বিধ্বস্ত লায়ন এয়ারের যাত্রীর শেষ ইচ্ছে পূরণে বিয়ের পোশাকে বাগদত্তা
একটা
সত্যি গল্প। ইন্দোনেশিয়ার পাঙ্কাল পিনাংয়ে বাকতি তিমাহ হাসপাতালে কর্মরত
ছিলেন চিকিৎসক রিও নন্দ প্রতামা। তার বাগদত্তা একই জায়গায় হিসাব বিভাগে
দায়িত্ব পালন করা ইনতান সিয়ারি। গত ১১ নভেম্বর বিয়ের প্রস্তুতি নিয়েছিলেন
তারা। বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য আদিয়েলা নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেন
দু’জনে। কিন্তু একটি দুর্ঘটনা ভেস্তে দিলো সেই পরিকল্পনা।
গত ২৯ অক্টোবর জাকার্তা থেকে লায়ন এয়ারের জেটি৬১০ ফ্লাইটে চড়ে পাঙ্কাল পিনাংয়ের দিকে যাচ্ছিলেন রিও নন্দ প্রতামা। কিন্তু উড্ডয়নের ১৩ মিনিট পর বিধ্বস্ত হয় এই আকাশযান। এতে যাত্রী ছিলেন মোট ১৮৯। ২৬ বছর বয়সী এই চিকিৎসকসহ তাদের সবাই নিহত হন।
জাকার্তায় একটি সম্মেলনে অংশ নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন রিও নন্দ প্রতামা। কিন্তু তাকে চলে যেতে হলো না ফেরার দেশে। সেই সঙ্গে নতুন একটা সংসার গড়ার আগেই চিরতরে ভেসে গেলো। তবে তার শেষ ইচ্ছে পূরণ করতে বিয়ের পোশাকে সাজলেন ২৬ বছর বয়সী ইনতান সিয়ারি। সেই সময় তোলা কয়েকটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে প্রকাশ করেছেন তিনি। এগুলো এখন ভাইরাল।
নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ইনতান সিয়ারি জানান, জাকার্তায় সম্মেলনে যাওয়ার আগে তাকে রসিকতা করে রিও নন্দ প্রতামা বলেছিলেন, ‘১১ নভেম্বরের মধ্যে আমি ফিরে না এলেও বিয়ের জন্য তৈরি হবে। যে বিয়ের পোশাক আমি তোমার জন্য পছন্দ করেছি সেটা পরবে। খুব সুন্দরভাবে সাজবে। শিলার (বিয়ের আয়োজক) কাছ থেকে তরতাজা সাদা গোলাপ চেয়ে নেবে। এটা হাতে নিয়ে ছবি তুলবে। এরপর আমাকে এসব ছবি পাঠিয়ে দেবে।’
প্রেমিকের শেষ ইচ্ছে পূরণ করতে ঠিক ১১ নভেম্বর সাদা রঙের বিয়ের পোশাক ও সাদা হিজাবে সাজেন ইনতান। তার হাতে ছিল সাদা গোলাপ। একটি ছবিতে ক্যামেরায় বাগদানের আংটি দেখিয়েছেন তিনি।
ক্যাপশনে রিওকে উদ্দেশ্য করে ইনতান লিখেছেন, ‘আমার বিষণ্নতাগুলো বর্ণনা করার মতো নয়। তবে তোমার জন্য আমার মুখে হাসি আছে। আমি শোকাহত হবো না। আমাকে শক্ত থাকতে হবে, যেমনটা তুমি সবসময় বলতে।’
রিওর বোনের সঙ্গে তোলা একটি ছবি পোস্ট করে ইনতান লিখেছেন, ‘তুমি যদিও আমার পাশে নেই, তোমার বোন এখানে আছে। আমরা তোমার সুন্দর শেষ ইচ্ছে পূরণ করছি। জানি তুমি খুশি হচ্ছো।’
সিঙ্গাপুরের ইংরেজি দৈনিক দ্য স্ট্রেইটস টাইমসকে ইনতান বলেন, ‘ও (রিও) দারুণ একজন মানুষ ছিল। রোগীদের সবসময় সহযোগিতা করতে চাইতো। ওর কথা সবসময় মনে পড়ে।’
