দ্রুত পানিশূণ্য হয়ে পড়ছে ভারত
রাজধানী
নয়াদিল্লী, ব্যাঙ্গালুরু, চেন্নাই এবং হায়দ্রাবাদসহ ভারতের অন্তত ২১টি
শহরে ২০২০ সালের মধ্যে ভূ-গর্ভস্থ পানি শেষ হয়ে যাবে। এর ফলে পানি সঙ্কটের
মুখে পড়বে প্রায় ১০০ মিলিয়ন মানুষ।
ভারতের নিউজ নেটওয়ার্ক এনডিটিভি জানিয়েছে, ২০৩০ সাল নাগাদ ভারতের জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ খাবার পানি পাবে না। দেশের প্রধান পরিকল্পনা সংস্থা – ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট ফর ট্রান্সফর্মিং ইন্ডিয়ার (নিতি আয়োগ) এক রিপোর্টে এ তথ্য দেয়া হয়েছে।
পরিবেশ পরিবর্তনের ব্যপারে অন্যতম একটা উদ্বেগজনক ভবিষ্যদ্বানী হলো দক্ষিণ এশিয়ায় বৃষ্টিপাতের হার কমে যাবে। গত পাঁচ বছরে, এ অঞ্চলে বৃষ্টিপাত গড়ের চেয়ে কমে গেছে। ২০১৫ সালে সর্বোচ্চ ৮৬ শতাংশ কম হয়েছে।
এ বছরের বর্ষা মওসুম বিলম্বিত হওয়ায় উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। প্রলম্বিত তাপপ্রবাহের কারণে পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। অন্ধ প্রদেশ থেকে নিয়ে বিহার পর্যন্ত মওসুমি মেঘের বিলম্বের কারণে প্রতিদিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি রয়েছে।
চেন্নাইয়ে পানি নেই
তামিল নাড়ুর চেন্নাই শহর এখন কার্যত পানিশূণ্য। গত ১০ দিনের মধ্যে নয়দিনই এখানকার তাপমাত্রা ছিল ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে। ১০ জুন তামপাত্রা ছিল ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জুনে এই শহরের গড় তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি এবং সর্বোচ্চ রেকর্ড হলো ৪৩.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দক্ষিণ তামিল নাড়ুতে বহু মিলিয়ন মানুষকে পানিবাহী ট্রাকের উপর ভরসা করতে হচ্ছে। এই রাজ্যে গত বছর মওসুমী বৃষ্টিপাত ৬২ শতাংশ কম হয়েছে।
তামিল নাড়ুর মৎস মন্ত্রী ডি জয়কুমার বলেছেন, ধারাবাহিক বৃষ্টিপাতের ঘাটতির কারণে যে শূণ্যতা তৈরি হয়েছে, সেটা পূরণের চেষ্টা করছে সরকার। তিনি বলেন, উত্তরপূর্বাঞ্চলের মওসুম পর্যন্ত সরকার এই সঙ্কট সামলাতে পারবে। এই মওসুমে অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজ্য বৃষ্টিপাত হয়।
মন্ত্রী বলেন, চেন্নাইয়ের বিভিন্ন জায়গায় ৪০০টি পানির গাড়ি ৯০০০ ট্রিপ দিয়ে পানি সরবরাহ করছে। তিনি বলেন, “এমন একটা সময়, যখন এমনকি প্রকৃতিও তাদের সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে না, সেখানে আমরা মেত্তুর থেকে নিয়ে ভিরানাম পর্যন্ত বিভিন্ন লেক থেকে এক হাজার মিলিয়ন ঘনফুট পানি তুলছি এবং সেখান থেকেই শহরে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে”।
২০১৭ সালে উত্তরপূর্ব মওসুমের বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় এবং ২০১৮ সালে এক মওসুমে বৃষ্টিপাত প্রায় না হওয়ায় ভূ-গর্ভস্থ পানির লেভেল অনেক নেমে গেছে এবং বড় বড় পানির উৎসগুলো প্রায় শুকিয়ে গেছে। চেন্নাইয়ের আশেপাশের চারটি প্রধান লেক – চেম্বারাম্বাক্কাম, পুনডি, রেড হিলস ও শোলাভারাম – সবগুলোই প্রায় শুকিয়ে গেছে।
ভারতের জনসংখ্যার ৭০ শতাংশই কৃষির উপর নির্ভর করে। জমি চাষের জন্য যে পানির দরকার, এর মধ্যে ৭৫ শতাংশই আসে দক্ষিণপশ্চিম মওসুম থেকে। রিজার্ভগুলোতে যে পানি সংরক্ষণ করা হয়, সেটা চাষের জন্য এবং পানের জন্য যথেষ্ট হচ্ছে না এবং নলকূপ বসিয়ে পানি উঠানোটা এখন নিয়মিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নতুন পানি সঙ্কট মন্ত্রণালয়
ক্রমবর্ধমান পানি সঙ্কট মেটানোর জন্য ভারত সরকার নতুন একটা মন্ত্রণালয় গঠন করেছে। দেশের ১.৩ বিলিয়ন জনসংখ্যার মধ্যে ৬০ শতাংশেরও বেশি মানুষ খামার ও মওসুমি বৃষ্টির উপর নির্ভরশীল।
ভারতের প্রেসিডেন্ট রাম নাথ কোভিন্দ বলেছেন, নতুন গঠিত মিনিস্ট্রি অব ওয়াটার পাওয়ার পানি সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করবে। রয়টার্স বার্তা সংস্থা বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছে।
