ভারতের ৫ মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষমতায় থাকার রেকর্ড
পশ্চিমবঙ্গের জ্যোতি বসু, সিকিমের পবন চামলিং, অরুণাচলের গেগং আপাং, ত্রিপুরার মানিক সরকার এবং ওডিশার নবীন পট্টনায়ক। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি |
ভারতের
পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম, অরুণাচল, ত্রিপুরা ও ওডিশা—এই পাঁচ রাজ্যের পাঁচ
মুখ্যমন্ত্রীর দুই দশক ক্ষমতায় থাকার রেকর্ড রয়েছে। ওই পাঁচ মুখ্যমন্ত্রীর
একজন শুধু ক্ষমতায় রয়েছেন। আর একজন প্রয়াত হয়েছেন। তবে দীর্ঘ সময় ক্ষমতায়
থাকার রেকর্ড থাকার কারণে প্রায়ই আলোচনায় আসে তাঁদের নাম।
ওই পাঁচ মুখ্যমন্ত্রী হলেন পশ্চিমবঙ্গের জ্যোতি বসু, সিকিমের পবন চামলিং, অরুণাচলের গেগং আপাং, ত্রিপুরার মানিক সরকার এবং ওডিশার নবীন পট্টনায়ক। এর মধ্যে শুধু জ্যোতি বসু প্রয়াত হয়েছেন। আর ক্ষমতায় টিকে রয়েছেন নবীন পট্টনায়ক।
এবার ভারতের ছোট্ট পাহাড়ি রাজ্য সিকিম রাজ্য বিধানসভার নির্বাচনে ঘটেছে বড় অঘটন। এই রাজ্যে ২৫ বছর ধরে চেয়ার আঁকড়ে থাকা মুখ্যমন্ত্রী পবন চামলিং হেরে যান। তিনি ছিলেন সিকিমের শাসক দল সিকিম ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (এসডিএফ) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। একই সঙ্গে সিকিমের একমাত্র লোকসভা আসনেও পরাজিত হয় পবন চামলিংয়ের দল। জয়ী হয় সিকিম ক্রান্তিকারী মোর্চা (এসকেএম)।
সিকিমে রয়েছে রাজ্য বিধানসভার ৩২ আসন। এবার এই নির্বাচনে পবন চামলিংয়ের দল পেয়েছে ১৫টি আসন আর এসকেএম পেয়েছে ১৭টি আসন। ফলে, বিরোধী দলের এই জয়ে অবসান ঘটে সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী পবন চামলিংয়ের ২৫ বছরেরও বেশি একটানা শাসনের।
পবন চামলিংই ভারতের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী, যিনি একটানা ২৫ বছর গদিতে থাকার রেকর্ড গড়েছেন। এর আগে পশ্চিমবঙ্গের সিপিএম–দলীয় সাবেক মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু একটানা ২৩ বছর মুখ্যমন্ত্রী থেকে ভারতে ইতিহাস গড়েছিলেন।
জ্যোতি বসু মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ১৯৭৭ সালের ২১ জুন থেকে ২০০০ সালের ৬ নভেম্বর পর্যন্ত, প্রায় ২৩ বছর। আর পবন চামলিং মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ১৯৯৪ সালের ১২ ডিসেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ২৩ মে পর্যন্ত, প্রায় ২৫ বছর।
এই দুই মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও ক্ষমতায় থাকার দুই দশকের রেকর্ড রয়েছে আরও তিন মুখ্যমন্ত্রীর। তাঁরা হলেন অরুণাচল প্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী গেগং আপাং, ত্রিপুরার সিপিএম–দলীয় সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার এবং ওডিশার বিজেডি–দলীয় মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক।
অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী গেগং আপাং ক্ষমতায় আসেন ১৯৮০ সালের ১৮ জানুয়ারি। ক্ষমতায় থাকেন ১৯৯৯ সালের ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত টানা ১৯ বছর। তিনি পরবর্তী সময়ে ২০০৩ সালের আগস্ট মাসে ফের মুখ্যমন্ত্রী হন। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মোট ক্ষমতায় থাকেন ২৩ বছর। আপাং প্রথমে অরুণাচল কংগ্রেস দলের নেতা থাকলেও পরবর্তী সময়ে তিনি গড়েন ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউডিএফ)।
ত্রিপুরা রাজ্যে সিপিএম–দলীয় মানিক সরকার মুখ্যমন্ত্রী হন ১৯৯৮ সালের ১১ মার্চ। ক্ষমতায় থাকেন ২০১৮ সালের ৮ মার্চ পর্যন্ত ২০ বছর।
আর ওডিশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক মুখ্যমন্ত্রী হন ২০০০ সালের ৫ মার্চ। এবার বিধানসভা নির্বাচনে জিতে ওই পদে বহাল রয়েছেন তিনি। তিনি ওডিশার বিজু জনতা দল (বিজেডি) নেতা। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে ১৯৯৭ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত ছিলেন বাজপেয়ির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার খনিমন্ত্রী।
