দিনে ৩৭০০০ মানুষ বাস্তুচ্যুত হচ্ছেন বিশ্বে
বিশ্বজুড়ে
গত বছর বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা সাত কোটি ছাড়িয়ে গেছে। যুদ্ধ, নির্যাতন
ও সংঘাতের কারণে এসব মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক
সংস্থা ইউএনএইচসিআরের হিসাবে ৭০ বছরের মধ্যে বাস্তুচ্যুতের এই সংখ্যা
সর্বোচ্চ। ২০১৭ সালের শেষের দিকে সেনাবাহিনীর নৃশংস নির্যাতনের ফলে ঢলের
মতো রোহিঙ্গারা এসে আশ্রয় নিতে থাকে বাংলাদেশে। ইউএনএইচসিআর তার বার্ষিক
প্রতিবেদন গ্লোবাল ট্রেন্ডস-এ বলছে, গত বছর বিশ্বজুড়ে বাস্তুচ্যুত মানুষের
সংখ্যা ৭ কোটি ৮ লাখ। এর মধ্যে জোর করে বাস্তুচ্যুত করা মানুষের সংখ্যা
আগের বছরের তুলনায় ২৩ লাখ বেশি। ২০ বছর আগে যে রেকর্ড ছিল এক্ষেত্রে সেই
সংখ্যাটি দ্বিগুন হয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
এতে বলা হয়েছে, প্রতিদিন বিশ্বজুড়ে গড়ে ৩৭০০০ মানুষ নতুন করে বাস্তুচ্যুত হচ্ছে।
ইউএনএইচসিআরের হাই কমিশনার ফিলিপো গ্রান্ডি বলেছেন যুদ্ধ, সংঘাত ও নির্যাতন থেকে নিরাপত্তা প্রত্যাশী মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে দীর্ঘমেয়াদী একটি প্রবণতা নিশ্চিত হচ্ছে। শরণার্থী ও অভিবাসীদের ভাষা আলাদা হওয়া সত্ত্বেও আমরা দেখতে পাচ্ছি আশ্রয়দাতা সম্প্রদায়ের মধ্যে উদারতা ও সংহতি। তারা বিপুল সংখ্যক শরণার্থীদের আশ্রয় দিচ্ছে।
তবে শরণার্থীর এই সংখ্যা আরো অনেক বেশি হবে। কারণ, ভেনিজুয়েলা ছেড়ে যাওয়া মানুষের সংখ্যা বাড়ছেই। বিভিন্ন হিসাবে দেশ ছেড়ে যাওয়া ভেনিজুয়েলাবাসীর সংখ্যা প্রায় ৪০ লাখ। তাদেরকে যেসব দেশ আশ্রয় দিচ্ছে তাদের দেয়া হিসাবের ওপর ভিত্তি করে এ কথা বলা হয়েছে। এর ফলে সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ বাস্তুচ্যুত মানুষদের অন্যতম হয়ে উঠেছেন ওই দেশের শরণার্থীরা।
বাস্তুচ্যুত হওয়া মানুষকে তিনটি গ্রুপে ভাগ করেছে ইউএনএইচসিআর। এর প্রথমটি হলো, ওই সব মানুষ, যারা সংঘাত, যুদ্ধ অথবা নির্যাতনের কারণে নিজের দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। ২০১৮ সালে এই শ্রেণির বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা দাঁড়ায় দুই কোটি ৫৯ লাখ। ২০১৭ সালের তুলনায় এই সংখ্যা ৫ লাখ বেশি। এর মধ্যে রয়েছেন ৫৫ লাখ ফিলিস্তিনি শরণার্থী। দ্বিতীয় গ্রুপে রয়েছেন ৩৫ লাখ আশ্রয়প্রার্থী। এরা হলেন সেইসব মানুষ, যারা তাদের জন্মভূমির বাইরে এবং তারা আছেন আন্তর্জাতিক প্রটেকশনে। তবে তাদের শরণার্থীর মর্যাদা এখনও গৃহীত হয় নি। তৃতীয় গ্রুপে আছে আভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত মানুষ (আইডিপি)। এসব মানুষ নিজের দেশের ভিতরেই বাস্তুচ্যুত। তাদের সংখ্যা বিশ্বজুড়ে প্রায় ৪ লাখ ১৩ হাজার।
বিশ্বজুড়ে মোট যে পরিমাণ শরণার্থী রয়েছেন তার মধ্যে কমপক্ষে দুই তৃতীয়াংশ সিরিয়া, আফগানিস্তান, দক্ষিণ সুদান, মিয়ানমার ও সোমালিয়ার। অন্য যেকোনো দেশের তুলনায় ২০১৮ সালে সবচেয়ে বেশি শরণার্থী সিরিয়ার। তাদের সংখ্যা ৬৭ লাখ। এর পরে রয়েছে আফগানিস্তান। সেখানকার শরণার্থী ২৭ লাখ। ২০১৮ সালে মাত্র ৯২ হাজার ৪০০ শরণার্থীর আশ্রয়ের মীমাংসা হয়েছে। এখনও থিতু হতে পারেন নি অথবা এখনও সমাধানের অপেক্ষায় আছেন যেসব শরণার্থী বা আশ্রয়প্রার্থী এ সংখ্যা তার শতকরা ৭ ভাগেরও কম।