কোভিন্দ পার্লামেন্টকে জানিয়েছেন যে, পানি সংরক্ষণের প্রথাগত সিস্টেম হারিয়ে গেছে কারণ পুকুর ও লেকগুলো বাড়ি নির্মাণের জন্য ভরাট করা হয়েছে।
ভারতের নিউজ নেটওয়ার্ক এনডিটিভি জানিয়েছে, ২০৩০ সাল নাগাদ ভারতের জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ খাবার পানি পাবে না। দেশের প্রধান পরিকল্পনা সংস্থা – ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট ফর ট্রান্সফর্মিং ইন্ডিয়ার (নিতি আয়োগ) এক রিপোর্টে এ তথ্য দেয়া হয়েছে।
পরিবেশ পরিবর্তনের ব্যপারে অন্যতম একটা উদ্বেগজনক ভবিষ্যদ্বানী হলো দক্ষিণ এশিয়ায় বৃষ্টিপাতের হার কমে যাবে। গত পাঁচ বছরে, এ অঞ্চলে বৃষ্টিপাত গড়ের চেয়ে কমে গেছে। ২০১৫ সালে সর্বোচ্চ ৮৬ শতাংশ কম হয়েছে।
এ বছরের বর্ষা মওসুম বিলম্বিত হওয়ায় উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। প্রলম্বিত তাপপ্রবাহের কারণে পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। অন্ধ প্রদেশ থেকে নিয়ে বিহার পর্যন্ত মওসুমি মেঘের বিলম্বের কারণে প্রতিদিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি রয়েছে।
চেন্নাইয়ে পানি নেই
তামিল নাড়ুর চেন্নাই শহর এখন কার্যত পানিশূণ্য। গত ১০ দিনের মধ্যে নয়দিনই এখানকার তাপমাত্রা ছিল ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে। ১০ জুন তামপাত্রা ছিল ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জুনে এই শহরের গড় তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি এবং সর্বোচ্চ রেকর্ড হলো ৪৩.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দক্ষিণ তামিল নাড়ুতে বহু মিলিয়ন মানুষকে পানিবাহী ট্রাকের উপর ভরসা করতে হচ্ছে। এই রাজ্যে গত বছর মওসুমী বৃষ্টিপাত ৬২ শতাংশ কম হয়েছে।
তামিল নাড়ুর মৎস মন্ত্রী ডি জয়কুমার বলেছেন, ধারাবাহিক বৃষ্টিপাতের ঘাটতির কারণে যে শূণ্যতা তৈরি হয়েছে, সেটা পূরণের চেষ্টা করছে সরকার। তিনি বলেন, উত্তরপূর্বাঞ্চলের মওসুম পর্যন্ত সরকার এই সঙ্কট সামলাতে পারবে। এই মওসুমে অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজ্য বৃষ্টিপাত হয়।
মন্ত্রী বলেন, চেন্নাইয়ের বিভিন্ন জায়গায় ৪০০টি পানির গাড়ি ৯০০০ ট্রিপ দিয়ে পানি সরবরাহ করছে। তিনি বলেন, “এমন একটা সময়, যখন এমনকি প্রকৃতিও তাদের সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে না, সেখানে আমরা মেত্তুর থেকে নিয়ে ভিরানাম পর্যন্ত বিভিন্ন লেক থেকে এক হাজার মিলিয়ন ঘনফুট পানি তুলছি এবং সেখান থেকেই শহরে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে”।
২০১৭ সালে উত্তরপূর্ব মওসুমের বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় এবং ২০১৮ সালে এক মওসুমে বৃষ্টিপাত প্রায় না হওয়ায় ভূ-গর্ভস্থ পানির লেভেল অনেক নেমে গেছে এবং বড় বড় পানির উৎসগুলো প্রায় শুকিয়ে গেছে। চেন্নাইয়ের আশেপাশের চারটি প্রধান লেক – চেম্বারাম্বাক্কাম, পুনডি, রেড হিলস ও শোলাভারাম – সবগুলোই প্রায় শুকিয়ে গেছে।
ভারতের জনসংখ্যার ৭০ শতাংশই কৃষির উপর নির্ভর করে। জমি চাষের জন্য যে পানির দরকার, এর মধ্যে ৭৫ শতাংশই আসে দক্ষিণপশ্চিম মওসুম থেকে। রিজার্ভগুলোতে যে পানি সংরক্ষণ করা হয়, সেটা চাষের জন্য এবং পানের জন্য যথেষ্ট হচ্ছে না এবং নলকূপ বসিয়ে পানি উঠানোটা এখন নিয়মিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নতুন পানি সঙ্কট মন্ত্রণালয়
ক্রমবর্ধমান পানি সঙ্কট মেটানোর জন্য ভারত সরকার নতুন একটা মন্ত্রণালয় গঠন করেছে। দেশের ১.৩ বিলিয়ন জনসংখ্যার মধ্যে ৬০ শতাংশেরও বেশি মানুষ খামার ও মওসুমি বৃষ্টির উপর নির্ভরশীল।
ভারতের প্রেসিডেন্ট রাম নাথ কোভিন্দ বলেছেন, নতুন গঠিত মিনিস্ট্রি অব ওয়াটার পাওয়ার পানি সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করবে। রয়টার্স বার্তা সংস্থা বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছে।
কোভিন্দ পার্লামেন্টকে জানিয়েছেন যে, পানি সংরক্ষণের প্রথাগত সিস্টেম হারিয়ে গেছে কারণ পুকুর ও লেকগুলো বাড়ি নির্মাণের জন্য ভরাট করা হয়েছে।
No comments