আইএসআইয়ের নতুন প্রধান জেনারেল ফয়েজ
পাকিস্তান
সেনাবাহিনীর শক্তিশালী গোয়েন্দা এজেন্সি ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের
(আইএসআই) নতুন প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফয়েজ
হামিদকে। তিনি আইএসআইয়ের সাবেক একজন সিনিয়র কর্মকর্তা। আইএসআইয়ের বর্তমান
প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল অসীম মুনিরের স্থলাভিষিক্ত হবেন তিনি। মুনির এ
পদে মাত্র ৮ মাস দায়িত্ব পালন করেছেন। ফলে আইএসআইয়ের প্রধান হিসেবে সবচেয়ে
কম সময় দায়িত্ব পালনকারীদের মধ্যে তিনি অন্যতম হয়ে থাকবেন। পাকিস্তানের
সেনাবাহিনীর প্রেস শাখার একটি বিবৃতিতে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডন ও
জি নিউজ।
এতে বলা হয়, কি কারণে এই রদবদল তা ব্যাখ্যা করা হয় নি। তবে এটা সবাই জানেন যে, পাকিস্তানে সবচেয়ে প্রভাবশালী সেনাবাহিনী। দেশ স্বাধীনের ৭১ বছরের মধ্যে তারা প্রায় অর্ধেকটা সময় ক্ষমতায় ছিল।
এমন কি বেসামরিক সরকার ক্ষমতায় থাকলেও তারা অতিরিক্ত ক্ষমতা ভোগ করেছে। সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের প্রধানের পদ পাকিস্তানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোর অন্যতম। এই এজেন্সির বিরুদ্ধে রয়েছে নানা রকম অভিযোগ। ভারতের অভিযোগ, তারা প্রতিবেশীদের টার্গেট করতে ইসলামপন্থি জঙ্গিদের সমর্থন দেয়।
আইএসআইয়ের প্রধান হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত জেনারেল হামিদ এপ্রিলে লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদে পদোন্নতি পান। তাকে জেনারেল হেডকোয়ার্টারে অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। এর আগে তিনি আইএসআইয়ের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিভাগে কাজ করেছেন। ধারণা করা হয়, তিনি পাকিস্তানের সেনা প্রধান জেনারেল কমর বাজওয়ার ঘনিষ্ঠ। ২০১৮ সালের ১০ জুলাই এক সংবাদ সম্মেলনে সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গফুর সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জেনারেল হামিদের ভূয়সী প্রশংসা করেন। পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের কিছু অভিযোগের জবাবে আসিফ গফুর বলেন, মানুষ জেনারেল ফয়েজ হামিদের নাম নিতে শুরু করেছে। তারা সম্ভবত তার ভূমিকা সম্পর্কে জানে না। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে তার ডিপার্টমেন্ট যে ভূমিকা পালন করেছে তা চিন্তাও করতে পারবেন না। এমনকি সত্য সম্পর্কে যদি অনুমান করার চেষ্টা করেন, তাহলে তার প্রতিষ্ঠান ও জেনারেল ফয়েজ যতটুকু করেছেন তার শতকরা ৫ ভাগও জানতে পারবেন না। যেসব সন্ত্রাসী হামলাকে রুখে দেয়া হয়েছে, তা সম্ভব হয়েছে জেনারেল ফয়েজের ডিপার্টমেন্টের কারণে।
জেনারেল ফয়েজ হামিদের নাম প্রথম জনগণের চোখে ধরা পড়ে যখন তিনি ২০১৭ সালের নভেম্বরে ফয়েজাবাদে একটি ধর্মীয় গ্রুপের ধরণা তুলে নিতে সহায়তা করেন। এরপর ওই গ্রুপটি নির্বাচনী আইন ২০১৭ সংশোধনের বিরুদ্ধে অবস্থান ধর্মঘট পালন করে।
জেনারেল হামিদ পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বেলুচ রেজিমেন্টের। তাকে অত্যন্ত কঠিন ও গুরুত্বপূর্ণ এক সময়ে এ দায়িত্ব নিতে হচ্ছে, যখন পাকিস্তানের ওপর দেশের ভিতরে ও বাইরে থেকে নিরাপত্তা সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ বাড়ছে। মনে করা হচ্ছে, তার যে বিস্তৃত অভিজ্ঞতা, তা ব্যবহার করে ওইসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সহায়ক হবে আইএসআইয়ের। এখানে উল্লেখ্য, আইএসআইয়ের ডিজি বা মহাপরিচালক নিয়োগ দেয়ার বিশেষ ক্ষমতা আছে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর। সেনাপ্রধানের সঙ্গে পরামর্শক্রমে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন প্রধানমন্ত্রী।
