ডিজে পার্টির আড়ালে অনৈতিক ব্যবসা
অভিজাত
আবাসিক এলাকা। বিলাস বহুল ভবন। বাসাবাড়ি হিসেবেই জানেন আশপাশের লোকজন।
যদিও দু-একটা সাইনবোর্ড জানিয়ে দেয় এরমধ্যেই আছে কয়েক অফিস। এসব ভবনের অনেক
ফ্ল্যাটে প্রায় রাতে আয়োজন করা হয় ডিজে পার্টির। আয়োজকরা মূলত বিপথগামী
ব্যবসায়ী। ডিজে পার্টির নামে করেন নানা অনৈতিক বাণিজ্য। ফুর্তি করার জন্য
টিকিট কিনে পার্টিতে যোগ দেন তরুণ থেকে শুরু করে একশ্রেণির মধ্য বয়সী
পুরুষ।
রাজধানীর গুলশান-বনানীতে রয়েছে এরকম অর্ধশত ফ্ল্যাট। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, এসব ফ্ল্যাটের সামনে থাকে অফিস। সাজানা-গোছানো কক্ষ, চেয়ার টেবিল সোফা। দেয়ালে টানানো থাকে নানা শৈল্পিক চিত্র। প্রতিটি কক্ষ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। আশপাশের লোকজন ভাবতেই পারেন না অফিসের নামে কী হচ্ছে ভেতরে। এরকম একটি ভবন নিকেতনের ই ব্লকের আট নম্বর রোডের ২৮ নম্বর বাড়ি। মাহমুদা হাউজ নামের কালো ফটকের এই বাড়ির বর্ণিল আলোর আড়ালে ছিল গাঢ় অন্ধকার। সম্প্রতি এই বাড়িতে অভিযান চালায় সিটিটিসি’র সাইবার ক্রাইম ইউনিট। গ্রেপ্তার করা হয় আসিফ হাসান তুষারসহ কয়েক জনকে। ওই ভবনে ফুজি হোটেল নামে একটি আবাসিক হোটেল রয়েছে। ওই হোটেলে প্রায় রাতেই আয়োজন করা হতো ডিজে পার্টির। ৪৯৯৯ টাকা মূল্যে টিকেট কিনে যেতে হতো পার্টিতে।
গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, ঢাকায় শতাধিক তরুণী রয়েছে যারা ওই পার্টিতে যোগ দিতেন। অর্থের বিনিময়ে রাতব্যাপী অন্যকে আনন্দ দিয়ে পরদিন ফিরতেন বাসায়। তাদের পার্টিতে নিয়মিত অংশ নিতেন কম বয়সী এক ডিজে। মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা ইংরেজি মাধ্যমের ছাত্রী ওই ডিজে অর্থের বিনিময়ে সঙ্গী হন অনেকের। গত ৩০শে মার্চের একটি পার্টির বিজ্ঞাপনে দেখা গেছে, ফায়ার ওয়ার্ক, র্যাম্প ড্যান্স, লাইভ ড্যান্স, ইন্টারটেইনমেন্ট ও ডিজে প্রোগামের প্রচার করা হয়েছিল। এতে সামান্তা খান নামে এক ডিজের ছবি ব্যবহার করা হয়েছে।
এছাড়াও রয়েছেন বিভিন্ন মিউজিক ভিডিও, শর্ট ফিল্মের নায়িকা। একই কর্ম করেন তারাও।
ঢাকার শেষপ্রান্তে রূপনগরের বিরুলিয়া ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে এরকম আরও একটি রিসোর্ট। তুরাগ রিক্রিয়েশন নামের ওই রিসোর্টটি ভাড়া নিয়ে নানা অপকর্ম করে বেড়াচ্ছিল একটি চক্র। প্রতি সপ্তাহে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সেখানে জড়ো হতো তরুণ-তরুণীরা। রাতব্যাপী গান, নাচ ও মাদকে বুঁদ হয়ে থাকতো তারা। এসব বিষয়ে একটি মামলা হলে তা তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডি। জেলা উত্তর ডিবি’র এসআই জাকিরের দায়ের করা ওই মামলা তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রায়ই রিসোর্টটি ভাড়া নিতো একটি চক্র। স্যুটিংয়ের নামে ভাড়া নিয়ে তারা চালাতো নানা অপকর্ম।
