পরিত্যক্ত ব্যাগ থেকে উদ্ধার সেই নবজাতক পেল মায়ের কোল
পরিত্যক্ত
ব্যাগ থেকে উদ্ধার হওয়া সেই নবজাতক মায়ের কোল পেয়েছে। গাজীপুর সিটি
করপোরেশনের পোড়াবাড়ী এলাকার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশ থেকে ওই নবজাতককে
কুড়িয়ে পাওয়া যায়।
ওই নবজাতককে দত্তক নিতে নিঃসন্তান দম্পতিসহ একাধিক ব্যক্তি জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কাছে আবেদন করেন। শেষ পর্যন্ত শিশুটির দায়িত্ব পান আক্তার হোসেন ও শিউলি দম্পতি। চিকিৎসা শেষে আজ রোববার তাঁদের কাছে নবজাতকটি হস্তান্তর করা হয়।
স্থানীয় লোকজন বলছেন, সমাজে ভালো-মন্দ দুই রকমের মানুষের বসবাস। তাদের মধ্যে কেউ কেউ একটু বেশিই নিষ্ঠুর। সেই নিষ্ঠুরতা থেকেই নিজের নবজাতককে রাস্তার পাশে ফেলে পালিয়ে গেছে। আবার দয়ালুরা সেই নবজাতককে কুড়িয়ে পেয়ে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করাচ্ছেন।
এলাকাবাসী, জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুরের পোড়াবাড়ী এলাকায় গত মঙ্গলবার (৪ জুন) রাতে একটি বাজারের ব্যাগে নবজাতক পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে স্থানীয় পোড়াবাড়ী এলাকার সফিকুল ইসলাম ওই রাস্তার পাশ দিয়ে হেঁটে বাসায় ফিরছিলেন। এ সময় পরিত্যক্ত এক ব্যাগ থেকে শিশুর কান্না শুনতে পান। পরে তিনি ব্যাগটিতে এক নবজাতক দেখতে পান। শিশুটি উদ্ধার করে স্থানীয় কাউন্সিলরের সহায়তায় গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে সফিকুল ইসলামের নিকটাত্মীয় শিউলি আক্তার নবজাতকটির সেবা করছেন। শিশুটিকে দত্তক নিতে নিঃসন্তান একাধিক ব্যক্তি আগ্রহ প্রকাশ করে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন জানান। পরে জেলা প্রশাসক দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর মহানগরীর মারিয়ালী এলাকার নিঃসন্তান মো. আক্তার হোসেন ও শিউলি আক্তার দম্পতিকে যথাযথ প্রক্রিয়ায় দত্তক দেওয়ার অনুমতি দেন।
সফিকুল ইসলাম জানান, প্রায় ১৬ বছর আগে আক্তার-শিউলির বিয়ে হয়। এখন পর্যন্ত তাঁদের কোনো সন্তান হয়নি। অনেক দিন ধরেই ওই দম্পতি দত্তক নেওয়ার জন্য বাচ্চা খুঁজছিলেন। শিশুটি পাওয়ার পর থেকেই শিউলি আক্তার হাসপাতালে বাচ্চাটির দেখাশোনা করছেন। এখন পর্যন্ত তার পরিচয় মেলেনি।
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর জানান, যথাযথ প্রক্রিয়ায় শিশুটিকে ওই পরিবারের কাছে দত্তক দেওয়া হয়েছে।
গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক প্রণয় ভূষণ দাস বলেন, প্রথম দিকে শিশুটিকে ভালো মনে হলেও বর্তমানে তার জন্ডিস ধরা পড়েছে। প্রয়োজন হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কিংবা শিশু হাসপাতালে পাঠানো হবে।
ওই নবজাতককে দত্তক নিতে নিঃসন্তান দম্পতিসহ একাধিক ব্যক্তি জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কাছে আবেদন করেন। শেষ পর্যন্ত শিশুটির দায়িত্ব পান আক্তার হোসেন ও শিউলি দম্পতি। চিকিৎসা শেষে আজ রোববার তাঁদের কাছে নবজাতকটি হস্তান্তর করা হয়।
স্থানীয় লোকজন বলছেন, সমাজে ভালো-মন্দ দুই রকমের মানুষের বসবাস। তাদের মধ্যে কেউ কেউ একটু বেশিই নিষ্ঠুর। সেই নিষ্ঠুরতা থেকেই নিজের নবজাতককে রাস্তার পাশে ফেলে পালিয়ে গেছে। আবার দয়ালুরা সেই নবজাতককে কুড়িয়ে পেয়ে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করাচ্ছেন।
এলাকাবাসী, জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুরের পোড়াবাড়ী এলাকায় গত মঙ্গলবার (৪ জুন) রাতে একটি বাজারের ব্যাগে নবজাতক পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে স্থানীয় পোড়াবাড়ী এলাকার সফিকুল ইসলাম ওই রাস্তার পাশ দিয়ে হেঁটে বাসায় ফিরছিলেন। এ সময় পরিত্যক্ত এক ব্যাগ থেকে শিশুর কান্না শুনতে পান। পরে তিনি ব্যাগটিতে এক নবজাতক দেখতে পান। শিশুটি উদ্ধার করে স্থানীয় কাউন্সিলরের সহায়তায় গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে সফিকুল ইসলামের নিকটাত্মীয় শিউলি আক্তার নবজাতকটির সেবা করছেন। শিশুটিকে দত্তক নিতে নিঃসন্তান একাধিক ব্যক্তি আগ্রহ প্রকাশ করে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন জানান। পরে জেলা প্রশাসক দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর মহানগরীর মারিয়ালী এলাকার নিঃসন্তান মো. আক্তার হোসেন ও শিউলি আক্তার দম্পতিকে যথাযথ প্রক্রিয়ায় দত্তক দেওয়ার অনুমতি দেন।
সফিকুল ইসলাম জানান, প্রায় ১৬ বছর আগে আক্তার-শিউলির বিয়ে হয়। এখন পর্যন্ত তাঁদের কোনো সন্তান হয়নি। অনেক দিন ধরেই ওই দম্পতি দত্তক নেওয়ার জন্য বাচ্চা খুঁজছিলেন। শিশুটি পাওয়ার পর থেকেই শিউলি আক্তার হাসপাতালে বাচ্চাটির দেখাশোনা করছেন। এখন পর্যন্ত তার পরিচয় মেলেনি।
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর জানান, যথাযথ প্রক্রিয়ায় শিশুটিকে ওই পরিবারের কাছে দত্তক দেওয়া হয়েছে।
গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক প্রণয় ভূষণ দাস বলেন, প্রথম দিকে শিশুটিকে ভালো মনে হলেও বর্তমানে তার জন্ডিস ধরা পড়েছে। প্রয়োজন হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কিংবা শিশু হাসপাতালে পাঠানো হবে।
No comments