এতে বলা হয়, কি কারণে এই রদবদল তা ব্যাখ্যা করা হয় নি। তবে এটা সবাই জানেন যে, পাকিস্তানে সবচেয়ে প্রভাবশালী সেনাবাহিনী। দেশ স্বাধীনের ৭১ বছরের মধ্যে তারা প্রায় অর্ধেকটা সময় ক্ষমতায় ছিল।
এমন কি বেসামরিক সরকার ক্ষমতায় থাকলেও তারা অতিরিক্ত ক্ষমতা ভোগ করেছে। সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের প্রধানের পদ পাকিস্তানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোর অন্যতম। এই এজেন্সির বিরুদ্ধে রয়েছে নানা রকম অভিযোগ। ভারতের অভিযোগ, তারা প্রতিবেশীদের টার্গেট করতে ইসলামপন্থি জঙ্গিদের সমর্থন দেয়।
আইএসআইয়ের প্রধান হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত জেনারেল হামিদ এপ্রিলে লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদে পদোন্নতি পান। তাকে জেনারেল হেডকোয়ার্টারে অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। এর আগে তিনি আইএসআইয়ের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিভাগে কাজ করেছেন। ধারণা করা হয়, তিনি পাকিস্তানের সেনা প্রধান জেনারেল কমর বাজওয়ার ঘনিষ্ঠ। ২০১৮ সালের ১০ জুলাই এক সংবাদ সম্মেলনে সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গফুর সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জেনারেল হামিদের ভূয়সী প্রশংসা করেন। পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের কিছু অভিযোগের জবাবে আসিফ গফুর বলেন, মানুষ জেনারেল ফয়েজ হামিদের নাম নিতে শুরু করেছে। তারা সম্ভবত তার ভূমিকা সম্পর্কে জানে না। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে তার ডিপার্টমেন্ট যে ভূমিকা পালন করেছে তা চিন্তাও করতে পারবেন না। এমনকি সত্য সম্পর্কে যদি অনুমান করার চেষ্টা করেন, তাহলে তার প্রতিষ্ঠান ও জেনারেল ফয়েজ যতটুকু করেছেন তার শতকরা ৫ ভাগও জানতে পারবেন না। যেসব সন্ত্রাসী হামলাকে রুখে দেয়া হয়েছে, তা সম্ভব হয়েছে জেনারেল ফয়েজের ডিপার্টমেন্টের কারণে।
জেনারেল ফয়েজ হামিদের নাম প্রথম জনগণের চোখে ধরা পড়ে যখন তিনি ২০১৭ সালের নভেম্বরে ফয়েজাবাদে একটি ধর্মীয় গ্রুপের ধরণা তুলে নিতে সহায়তা করেন। এরপর ওই গ্রুপটি নির্বাচনী আইন ২০১৭ সংশোধনের বিরুদ্ধে অবস্থান ধর্মঘট পালন করে।
জেনারেল হামিদ পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বেলুচ রেজিমেন্টের। তাকে অত্যন্ত কঠিন ও গুরুত্বপূর্ণ এক সময়ে এ দায়িত্ব নিতে হচ্ছে, যখন পাকিস্তানের ওপর দেশের ভিতরে ও বাইরে থেকে নিরাপত্তা সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ বাড়ছে। মনে করা হচ্ছে, তার যে বিস্তৃত অভিজ্ঞতা, তা ব্যবহার করে ওইসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সহায়ক হবে আইএসআইয়ের। এখানে উল্লেখ্য, আইএসআইয়ের ডিজি বা মহাপরিচালক নিয়োগ দেয়ার বিশেষ ক্ষমতা আছে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর। সেনাপ্রধানের সঙ্গে পরামর্শক্রমে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন প্রধানমন্ত্রী।
No comments