আল কায়দার নয়া কৌশল
বিশ্বে
সবচেয়ে বড় আতঙ্কের নাম আল কায়েদা। তারা ২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্রে ভয়াবহ হামলা চালিয়ে
কাঁপিয়ে দিয়েছিল সারা দুনিয়া। সেই থেকে আলোচনায় আল কায়েদা। এর প্রধান নিহত
জঙ্গিনেতা ওসামা বিন লাদেন। তিনিই এর প্রতিষ্ঠাতা। এখন থেকে আট বছর আগে
তিনি যুক্তরাষ্ট্রে নেভি সিলের অভিযানে নিহত হন পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদ
শহরে। আল কায়েদায় এক সময় হাজার হাজার যোদ্ধা ছিল। এ সংগঠনকে বর্ণনা করা হতো
সবচেয়ে ভয়ঙ্কর জিহাদি সংগঠন বলে। তবে ওসামা বিন লাদেন নিহত হওয়ার পর আস্তে
আস্তে ক্ষয়ে এসেছে এ সংগঠনের শক্তি, ক্ষমতা। পাশাপাশি উত্থান ঘটেছে আরেক
ভয়ঙ্কর জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট বা আইএস। সম্প্রতি আল কায়েদা যতটুকু
আলোচনায় তার চেয়ে বেশি আলোচনায় এই আইএস। এ নিয়ে যখন সারাবিশ্বে লেখালেখি
হচ্ছে তখন আল কায়েদা নতুন করে সংগঠিত হওয়ার কৌশল অবলম্বন করেছে। তারা সমমনা
আঞ্চলিক জোটগুলোর সঙ্গে জোট তৈরি করছে। এর মধ্য দিয়ে তারা নিঃশব্দে ফিরে
আসছে বলে এক প্রতিবেদনে বলেছে অনলাইন বিবিসি।
এতে বলা হয়, এ বিষয়ে সম্প্রতি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ইউএস ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স জোট। তাতে বলা হয়েছে, বিশ্বজুড়ে সংগঠনের কাঠামো জোরদার করছেন আল কায়েদার শীর্ষ নেতারা। তারা মানুষকে উদ্বুদ্ধ করছে পশ্চিমা দেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে হামলা চালাতে। বিবিসি লিখেছে, বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাসের হুমকির ওপর জাতিসংঘ এ বছরের গোড়ার দিকে একটি রিপোর্টে বলছে, আল-কায়েদা ‘আগের চেয়েও বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠছে, সংগঠনটি এখনও অনেক অঞ্চলে তৎপর রয়েছে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এটা নিজেকে আরো বেশি করে পরিচিত করতে চাইছে।’ এ ছাড়া ফেব্রুয়ারি মাসে বৃটেনের গোয়েন্দা প্রধান অ্যালেক্স ইয়াংও আল-কায়েদার পুনরুত্থানের ব্যাপারে হুঁশিয়ারি জানিয়েছিলেন।
কেমন করে সংগঠিত হচ্ছে আল কায়েদা: আল কায়েদা নতুন কৌশলে সংগঠিত হচ্ছে। এর কারণ একদিনে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমাগত ড্রোন হামলা, শীর্ষ নেতাদের হত্যা ও আইএস গোষ্ঠীর চ্যালেঞ্জ। এ জন্য তারা বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে সহযোগী সংগঠনের মাধ্যমে অগ্রসর হচ্ছে। এ জন্য বেছে নিয়েছে আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য, পূর্ব ও দক্ষিণ এশিয়া। বিবিসি লিখেছে, এই সহযোগী সংগঠনগুলো হচ্ছে স্থানীয় পর্যায়ের কিছু জঙ্গি দল যারা কোনো দেশের মধ্যে গোপনে তৎপর এবং যারা আল কায়েদার নেতৃত্বের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেছে। আইএস যেমনটা করছে, আল কায়েদা কখনই স্থানীয় জনগণের সাথে দূরত্ব সৃষ্টি করেনি। এর নতুন একটি কৌশল হচ্ছে