চাঞ্চল্যকর হত্যার তদন্ত-৪: পল্লবীতে মামা ও ভাগ্নি খুনের রহস্য উদঘাটন হয়নি আজও by আল আমিন
আর
কয়েকদিন পরই আমার স্ত্রী ও মামাকে হত্যার ঘটনার তিন বছর পার হবে। ঘটনার
সময় সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে যাওয়া আমার মেয়ে এখন ক্লাস টুতে পড়ে। কী অপরাধে
আমার স্ত্রী ও মামাকে হত্যা করা হয়েছে তা এখন পর্যন্ত অজানা। মামলা থানা
থেকে ডিবি আবার ডিবি থেকে সিআইডিতে গেছে। সেখানে আবার পাঁচ বার তদন্তকারী
কর্মকর্তা বদল হয়েছে। মামলার ক্লুতো তারা পাচ্ছে না বরং আমাকে খুনের বিষয়ে
নানারকম তথ্য আদায়ের নামে মানসিক চাপ দেয়া হয়। এতে আমার মধ্যে হতাশা নেমে
এসেছে। কথাগুলো নিহত সুইটির স্বামী ডেসকোর সহকারী প্রকৌশলী (সেলস অ্যান্ড
ডিভিশন) মো. জাহিদুল ইসলামের। এ ঘটনার মামলাটি এখন তদন্ত করছে সিআইডি। থানা
পুলিশ, ডিবি থেকে ঘুরে সিআইডিতে পাঁচ বার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বদল
হয়েছে। ডাবল মার্ডারের ঘটনায় ঢাকাসহ সারা দেশে তোলপাড় সৃষ্টি করেছিল।
২০১৫ সালের ১৩ই মে দুপুরে রাজধানীর পল্লবীর ২০ নম্বর রোডের ৯ নম্বর ৭তলা বাড়ির ৬তলায় ৬/বি নম্বর ফ্ল্যাটের মধ্যে ঢুকে দুর্বৃত্তরা ছুরিকাঘাত করে সুইটি খাতুন (৩০) ও তার মামা আমিনুল ইসলামকে (৪৬) হত্যা করে। এ সময় দুর্বৃত্তরা জাহিদুল ও সুইটির একমাত্র ছেলে সাজিদ বিন জাহিদ বিন সাদ (৭)কে বাথরুমে আটকে রাখে। সূত্র জানায়, এ ঘটনায় নিহতের স্বামী জাহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেন। মামলা নম্বর-৮। মামলায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত আসামিদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জন্য বাদী পুলিশের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন মামলার এজাহারে। মামলাটির বর্তমান তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের বিশেষ শাখা সিআইডির পরিদর্শক মোকসুদুর রহমান মানবজমিনকে জানান, মামলাটির কয়েকবার তদন্তকারী কর্মকর্তা বদল হয়েছে। আমাকে নতুনভাবে তদন্ত করতে বলা হয়েছে। তিনি জানান, আলামতগুলো ভালোভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। এ ঘটনার কোনো ক্লু পাওয়া যায়নি। তবে, মামলার তদন্তের চূড়ান্ত পর্যায়ে চলে এসেছে। দ্রুত খুনিদের গ্রেপ্তার করা হবে। আমরা নিহতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।
মামলার তদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বরাতে জানা গেছে, এ ঘটনায় নিহতের স্বামী পল্লবী থানায় একটি মামলা করেন। মামলাটি থানা পুলিশ ১ সপ্তাহ তদন্ত করে ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। ডিবি পুলিশ মামলাটি তদন্ত করতে অনীহা প্রকাশ করলে সেটি সিআইডির কাছে হস্তাস্তর করা হয়। সিআইডিতে এই মামলার পাঁচ বার তদন্তকারী কর্মকর্তা বদল হয়েছে। কোনো কর্মকর্তা ৮ মাস অথবা পাঁচ মাস মামলাটির তদন্ত করে হয় বদলী হয়েছেন কেউবা ট্রেনিংয়ে গেছেন। সময় ধরে কোনো কর্মকর্তা মামলাটির তদন্ত করতে পারেনি। এ কারণে খুনের সুনির্দিষ্ট কারণ এখনো জানা যায়নি।
