভাগ্নেকে অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ।
No comments