ভবনের নিচতলায় রাতব্যাপী অনুষ্ঠিত হতো নাচ-গান। ইংরেজি-পপ গান বাজাতেন ডিস্ক জকিরা। নাচের তালে তালে চলতো মাদকের আড্ডা। দ্বিতীয় তলার বিভিন্ন কক্ষ ভাড়া নিয়ে অন্যরকম ফূর্তিতে মেতে উঠতেন বেপরোয়া তরুণ-তরুণী। এসব পার্টিতে নিয়মিত অংশ নিতেন সুমি, সানজিদা, রুমাসহ অর্ধশত তরুণী। বাবু ও আনোয়ার নামে দুজন করতো পার্টির আয়োজন। এই রিসোর্টের পার্টিকে কেন্দ্র করে দায়েরকৃত মামলার তদন্ত শেষ পর্যায়ে। শিগগিরই এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে আদালতে। যদিও আয়োজকদের মধ্যে অন্যতম বাবুকে এখনও গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।
রিসোর্টের মালিক হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন, তিনি রিসোর্টটি ভাড়া দিতেন। তবে কোনো অনৈতিক কাজের অনুমতি তিনি দেননি। বিষয়টি তার জানা ছিল না। একটি চক্র তার বিষয়ে ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেন হাবিবুর রহমান। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নিউটন কুমার দত্ত, বিপিএম, পিপিএম বলেন, তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে। পালিয়ে থাকা জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।
শুধু এই রিসোর্ট না। উত্তরা, ধানমন্ডি ও টঙ্গী এলাকায় প্রায় রাতেই ডিজে পার্টির নামে বেপরোয়াভাবে চলছে যৌন-বাণিজ্য। সিটিটিসি’র সাইবার ক্রাইম ইউনিটের সহকারী পুলিশ কমিশনার ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, তরুণদের বিপদগামী করছে এসব চক্র। তারা ডিজে পার্টির নামে কমবয়সী মেয়েদের দিয়ে যৌনকর্ম করাচ্ছে। বিভিন্ন বাসা-অফিস ভাড়া নিয়ে চক্রটি এসব অপকর্ম করছে বলে জানান তিনি।
রাজধানীর গুলশান-বনানীতে রয়েছে এরকম অর্ধশত ফ্ল্যাট। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, এসব ফ্ল্যাটের সামনে থাকে অফিস। সাজানা-গোছানো কক্ষ, চেয়ার টেবিল সোফা। দেয়ালে টানানো থাকে নানা শৈল্পিক চিত্র। প্রতিটি কক্ষ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। আশপাশের লোকজন ভাবতেই পারেন না অফিসের নামে কী হচ্ছে ভেতরে। এরকম একটি ভবন নিকেতনের ই ব্লকের আট নম্বর রোডের ২৮ নম্বর বাড়ি। মাহমুদা হাউজ নামের কালো ফটকের এই বাড়ির বর্ণিল আলোর আড়ালে ছিল গাঢ় অন্ধকার। সম্প্রতি এই বাড়িতে অভিযান চালায় সিটিটিসি’র সাইবার ক্রাইম ইউনিট। গ্রেপ্তার করা হয় আসিফ হাসান তুষারসহ কয়েক জনকে। ওই ভবনে ফুজি হোটেল নামে একটি আবাসিক হোটেল রয়েছে। ওই হোটেলে প্রায় রাতেই আয়োজন করা হতো ডিজে পার্টির। ৪৯৯৯ টাকা মূল্যে টিকেট কিনে যেতে হতো পার্টিতে।
গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, ঢাকায় শতাধিক তরুণী রয়েছে যারা ওই পার্টিতে যোগ দিতেন। অর্থের বিনিময়ে রাতব্যাপী অন্যকে আনন্দ দিয়ে পরদিন ফিরতেন বাসায়। তাদের পার্টিতে নিয়মিত অংশ নিতেন কম বয়সী এক ডিজে। মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা ইংরেজি মাধ্যমের ছাত্রী ওই ডিজে অর্থের বিনিময়ে সঙ্গী হন অনেকের। গত ৩০শে মার্চের একটি পার্টির বিজ্ঞাপনে দেখা গেছে, ফায়ার ওয়ার্ক, র্যাম্প ড্যান্স, লাইভ ড্যান্স, ইন্টারটেইনমেন্ট ও ডিজে প্রোগামের প্রচার করা হয়েছিল। এতে সামান্তা খান নামে এক ডিজের ছবি ব্যবহার করা হয়েছে।
এছাড়াও রয়েছেন বিভিন্ন মিউজিক ভিডিও, শর্ট ফিল্মের নায়িকা। একই কর্ম করেন তারাও।
ঢাকার শেষপ্রান্তে রূপনগরের বিরুলিয়া ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে এরকম আরও একটি রিসোর্ট। তুরাগ রিক্রিয়েশন নামের ওই রিসোর্টটি ভাড়া নিয়ে নানা অপকর্ম করে বেড়াচ্ছিল একটি চক্র। প্রতি সপ্তাহে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সেখানে জড়ো হতো তরুণ-তরুণীরা। রাতব্যাপী গান, নাচ ও মাদকে বুঁদ হয়ে থাকতো তারা। এসব বিষয়ে একটি মামলা হলে তা তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডি। জেলা উত্তর ডিবি’র এসআই জাকিরের দায়ের করা ওই মামলা তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রায়ই রিসোর্টটি ভাড়া নিতো একটি চক্র। স্যুটিংয়ের নামে ভাড়া নিয়ে তারা চালাতো নানা অপকর্ম।
ভবনের নিচতলায় রাতব্যাপী অনুষ্ঠিত হতো নাচ-গান। ইংরেজি-পপ গান বাজাতেন ডিস্ক জকিরা। নাচের তালে তালে চলতো মাদকের আড্ডা। দ্বিতীয় তলার বিভিন্ন কক্ষ ভাড়া নিয়ে অন্যরকম ফূর্তিতে মেতে উঠতেন বেপরোয়া তরুণ-তরুণী। এসব পার্টিতে নিয়মিত অংশ নিতেন সুমি, সানজিদা, রুমাসহ অর্ধশত তরুণী। বাবু ও আনোয়ার নামে দুজন করতো পার্টির আয়োজন। এই রিসোর্টের পার্টিকে কেন্দ্র করে দায়েরকৃত মামলার তদন্ত শেষ পর্যায়ে। শিগগিরই এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে আদালতে। যদিও আয়োজকদের মধ্যে অন্যতম বাবুকে এখনও গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।
রিসোর্টের মালিক হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন, তিনি রিসোর্টটি ভাড়া দিতেন। তবে কোনো অনৈতিক কাজের অনুমতি তিনি দেননি। বিষয়টি তার জানা ছিল না। একটি চক্র তার বিষয়ে ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেন হাবিবুর রহমান। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নিউটন কুমার দত্ত, বিপিএম, পিপিএম বলেন, তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে। পালিয়ে থাকা জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।
শুধু এই রিসোর্ট না। উত্তরা, ধানমন্ডি ও টঙ্গী এলাকায় প্রায় রাতেই ডিজে পার্টির নামে বেপরোয়াভাবে চলছে যৌন-বাণিজ্য। সিটিটিসি’র সাইবার ক্রাইম ইউনিটের সহকারী পুলিশ কমিশনার ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, তরুণদের বিপদগামী করছে এসব চক্র। তারা ডিজে পার্টির নামে কমবয়সী মেয়েদের দিয়ে যৌনকর্ম করাচ্ছে। বিভিন্ন বাসা-অফিস ভাড়া নিয়ে চক্রটি এসব অপকর্ম করছে বলে জানান তিনি।
No comments