দরিদ্রতা জয় করলো ওরা
কারো
বাবা ভ্যানচালক, কারো বাবা রাজমিস্ত্রি বা দিনমজুর। সংসারে নিত্য অভাব
লেগেই আছে। যেখানে তিনবেলা খাবার জোটে না, সেখানে পড়াশোনার চিন্তা করাটাও
ছিল দুরূহ ব্যাপার। তারপরও থেমে থাকেনি তারা। বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্যেও
কঠোর পরিশ্রম আর মেধার জোরে ছিনিয়ে এনেছে সাফল্য। তাদের মধ্যে ৫ সহপাঠীর
জীবন যুদ্ধের কথা তুলে ধরা হলো। এদের জীবন যেন গল্পকেও হার মানিয়েছে।
রওশন আলী: পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকে শ্রম বিক্রি আর প্রিয় সাইকেলটি বিক্রি করে ফরম ফিলাপের টাকা জোগাড় করেছে মেধাবী রওশন আলী। না হলে পরীক্ষা দেয়াই হতো না তার। বাবা সাধারণ একজন দিনমজুর। ৫ জনের টানাটানির সংসার। নিজস্ব জমিজমা না থাকায় বাবার শ্রমের ঘামে চলছিল সংসার। সেখানে পড়াশোনার টাকা জোগাড় করা ছিল অসম্ভব ব্যাপার। কিন্তু রওশনের ইচ্ছে পড়াশোনা চালিয়ে যাবার। পরে নিজেই বাবার সঙ্গে কখনো বা আলাদাভাবে জমিতে এবং বিল্ডিংয়ে শ্রমিকের কাজ করে টাকা জমিয়ে সংসার এবং নিজের পড়ালেখার খরচ জুটিয়েছে সে। এমন পরিবারে খেয়ে না খেয়েই চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় কুড়িগ্রাম সদরের নীলারাম স্কুল এন্ড কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়ে সবাইকে চমকে দিয়েছে। বাবা খলিলুর রহমান ও মা রওশন আরা বেগম ছেলের এ সাফল্যে খুশি হলেও তার ভবিষ্যৎ লেখাপড়ার খরচ নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। তাদের বাড়ি কুড়িগ্রাম পৌর এলাকার ডাকুয়াপাড়া গ্রামে। রওশনের ইচ্ছে ভবিষ্যতে ইঞ্জিনিয়ার হবার।
সোহরাব হোসেন: বাবা একজন সামান্য ভ্যানগাড়ি চালক। প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়েন। ফলে পরিবারের লোকজনকে অনেক সময় না খেয়েই থাকতে হতো। এমন পরিবারে থেকে লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়াটাও ছিল কষ্টকর ব্যাপার। ফলে পরিবার ও নিজের জন্য পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকে রাজমিস্ত্রির যোগালি হিসেবে কাজ করতে হয়েছে সোহরাব হোসেনকে। নিজের কথা বলতে গিয়ে টলমল করে উঠছিল তার চোখ। কলেজে ভর্তি হবে কিভাবে এটা নিয়েই দুশ্চিন্তায় কান্না চাপা দিচ্ছিল সে। তিন ভাই আর বাবা-মাকে নিয়ে তাদের অভাবী সংসার। থাকেন পৌরসভা এলাকার দক্ষিণ ডাকুয়াপাড়া গ্রামে। বাবা মোফাচ্ছেল হক ও মা ছামিনা বেগম জানেন না ছেলে কতটুকু মুখ উজ্জ্বল করেছে। এবার এসএসসি পরীক্ষায় কুড়িগ্রাম সদরের নীলারাম স্কুল এন্ড কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়েছে সে। সোহরাব হোসেনের ইচ্ছে ভবিষ্যতে ইঞ্জিনিয়ার হবার।
আরিফ হোসেন: বাড়িভিটা মিলে ১৫ শতক জমির মধ্যে ৮ শতক জমিতে শুধু আবাদ করা যায়। তা দিয়ে সংসারে তেমন কিছু হয় না। ফলে কৃষিকাজ ও রাজমিস্ত্রির কাজ করে চলে টানাটানির সংসার। সেই পরিবারে বড় সন্তানের মতো দ্বিতীয় সন্তান আরিফ হোসেনও পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে। এরআগে বড় ছেলে শরীফ হোসেন এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছিল। চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় কুড়িগ্রাম সদরের নীলারাম স্কুল এন্ড কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়েছে সে। অথচ কঠিন জীবন ছিল তাদের। আরিফের পড়ালেখার খরচ জোগানো তার বাবার পক্ষে অসম্ভব ব্যাপার ছিল। ফলে দু’ভাই পড়াশোনার পাশাপাশি রাজমিস্ত্রির হেলপার হিসেবে কাজ করে নিজেদের পড়াশোনার খরচ যুগিয়েছে। কুড়িগ্রাম পৌরসভার চর ভেলাকোপা-মাঝেরচর গ্রামের মোস্তফা আলী ও শাহিদা বেগমের সন্তান আরিফ হোসেন ভবিষ্যৎ চিকিৎসক হতে চায়।
