রংপুর জেলা পরিষদে আওয়ামী লীগ নেত্রীদের হাতাহাতি
রংপুর
জেলা পরিষদে মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রীদের দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা
ঘটেছে। এডিপি বরাদ্দের ভাগাভাগি নিয়ে এ ঘটনা ঘটে সোমবার বিকালে। জেলা পরিষদ
সদস্য পারভীন আক্তার তার পক্ষের সদস্যদের নিয়ে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান
অ্যাড. ছাফিয়া খানমের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এরপরই ছুটে আসে এ্যাড. ছাফিয়া
খানমের সমর্থকরা। ফলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে। দেখা দেয় ব্যাপক
হট্টগোল। দু’পক্ষের সমর্থকদের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। খবর পেয়ে জেলা
পরিষদে ছুটে আসেন ব্যাপক দাঙ্গা পুলিশসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে চেয়ারম্যান কক্ষে তালা খুলে দিয়ে দু’পক্ষকে নিয়ে
সমঝোতার এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ। দুপুর ১টা থেকে এ
বৈঠক চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ
সম্পাদক অ্যাড. রেজাউল করিম রাজু, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিয়ার
রহমান, সহ-সভাপতি কাওসার আহমেদ শরিফ, যুগ্ম সম্পাদক রশানুল কাওসার সংগ্রাম,
শহিদুল ইসলাম হীরাসহ অন্যরা।
অভিযোগ উঠেছে, ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের একটি প্রকল্পের সংশোধনী আনার বিষয়ে কথা বলতে বিকেল ৫টার দিকে চেয়ারম্যানের কক্ষে যান সংরক্ষিত ১নং ওয়ার্ডের নারী সদস্য পারভীন আক্তার। এ সময় তিনি চিৎকার করে অশালীন কথাবার্তা বলেন। ফলে মহিলা লীগের সভাপতি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান তাকে শান্ত হয়ে কথা বলতে বললে সে আরও উত্তেজিত হয়ে উঠে। এক পর্যায়ে টেবিলের আসবাবপত্র ছুড়ে ফেলতে চেষ্টা করলে অ্যাড. ছাফিয়া তাকে লাঞ্ছিত করেন। এ নিয়ে সোমবার রাতেই পারভীন আক্তার কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. ছাফিয়া খানম বলেন, পারভীন আক্তার জেলা পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়ে শুরু থেকেই অশালীন আচারণসহ বেয়াদবি করে আসছে। পারভীন বয়সে আমার অনেক ছোট। তাকে শাসন করার আমার অধিকার আছে। সেই অধিকার নিয়েই তাকে শান্ত হতে বললেও সে আরও উত্তেজিত হয়ে পড়ে। এতে আমি তাকে শাসন করেছি মাত্র। কোতোয়ালি থানার এসআই ফেরদৌস আহম্মেদ জানান, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে জেলা পরিষদে ব্যাপক দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের একটি প্রকল্পের সংশোধনী আনার বিষয়ে কথা বলতে বিকেল ৫টার দিকে চেয়ারম্যানের কক্ষে যান সংরক্ষিত ১নং ওয়ার্ডের নারী সদস্য পারভীন আক্তার। এ সময় তিনি চিৎকার করে অশালীন কথাবার্তা বলেন। ফলে মহিলা লীগের সভাপতি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান তাকে শান্ত হয়ে কথা বলতে বললে সে আরও উত্তেজিত হয়ে উঠে। এক পর্যায়ে টেবিলের আসবাবপত্র ছুড়ে ফেলতে চেষ্টা করলে অ্যাড. ছাফিয়া তাকে লাঞ্ছিত করেন। এ নিয়ে সোমবার রাতেই পারভীন আক্তার কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. ছাফিয়া খানম বলেন, পারভীন আক্তার জেলা পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়ে শুরু থেকেই অশালীন আচারণসহ বেয়াদবি করে আসছে। পারভীন বয়সে আমার অনেক ছোট। তাকে শাসন করার আমার অধিকার আছে। সেই অধিকার নিয়েই তাকে শান্ত হতে বললেও সে আরও উত্তেজিত হয়ে পড়ে। এতে আমি তাকে শাসন করেছি মাত্র। কোতোয়ালি থানার এসআই ফেরদৌস আহম্মেদ জানান, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে জেলা পরিষদে ব্যাপক দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
No comments