হাতুড়িপেটা by ইশতিয়াক পারভেজ
ইংলিশ
দর্শকদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাংলাদেশের সমর্থকরা মাঠে এসেছিলেন দারুণ আশা
নিয়ে। সোফিয়া গার্ডেন ভেন্যুতে প্রবেশের সময় থেকে ম্যাচ শুরুর আগ পর্যন্ত
বাংলাদেশ-বাংলাদেশ স্লোগানে গলা ফাটিয়েছেন টাইগারভক্তরা। কিন্তু টসে জিতে
ফিল্ডিং নেয়া টাইগারদের হতাশ করা বোলিংয়ে অনেকেই গ্যালারি ছেড়ে বাইরে চলে
যান। বার বার দর্শকরা বলছিলেন, ইশ! চারশ করবে আজ ইংল্যান্ড। কেউ বলছিলেন
এমন বাজে ফিল্ডিং হচ্ছে! কেউ বলছিলেন, টসে জিতে ওদের ব্যাটিংয়ে পাঠানোই
ভুল। আবার কারো কারো মন্তব্য বোলিংটাও হচ্ছে যাচ্ছে তাই! যদিও শেষ পর্যন্ত
চারশ ছুঁতে পারেনি ইংল্যান্ডের ইনিংস।। তবে রেকর্ড রানের বোঝা টাইগারদের
ঘাড়ে ঠিকই চাপিয়েছেন ইংলিশরা। ৬ উইকেট হারালেও স্কোর বোর্ডে জমা পড়ে ৩৮৬
রান।
বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ এটিই। আর বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষেও এটি দলীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ। এর আগে ২০১১ বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে ৩৩৮ রান করেছিল ইংল্যান্ড। এখন বেশ পিছনেই। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডেতে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর। এর আগে ২০০৫এ তারা করেছিলো ৩৯১ রান। বোলারদের বিবর্ণ বোলিংয়ের সুযোগে জেসন রয় একাই করেছেন ১৫৩ রান। সেই সঙ্গে বেয়ারস্টো ও জস বাটলার ছুঁয়েছেন ফিফটি।
কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেন স্টেডিয়ামে প্রবেশের পথেই বেশ কয়েকজন ইংলিশ দর্শক বললেন, ‘ইউরস লাকি গ্রাউন্ড।’ কেন সৌভাগ্যের মাঠ বলবে না তারা? এ মাঠেইতো প্রথমবার অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছিল টাইগাররা। শুধু কি তাই? চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও এখানে বাংলাদেশের শিকার হয় নিউজিল্যান্ড। এমন মাঠে নামার আগে ইংলিশ অধিনায়ক এউইন মরগানের মধ্যেও ছিল ভয়-শঙ্কা। তাই ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশকে হুমকিই মনে করেছিলেন তিনি। তবে মনে মনে হয়তো অপেক্ষায় ছিলেন নিজেদের মাঠে সুযোগ পেলেই ২০১১, ২০১৫ বিশ্বকাপে হারের প্রতিশোধ নেয়ার। তার সেই সুযোগটা বেশ ভালভাবেই করে দেয় টাইগারদের নখদন্তহীন বোলিং। আর নিজ দেশের মাটিতে একেবারে হাতুড়িপেটা দেয়া বাংলাদেশ দলকে। মাঠে বাজে ফিল্ডিংও ছিল চোখে পড়ার মতো। যা সুযোগ করে দেয় ইংলিশ ব্যাটম্যানদের অবাদে রানের চাকা ঘুরিয়ে নেয়ার। বল হাতে পেয়ে সাকিব এদিন ছিলেন একেবারেই বিবর্ণ। ১০ ওভারে খরচ করেছেন ৭১ রান। ১০ ওভারে মাশরাফির শিকার এক উইকেট তাও ৬৮ রান খরচ করে। ৯ ওভারে ২ উইকেট পেলেও সাইফুদ্দিনও বেশ খরুচে ছিলেন। তিনি দিয়েছেন ৭৮ রান। সমান ওভারে একই রান খরচ করে এদিন একেবারেই ব্যর্থ দলের ‘তুরুপের তাস’ মোস্তাফিজুর রহমান। মিরাজ দুই উইকেট নিলেও খরচ করেন ৬৭ রান। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দারুণ বল করা মোসাদ্দেক বল হাতে নিয়ে মাত্র ২ ওভারে দেন ২৪ রান। এমন বোলিংয়ের সুযোগটা ভালভাবেই নিয়েছে ইংল্যান্ড।