রেদওয়ান আহমেদ: কাঠমিস্ত্রির সন্তান রেদওয়ান আহমেদ। বাবাই সংসারে একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। নানাবাড়িতে থাকে তারা। চার ভাইবোন, বাবা-মা আর নানা-নানীকে নিয়ে ৮ জনের টানাটানির সংসার। গ্রাম সম্পর্কীয় এক মামা স্কুলে ফরম ফিলাপের টাকা কমিয়ে দেয়ায় হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছিল রেদওয়ান। এরকম দারিদ্র্যতার মধ্যে লড়াই করেই চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় কুড়িগ্রাম সদরের নীলারাম স্কুল এন্ড কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়ে স্কুলসহ পরিবারের মুখে হাসি ফুটিয়েছে সে। স্কুলের পাশেই কৃঞ্চপুর বকসীপাড়া গ্রামের নুর মোহাম্মদ ও রাশেদা বেগমের দ্বিতীয় সন্তান রেদওয়ান। ৪ সন্তানের মধ্যে ৩ জন মেয়ে। ভবিষ্যৎ লেখাপড়ার খরচ নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় রয়েছে তারা। রওশনের ইচ্ছে ভবিষ্যতে ইঞ্জিনিয়ার হবার।
রায়হান হোসাইন রাশু: রায়হানের বাবা শাহ আলম মিয়া জেলার বিভিন্ন উপজেলায় দরজা-জানালার ওয়েল্ডিং’র কাজ করেন। এজন্য প্রায়ই বাইরে থাকতে হতো তাকে। এ সময় পরিবারে নেমে আসতো দুর্ভোগ। ঠিকমতো খাবার জুটতো না তাদের। খেয়ে না খেয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হয়েছে তাকে। দু’ভাই আর এক বোনের মধ্যে রায়হান সবার বড়। নিজের উপর আস্থা আর আত্মবিশ্বাসের ফলে অভাবের সংসারে ভেঙে পড়েনি সে। সবার অলক্ষ্যে পড়াশোনা চালিয়ে গেছে। তার প্রতিদানও পেয়েছে সে। চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় কুড়িগ্রাম সদরের নীলারাম স্কুল এন্ড কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়েছে সে। তার ফলাফলে খুশি বাবা-মাসহ এলাকার লোকজন। কিন্তু দরিদ্র এই পরিবারে মেধাবী শিক্ষার্থীটি কিভাবে পড়াশোনা এগিয়ে নিয়ে যাবে এনিয়েই দুশ্চিন্তায় রয়েছে সে। কুড়িগ্রাম পৌরসভার কৃঞ্চপুর করিমের খামার গ্রামের শাহ আলম মিয়া ও রুনা বেগম সন্তান রায়হানের উচ্চ শিক্ষার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
দরিদ্রতাকে জয় করলো হনুফা: হোমনা উপজেলার গোয়ারীভাঙ্গা গ্রামের দরিদ্র পিতা মাতার সন্তান হনুফা বিবি। তার প্রবল ইচ্ছাশক্তি ও প্রচেষ্টায় এ দরিদ্রতাকে পিছনে ফেলে প্রশাসন ক্যাডার হওয়ার স্বপ্ন দেখে হনুফা বিবি। সে এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় হোমনা কফিল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ব্যবসায় শিক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। এ বিষয়ে হনুফা বিবি বলেন, আমার ইচ্ছা শক্তি ও স্যারদের উৎসাহে আমি এ রেজাল্ট করতে পেরেছি। আমি মহান আল্লাহ তায়ালার দরবারে কৃতজ্ঞ । আমার ইচ্ছা ভাল রেজাল্ট করে প্রাশাসন ক্যাডার হওয়ার। আমি সকলের নিকট দোয়া কামনা করছি । রেহেনা বেগম বলেন, দরিদ্রতার কারণে ছেলে মেয়েদের প্রাইভেট পড়াতে পারিনি। আমার ছেলে মেয়েরা খুবই মেধাবী। আমার বড় মেয়ে হেলেনা আক্তার এসএসসি ও এইচ এসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছিল । আমার ছেলেও মেয়ে কলেজে পড়ছে। আমার ছেলে মেয়েদের জন্য সবাই দোয়া করবেন।
