সংরক্ষণ শেষ হয়ে গেলে ভারতবাসীর অধিকার শেষ হয়ে যাবে: সাবিত্রি বাই
বিজেপি এমপি সাবিত্রী বাই ফুলে |
ভারতে
বিজেপিশাসিত উত্তর প্রদেশের বিজেপি এমপি সাবিত্রী বাই ফুলে বলেছেন,
সংরক্ষণ (শিক্ষা ও চাকরিতে কোটা পদ্ধতি) শেষ হয়ে গেলে গোটা দেশবাসীর অধিকার
শেষ হয়ে যাবে।
গত শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি ওই মন্তব্য করেন। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে উদ্দেশ করে সাবিত্রী বাই ফুলে বলেন, গোটা ভারত জ্বলছে, উত্তর প্রদেশ জ্বলছে। হাহাকার সৃষ্টি হয়েছে কিন্তু এসবের কোনো চিন্তা নেই! সাবিত্রী বাই ফুলে বহুজন সমাজের মানুষের কথা তুলে ধরছে বলে তার কণ্ঠস্বরকে চাপা দেয়ার জন্য পদক্ষেপ করা হচ্ছে! কিন্তু ভারতের সংবিধান ও বহুজন সমাজের সঙ্গে যে অন্যায় হচ্ছে এ নিয়ে কোনো আপোশ করা হবে না।
সাবিত্রী বাই ফুলে বিজেপি এমপি হওয়া সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার এবং বিজেপি নেতাদের টার্গেট করে তীব্র সমালোচনায় মুখর হওয়ায় রাজনৈতিক অঙ্গনে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
সাবিত্রী দেবী বলেন, ‘দলিতদের উপরে অত্যাচার হচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে বাবা সাহেব আম্বেদকরের ভাস্কর্য ক্ষতিগ্রস্তকারীদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না।’
তিনি বলেন, "আমি নই, সুপ্রিম কোর্টের জজ পর্যন্তও বলেছেন, দেশের গণতন্ত্র বিপদাপন্ন।"
বিজেপি নেতাদের টার্গেট করে তিনি বলেন, "কখনো বলা হচ্ছে আমরা সংরক্ষণ পরিবর্তনের জন্য এসেছি, কখনো বলা হচ্ছে দেশের সংবিধান পর্যালোচনা করা হবে, কখনো বলা হচ্ছে আমরা সংরক্ষণ শেষ করে দেবো। সংরক্ষণ এমনভাবে শেষ করা হবে যা থাকা আর না থাকা সমান হবে! কিন্তু যদি সংরক্ষণ শেষ হয়ে যায় তাহলে শুধু বহুজন সমাজই নয়, গোটা দেশের মানুষের অধিকার শেষ হয়ে যাবে।"
সাবিত্রী বাই ফুলে বলেন, তিনি বহুজন সমাজের হয়ে আন্দোলন করছেন। কিন্তু দল ও সরকার তাকে দমিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে। যেকোনো পরিস্থিতির মুখোমুখিই হোন না কেন সেজন্য তিনি প্রস্তুত রয়েছেন।
তিনি দলিত নির্যাতনের প্রশ্নে সরকারের কাছে সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডেকে আলোচনার দাবি তুলেছেন।
বিজেপি’র ওই এমপি এর আগে দলীয় অবস্থানের সম্পূর্ণ বিপরীত অবস্থান নিয়ে পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ আলী জিন্নাহকে ‘মহাপুরুষ’ বলে অভিহিত করে তার প্রশংসা করায় বিজেপি অস্বস্তিতে পড়েছে। উত্তর প্রদেশের বিজেপি নেতা ও উপ- মুখ্যমন্ত্রী কেশবপ্রসাদ মৌর্য ওই বিবৃতিতে আপত্তি জানিয়ে তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ার বললে সাবিত্রী দেবী তাতে কান না দিয়ে বলেন, "জিন্নাহ ‘মহাপুরুষ ছিলেন বলেই তাকে মহাপুরুষ বলেছি। কেন সত্যি বলা কী অপরাধ?"
গত শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি ওই মন্তব্য করেন। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে উদ্দেশ করে সাবিত্রী বাই ফুলে বলেন, গোটা ভারত জ্বলছে, উত্তর প্রদেশ জ্বলছে। হাহাকার সৃষ্টি হয়েছে কিন্তু এসবের কোনো চিন্তা নেই! সাবিত্রী বাই ফুলে বহুজন সমাজের মানুষের কথা তুলে ধরছে বলে তার কণ্ঠস্বরকে চাপা দেয়ার জন্য পদক্ষেপ করা হচ্ছে! কিন্তু ভারতের সংবিধান ও বহুজন সমাজের সঙ্গে যে অন্যায় হচ্ছে এ নিয়ে কোনো আপোশ করা হবে না।
সাবিত্রী বাই ফুলে বিজেপি এমপি হওয়া সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার এবং বিজেপি নেতাদের টার্গেট করে তীব্র সমালোচনায় মুখর হওয়ায় রাজনৈতিক অঙ্গনে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
সাবিত্রী দেবী বলেন, ‘দলিতদের উপরে অত্যাচার হচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে বাবা সাহেব আম্বেদকরের ভাস্কর্য ক্ষতিগ্রস্তকারীদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না।’
তিনি বলেন, "আমি নই, সুপ্রিম কোর্টের জজ পর্যন্তও বলেছেন, দেশের গণতন্ত্র বিপদাপন্ন।"
বিজেপি নেতাদের টার্গেট করে তিনি বলেন, "কখনো বলা হচ্ছে আমরা সংরক্ষণ পরিবর্তনের জন্য এসেছি, কখনো বলা হচ্ছে দেশের সংবিধান পর্যালোচনা করা হবে, কখনো বলা হচ্ছে আমরা সংরক্ষণ শেষ করে দেবো। সংরক্ষণ এমনভাবে শেষ করা হবে যা থাকা আর না থাকা সমান হবে! কিন্তু যদি সংরক্ষণ শেষ হয়ে যায় তাহলে শুধু বহুজন সমাজই নয়, গোটা দেশের মানুষের অধিকার শেষ হয়ে যাবে।"
সাবিত্রী বাই ফুলে বলেন, তিনি বহুজন সমাজের হয়ে আন্দোলন করছেন। কিন্তু দল ও সরকার তাকে দমিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে। যেকোনো পরিস্থিতির মুখোমুখিই হোন না কেন সেজন্য তিনি প্রস্তুত রয়েছেন।
তিনি দলিত নির্যাতনের প্রশ্নে সরকারের কাছে সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডেকে আলোচনার দাবি তুলেছেন।
বিজেপি’র ওই এমপি এর আগে দলীয় অবস্থানের সম্পূর্ণ বিপরীত অবস্থান নিয়ে পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ আলী জিন্নাহকে ‘মহাপুরুষ’ বলে অভিহিত করে তার প্রশংসা করায় বিজেপি অস্বস্তিতে পড়েছে। উত্তর প্রদেশের বিজেপি নেতা ও উপ- মুখ্যমন্ত্রী কেশবপ্রসাদ মৌর্য ওই বিবৃতিতে আপত্তি জানিয়ে তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ার বললে সাবিত্রী দেবী তাতে কান না দিয়ে বলেন, "জিন্নাহ ‘মহাপুরুষ ছিলেন বলেই তাকে মহাপুরুষ বলেছি। কেন সত্যি বলা কী অপরাধ?"
No comments