স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলা এবং সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মসূচিতে আত্মনিয়োগ করা। ২০১৩ সালে আল কায়েদা যে ‘জিহাদের সাধারণ নিয়মাবলী’ প্রকাশ করেছিল তাতে সংগঠনের মধ্যে ব্যাপক সংস্কার কর্মসূচি চালু করা হয়েছিল। অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে ওই দলিলে আরো বেশি সংযত আচরণের কথা বলা হয়েছিল এবং সমাজকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করার কথা বলা হয়েছিল। তাদের যোদ্ধাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল তারা এমন কিছু যেন না করে ‘যাতে তাদের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান শুরু হয়। আল কায়েদা এখন দুর্নীতি আর পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে সাহায্য করার মতো বিষয়ের দিকে নজর দিচ্ছে’- বলছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পেমব্রোক কলেজের শিক্ষক ড. এলিজাবেথ কেনডাল, ‘বিশ্বব্যাপী জিহাদের এজেন্ডায় তারা এসব বিষয় ঢুকিয়ে দিয়েছে।’ ‘এর মধ্য দিয়ে তারা স্থানীয়ভাবে মানুষের সামনে ‘উদ্ধারকর্তা’ হিসেবে হাজির হচ্ছে এবং আইএস-এর নিষ্ঠুরতার বিপরীতে ‘ভাল জিহাদি’ হিসেবে নিজেদের অবস্থান তৈরি করছে।’ বিবিসি বলছে দ্য আর্মড কনফ্লিক্ট লোকেশন অ্যান্ড ইভেন্ট ডাটা অনুযায়ী, ২০১৮ সালে আল-কায়েদা তার সহযোগী সংগঠনগুলোর মাধ্যমে বিশ্বের নানা দেশে মোট ৩১৬টি হামলা পরিচালনা করেছিল। ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় আল কায়েদা ইন দ্যা ইসলামিক মাগরেব (একিউআইএম)। আলজেরিয়া ভিত্তিক একটি জঙ্গি দল এটা চালু করে। আলজেরিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী এই গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করলে এটি সাহেল এবং পশ্চিম আফ্রিকার দিকে সরে যায়।
আল কায়েদা ইন দ্যা অ্যারাবিক পেনিনসুলা (একিউএপি) প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০৯ সালে। ইয়েমেন এবং সৌদি আরবে তৎপর দুটি আন্তর্জাতিক জিহাদি নেটওয়ার্ক এক হয়ে এই সংগঠনটির জন্ম দেয়।
বিবিসি লিখেছে, আল-কায়েদা ইন দ্য ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্ট (একিউআইএস) আফগানিস্তান, পাকিস্তান, ভারত, মিয়ানমার এবং বাংলাদেশে তৎপর। এটি ২০১৪ সালে সেপ্টেম্বর মাসে প্রতিষ্ঠিত হয়।
জামায়াত নুসরাত আল-ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন (জেএনআইএম) আল-কায়েদার একটি সহযোগী সংগঠন। মালি এবং পশ্চিম আফ্রিকার কয়েকটি জঙ্গি সংগঠন মিলে এটি তৈরি করেছে।
আল-শাবাব সোমালিয়া এবং পূর্ব আফ্রিকাতে তৎপর। এটি ২০১২ সালে আল কায়েদার প্রতি আনুগত্য স্বীকার করেছে।
হায়াত তাহ্?রির আল-শাম (এইচটিএস) তৈরি হয়েছে সিরিয়ার কয়েকটি জঙ্গি গোষ্ঠীর সমন্বয়ে। এইচটিএস এখন উত্তর সিরিয়ার ইডলিব প্রদেশ নিয়ন্ত্রণ করছে।
আল-কায়েদা ইন ইজিপ্ট মিশরের সিনাই মালভূমিতে সক্রিয়। আল-কায়েদার সমর্থক বেশ কয়েকটি দল মিলে এই গোষ্ঠীটি তৈরি হয়েছে।
ভবিষ্যতের নেতৃত্ব?
