তীব্র পানি সংকটে অচল হয়ে পড়েছে চেন্নাই
তীব্র
পানি সংকটে ভুগছে চেন্নাইবাসী। সম্পূর্ণভাবে শুকিয়ে গেছে ভারতের ষষ্ঠ
জনবহুল শহরটির প্রধান চারটি জলাধার। প্রকট এই সংকট সমাধানে জরুরি সমাধান
খুঁজছে শহর কর্তৃপক্ষ। তবে এখনো পর্যন্ত তেমন কোনো আশা জাগানিয়া পদক্ষেপ
নিতে পারেনি তারা। কর্মকর্তারা বলছেন, বর্তমানে চেন্নাইকে এই সংকট থেকে
বাঁচাতে পারে কেবলমাত্র বৃষ্টি। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
খবরে বলা হয়, ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, ভারতের ষষ্ঠ জনবহুল শহর চেন্নাই। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই সেখানে চলছে এই পানি সংকট। শহরবাসীকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সরকারি ট্যাংক থেকে পানি পাওয়ার আশায় দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে।
পানির অভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বহু রেস্টুরেন্ট।
শহরের জলাধারগুলো যখন শুকাতে শুরু করে তখনই সাময়িকভাবে বন্ধ কর দেয়া হয় ব হু হোটেল ও রেস্টুরেন্ট। এ ছাড়া, রেলস্টেশনগুলোতে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এয়ারকন্ডিশন ব্যবস্থা। পানি খরচ কমাতে অনেক অফিসের কর্মীদের বাড়িতে বসেই কাজ করতে বলা হয়েছে।
চেন্নাইয়ের আইটি কর্মীদের এক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিনোথ কালিগাই জানিয়েছেন, বেশকিছু সংস্থা তাদের কর্মীদের বাড়িতে বসে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছে। তিনি বলেন, কিন্তু বাড়িতেও ফুরিয়ে আসছে পানি সরবরাহ। এখন আমরা কী করতে পারি? এদিকে, পানি সংকট শহরের বাসিন্দাদের ধৈর্য্যের পরীক্ষাও নিচ্ছে। প্রায়ই সহিংসতার খবর মিলছে। ঘটেছে খুনের ঘটনাও। পুলিশ জানিয়েছে, গত সপ্তাহে শহরের এক এলাকায় পানি বণ্টন নিয়ে দুই প্রতিবেশীর মধ্যে এক ঝগড়ার ঘটনা ঘটে। এতে এক ব্যক্তি তার প্রতিবেশীকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে। ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
কর্মকর্তারা পানির বিকল্প উৎস খুঁজে বের করার চেষ্টা চালাচ্ছেন, তবে এখনো সফলতার মুখ দেখেন নি। ছোট ছোট কূপ থেকে পানি উত্তোলন করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। খনন করা হচ্ছে নতুন কূপ। তবে জলাধার শুকিয়ে যাওয়ায় ও পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় উদ্বেগ বেড়েই চলেছে। স্থানীয় সমাজকর্মী নাকীরান বলেন, এই অবস্থার উন্নতি একমাত্র ভূ-জল বৃদ্ধির মাধ্যমের সম্ভব। পূর্বেও আমরা শুষ্ক মৌসুম পার করেছি। তখন ভূ-জলই আমাদের একমাত্র ভরসা ছিল। এদিকে, এই সংকট চেন্নাইয়ের পানি বিভাগের ওপর চাপ বৃদ্ধি করেছে। পুরো শহরজুড়ে তারা পানি বিতরণ করছে। কিন্তু এমনটা কতদিন সম্ভব তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন কর্মকর্তারা। এক কর্মকর্তা জানান, ধ্বংসযজ্ঞ কেবল শুরু হয়েছে। এ বছর যদি পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হয় তাহলে আমরা পুরোপুরি শেষ হয়ে যাবো।
খবরে বলা হয়, ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, ভারতের ষষ্ঠ জনবহুল শহর চেন্নাই। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই সেখানে চলছে এই পানি সংকট। শহরবাসীকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সরকারি ট্যাংক থেকে পানি পাওয়ার আশায় দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে।
পানির অভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বহু রেস্টুরেন্ট।
শহরের জলাধারগুলো যখন শুকাতে শুরু করে তখনই সাময়িকভাবে বন্ধ কর দেয়া হয় ব হু হোটেল ও রেস্টুরেন্ট। এ ছাড়া, রেলস্টেশনগুলোতে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এয়ারকন্ডিশন ব্যবস্থা। পানি খরচ কমাতে অনেক অফিসের কর্মীদের বাড়িতে বসেই কাজ করতে বলা হয়েছে।
চেন্নাইয়ের আইটি কর্মীদের এক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিনোথ কালিগাই জানিয়েছেন, বেশকিছু সংস্থা তাদের কর্মীদের বাড়িতে বসে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছে। তিনি বলেন, কিন্তু বাড়িতেও ফুরিয়ে আসছে পানি সরবরাহ। এখন আমরা কী করতে পারি? এদিকে, পানি সংকট শহরের বাসিন্দাদের ধৈর্য্যের পরীক্ষাও নিচ্ছে। প্রায়ই সহিংসতার খবর মিলছে। ঘটেছে খুনের ঘটনাও। পুলিশ জানিয়েছে, গত সপ্তাহে শহরের এক এলাকায় পানি বণ্টন নিয়ে দুই প্রতিবেশীর মধ্যে এক ঝগড়ার ঘটনা ঘটে। এতে এক ব্যক্তি তার প্রতিবেশীকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে। ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
কর্মকর্তারা পানির বিকল্প উৎস খুঁজে বের করার চেষ্টা চালাচ্ছেন, তবে এখনো সফলতার মুখ দেখেন নি। ছোট ছোট কূপ থেকে পানি উত্তোলন করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। খনন করা হচ্ছে নতুন কূপ। তবে জলাধার শুকিয়ে যাওয়ায় ও পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় উদ্বেগ বেড়েই চলেছে। স্থানীয় সমাজকর্মী নাকীরান বলেন, এই অবস্থার উন্নতি একমাত্র ভূ-জল বৃদ্ধির মাধ্যমের সম্ভব। পূর্বেও আমরা শুষ্ক মৌসুম পার করেছি। তখন ভূ-জলই আমাদের একমাত্র ভরসা ছিল। এদিকে, এই সংকট চেন্নাইয়ের পানি বিভাগের ওপর চাপ বৃদ্ধি করেছে। পুরো শহরজুড়ে তারা পানি বিতরণ করছে। কিন্তু এমনটা কতদিন সম্ভব তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন কর্মকর্তারা। এক কর্মকর্তা জানান, ধ্বংসযজ্ঞ কেবল শুরু হয়েছে। এ বছর যদি পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হয় তাহলে আমরা পুরোপুরি শেষ হয়ে যাবো।
No comments