মৌলভীবাজার চা বাগানে বিশেষায়িত কারিগরি স্কুল হচ্ছে by নূর মোহাম্মদ
মৌলভীবাজারের
চা বাগান এলাকায় বিশেষায়িত কারিগরি স্কুল স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধ, মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার সুযোগ
নিশ্চিত এবং কারিগরি শিক্ষায় দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে মৌলভীবাজার জেলার
কুলাউড়া ও শ্রীমঙ্গল উপজেলার একটি করে বিশেষায়িত মাধ্যমিক বিদ্যালয়/কারিগরি
উচ্চ বিদ্যালয় স্থাপন করা হবে। ইতিমধ্যে বিদ্যালয় দু’টি স্থাপনে জায়গা
নির্ধারণ করে পরিদর্শন প্রতিবেদন দিয়েছে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন।
এখন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় নির্বাচিত ভূমিতে হাইস্কুল স্থাপনের বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিবকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নির্দেশনা দিয়েছে। এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের উপ-সচিব সুবোধ চন্দ্র ঢালী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এ ব্যাপারে নির্দেশনা পাঠিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। এখন কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও অধিদপ্তরের কাছে মতামত চাওয়া হবে। তাদের মতামতের উপর ভিত্তি করে এটি নিয়ে পর্যালোচনা সভা করা হবে। তিনি আরও বলেন, চা বাগান অঞ্চলে বিশেষায়িত কারিগরি মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপন করলে সেখানে চা বাগান উপযোগী কি ধরনের কারিগরি রিলেটেড ট্রেড সাবজেক্ট চালু করা যায় সেটি সিন্ধান্ত নেবে মন্ত্রণালয়। জানা গেছে, সিলেট অঞ্চলের চা শ্রমিকরা সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী। যুগের পর যুগ তাদের সন্তানরা মাধ্যমিক শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত। চা বাগানে কিছু প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকলেও সেখানে সরকারি-বেসরকারি কোনো মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপন করা হয়নি।
এ অঞ্চল থেকে প্রায় ৭-৯ কিলোমিটারের মধ্যে মাধ্যমিক বিদ্যালয় থাকলেও যোগাযোগ ব্যবস্থা অনুপযোগী। দূরবর্তী বিদ্যালয়ে পড়াশুনার ক্ষেত্রে অধিকাংশ ছাত্রছাত্রীরা বঞ্চিত হয়। ফলে প্রতি বছর প্রাথমিক স্তর শেষ করেও কয়েকশ শিশু মোট ঝরে পড়ার হারের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। বিদ্যালয়ের অভাবে এসব শিশুরা মাধ্যমিক শিক্ষার সুযোগ থেকে ছিটকে পড়ছে। এসব বিবেচনায় শ্রমিকের সন্তানদের শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করতে চা বাগান এলাকায় বিশেষায়িত হাইস্কুল নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ আল-আমীন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী সমপ্রতি মৌলভীবাজার জেলা সফরকালে চা বাগানে শ্রমিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। সেখানে চা শ্রমিকরা মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপনের দাবি তুলেন। পাশাপাশি তাদের নানা বঞ্চনার কথাও তুলে ধরেন ওই সভায়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ডিসেম্বরে কুলাউড়া উপজেলাধীন তিলকপুর বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শ্রীমঙ্গল উপজেলাধীন কালিঘাট চা বাগান প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভূমিতে কারিগরি উচ্চ বিদ্যালয় নির্মাণে স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে এ দু’টি বিদ্যালয়ে সরজমিন গিয়ে পরিদর্শন প্রতিবেদনও জমা দিয়েছে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক।
মৌলভীবাজার জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ আশরাফুল আলম খান বলেন, ইতিমধ্যে কুলাউড়া ও শ্রীমঙ্গলে চা বাগানে অবস্থিত দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমিতে নতুন মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপনের লক্ষ্যে স্থান নির্বাচন করা হয়েছে। সেখানে মাধ্যমিক বিদ্যালয় বা কারিগরি মাধ্যমিক বিদ্যালয় নির্মাণ করলে ওই স্কুল দুটিকে ভিত্তি করে বেশি সংখ্যক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা পরবর্তী শিক্ষা স্তর অব্যাহত রাখতে পারবে। বিদ্যালয় দুটির সার্বিক তথ্য নিয়ে প্রতিবেদন রিপোর্ট প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। এখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত বছরের ২৮শে ডিসেম্বর কুলাউড়ার তিলকপুর বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শ্রীমঙ্গলের কালিঘাট চা বাগান প্রাথমিক বিদ্যালয় দুটি পরিদর্শন করেন জেলার অতিরিক্ত প্রশাসক (রাজস্ব)। পরিদর্শন প্রতিবেদন বলা হয়, কালিঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং তিলকপুর বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দুটি চা বাগানের অভ্যন্তরে অবস্থিত। দুটি বিদ্যালয়ের কাছাকাছি অন্তত ২০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয় থেকে ৬ থেকে ৯ কিলোমিটার দূরে কয়েকটি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। যেগুলোর যোগাযোগ ব্যবস্থা অনুপযোগী। দূরবর্তী বিদ্যালয়ে পড়াশুনার ক্ষেত্রে অধিকাংশ ছাত্রছাত্রী বঞ্চিত হচ্ছে। ফলে প্রতি বছর প্রাথমিক স্তর শেষ করেও স্কুলের অভাবে শিক্ষার্থীরা মাধ্যমিক শিক্ষায় ভর্তি হতে না পেরে ঝরে পড়ছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, এমতাবস্থায় বিদ্যালয় দুটির শ্রেণিকক্ষ উন্নয়নসহ উক্ত স্থানে বা তার আশপাশে বিশেষায়িত মাধ্যমিক বিদ্যালয় বা কারিগরি বিদ্যালয় স্থাপন করা হলে এ অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা মাধ্যমিক শিক্ষার সুযোগ পাবে। পাশাপাশি ঝরে পড়া কমবে। একই সঙ্গে এসব শিশুরা কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে উঠবে। যারা বাংলাদেশের উন্নয়নের পথের নেতৃত্ব দেবে।
