হেটমায়ার-হোল্ডারের ব্যাটে ঝড় by ইশতিয়াক পারভেজ
টনটনের
সবুজ প্রকৃতিতে যোগ হয়েছিল লাল আভা। ইংল্যান্ডে শুধু প্রবাসী বাংলাদেশি
নয়, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, কানাডা থেকে উড়ে আসা টাইগার সমর্থকরাও
রয়েছেন। এক বছর আগে সিডনিতে বসে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচের টিকিট
কিনেছিলেন মোর্শেদ। ৪০ ঘণ্টা যাত্রা শেষে পৌঁছান টনটনে। ম্যাচ দেখার জন্য
তার মধ্যে যেমন উত্তেজনা তেমনি ভয়ও কাজ করছিল। ভয়টা সমারসেটের ছোট মাঠ
নিয়ে। ক্যারিবীয় দানবরা যদি ব্যাট হাতে ঝড় তোলে? কী হবে তখন! ইনিংসের
শুরুতে টাইগাররা দারুণ বোলিংয়ে তাদের ব্যাটে লাগাম পরিয়েছিল।
ভয়ঙ্কর গেইলকে ফিরিয়েছিল ০ রানে।
কিন্তু মাঝে শেই হোপ ও শিমরন হেটমায়ারের ঝড়ে সব এলোমলো হয়ে যায়। বাংলাদেশ প্রথম ১০ ওভারে খারাপ করেনি। ১ উইকেটে ৩২ রান করতে পেরেছিল ক্যারিবীয়রা। সেখান থেকে লুইস-হেটমায়ার মাশরাফি বিন মুর্তজার বোলিং বিভাগকে চ্যালেঞ্চ জানিয়ে এগিয়ে যেতে থাকেন। লুইস ফিরে গেলেও ২৫ বলে পঞ্চাশ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলেন হেটমায়ার। এরপর হোপ আউট হন ৯৬ রান করে। তাতে শুরুর দারুণ লড়াই বিফলে যায় টাইগারদের। শেষদিকে ফের দুর্দান্ত বোলিংয়ে উইন্ডিজকে চেপে ধরে মোস্তাফিজরা। তবে টিকে থাকার ম্যাচে ৮ উইকেটে ৩২২ রানের বড় লক্ষ্য দিয়ে যায় বাংলাদেশকে।
টসে জিতে বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি ফিল্ডিং নেয়ায় শুরু হয়ে যায় সমালোচনা। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে যে ভুলে ম্যাচ হাত ফসকে গিয়েছিল তারই শঙ্কা পেয়ে বসে বাংলাদেশের দর্শকদের। তবে তাদের মনে আশার আলো হয়ে আসে টাইগারদের বোলিং। শুরু থেকেই গেইলকে ভোগাচ্ছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা ও সাইফুদ্দিন। আঁটসাট বোলিংয়ে বেঁধে রেখেছিলেন অভিজ্ঞ ওপেনারকে। গেইল চেষ্টা করেছিলেন তার পরিচিত মাঠে টিকে থাকতে। তবে সাইফের সুইং করে বেরিয়ে যাওয়া বল খেলতে গিয়ে ধরা পড়েন মুশফিকুর রহীমের কাছে। দারুণভাবে ঝাঁপিয়ে উড়তে থাকা বল গ্লাভসবন্দি করেন মুশফিক। গ্যালারিতে তখন উল্লাসে ফেটে পড়েছেন বাংলাদেশি সমর্থকরা। কারণ ১৩ বল খেলে গেইলের নামের পাশে যোগ হয়নি একটি রানও। বাংলাদেশের বোলাররা আরো চেপে ধরে ক্যারিবীয়দের। সেই চাপে অবশ্য মাথা নত করেননি হোপ ও লুইস।
১০ ওভার পর ধীরে ধীরে বাংলাদেশি বোলারদের ওপর চড়াও হতে থাকেন লুইস। ৬৭ বলে ৭০ রান করে সাকিবের বলে আউট হওয়ার আগে উইন্ডিজের চাপটা সরিয়ে দিয়ে যান তিনি।