রওশন আলী: পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকে শ্রম বিক্রি আর প্রিয় সাইকেলটি বিক্রি করে ফরম ফিলাপের টাকা জোগাড় করেছে মেধাবী রওশন আলী। না হলে পরীক্ষা দেয়াই হতো না তার। বাবা সাধারণ একজন দিনমজুর। ৫ জনের টানাটানির সংসার। নিজস্ব জমিজমা না থাকায় বাবার শ্রমের ঘামে চলছিল সংসার। সেখানে পড়াশোনার টাকা জোগাড় করা ছিল অসম্ভব ব্যাপার। কিন্তু রওশনের ইচ্ছে পড়াশোনা চালিয়ে যাবার। পরে নিজেই বাবার সঙ্গে কখনো বা আলাদাভাবে জমিতে এবং বিল্ডিংয়ে শ্রমিকের কাজ করে টাকা জমিয়ে সংসার এবং নিজের পড়ালেখার খরচ জুটিয়েছে সে। এমন পরিবারে খেয়ে না খেয়েই চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় কুড়িগ্রাম সদরের নীলারাম স্কুল এন্ড কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়ে সবাইকে চমকে দিয়েছে। বাবা খলিলুর রহমান ও মা রওশন আরা বেগম ছেলের এ সাফল্যে খুশি হলেও তার ভবিষ্যৎ লেখাপড়ার খরচ নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। তাদের বাড়ি কুড়িগ্রাম পৌর এলাকার ডাকুয়াপাড়া গ্রামে। রওশনের ইচ্ছে ভবিষ্যতে ইঞ্জিনিয়ার হবার।
সোহরাব হোসেন: বাবা একজন সামান্য ভ্যানগাড়ি চালক। প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়েন। ফলে পরিবারের লোকজনকে অনেক সময় না খেয়েই থাকতে হতো। এমন পরিবারে থেকে লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়াটাও ছিল কষ্টকর ব্যাপার। ফলে পরিবার ও নিজের জন্য পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকে রাজমিস্ত্রির যোগালি হিসেবে কাজ করতে হয়েছে সোহরাব হোসেনকে। নিজের কথা বলতে গিয়ে টলমল করে উঠছিল তার চোখ। কলেজে ভর্তি হবে কিভাবে এটা নিয়েই দুশ্চিন্তায় কান্না চাপা দিচ্ছিল সে। তিন ভাই আর বাবা-মাকে নিয়ে তাদের অভাবী সংসার। থাকেন পৌরসভা এলাকার দক্ষিণ ডাকুয়াপাড়া গ্রামে। বাবা মোফাচ্ছেল হক ও মা ছামিনা বেগম জানেন না ছেলে কতটুকু মুখ উজ্জ্বল করেছে। এবার এসএসসি পরীক্ষায় কুড়িগ্রাম সদরের নীলারাম স্কুল এন্ড কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়েছে সে। সোহরাব হোসেনের ইচ্ছে ভবিষ্যতে ইঞ্জিনিয়ার হবার।
আরিফ হোসেন: বাড়িভিটা মিলে ১৫ শতক জমির মধ্যে ৮ শতক জমিতে শুধু আবাদ করা যায়। তা দিয়ে সংসারে তেমন কিছু হয় না। ফলে কৃষিকাজ ও রাজমিস্ত্রির কাজ করে চলে টানাটানির সংসার। সেই পরিবারে বড় সন্তানের মতো দ্বিতীয় সন্তান আরিফ হোসেনও পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে। এরআগে বড় ছেলে শরীফ হোসেন এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছিল। চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় কুড়িগ্রাম সদরের নীলারাম স্কুল এন্ড কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়েছে সে। অথচ কঠিন জীবন ছিল তাদের। আরিফের পড়ালেখার খরচ জোগানো তার বাবার পক্ষে অসম্ভব ব্যাপার ছিল। ফলে দু’ভাই পড়াশোনার পাশাপাশি রাজমিস্ত্রির হেলপার হিসেবে কাজ করে নিজেদের পড়াশোনার খরচ যুগিয়েছে। কুড়িগ্রাম পৌরসভার চর ভেলাকোপা-মাঝেরচর গ্রামের মোস্তফা আলী ও শাহিদা বেগমের সন্তান আরিফ হোসেন ভবিষ্যৎ চিকিৎসক হতে চায়।