এখন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় নির্বাচিত ভূমিতে হাইস্কুল স্থাপনের বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিবকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নির্দেশনা দিয়েছে। এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের উপ-সচিব সুবোধ চন্দ্র ঢালী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এ ব্যাপারে নির্দেশনা পাঠিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। এখন কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও অধিদপ্তরের কাছে মতামত চাওয়া হবে। তাদের মতামতের উপর ভিত্তি করে এটি নিয়ে পর্যালোচনা সভা করা হবে। তিনি আরও বলেন, চা বাগান অঞ্চলে বিশেষায়িত কারিগরি মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপন করলে সেখানে চা বাগান উপযোগী কি ধরনের কারিগরি রিলেটেড ট্রেড সাবজেক্ট চালু করা যায় সেটি সিন্ধান্ত নেবে মন্ত্রণালয়। জানা গেছে, সিলেট অঞ্চলের চা শ্রমিকরা সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী। যুগের পর যুগ তাদের সন্তানরা মাধ্যমিক শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত। চা বাগানে কিছু প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকলেও সেখানে সরকারি-বেসরকারি কোনো মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপন করা হয়নি।
এ অঞ্চল থেকে প্রায় ৭-৯ কিলোমিটারের মধ্যে মাধ্যমিক বিদ্যালয় থাকলেও যোগাযোগ ব্যবস্থা অনুপযোগী। দূরবর্তী বিদ্যালয়ে পড়াশুনার ক্ষেত্রে অধিকাংশ ছাত্রছাত্রীরা বঞ্চিত হয়। ফলে প্রতি বছর প্রাথমিক স্তর শেষ করেও কয়েকশ শিশু মোট ঝরে পড়ার হারের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। বিদ্যালয়ের অভাবে এসব শিশুরা মাধ্যমিক শিক্ষার সুযোগ থেকে ছিটকে পড়ছে। এসব বিবেচনায় শ্রমিকের সন্তানদের শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করতে চা বাগান এলাকায় বিশেষায়িত হাইস্কুল নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ আল-আমীন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী সমপ্রতি মৌলভীবাজার জেলা সফরকালে চা বাগানে শ্রমিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। সেখানে চা শ্রমিকরা মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপনের দাবি তুলেন। পাশাপাশি তাদের নানা বঞ্চনার কথাও তুলে ধরেন ওই সভায়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ডিসেম্বরে কুলাউড়া উপজেলাধীন তিলকপুর বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শ্রীমঙ্গল উপজেলাধীন কালিঘাট চা বাগান প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভূমিতে কারিগরি উচ্চ বিদ্যালয় নির্মাণে স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে এ দু’টি বিদ্যালয়ে সরজমিন গিয়ে পরিদর্শন প্রতিবেদনও জমা দিয়েছে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক।
মৌলভীবাজার জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ আশরাফুল আলম খান বলেন, ইতিমধ্যে কুলাউড়া ও শ্রীমঙ্গলে চা বাগানে অবস্থিত দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমিতে নতুন মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপনের লক্ষ্যে স্থান নির্বাচন করা হয়েছে। সেখানে মাধ্যমিক বিদ্যালয় বা কারিগরি মাধ্যমিক বিদ্যালয় নির্মাণ করলে ওই স্কুল দুটিকে ভিত্তি করে বেশি সংখ্যক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা পরবর্তী শিক্ষা স্তর অব্যাহত রাখতে পারবে। বিদ্যালয় দুটির সার্বিক তথ্য নিয়ে প্রতিবেদন রিপোর্ট প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। এখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত বছরের ২৮শে ডিসেম্বর কুলাউড়ার তিলকপুর বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শ্রীমঙ্গলের কালিঘাট চা বাগান প্রাথমিক বিদ্যালয় দুটি পরিদর্শন করেন জেলার অতিরিক্ত প্রশাসক (রাজস্ব)। পরিদর্শন প্রতিবেদন বলা হয়, কালিঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং তিলকপুর বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দুটি চা বাগানের অভ্যন্তরে অবস্থিত। দুটি বিদ্যালয়ের কাছাকাছি অন্তত ২০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয় থেকে ৬ থেকে ৯ কিলোমিটার দূরে কয়েকটি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। যেগুলোর যোগাযোগ ব্যবস্থা অনুপযোগী। দূরবর্তী বিদ্যালয়ে পড়াশুনার ক্ষেত্রে অধিকাংশ ছাত্রছাত্রী বঞ্চিত হচ্ছে। ফলে প্রতি বছর প্রাথমিক স্তর শেষ করেও স্কুলের অভাবে শিক্ষার্থীরা মাধ্যমিক শিক্ষায় ভর্তি হতে না পেরে ঝরে পড়ছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, এমতাবস্থায় বিদ্যালয় দুটির শ্রেণিকক্ষ উন্নয়নসহ উক্ত স্থানে বা তার আশপাশে বিশেষায়িত মাধ্যমিক বিদ্যালয় বা কারিগরি বিদ্যালয় স্থাপন করা হলে এ অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা মাধ্যমিক শিক্ষার সুযোগ পাবে। পাশাপাশি ঝরে পড়া কমবে। একই সঙ্গে এসব শিশুরা কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে উঠবে। যারা বাংলাদেশের উন্নয়নের পথের নেতৃত্ব দেবে।
No comments