যদিও টসে হেরেও ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পেয়ে ইংল্যান্ডের শুরুটা ছিল সাবধানী। বাংলাদেশের সঙ্গে যেন ঝুঁকি নিতেই চাইছিলেন না তারা। অধিনায়ক মাশরাফি শুরুতেই বল তুলে দিয়েছিলেন দলের অন্যতম অস্ত্র সাকিবের হাতে। প্রথম ওভার করেছেন তিনি। শুরুতে রয়কে খানিকটা ভুগিয়েছেন সাকিব। আরেক পাশে মাশরাফির শুরুটাও ভালো ছিল। দুই ওপেনার শুরুর সময়টা কাটিয়েছেন কোন রকম তাড়াহুড়ো না করে। যার ফলও পেয়েছেন তারা। তাদের দারুণ ব্যাটিংয়ে ১৫ ওভারে ইংল্যান্ড পেরিয়ে যায় ১০০ রানের কোঠা। ১৯ ওভারে ১২৮ রানের জুটি গড়েন তারা। তবে সেই জুটি ভাঙেন দ্বিতীয় স্পেলে বল হাতে ফেরা টাইগার অধিনায়ক। তার বলে ৫০ রান করা বেয়ারস্টো, শর্ট কাভারে ক্যাচ দিলে তা দারুণ ক্ষিপ্রতায় লুফে নেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে অন্য পাশে তখন তাণ্ডব চালাতে শুরু করেছেন জেসন রয়। তার সঙ্গে দলের রানের সুরটা ভালভাবেই ধরেছিলেন জো রুট। কিন্তু ২৯ বলে ২১ রান করা রুটকে ফিরিয়ে দলে স্বস্তি ফেরান দারুণ বোলিং করতে থাকা সাইফউদ্দিন। তবে ততক্ষণে ২ উইকেট হারালেও ৩১.৩ ওভারেই ইংল্যান্ড স্কোর বোর্ডে ২০৫ রান তুলে ফেলেছে। এরপর থেকেই শুরু হয় ৪’শ’ ৪’শ রব। সেই দাবি আরো দিগুণ হয় যখন ৯২ বলে রয় সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। ৭৯ ওয়ানডেতে তার নবম সেঞ্চুরি। এরপর হয়ে উঠেন আরো ভয়ঙ্কর। সাকিবকে টানা তিন বলে মারেন দুই চার এক ছক্কা। মিরাজকে টানা তিন ছক্কায় দেড়শ পেরিয়ে যান ১২০ বলে। টানা চতুর্থ ছক্কার চেষ্টায় শেষ পর্যন্ত মিরাজকেই উইকেট দিয়ে আসেন রয়। তবে ইংল্যান্ডের রানের গতি ধরে রাখেন বাটলার। ব্যাটে ঝড় তুলে চতুর্থ উইকেটে বাটলার ও মরগান জুটিতে আসে ৬৫ বলে ৯৫ রান। তবে বাটলারকে ৬৪ রানে সাইফুদ্দিন ও ৩৫ রানে মরগানকে থামান মিরাজ। আশা ছিল কিছু কমেই থামানো। কিন্তু ওকস ৮ বলে ১৮ ও প্লাংকেট ৯ বলে ২৭ রানের ঝড় তুলে পৌঁছে যায় ৪’শর কাছাকাছি।
বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ এটিই। আর বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষেও এটি দলীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ। এর আগে ২০১১ বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে ৩৩৮ রান করেছিল ইংল্যান্ড। এখন বেশ পিছনেই। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডেতে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর। এর আগে ২০০৫এ তারা করেছিলো ৩৯১ রান। বোলারদের বিবর্ণ বোলিংয়ের সুযোগে জেসন রয় একাই করেছেন ১৫৩ রান। সেই সঙ্গে বেয়ারস্টো ও জস বাটলার ছুঁয়েছেন ফিফটি।
কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেন স্টেডিয়ামে প্রবেশের পথেই বেশ কয়েকজন ইংলিশ দর্শক বললেন, ‘ইউরস লাকি গ্রাউন্ড।’ কেন সৌভাগ্যের মাঠ বলবে না তারা? এ মাঠেইতো প্রথমবার অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছিল টাইগাররা। শুধু কি তাই? চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও এখানে বাংলাদেশের শিকার হয় নিউজিল্যান্ড। এমন মাঠে নামার আগে ইংলিশ অধিনায়ক এউইন মরগানের মধ্যেও ছিল ভয়-শঙ্কা। তাই ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশকে হুমকিই মনে করেছিলেন তিনি। তবে মনে মনে হয়তো অপেক্ষায় ছিলেন নিজেদের মাঠে সুযোগ পেলেই ২০১১, ২০১৫ বিশ্বকাপে হারের প্রতিশোধ নেয়ার। তার সেই সুযোগটা বেশ ভালভাবেই করে দেয় টাইগারদের নখদন্তহীন বোলিং। আর নিজ দেশের মাটিতে একেবারে হাতুড়িপেটা দেয়া বাংলাদেশ দলকে। মাঠে বাজে ফিল্ডিংও ছিল চোখে পড়ার মতো। যা সুযোগ করে দেয় ইংলিশ ব্যাটম্যানদের অবাদে রানের চাকা ঘুরিয়ে নেয়ার। বল হাতে পেয়ে সাকিব এদিন ছিলেন একেবারেই বিবর্ণ। ১০ ওভারে খরচ করেছেন ৭১ রান। ১০ ওভারে মাশরাফির শিকার এক উইকেট তাও ৬৮ রান খরচ করে। ৯ ওভারে ২ উইকেট পেলেও সাইফুদ্দিনও বেশ খরুচে ছিলেন। তিনি দিয়েছেন ৭৮ রান। সমান ওভারে একই রান খরচ করে এদিন একেবারেই ব্যর্থ দলের ‘তুরুপের তাস’ মোস্তাফিজুর রহমান। মিরাজ দুই উইকেট নিলেও খরচ করেন ৬৭ রান। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দারুণ বল করা মোসাদ্দেক বল হাতে নিয়ে মাত্র ২ ওভারে দেন ২৪ রান। এমন বোলিংয়ের সুযোগটা ভালভাবেই নিয়েছে ইংল্যান্ড।
যদিও টসে হেরেও ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পেয়ে ইংল্যান্ডের শুরুটা ছিল সাবধানী। বাংলাদেশের সঙ্গে যেন ঝুঁকি নিতেই চাইছিলেন না তারা। অধিনায়ক মাশরাফি শুরুতেই বল তুলে দিয়েছিলেন দলের অন্যতম অস্ত্র সাকিবের হাতে। প্রথম ওভার করেছেন তিনি। শুরুতে রয়কে খানিকটা ভুগিয়েছেন সাকিব। আরেক পাশে মাশরাফির শুরুটাও ভালো ছিল। দুই ওপেনার শুরুর সময়টা কাটিয়েছেন কোন রকম তাড়াহুড়ো না করে। যার ফলও পেয়েছেন তারা। তাদের দারুণ ব্যাটিংয়ে ১৫ ওভারে ইংল্যান্ড পেরিয়ে যায় ১০০ রানের কোঠা। ১৯ ওভারে ১২৮ রানের জুটি গড়েন তারা। তবে সেই জুটি ভাঙেন দ্বিতীয় স্পেলে বল হাতে ফেরা টাইগার অধিনায়ক। তার বলে ৫০ রান করা বেয়ারস্টো, শর্ট কাভারে ক্যাচ দিলে তা দারুণ ক্ষিপ্রতায় লুফে নেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে অন্য পাশে তখন তাণ্ডব চালাতে শুরু করেছেন জেসন রয়। তার সঙ্গে দলের রানের সুরটা ভালভাবেই ধরেছিলেন জো রুট। কিন্তু ২৯ বলে ২১ রান করা রুটকে ফিরিয়ে দলে স্বস্তি ফেরান দারুণ বোলিং করতে থাকা সাইফউদ্দিন। তবে ততক্ষণে ২ উইকেট হারালেও ৩১.৩ ওভারেই ইংল্যান্ড স্কোর বোর্ডে ২০৫ রান তুলে ফেলেছে। এরপর থেকেই শুরু হয় ৪’শ’ ৪’শ রব। সেই দাবি আরো দিগুণ হয় যখন ৯২ বলে রয় সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। ৭৯ ওয়ানডেতে তার নবম সেঞ্চুরি। এরপর হয়ে উঠেন আরো ভয়ঙ্কর। সাকিবকে টানা তিন বলে মারেন দুই চার এক ছক্কা। মিরাজকে টানা তিন ছক্কায় দেড়শ পেরিয়ে যান ১২০ বলে। টানা চতুর্থ ছক্কার চেষ্টায় শেষ পর্যন্ত মিরাজকেই উইকেট দিয়ে আসেন রয়। তবে ইংল্যান্ডের রানের গতি ধরে রাখেন বাটলার। ব্যাটে ঝড় তুলে চতুর্থ উইকেটে বাটলার ও মরগান জুটিতে আসে ৬৫ বলে ৯৫ রান। তবে বাটলারকে ৬৪ রানে সাইফুদ্দিন ও ৩৫ রানে মরগানকে থামান মিরাজ। আশা ছিল কিছু কমেই থামানো। কিন্তু ওকস ৮ বলে ১৮ ও প্লাংকেট ৯ বলে ২৭ রানের ঝড় তুলে পৌঁছে যায় ৪’শর কাছাকাছি।
No comments