নয়াপল্টনে পুলিশ-বিএনপির সংঘর্ষ: হঠাৎ যেভাবে বদলে যায় দৃশ্যপট

সব কিছু ঠিক চলছিল। তৃতীয় দিনও উৎসবের আমেজে বিএনপি নেতাকর্মীরা দলীয় মনোনয়ন ফরম কিনছিলেন ধানের শীষ প্রতীক প্রত্যাশীরা। সময় প্রায় দুপুর ১টার সময় হঠাৎ করেই দৃশ্যপট পরির্বতন হয়ে যায়। বিএনপি অফিসের সামনে সড়কে জড়ো হওয়া নেতাকর্মীদের সরাতে যায় পুলিশ। এতে বাঁধ সাধে বিএনপির নেতাকর্মীরা। পুলিশ নেতাকর্মীদের সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে বাক বিতন্ডা হয় তাদের। এরপর পুলিশ লাঠিচার্জ করলে বিক্ষুদ্ধ নেতাকর্মীদের পুলিশের সঙ্গে শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট  ছুড়ে।
দফায় দফায় প্রায় ঘন্টাব্যাপী এই সংঘর্ষ চলে।
এসময়  পুলিশের   দুটি গাড়িতে আগুন দেয়া হয়। বেশ কিছু মটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়। সংঘর্ষের সময় বিএনপির বেশ কিছু নেতাকর্মী আহন হন। তাদের চিকিৎসা দিতে বিভিন্ন হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
মহিলা দলের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আহত মুকুল আক্তার কনা মানবজমিনকে বলেন, আমরা কিছু বুঝে উঠতে পারনি। পুলিশ আমাদের উপর হালমা চালায়। তিনি বলেন, কিছু বুঝে উঠার আগে দেখি চারিদিক থেকে গুলি ছোড়া হচ্ছে। আমার মাথায় একটি ছোররা গুলি লাগে। এসময় আমি মাটিতে শুয়ে পড়ি। গুলি ছোড়া কমলে উঠে পার্টি অফিসে প্রবেশ করি
বিনা উস্কানিতে পুলিশ আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে।
পরিবেশ কিছুটা শান্ত হলে দুপুর ২টায় বিএনপি অফিসের নিচে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী সাংবাদিকদের বলেন, বিনা উস্কানিতে সরকারের লেলিয়ে দেয়া পুলিশবাহিনী অতর্কিতভাবে বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছে।
আপনারা মৌছাকে ঢিল মেরেছেন কেন? পুলিশ বাহিনীর কাছে এমন প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, আপনারা ভেবেছেন আমাদের শান্তিপূর্ণ এই মনোনয়ন ফরম বিক্রি করার সময় হামলা চালিয়ে আমাদের স্বাভাবিক কাজ বন্ধ করবেন সেটি আর হবে না। কোন রক্ত চক্ষুকে শহীদ জিয়া সৈনিকেরা ভয় করে না। এই আক্রমণ সরকারের নির্দেশে দাবি করে রিজভী নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, সরকারের নির্দেশেই আমাদের নেতাকর্মীদের রক্তাক্ত করেছে সরকারের লেলিয়ে দেয়া পুলিশ বাহিনী। আমাদের নেতাকর্মীদের গুলি করা হয়েছে। বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.