ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নয়া পরিকল্পনা
এশিয়ার
যে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সবকিছুই আছে তার কাছে আপনারা কী বিক্রি করেন? কিংবা
উত্তর কোরিয়া সাগরপথে অবৈধভাবে তেল সরবরাহ করছে সে বিষয়েই কী বলবেন?
মার্কিন ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষা মন্ত্রী প্যাট্রিক শানাহান চীনের জেনারেল উই
ফেঙ্গের সামনে এই প্রশ্নগুলো তুলে ধরেন। এ সময় তিনি আকাশ থেকে তোলা কিছু
অস্পষ্ট ছবিও প্রদান করেন। গত ৩১শে মে থেকে ২রা জুন পর্যন্ত সিঙ্গাপুরে বড়
সামরিক শক্তিগুলোর এক সম্মেলনে চীনের উদ্দেশ্যে এ প্রশ্নগুলো করেন শানাহান।
তাকে যখন প্রশ্ন করা হলো চীনের জেনারেল উই ফেঙ্গেকে একান্ত সাক্ষাৎকারে আপনি কী বলতে চান, তিনি হুয়াওয়ে বা দক্ষিণ চীন সাগরের কথা বলেননি। সবাইকে অবাক করে দিয়ে শানাহান বললেন, তিনি চীনের সঙ্গে সহযোগিতার বিষয়ে কথা বলতে চান। বেইজিং-এর সঙ্গে সহযোগিতার নতুন নতুন ক্ষেত্র তৈরি করতে ওয়াশিংটন উৎসাহী বলেও জানান তিনি। এর মধ্যে প্রথমেই আছে উত্তর কোরিয়ার নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে চীনের সাহায্য। উত্তর কোরিয়ার জাহাজগুলো মূলত চীনের জলসীমাই ব্যবহার করে থাকে।
শানাহানের দাবি, এ বিষয়ে চীনা সহযোগিতা দুই দেশের প্রতিযোগিতাকে ইতিবাচক রূপ দিতে পারবে।
১লা জুন পেন্টাগন ইন্দো-প্যাসেফিক অঞ্চলের জন্য নতুন পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে পেন্টাগন। এই পরিকল্পনার প্রধান দিক হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র এ অঞ্চলকে সবার জন্য উন্মুক্ত দেখতে চায়। এই ধারণার স্রষ্টা জাপান। তবে পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রামপ প্রশাসন একে উৎসাহের সঙ্গে গ্রহণ করেছে। পেন্টাগন তার রিপোর্টে চীনের দিকে ইঙ্গিত দিয়ে বলেছে, ইন্দো-প্যাসেফিক অঞ্চলে শুধু একটি দেশের প্রভাব থাকা উচিত নয়।
তবে চীনের জবাবটাও খুব সাধারণ ছিল না। জেনারেল উই চীনের জাতীয় সংগীতের লাইন তুলে বলেন, যারা দাসত্ব চায় না তাদের সবাইকে জেগে উঠতে হবে। তিনি বলেন, আমাদেরকে নিজেদের রক্ত ও মাংস দিয়ে নতুন মহাপ্রাচীর গড়ে তুলতে হবে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, চীনের সেনাবাহিনী কোনো ধরনের ত্যাগে ভয় পায় না।
কিন্তু এখন পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে, এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করার প্রবণতা বাড়ছে। বিশেষ করে ভারতের কথা বলা যায়। নরেন্দ্র মোদি ২য় মেয়াদে সরকার গঠনের পর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সমপর্ক বৃদ্ধির জন্য কাজ করার ইঙ্গিত দিয়েছেন। জাপান দক্ষিণ চীন সাগরে যুদ্ধ জাহাজ পাঠাতে শুরু করেছে। ইন্দো-প্যাসেফিক অঞ্চলকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের নয়া পরিকল্পনা মূলত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১০ দেশকে ঘিরে। এসিয়ানভুক্ত এই দশ দেশ সামরিক দিক থেকে নিতান্তই দুর্বল। তবে তাদের সকলেই কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনাকে গ্রহণ করেনি। অনেকেই এখানে চীনের ক্ষোভের মুখে পরতে চাইছে না। মালয়েশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সিঙ্গাপুরে বলেন, চীনের কোস্টগার্ডও আমাদের যুদ্ধজাহাজের থেকে বেশি শক্তিশালী।
যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোকে আশ্বস্ত করতে চাচ্ছে। কিন্তু ট্রামপ সরকারের পররাষ্ট্রনীতি সেটিকে সম্ভব করছে না। ইরানের সঙ্গে উত্তেজনার প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে অধিক মনোযোগী। বিশ্বজুড়ে চীনের উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহ থাকলেও, এশিয়ার বেশির ভাগ দেশই যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে কোনো পক্ষকেই বেছে নিতে আগ্রহী না। শানাহান এ বিষয়ে বলেন, আমার ধারণা তারা আস্তে আস্তে নিজেদের আত্মবিশ্বাস তৈরি করছে।
তাকে যখন প্রশ্ন করা হলো চীনের জেনারেল উই ফেঙ্গেকে একান্ত সাক্ষাৎকারে আপনি কী বলতে চান, তিনি হুয়াওয়ে বা দক্ষিণ চীন সাগরের কথা বলেননি। সবাইকে অবাক করে দিয়ে শানাহান বললেন, তিনি চীনের সঙ্গে সহযোগিতার বিষয়ে কথা বলতে চান। বেইজিং-এর সঙ্গে সহযোগিতার নতুন নতুন ক্ষেত্র তৈরি করতে ওয়াশিংটন উৎসাহী বলেও জানান তিনি। এর মধ্যে প্রথমেই আছে উত্তর কোরিয়ার নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে চীনের সাহায্য। উত্তর কোরিয়ার জাহাজগুলো মূলত চীনের জলসীমাই ব্যবহার করে থাকে।
শানাহানের দাবি, এ বিষয়ে চীনা সহযোগিতা দুই দেশের প্রতিযোগিতাকে ইতিবাচক রূপ দিতে পারবে।
১লা জুন পেন্টাগন ইন্দো-প্যাসেফিক অঞ্চলের জন্য নতুন পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে পেন্টাগন। এই পরিকল্পনার প্রধান দিক হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র এ অঞ্চলকে সবার জন্য উন্মুক্ত দেখতে চায়। এই ধারণার স্রষ্টা জাপান। তবে পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রামপ প্রশাসন একে উৎসাহের সঙ্গে গ্রহণ করেছে। পেন্টাগন তার রিপোর্টে চীনের দিকে ইঙ্গিত দিয়ে বলেছে, ইন্দো-প্যাসেফিক অঞ্চলে শুধু একটি দেশের প্রভাব থাকা উচিত নয়।
তবে চীনের জবাবটাও খুব সাধারণ ছিল না। জেনারেল উই চীনের জাতীয় সংগীতের লাইন তুলে বলেন, যারা দাসত্ব চায় না তাদের সবাইকে জেগে উঠতে হবে। তিনি বলেন, আমাদেরকে নিজেদের রক্ত ও মাংস দিয়ে নতুন মহাপ্রাচীর গড়ে তুলতে হবে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, চীনের সেনাবাহিনী কোনো ধরনের ত্যাগে ভয় পায় না।
কিন্তু এখন পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে, এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করার প্রবণতা বাড়ছে। বিশেষ করে ভারতের কথা বলা যায়। নরেন্দ্র মোদি ২য় মেয়াদে সরকার গঠনের পর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সমপর্ক বৃদ্ধির জন্য কাজ করার ইঙ্গিত দিয়েছেন। জাপান দক্ষিণ চীন সাগরে যুদ্ধ জাহাজ পাঠাতে শুরু করেছে। ইন্দো-প্যাসেফিক অঞ্চলকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের নয়া পরিকল্পনা মূলত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১০ দেশকে ঘিরে। এসিয়ানভুক্ত এই দশ দেশ সামরিক দিক থেকে নিতান্তই দুর্বল। তবে তাদের সকলেই কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনাকে গ্রহণ করেনি। অনেকেই এখানে চীনের ক্ষোভের মুখে পরতে চাইছে না। মালয়েশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সিঙ্গাপুরে বলেন, চীনের কোস্টগার্ডও আমাদের যুদ্ধজাহাজের থেকে বেশি শক্তিশালী।
যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোকে আশ্বস্ত করতে চাচ্ছে। কিন্তু ট্রামপ সরকারের পররাষ্ট্রনীতি সেটিকে সম্ভব করছে না। ইরানের সঙ্গে উত্তেজনার প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে অধিক মনোযোগী। বিশ্বজুড়ে চীনের উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহ থাকলেও, এশিয়ার বেশির ভাগ দেশই যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে কোনো পক্ষকেই বেছে নিতে আগ্রহী না। শানাহান এ বিষয়ে বলেন, আমার ধারণা তারা আস্তে আস্তে নিজেদের আত্মবিশ্বাস তৈরি করছে।
No comments