সূত্র জানায়, মামলাটি দায়ের হওয়ার পর পুলিশের পক্ষ থেকে ধারণা করা হয়েছিল যে, ব্যবসায়িক ও চাঁদাবাজীর দ্বন্দ্বে হয়তো এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হতে পারে। এ ঘটনার পর নিহত সুইটির স্বামী জাহিদুল ইসলামের ব্যবসায়িক বন্ধু ও ব্যবসায়িক অশীংদার শাহীন হোসেন ও বাড়ির কেয়ারটেকারকে আটক করেছিল পুলিশ। কিন্তু, তাদের কাছে কোনো তথ্য না পেয়ে পুলিশ তাদের ছেড়ে দেয়। বাসার গেটে কোনো ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা না থাকায় খুনিদের দৃশ্যগতভাবে চিহ্নিত করতে পারেনি পুলিশ।
সূত্র জানায়, খুনের তদন্তে পুলিশ নিহতের স্বামীর কাছে জানতে পারে যে, ২০১৫ সালের ১লা মার্চ রাতে একটি এয়ারটেল নম্বর থেকে জাহিদুলকে ফোন দেয়া হয়েছিল। জিসান নামে এক শীর্ষ সস্ত্রাসীর নাম ভাঙিয়ে তার কাছে ১ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করা হয়েছিল। উদ্বেগ-উদ্বেলিত হয়ে জাহিদুল পল্লবী থানায় একটি মামলা করেন। পরে পুলিশ মোবাইল ট্র্যাকিং করে জানতে পারে যে, ওই কলটি এসেছিল মাদারীপুর জেলা থেকে। কিন্তু, কলকারীকে আর ধরতে পারেনি পুলিশ। এরপর জাহিদুল পুলিশকে জানিয়েছিল যে, তাকে আর কেউ কল করেনি। সূত্র জানায়, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা ভিকটিমের কাছে তথ্য পেয়ে নিশ্চিত হয়েছেন যে, খুনিরা পেশাদার কিলার। তাদের পরনে ছিল জিন্সপ্যান্ট ও টিশার্ট। তারা মোটরসাইকেলে করে এসে জাহিদুলের ফ্ল্যাটে যায় গ্যাসের লাইন মেরামত করার জন্য। এরপর তারা খুন করে পালিয়ে যায়।
সূত্র জানায়, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা যে নম্বর থেকে জাহিদুল ইসলামকে ফোন করে চাঁদা দাবি করেছিল সেই নম্বরটি আবার নতুনভাবে স্থান নির্ধারণ চিহ্নিত করা ও ফোনকারী ব্যক্তিকে শনাক্তের চেষ্টা চালাচ্ছে। এ ছাড়াও নিহতের ব্যবসায়িক, পারিবারিক ও আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
২০১৫ সালের ১৩ই মে দুপুরে রাজধানীর পল্লবীর ২০ নম্বর রোডের ৯ নম্বর ৭তলা বাড়ির ৬তলায় ৬/বি নম্বর ফ্ল্যাটের মধ্যে ঢুকে দুর্বৃত্তরা ছুরিকাঘাত করে সুইটি খাতুন (৩০) ও তার মামা আমিনুল ইসলামকে (৪৬) হত্যা করে। এ সময় দুর্বৃত্তরা জাহিদুল ও সুইটির একমাত্র ছেলে সাজিদ বিন জাহিদ বিন সাদ (৭)কে বাথরুমে আটকে রাখে। সূত্র জানায়, এ ঘটনায় নিহতের স্বামী জাহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেন। মামলা নম্বর-৮। মামলায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত আসামিদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জন্য বাদী পুলিশের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন মামলার এজাহারে। মামলাটির বর্তমান তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের বিশেষ শাখা সিআইডির পরিদর্শক মোকসুদুর রহমান মানবজমিনকে জানান, মামলাটির কয়েকবার তদন্তকারী কর্মকর্তা বদল হয়েছে। আমাকে নতুনভাবে তদন্ত করতে বলা হয়েছে। তিনি জানান, আলামতগুলো ভালোভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। এ ঘটনার কোনো ক্লু পাওয়া যায়নি। তবে, মামলার তদন্তের চূড়ান্ত পর্যায়ে চলে এসেছে। দ্রুত খুনিদের গ্রেপ্তার করা হবে। আমরা নিহতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।