গত ২০১৫ সালে আল-কায়েদার বর্তমান নেতা আইমান আল-জাওয়াহিরি এক তরুণকে বিন-লাদেনের সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কের গোষ্ঠী থেকে আসা ‘একটি সিংহ’ হিসেবে সবার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। ওই তরুণের নাম হামজা বিন লাদেন। তিনি ওসামা বিন লাদেনের এক ছেলে। মনে করা হচ্ছে তিনিই আল-কায়েদার ভবিষ্যৎ নেতা। মার্কিন সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে হামজাকে বিশ্ব সন্ত্রাসী হিসেবে ঘোষণা করেছে এবং তাকে ধরিয়ে দেয়ার জন্য সর্বোচ্চ ১০ লাখ ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছে। আল কায়েদাপন্থি ওয়েবসাইটগুলোতে ৩০-বছর বয়সী হামজা বিন লাদেনকে উঠতি তারকা হিসেবে বর্ণনা করা হচ্ছে। লন্ডনে গবেষণা প্রতিষ্ঠান চ্যাথাম হাউজের লিনা খতিবের মতে, ‘আইএস খিলাফতের পতনের পর আল কায়েদা তাদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে নতুন করে চিন্তাভাবনা করছে। তারা এখন বেশি নির্ভর করছে এমন এক নেতার ওপর যিনি কৌশলে দক্ষ। আল-কায়েদার নেতার পদে তার বাবার উত্তরসূরি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে এটা হামজাকে বেশ সাহায্য করছে।’
এতে বলা হয়, এ বিষয়ে সম্প্রতি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ইউএস ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স জোট। তাতে বলা হয়েছে, বিশ্বজুড়ে সংগঠনের কাঠামো জোরদার করছেন আল কায়েদার শীর্ষ নেতারা। তারা মানুষকে উদ্বুদ্ধ করছে পশ্চিমা দেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে হামলা চালাতে। বিবিসি লিখেছে, বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাসের হুমকির ওপর জাতিসংঘ এ বছরের গোড়ার দিকে একটি রিপোর্টে বলছে, আল-কায়েদা ‘আগের চেয়েও বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠছে, সংগঠনটি এখনও অনেক অঞ্চলে তৎপর রয়েছে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এটা নিজেকে আরো বেশি করে পরিচিত করতে চাইছে।’ এ ছাড়া ফেব্রুয়ারি মাসে বৃটেনের গোয়েন্দা প্রধান অ্যালেক্স ইয়াংও আল-কায়েদার পুনরুত্থানের ব্যাপারে হুঁশিয়ারি জানিয়েছিলেন।
কেমন করে সংগঠিত হচ্ছে আল কায়েদা: আল কায়েদা নতুন কৌশলে সংগঠিত হচ্ছে। এর কারণ একদিনে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমাগত ড্রোন হামলা, শীর্ষ নেতাদের হত্যা ও আইএস গোষ্ঠীর চ্যালেঞ্জ। এ জন্য তারা বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে সহযোগী সংগঠনের মাধ্যমে অগ্রসর হচ্ছে। এ জন্য বেছে নিয়েছে আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য, পূর্ব ও দক্ষিণ এশিয়া। বিবিসি লিখেছে, এই সহযোগী সংগঠনগুলো হচ্ছে স্থানীয় পর্যায়ের কিছু জঙ্গি দল যারা কোনো দেশের মধ্যে গোপনে তৎপর এবং যারা আল কায়েদার নেতৃত্বের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেছে। আইএস যেমনটা করছে, আল কায়েদা কখনই স্থানীয় জনগণের সাথে দূরত্ব সৃষ্টি করেনি। এর নতুন একটি কৌশল হচ্ছে স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলা এবং সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মসূচিতে আত্মনিয়োগ করা। ২০১৩ সালে আল কায়েদা যে ‘জিহাদের সাধারণ নিয়মাবলী’ প্রকাশ করেছিল তাতে সংগঠনের মধ্যে ব্যাপক সংস্কার কর্মসূচি চালু করা হয়েছিল। অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে ওই দলিলে আরো বেশি সংযত আচরণের কথা বলা হয়েছিল এবং সমাজকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করার কথা বলা হয়েছিল। তাদের যোদ্ধাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল তারা এমন কিছু যেন না করে ‘যাতে তাদের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান শুরু হয়। আল কায়েদা এখন দুর্নীতি আর পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে সাহায্য করার মতো বিষয়ের দিকে নজর দিচ্ছে’- বলছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পেমব্রোক কলেজের শিক্ষক ড. এলিজাবেথ কেনডাল, ‘বিশ্বব্যাপী জিহাদের এজেন্ডায় তারা এসব বিষয় ঢুকিয়ে দিয়েছে।’ ‘এর মধ্য দিয়ে তারা স্থানীয়ভাবে মানুষের সামনে ‘উদ্ধারকর্তা’ হিসেবে হাজির হচ্ছে এবং আইএস-এর নিষ্ঠুরতার বিপরীতে ‘ভাল জিহাদি’ হিসেবে নিজেদের অবস্থান তৈরি করছে।’ বিবিসি বলছে দ্য আর্মড কনফ্লিক্ট লোকেশন অ্যান্ড ইভেন্ট ডাটা অনুযায়ী, ২০১৮ সালে আল-কায়েদা তার সহযোগী সংগঠনগুলোর মাধ্যমে বিশ্বের নানা দেশে মোট ৩১৬টি হামলা পরিচালনা করেছিল। ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় আল কায়েদা ইন দ্যা ইসলামিক মাগরেব (একিউআইএম)। আলজেরিয়া ভিত্তিক একটি জঙ্গি দল এটা চালু করে। আলজেরিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী এই গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করলে এটি সাহেল এবং পশ্চিম আফ্রিকার দিকে সরে যায়।
আল কায়েদা ইন দ্যা অ্যারাবিক পেনিনসুলা (একিউএপি) প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০৯ সালে। ইয়েমেন এবং সৌদি আরবে তৎপর দুটি আন্তর্জাতিক জিহাদি নেটওয়ার্ক এক হয়ে এই সংগঠনটির জন্ম দেয়।
বিবিসি লিখেছে, আল-কায়েদা ইন দ্য ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্ট (একিউআইএস) আফগানিস্তান, পাকিস্তান, ভারত, মিয়ানমার এবং বাংলাদেশে তৎপর। এটি ২০১৪ সালে সেপ্টেম্বর মাসে প্রতিষ্ঠিত হয়।
জামায়াত নুসরাত আল-ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন (জেএনআইএম) আল-কায়েদার একটি সহযোগী সংগঠন। মালি এবং পশ্চিম আফ্রিকার কয়েকটি জঙ্গি সংগঠন মিলে এটি তৈরি করেছে।
আল-শাবাব সোমালিয়া এবং পূর্ব আফ্রিকাতে তৎপর। এটি ২০১২ সালে আল কায়েদার প্রতি আনুগত্য স্বীকার করেছে।
হায়াত তাহ্?রির আল-শাম (এইচটিএস) তৈরি হয়েছে সিরিয়ার কয়েকটি জঙ্গি গোষ্ঠীর সমন্বয়ে। এইচটিএস এখন উত্তর সিরিয়ার ইডলিব প্রদেশ নিয়ন্ত্রণ করছে।
আল-কায়েদা ইন ইজিপ্ট মিশরের সিনাই মালভূমিতে সক্রিয়। আল-কায়েদার সমর্থক বেশ কয়েকটি দল মিলে এই গোষ্ঠীটি তৈরি হয়েছে।
ভবিষ্যতের নেতৃত্ব?
গত ২০১৫ সালে আল-কায়েদার বর্তমান নেতা আইমান আল-জাওয়াহিরি এক তরুণকে বিন-লাদেনের সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কের গোষ্ঠী থেকে আসা ‘একটি সিংহ’ হিসেবে সবার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। ওই তরুণের নাম হামজা বিন লাদেন। তিনি ওসামা বিন লাদেনের এক ছেলে। মনে করা হচ্ছে তিনিই আল-কায়েদার ভবিষ্যৎ নেতা। মার্কিন সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে হামজাকে বিশ্ব সন্ত্রাসী হিসেবে ঘোষণা করেছে এবং তাকে ধরিয়ে দেয়ার জন্য সর্বোচ্চ ১০ লাখ ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছে। আল কায়েদাপন্থি ওয়েবসাইটগুলোতে ৩০-বছর বয়সী হামজা বিন লাদেনকে উঠতি তারকা হিসেবে বর্ণনা করা হচ্ছে। লন্ডনে গবেষণা প্রতিষ্ঠান চ্যাথাম হাউজের লিনা খতিবের মতে, ‘আইএস খিলাফতের পতনের পর আল কায়েদা তাদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে নতুন করে চিন্তাভাবনা করছে। তারা এখন বেশি নির্ভর করছে এমন এক নেতার ওপর যিনি কৌশলে দক্ষ। আল-কায়েদার নেতার পদে তার বাবার উত্তরসূরি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে এটা হামজাকে বেশ সাহায্য করছে।’
No comments