রেদওয়ান আহমেদ: কাঠমিস্ত্রির সন্তান রেদওয়ান আহমেদ। বাবাই সংসারে একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। নানাবাড়িতে থাকে তারা। চার ভাইবোন, বাবা-মা আর নানা-নানীকে নিয়ে ৮ জনের টানাটানির সংসার। গ্রাম সম্পর্কীয় এক মামা স্কুলে ফরম ফিলাপের টাকা কমিয়ে দেয়ায় হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছিল রেদওয়ান। এরকম দারিদ্র্যতার মধ্যে লড়াই করেই চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় কুড়িগ্রাম সদরের নীলারাম স্কুল এন্ড কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়ে স্কুলসহ পরিবারের মুখে হাসি ফুটিয়েছে সে। স্কুলের পাশেই কৃঞ্চপুর বকসীপাড়া গ্রামের নুর মোহাম্মদ ও রাশেদা বেগমের দ্বিতীয় সন্তান রেদওয়ান। ৪ সন্তানের মধ্যে ৩ জন মেয়ে। ভবিষ্যৎ লেখাপড়ার খরচ নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় রয়েছে তারা। রওশনের ইচ্ছে ভবিষ্যতে ইঞ্জিনিয়ার হবার।
রায়হান হোসাইন রাশু: রায়হানের বাবা শাহ আলম মিয়া জেলার বিভিন্ন উপজেলায় দরজা-জানালার ওয়েল্ডিং’র কাজ করেন। এজন্য প্রায়ই বাইরে থাকতে হতো তাকে। এ সময় পরিবারে নেমে আসতো দুর্ভোগ। ঠিকমতো খাবার জুটতো না তাদের। খেয়ে না খেয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হয়েছে তাকে। দু’ভাই আর এক বোনের মধ্যে রায়হান সবার বড়। নিজের উপর আস্থা আর আত্মবিশ্বাসের ফলে অভাবের সংসারে ভেঙে পড়েনি সে। সবার অলক্ষ্যে পড়াশোনা চালিয়ে গেছে। তার প্রতিদানও পেয়েছে সে। চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় কুড়িগ্রাম সদরের নীলারাম স্কুল এন্ড কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়েছে সে। তার ফলাফলে খুশি বাবা-মাসহ এলাকার লোকজন। কিন্তু দরিদ্র এই পরিবারে মেধাবী শিক্ষার্থীটি কিভাবে পড়াশোনা এগিয়ে নিয়ে যাবে এনিয়েই দুশ্চিন্তায় রয়েছে সে। কুড়িগ্রাম পৌরসভার কৃঞ্চপুর করিমের খামার গ্রামের শাহ আলম মিয়া ও রুনা বেগম সন্তান রায়হানের উচ্চ শিক্ষার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
দরিদ্রতাকে জয় করলো হনুফা: হোমনা উপজেলার গোয়ারীভাঙ্গা গ্রামের দরিদ্র পিতা মাতার সন্তান হনুফা বিবি। তার প্রবল ইচ্ছাশক্তি ও প্রচেষ্টায় এ দরিদ্রতাকে পিছনে ফেলে প্রশাসন ক্যাডার হওয়ার স্বপ্ন দেখে হনুফা বিবি। সে এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় হোমনা কফিল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ব্যবসায় শিক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। এ বিষয়ে হনুফা বিবি বলেন, আমার ইচ্ছা শক্তি ও স্যারদের উৎসাহে আমি এ রেজাল্ট করতে পেরেছি। আমি মহান আল্লাহ তায়ালার দরবারে কৃতজ্ঞ । আমার ইচ্ছা ভাল রেজাল্ট করে প্রাশাসন ক্যাডার হওয়ার। আমি সকলের নিকট দোয়া কামনা করছি । রেহেনা বেগম বলেন, দরিদ্রতার কারণে ছেলে মেয়েদের প্রাইভেট পড়াতে পারিনি। আমার ছেলে মেয়েরা খুবই মেধাবী। আমার বড় মেয়ে হেলেনা আক্তার এসএসসি ও এইচ এসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছিল । আমার ছেলেও মেয়ে কলেজে পড়ছে। আমার ছেলে মেয়েদের জন্য সবাই দোয়া করবেন।
No comments