একমাত্র নবীন পট্টনায়েক ছাড়া আর কেউ এখন মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে নেই। তাঁদের মধ্যে শুধু জ্যোতি বসু প্রয়াত হয়েছেন।
ওই পাঁচ মুখ্যমন্ত্রী হলেন পশ্চিমবঙ্গের জ্যোতি বসু, সিকিমের পবন চামলিং, অরুণাচলের গেগং আপাং, ত্রিপুরার মানিক সরকার এবং ওডিশার নবীন পট্টনায়ক। এর মধ্যে শুধু জ্যোতি বসু প্রয়াত হয়েছেন। আর ক্ষমতায় টিকে রয়েছেন নবীন পট্টনায়ক।
এবার ভারতের ছোট্ট পাহাড়ি রাজ্য সিকিম রাজ্য বিধানসভার নির্বাচনে ঘটেছে বড় অঘটন। এই রাজ্যে ২৫ বছর ধরে চেয়ার আঁকড়ে থাকা মুখ্যমন্ত্রী পবন চামলিং হেরে যান। তিনি ছিলেন সিকিমের শাসক দল সিকিম ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (এসডিএফ) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। একই সঙ্গে সিকিমের একমাত্র লোকসভা আসনেও পরাজিত হয় পবন চামলিংয়ের দল। জয়ী হয় সিকিম ক্রান্তিকারী মোর্চা (এসকেএম)।
সিকিমে রয়েছে রাজ্য বিধানসভার ৩২ আসন। এবার এই নির্বাচনে পবন চামলিংয়ের দল পেয়েছে ১৫টি আসন আর এসকেএম পেয়েছে ১৭টি আসন। ফলে, বিরোধী দলের এই জয়ে অবসান ঘটে সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী পবন চামলিংয়ের ২৫ বছরেরও বেশি একটানা শাসনের।
পবন চামলিংই ভারতের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী, যিনি একটানা ২৫ বছর গদিতে থাকার রেকর্ড গড়েছেন। এর আগে পশ্চিমবঙ্গের সিপিএম–দলীয় সাবেক মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু একটানা ২৩ বছর মুখ্যমন্ত্রী থেকে ভারতে ইতিহাস গড়েছিলেন।
জ্যোতি বসু মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ১৯৭৭ সালের ২১ জুন থেকে ২০০০ সালের ৬ নভেম্বর পর্যন্ত, প্রায় ২৩ বছর। আর পবন চামলিং মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ১৯৯৪ সালের ১২ ডিসেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ২৩ মে পর্যন্ত, প্রায় ২৫ বছর।
এই দুই মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও ক্ষমতায় থাকার দুই দশকের রেকর্ড রয়েছে আরও তিন মুখ্যমন্ত্রীর। তাঁরা হলেন অরুণাচল প্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী গেগং আপাং, ত্রিপুরার সিপিএম–দলীয় সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার এবং ওডিশার বিজেডি–দলীয় মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক।
অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী গেগং আপাং ক্ষমতায় আসেন ১৯৮০ সালের ১৮ জানুয়ারি। ক্ষমতায় থাকেন ১৯৯৯ সালের ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত টানা ১৯ বছর। তিনি পরবর্তী সময়ে ২০০৩ সালের আগস্ট মাসে ফের মুখ্যমন্ত্রী হন। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মোট ক্ষমতায় থাকেন ২৩ বছর। আপাং প্রথমে অরুণাচল কংগ্রেস দলের নেতা থাকলেও পরবর্তী সময়ে তিনি গড়েন ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউডিএফ)।
ত্রিপুরা রাজ্যে সিপিএম–দলীয় মানিক সরকার মুখ্যমন্ত্রী হন ১৯৯৮ সালের ১১ মার্চ। ক্ষমতায় থাকেন ২০১৮ সালের ৮ মার্চ পর্যন্ত ২০ বছর।
আর ওডিশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক মুখ্যমন্ত্রী হন ২০০০ সালের ৫ মার্চ। এবার বিধানসভা নির্বাচনে জিতে ওই পদে বহাল রয়েছেন তিনি। তিনি ওডিশার বিজু জনতা দল (বিজেডি) নেতা। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে ১৯৯৭ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত ছিলেন বাজপেয়ির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার খনিমন্ত্রী।
একমাত্র নবীন পট্টনায়েক ছাড়া আর কেউ এখন মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে নেই। তাঁদের মধ্যে শুধু জ্যোতি বসু প্রয়াত হয়েছেন।
No comments