মামলার তদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বরাতে জানা গেছে, এ ঘটনায় নিহতের স্বামী পল্লবী থানায় একটি মামলা করেন। মামলাটি থানা পুলিশ ১ সপ্তাহ তদন্ত করে ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। ডিবি পুলিশ মামলাটি তদন্ত করতে অনীহা প্রকাশ করলে সেটি সিআইডির কাছে হস্তাস্তর করা হয়। সিআইডিতে এই মামলার পাঁচ বার তদন্তকারী কর্মকর্তা বদল হয়েছে। কোনো কর্মকর্তা ৮ মাস অথবা পাঁচ মাস মামলাটির তদন্ত করে হয় বদলী হয়েছেন কেউবা ট্রেনিংয়ে গেছেন। সময় ধরে কোনো কর্মকর্তা মামলাটির তদন্ত করতে পারেনি। এ কারণে খুনের সুনির্দিষ্ট কারণ এখনো জানা যায়নি।
সূত্র জানায়, মামলাটি দায়ের হওয়ার পর পুলিশের পক্ষ থেকে ধারণা করা হয়েছিল যে, ব্যবসায়িক ও চাঁদাবাজীর দ্বন্দ্বে হয়তো এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হতে পারে। এ ঘটনার পর নিহত সুইটির স্বামী জাহিদুল ইসলামের ব্যবসায়িক বন্ধু ও ব্যবসায়িক অশীংদার শাহীন হোসেন ও বাড়ির কেয়ারটেকারকে আটক করেছিল পুলিশ। কিন্তু, তাদের কাছে কোনো তথ্য না পেয়ে পুলিশ তাদের ছেড়ে দেয়। বাসার গেটে কোনো ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা না থাকায় খুনিদের দৃশ্যগতভাবে চিহ্নিত করতে পারেনি পুলিশ।
সূত্র জানায়, খুনের তদন্তে পুলিশ নিহতের স্বামীর কাছে জানতে পারে যে, ২০১৫ সালের ১লা মার্চ রাতে একটি এয়ারটেল নম্বর থেকে জাহিদুলকে ফোন দেয়া হয়েছিল। জিসান নামে এক শীর্ষ সস্ত্রাসীর নাম ভাঙিয়ে তার কাছে ১ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করা হয়েছিল। উদ্বেগ-উদ্বেলিত হয়ে জাহিদুল পল্লবী থানায় একটি মামলা করেন। পরে পুলিশ মোবাইল ট্র্যাকিং করে জানতে পারে যে, ওই কলটি এসেছিল মাদারীপুর জেলা থেকে। কিন্তু, কলকারীকে আর ধরতে পারেনি পুলিশ। এরপর জাহিদুল পুলিশকে জানিয়েছিল যে, তাকে আর কেউ কল করেনি। সূত্র জানায়, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা ভিকটিমের কাছে তথ্য পেয়ে নিশ্চিত হয়েছেন যে, খুনিরা পেশাদার কিলার। তাদের পরনে ছিল জিন্সপ্যান্ট ও টিশার্ট। তারা মোটরসাইকেলে করে এসে জাহিদুলের ফ্ল্যাটে যায় গ্যাসের লাইন মেরামত করার জন্য। এরপর তারা খুন করে পালিয়ে যায়।
সূত্র জানায়, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা যে নম্বর থেকে জাহিদুল ইসলামকে ফোন করে চাঁদা দাবি করেছিল সেই নম্বরটি আবার নতুনভাবে স্থান নির্ধারণ চিহ্নিত করা ও ফোনকারী ব্যক্তিকে শনাক্তের চেষ্টা চালাচ্ছে। এ ছাড়াও নিহতের ব্যবসায়িক, পারিবারিক ও আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
No comments