এরপর আবারো বাংলাদেশ... বাংলাদেশ... ধ্বনিতে মুখর হয়ে ওঠে টননের সমারসেট স্টেডিয়াম। কিন্ত লুইসের জায়গাটা ধরে রাখেন হেটমায়ার। গায়ানিজ এই ব্যাটসম্যানকে ১২ রানেই ফিরিয়ে দেয়ার সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু রানআউটের সুযোগ নষ্ট করেন সাইফুদ্দিন। জীবন পেয়ে ২৫ বলে ফিফটি তুলে নেন হেটমায়ার। সেই সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে হোপের সঙ্গে ৪৩ বলে ৮৩ রানের জুটি গড়ে ম্যাচের লাগামটা বাংলাদেশের হাত থেকে ছিনিয়ে নেন।
তবে এই জুটি আরো ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগে জ্বলে ওঠেন মোস্তাফিজ। গ্যালারি থেকে দর্শকদের ‘কাটার... কাটার...’ শুনেই হয়তো অনুপ্রাণিত হন তিনি! তার দারুণ এক ডেলিভারিতে ব্যাট চালিয়ে মিড-উইকেটে তামিম ইকবালের অসাধারণ এক ক্যাচ হয়ে হেটমায়ার ফেরেন। এরপর অধিনায়ক হোল্ডার সুযোগটা ভালোই কাজে লাগিয়েছেন, ১৫ বলে করে গেছেন ৩৩ রান। তবে তাকে ২২ রানেই ফেরানো যেত যদি মাশরাফির বলে লং অনে তামিম ক্যাচটা ধরতে পারতেন। ক্যাচটা যদিও এত সহজ ছিল না। ৪০ ওভারে ৫ উইকেটে ২৪৩ রান তোলা ওয়েস্ট ইন্ডিজ শেষ ১০ ওভারে তোলে ৭৮ রান। রানটা আরো বড় হতে পারতো যদি এই মাঠে সেঞ্চুরির তালিকাতে হোপ নিজের নাম যোগ করতে পারতেন।
১২১ বলে ৯৬ রান করে মোস্তাফিজের বলে আউট হন তিনি। গতকাল বল হাতে টাইগার পেসার দারুণ ভূমিকা রেখেছেন। মোস্তাফিজের শুরুটা ভালো না হলেও নিয়েছেন ৯ ওভারে ৫৯ রান খরচ করে ৩ উইকেট। আরেক পেসার সাইফুদ্দিন ছিলেন বেশ খরুচে। ১০ ওভারে ৭০ রান দিলেও অবশ্য উইকেট নিয়েছেন ৩টি। মাশরাফি উইকেট পাননি। তবে বেশ কৃপণ ছিলেন। ৮ ওভারে খরচ করেছেন মাত্র ৩৭ রান। স্পিনারদের মধ্যে সফল সেই সাকিব। সহ-অধিনায়ক ৮ ওভার বল করে ৫৪ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট।
ভয়ঙ্কর গেইলকে ফিরিয়েছিল ০ রানে।
কিন্তু মাঝে শেই হোপ ও শিমরন হেটমায়ারের ঝড়ে সব এলোমলো হয়ে যায়। বাংলাদেশ প্রথম ১০ ওভারে খারাপ করেনি। ১ উইকেটে ৩২ রান করতে পেরেছিল ক্যারিবীয়রা। সেখান থেকে লুইস-হেটমায়ার মাশরাফি বিন মুর্তজার বোলিং বিভাগকে চ্যালেঞ্চ জানিয়ে এগিয়ে যেতে থাকেন। লুইস ফিরে গেলেও ২৫ বলে পঞ্চাশ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলেন হেটমায়ার। এরপর হোপ আউট হন ৯৬ রান করে। তাতে শুরুর দারুণ লড়াই বিফলে যায় টাইগারদের। শেষদিকে ফের দুর্দান্ত বোলিংয়ে উইন্ডিজকে চেপে ধরে মোস্তাফিজরা। তবে টিকে থাকার ম্যাচে ৮ উইকেটে ৩২২ রানের বড় লক্ষ্য দিয়ে যায় বাংলাদেশকে।
