বাজেট বাস্তবায়নে ব্যাংক থেকেই ৫৯ হাজার ৫৩০ কোটি টাকা ঋণ by সৈয়দ সামসুজ্জামান নীপু
ব্যাংক
থেকে মোটা অঙ্কের ঋণ নিয়ে বাজেট বাস্তবায়ন করতে চায় সরকার। আগামী
অর্থবছরের বাজেটে ব্যাংকঋণের টার্গেট ধরা হচ্ছে ৫৯ হাজার ৫৩০ কোটি টাকা, যা
বর্তমান অর্থবছরের বাজেটে এই খাতে ঋণ নেয়ার টার্গেট থেকে দ্বিগুণেরও বেশি।
তবে সরকার ব্যাংক থেকে যদি বিশাল পরিমাণ ঋণ নেয় সে ক্ষেত্রে দেশের
বেসরকারি খাত ঋণপ্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হতে পারে বলে মতপ্রকাশ করেছে অর্থনীতি
বিশ্লেষকেরা। তারা বলেছেন, এতে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হ্রাস পেতে
পারে। ফলে অর্জিত হবে না জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রাও।
অর্থমন্ত্রী আগামী ৭ জুন জাতীয় সংসদে ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব সংসদে উত্থাপন করবেন বলে জানা গেছে। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয় ২৮ হাজার ২০৩ কোটি টাকা। পরে এ লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা কাটছাঁট করা হয়। ফলে সংশোধিত বাজেটে ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২০ হাজার ৪ কোটি টাকা। আর আগামী অর্থবছরে ব্যাংকিং খাত থেকে ঋণ নেয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হচ্ছে ৫৯ হাজার ৫৩০ কোটি টাকা, চলতি অর্থবছরের এই খাতে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি এবং সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় তিনগুণ। আগামী অর্থবছরে ব্যাংক ঋণ নেয়া হবে চলতি অর্থবছরে মূল বাজেটে এই খাতে ঋণের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩১ হাজার ৩২৭ কোটি টাকা বেশি। সংশোধিত বাজেটের চেয়ে এই অঙ্ক ৩৯ হাজার ৪৮৮ কোটি টাকা বেশি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাজেট তৈরির সাথে সম্পৃক্ত এক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, আগামী অর্থবছরের বাজেট হবে সরকারের বর্তমান মেয়াদের শেষ বাজেট। এ বছরের ডিসেম্বরে সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। এবারকার বাজেটটি নির্বাচনকে মাথায় রেখে তৈরি করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ভোটারদের মনোতুষ্টির জন্য আগামী বাজেটে করখাতে তেমন কোনো পরিবর্তন করা হচ্ছে না। ফলে বাজেট বাস্তবায়নের জন্য বর্ধিত হারে রাজস্ব আদায় সম্ভব হবে না। কিন্তু বাজেট বাস্তবায়ন করতে হলে অর্থের প্রয়োজন পড়বে।
মনে করা হচ্ছে বাজেটে বিদেশ থেকে ঋণও কাক্সিক্ষত মাত্রায় পাওয়া যাবে না। ফলে বাজেট বাস্তবায়নের জন্য ব্যাংকঋণের ওপরই বেশি ভরসা করা হচ্ছে। একই সাথে আগামী অর্থবছর থেকে সঞ্চয়পত্রে সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে এই খাতে মানুষ কম বিনিয়োগ করবে। এই জন্য আগামী বাজেটে সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণের লক্ষ্যও কমানো হয়েছে। এখন বাজেট ঘাটতি মেটানোর জন্য সরকারের একমাত্র উৎস থাকছে ব্যাংকঋণ। সে কারণেই ব্যাংকঋণের পরিমাণ আগামী অর্থবছরে ব্যাপক হারে বেড়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, তবে যদি সঞ্চয়পত্রের সুদের হার না কমানো হয় এবং বর্তমান অবস্থার মতো সঞ্চয়পত্র বিক্রি অব্যাহত থাকে তাহলে আগামী অর্থবছরে ব্যাংক থেকে এত বিশাল পরিমাণ ঋণ নেয়ার প্রয়োজন পড়বে না।
বিভিন্ন বছরের বাজেট ডকুমেন্ট ঘেঁটে দেখা গেছে, বিগত কোনো অর্থবছরেই সরকারকে এত ব্যাংক ঋণনির্ভর বাজেট দিতে হয়নি। যেমন-২০১৪-১৫ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে ব্যাংকঋণ নেয়া হয়েছিল মাত্র ৫১৪ কোটি টাকা। এর পরের অর্থবছর থেকেই ব্যাংকঋণের পরিমাণ ব্যাপক হারে বাড়তে থাকে। ফলে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ব্যাংকঋণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৮ হাজার ৫২৩ কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে যা কমিয়ে করা হয়েছিল ৩১ হাজার ৬৭৫ কোটি টাকা। এর পরের ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এ খাতে ঋণ নেয়ার টার্গেট ছিল ৩৮ হাজার ৯৩৮ কোটি টাকা। পরে তা সংশোধন করে করা হয় ২৩ হাজার ৯০৩ কোটি টাকা।