লায়ন এয়ারের বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ইনতানের মতো অনেকেই কাছের মানুষ ও স্বজন হারিয়েছেন। এটি ইন্দোনেশিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার মধ্যে অন্যতম। সবশেষ ১৯৯৭ সালে মেদান শহরে গারুদা ইন্দোনেশিয়ার বিমান বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় ২৩৪ যাত্রীর সবাই প্রাণ হারান।
সূত্র: দ্য স্ট্রেইটস টাইমস
গত ২৯ অক্টোবর জাকার্তা থেকে লায়ন এয়ারের জেটি৬১০ ফ্লাইটে চড়ে পাঙ্কাল পিনাংয়ের দিকে যাচ্ছিলেন রিও নন্দ প্রতামা। কিন্তু উড্ডয়নের ১৩ মিনিট পর বিধ্বস্ত হয় এই আকাশযান। এতে যাত্রী ছিলেন মোট ১৮৯। ২৬ বছর বয়সী এই চিকিৎসকসহ তাদের সবাই নিহত হন।
জাকার্তায় একটি সম্মেলনে অংশ নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন রিও নন্দ প্রতামা। কিন্তু তাকে চলে যেতে হলো না ফেরার দেশে। সেই সঙ্গে নতুন একটা সংসার গড়ার আগেই চিরতরে ভেসে গেলো। তবে তার শেষ ইচ্ছে পূরণ করতে বিয়ের পোশাকে সাজলেন ২৬ বছর বয়সী ইনতান সিয়ারি। সেই সময় তোলা কয়েকটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে প্রকাশ করেছেন তিনি। এগুলো এখন ভাইরাল।
নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ইনতান সিয়ারি জানান, জাকার্তায় সম্মেলনে যাওয়ার আগে তাকে রসিকতা করে রিও নন্দ প্রতামা বলেছিলেন, ‘১১ নভেম্বরের মধ্যে আমি ফিরে না এলেও বিয়ের জন্য তৈরি হবে। যে বিয়ের পোশাক আমি তোমার জন্য পছন্দ করেছি সেটা পরবে। খুব সুন্দরভাবে সাজবে। শিলার (বিয়ের আয়োজক) কাছ থেকে তরতাজা সাদা গোলাপ চেয়ে নেবে। এটা হাতে নিয়ে ছবি তুলবে। এরপর আমাকে এসব ছবি পাঠিয়ে দেবে।’
প্রেমিকের শেষ ইচ্ছে পূরণ করতে ঠিক ১১ নভেম্বর সাদা রঙের বিয়ের পোশাক ও সাদা হিজাবে সাজেন ইনতান। তার হাতে ছিল সাদা গোলাপ। একটি ছবিতে ক্যামেরায় বাগদানের আংটি দেখিয়েছেন তিনি।
ক্যাপশনে রিওকে উদ্দেশ্য করে ইনতান লিখেছেন, ‘আমার বিষণ্নতাগুলো বর্ণনা করার মতো নয়। তবে তোমার জন্য আমার মুখে হাসি আছে। আমি শোকাহত হবো না। আমাকে শক্ত থাকতে হবে, যেমনটা তুমি সবসময় বলতে।’
রিওর বোনের সঙ্গে তোলা একটি ছবি পোস্ট করে ইনতান লিখেছেন, ‘তুমি যদিও আমার পাশে নেই, তোমার বোন এখানে আছে। আমরা তোমার সুন্দর শেষ ইচ্ছে পূরণ করছি। জানি তুমি খুশি হচ্ছো।’
সিঙ্গাপুরের ইংরেজি দৈনিক দ্য স্ট্রেইটস টাইমসকে ইনতান বলেন, ‘ও (রিও) দারুণ একজন মানুষ ছিল। রোগীদের সবসময় সহযোগিতা করতে চাইতো। ওর কথা সবসময় মনে পড়ে।’
লায়ন এয়ারের বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ইনতানের মতো অনেকেই কাছের মানুষ ও স্বজন হারিয়েছেন। এটি ইন্দোনেশিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার মধ্যে অন্যতম। সবশেষ ১৯৯৭ সালে মেদান শহরে গারুদা ইন্দোনেশিয়ার বিমান বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় ২৩৪ যাত্রীর সবাই প্রাণ হারান।
সূত্র: দ্য স্ট্রেইটস টাইমস
No comments