টসে জিতে বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি ফিল্ডিং নেয়ায় শুরু হয়ে যায় সমালোচনা। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে যে ভুলে ম্যাচ হাত ফসকে গিয়েছিল তারই শঙ্কা পেয়ে বসে বাংলাদেশের দর্শকদের। তবে তাদের মনে আশার আলো হয়ে আসে টাইগারদের বোলিং। শুরু থেকেই গেইলকে ভোগাচ্ছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা ও সাইফুদ্দিন। আঁটসাট বোলিংয়ে বেঁধে রেখেছিলেন অভিজ্ঞ ওপেনারকে। গেইল চেষ্টা করেছিলেন তার পরিচিত মাঠে টিকে থাকতে। তবে সাইফের সুইং করে বেরিয়ে যাওয়া বল খেলতে গিয়ে ধরা পড়েন মুশফিকুর রহীমের কাছে। দারুণভাবে ঝাঁপিয়ে উড়তে থাকা বল গ্লাভসবন্দি করেন মুশফিক। গ্যালারিতে তখন উল্লাসে ফেটে পড়েছেন বাংলাদেশি সমর্থকরা। কারণ ১৩ বল খেলে গেইলের নামের পাশে যোগ হয়নি একটি রানও। বাংলাদেশের বোলাররা আরো চেপে ধরে ক্যারিবীয়দের। সেই চাপে অবশ্য মাথা নত করেননি হোপ ও লুইস।
১০ ওভার পর ধীরে ধীরে বাংলাদেশি বোলারদের ওপর চড়াও হতে থাকেন লুইস। ৬৭ বলে ৭০ রান করে সাকিবের বলে আউট হওয়ার আগে উইন্ডিজের চাপটা সরিয়ে দিয়ে যান তিনি।
এরপর আবারো বাংলাদেশ... বাংলাদেশ... ধ্বনিতে মুখর হয়ে ওঠে টননের সমারসেট স্টেডিয়াম। কিন্ত লুইসের জায়গাটা ধরে রাখেন হেটমায়ার। গায়ানিজ এই ব্যাটসম্যানকে ১২ রানেই ফিরিয়ে দেয়ার সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু রানআউটের সুযোগ নষ্ট করেন সাইফুদ্দিন। জীবন পেয়ে ২৫ বলে ফিফটি তুলে নেন হেটমায়ার। সেই সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে হোপের সঙ্গে ৪৩ বলে ৮৩ রানের জুটি গড়ে ম্যাচের লাগামটা বাংলাদেশের হাত থেকে ছিনিয়ে নেন।
তবে এই জুটি আরো ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগে জ্বলে ওঠেন মোস্তাফিজ। গ্যালারি থেকে দর্শকদের ‘কাটার... কাটার...’ শুনেই হয়তো অনুপ্রাণিত হন তিনি! তার দারুণ এক ডেলিভারিতে ব্যাট চালিয়ে মিড-উইকেটে তামিম ইকবালের অসাধারণ এক ক্যাচ হয়ে হেটমায়ার ফেরেন। এরপর অধিনায়ক হোল্ডার সুযোগটা ভালোই কাজে লাগিয়েছেন, ১৫ বলে করে গেছেন ৩৩ রান। তবে তাকে ২২ রানেই ফেরানো যেত যদি মাশরাফির বলে লং অনে তামিম ক্যাচটা ধরতে পারতেন। ক্যাচটা যদিও এত সহজ ছিল না। ৪০ ওভারে ৫ উইকেটে ২৪৩ রান তোলা ওয়েস্ট ইন্ডিজ শেষ ১০ ওভারে তোলে ৭৮ রান। রানটা আরো বড় হতে পারতো যদি এই মাঠে সেঞ্চুরির তালিকাতে হোপ নিজের নাম যোগ করতে পারতেন।
১২১ বলে ৯৬ রান করে মোস্তাফিজের বলে আউট হন তিনি। গতকাল বল হাতে টাইগার পেসার দারুণ ভূমিকা রেখেছেন। মোস্তাফিজের শুরুটা ভালো না হলেও নিয়েছেন ৯ ওভারে ৫৯ রান খরচ করে ৩ উইকেট। আরেক পেসার সাইফুদ্দিন ছিলেন বেশ খরুচে। ১০ ওভারে ৭০ রান দিলেও অবশ্য উইকেট নিয়েছেন ৩টি। মাশরাফি উইকেট পাননি। তবে বেশ কৃপণ ছিলেন। ৮ ওভারে খরচ করেছেন মাত্র ৩৭ রান। স্পিনারদের মধ্যে সফল সেই সাকিব। সহ-অধিনায়ক ৮ ওভার বল করে ৫৪ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট।
No comments