অর্থমন্ত্রী আগামী ৭ জুন জাতীয় সংসদে ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব সংসদে উত্থাপন করবেন বলে জানা গেছে। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয় ২৮ হাজার ২০৩ কোটি টাকা। পরে এ লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা কাটছাঁট করা হয়। ফলে সংশোধিত বাজেটে ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২০ হাজার ৪ কোটি টাকা। আর আগামী অর্থবছরে ব্যাংকিং খাত থেকে ঋণ নেয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হচ্ছে ৫৯ হাজার ৫৩০ কোটি টাকা, চলতি অর্থবছরের এই খাতে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি এবং সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় তিনগুণ। আগামী অর্থবছরে ব্যাংক ঋণ নেয়া হবে চলতি অর্থবছরে মূল বাজেটে এই খাতে ঋণের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩১ হাজার ৩২৭ কোটি টাকা বেশি। সংশোধিত বাজেটের চেয়ে এই অঙ্ক ৩৯ হাজার ৪৮৮ কোটি টাকা বেশি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাজেট তৈরির সাথে সম্পৃক্ত এক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, আগামী অর্থবছরের বাজেট হবে সরকারের বর্তমান মেয়াদের শেষ বাজেট। এ বছরের ডিসেম্বরে সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। এবারকার বাজেটটি নির্বাচনকে মাথায় রেখে তৈরি করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ভোটারদের মনোতুষ্টির জন্য আগামী বাজেটে করখাতে তেমন কোনো পরিবর্তন করা হচ্ছে না। ফলে বাজেট বাস্তবায়নের জন্য বর্ধিত হারে রাজস্ব আদায় সম্ভব হবে না। কিন্তু বাজেট বাস্তবায়ন করতে হলে অর্থের প্রয়োজন পড়বে।
মনে করা হচ্ছে বাজেটে বিদেশ থেকে ঋণও কাক্সিক্ষত মাত্রায় পাওয়া যাবে না। ফলে বাজেট বাস্তবায়নের জন্য ব্যাংকঋণের ওপরই বেশি ভরসা করা হচ্ছে। একই সাথে আগামী অর্থবছর থেকে সঞ্চয়পত্রে সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে এই খাতে মানুষ কম বিনিয়োগ করবে। এই জন্য আগামী বাজেটে সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণের লক্ষ্যও কমানো হয়েছে। এখন বাজেট ঘাটতি মেটানোর জন্য সরকারের একমাত্র উৎস থাকছে ব্যাংকঋণ। সে কারণেই ব্যাংকঋণের পরিমাণ আগামী অর্থবছরে ব্যাপক হারে বেড়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, তবে যদি সঞ্চয়পত্রের সুদের হার না কমানো হয় এবং বর্তমান অবস্থার মতো সঞ্চয়পত্র বিক্রি অব্যাহত থাকে তাহলে আগামী অর্থবছরে ব্যাংক থেকে এত বিশাল পরিমাণ ঋণ নেয়ার প্রয়োজন পড়বে না।
বিভিন্ন বছরের বাজেট ডকুমেন্ট ঘেঁটে দেখা গেছে, বিগত কোনো অর্থবছরেই সরকারকে এত ব্যাংক ঋণনির্ভর বাজেট দিতে হয়নি। যেমন-২০১৪-১৫ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে ব্যাংকঋণ নেয়া হয়েছিল মাত্র ৫১৪ কোটি টাকা। এর পরের অর্থবছর থেকেই ব্যাংকঋণের পরিমাণ ব্যাপক হারে বাড়তে থাকে। ফলে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ব্যাংকঋণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৮ হাজার ৫২৩ কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে যা কমিয়ে করা হয়েছিল ৩১ হাজার ৬৭৫ কোটি টাকা। এর পরের ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এ খাতে ঋণ নেয়ার টার্গেট ছিল ৩৮ হাজার ৯৩৮ কোটি টাকা। পরে তা সংশোধন করে করা হয় ২৩ হাজার ৯০৩ কোটি টাকা।
No comments