২০০৯ সালে বিশ্বজুড়ে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা ছিল ৪ কোটি ৩৩ লাখ। সেখান থেকে ক্রমশ এই সংখ্যা বাড়ছেই। বিশেষ করে ২০১২ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে সিরিয়া যুদ্ধে এই সংখ্যা ফুলে ফেঁপে ওঠে। এ ছাড়া অন্যান্য স্থানে চলমান যুদ্ধও এক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে। যেমন ইরাক ও ইয়েমেন। এ ছাড়া রয়েছে কঙ্গো, দক্ষিণ সুদানের সংঘাত।
এতে বলা হয়েছে, প্রতিদিন বিশ্বজুড়ে গড়ে ৩৭০০০ মানুষ নতুন করে বাস্তুচ্যুত হচ্ছে।
ইউএনএইচসিআরের হাই কমিশনার ফিলিপো গ্রান্ডি বলেছেন যুদ্ধ, সংঘাত ও নির্যাতন থেকে নিরাপত্তা প্রত্যাশী মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে দীর্ঘমেয়াদী একটি প্রবণতা নিশ্চিত হচ্ছে। শরণার্থী ও অভিবাসীদের ভাষা আলাদা হওয়া সত্ত্বেও আমরা দেখতে পাচ্ছি আশ্রয়দাতা সম্প্রদায়ের মধ্যে উদারতা ও সংহতি। তারা বিপুল সংখ্যক শরণার্থীদের আশ্রয় দিচ্ছে।
তবে শরণার্থীর এই সংখ্যা আরো অনেক বেশি হবে। কারণ, ভেনিজুয়েলা ছেড়ে যাওয়া মানুষের সংখ্যা বাড়ছেই। বিভিন্ন হিসাবে দেশ ছেড়ে যাওয়া ভেনিজুয়েলাবাসীর সংখ্যা প্রায় ৪০ লাখ। তাদেরকে যেসব দেশ আশ্রয় দিচ্ছে তাদের দেয়া হিসাবের ওপর ভিত্তি করে এ কথা বলা হয়েছে। এর ফলে সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ বাস্তুচ্যুত মানুষদের অন্যতম হয়ে উঠেছেন ওই দেশের শরণার্থীরা।
বাস্তুচ্যুত হওয়া মানুষকে তিনটি গ্রুপে ভাগ করেছে ইউএনএইচসিআর। এর প্রথমটি হলো, ওই সব মানুষ, যারা সংঘাত, যুদ্ধ অথবা নির্যাতনের কারণে নিজের দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। ২০১৮ সালে এই শ্রেণির বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা দাঁড়ায় দুই কোটি ৫৯ লাখ। ২০১৭ সালের তুলনায় এই সংখ্যা ৫ লাখ বেশি। এর মধ্যে রয়েছেন ৫৫ লাখ ফিলিস্তিনি শরণার্থী। দ্বিতীয় গ্রুপে রয়েছেন ৩৫ লাখ আশ্রয়প্রার্থী। এরা হলেন সেইসব মানুষ, যারা তাদের জন্মভূমির বাইরে এবং তারা আছেন আন্তর্জাতিক প্রটেকশনে। তবে তাদের শরণার্থীর মর্যাদা এখনও গৃহীত হয় নি। তৃতীয় গ্রুপে আছে আভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত মানুষ (আইডিপি)। এসব মানুষ নিজের দেশের ভিতরেই বাস্তুচ্যুত। তাদের সংখ্যা বিশ্বজুড়ে প্রায় ৪ লাখ ১৩ হাজার।
বিশ্বজুড়ে মোট যে পরিমাণ শরণার্থী রয়েছেন তার মধ্যে কমপক্ষে দুই তৃতীয়াংশ সিরিয়া, আফগানিস্তান, দক্ষিণ সুদান, মিয়ানমার ও সোমালিয়ার। অন্য যেকোনো দেশের তুলনায় ২০১৮ সালে সবচেয়ে বেশি শরণার্থী সিরিয়ার। তাদের সংখ্যা ৬৭ লাখ। এর পরে রয়েছে আফগানিস্তান। সেখানকার শরণার্থী ২৭ লাখ। ২০১৮ সালে মাত্র ৯২ হাজার ৪০০ শরণার্থীর আশ্রয়ের মীমাংসা হয়েছে। এখনও থিতু হতে পারেন নি অথবা এখনও সমাধানের অপেক্ষায় আছেন যেসব শরণার্থী বা আশ্রয়প্রার্থী এ সংখ্যা তার শতকরা ৭ ভাগেরও কম।
২০০৯ সালে বিশ্বজুড়ে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা ছিল ৪ কোটি ৩৩ লাখ। সেখান থেকে ক্রমশ এই সংখ্যা বাড়ছেই। বিশেষ করে ২০১২ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে সিরিয়া যুদ্ধে এই সংখ্যা ফুলে ফেঁপে ওঠে। এ ছাড়া অন্যান্য স্থানে চলমান যুদ্ধও এক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে। যেমন ইরাক ও ইয়েমেন। এ ছাড়া রয়েছে কঙ্গো, দক্ষিণ সুদানের সংঘাত।
No comments