পারুল শুধু মাদক সম্রাজ্ঞী নয়, পতিতা রানিও
লক্ষ্মীপুর
জেলার সদর থানার চর রুহুতি এলাকার মো. জাহাঙ্গীরের স্ত্রী পারুল বেগম শুধু
মাদক সম্রাজ্ঞী নয়, পতিতা রানিও। তার রয়েছে বিশাল পতিতা রাজ্য। যার পেছনে
আলাদা আলাদাভাবে কাজ করে শ’ শ’ নারী ও শিশু কিশোর।
চট্টগ্রাম মহানগরীর সবচেয়ে বড় মাদকের আখড়া হিসেবে পরিচিত সদরঘাট থানার বরিশাল কলোনিতে গত ১৩ বছর ধরে এ সাম্রাজ্য পরিচালনা করে আসছে পারুল বেগম (৪৩)। আর জহুরা বেগম (৫৬) ছিল তার অন্যতম সহযোগী।
পারুল জহুরা বেগমকে মা বলে ডাকে। সেই ঘুরে ঘুরে মাদক ও পতিতার খদ্দের জোগাড় করত। এমন তথ্য দিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার সৈয়দ আবদুর রউফ। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে শুক্রবার ভোর পর্যন্ত চালানো অভিযানে ৬৫০ বোতল ফেনসিডিলসহ পারুল বেগম ও জহুরা বেগম ধরা পড়ে বলে জানান তিনি।
তিনি জানান, জহুরা বেগম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া থানার মানিক মিয়ার বাড়ির আবুল হোসেনের স্ত্রী। জিজ্ঞাসাবাদে জহুরা ও পারুলের প্রদত্ত তথ্যে তাদের এই বিশাল অপরাধজগতের কথা জানা গেছে। বরিশাল কলোনির মাদক সম্রাট মোটা হাবিব ও ফারুকের মতো পারুলেরও রয়েছে বড় ধরনের মাদকের হাট।
পারুল জানিয়েছে, সে ভারত থেকে সরাসরি কুমিল্লা সীমান্ত দিয়ে ফেনসিডিল ও কক্সাবাজার থেকে ইয়াবা এনে বরিশাল কলোনিতে জমা করত। সেখান থেকে মাদক কারবারীরা এসে ইয়াবা ও ফেনসিডিল নিয়ে যেত। মাদকসেবীরা এসে তা সেবনও করত।
এ কাজে ৪০ জনেরও বেশি নারী জড়িত। প্রায় ৩০-৩২ জন শিশুকেও মাদক বহন ও বিক্রয় কাজে ব্যবহার করত। যাদের বয়স ১২-১৪ বছরের মধ্যে। এসব শিশু ভাসমান ও টোকাই শ্রেণির। এছাড়া মাদক বিক্রয়ের পাশাপাশি মাদক সেবনকারীদের চাহিদা পূরণে চট্টগ্রামের বিভিন্ন বস্তির উঠতি কিশোরী মেয়ে ও এমনকি অভিজাত শ্রেণির অনেক তরুণীকে পতিতাবৃত্তি কাজে ব্যবহার করত। এ কাজে পারদর্শী বেশি পারুলের ডাক মা জহুরা বেগম।
পারুল জানায়, সে নিজেও পতিতাবৃত্তি করেছে এক সময়। জহুরা বেগমও পতিতা ব্যবসা করত। বয়স বেশি, এখন নিজেদের চাহিদা কম। তাই বস্তি ও ভাসমান কিশোরীদের দিয়ে পতিতা ও মাদক ব্যবসা করে। এ কাজে শতাধিক কিশোরী ও ৪০-৪২ জনের মতো শিশু-কিশোর রয়েছে। এদের মধ্যে নারীরা পারুলকে ডাকে আপা। পুরুষরা ডাকে ভাবি।
নগরীর সদরঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নিজাম উদ্দিন জানান, জিজ্ঞাসাবাদে পারুল যে তথ্য দিয়েছে তা উঠতি যুবসমাজ, শিশু-কিশোর এমনকি চট্টগ্রামের সার্বিক পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি। এ যেন অপরাধ জগতের বিশাল ইন্ডাস্ট্রি।
পারুল আরও দম্ভ প্রকাশ করে জানায়, খেতে না পাওয়া নারী, শিশু-কিশোরীকে নাকি সে কাজে লাগিয়েছে। গতর খেটে নাকি তারা পেটের ভাত জোগাড় করছে। অপরাধ জগতের রানি হতে পেরে সে একরকম গর্ববোধ করছে।
ওসি নিজাম উদ্দিন বলেন, পারুলের দেয়া তথ্যমতে তার অপরাধজগতের বাকি সদস্যদের ধরার জন্য পুলিশ ইতিমধ্যে মাঠে কাজ শুরু করেছে। আশা করি, খুব শিগগিরই পারুলের অপরাধজগত গুঁড়িয়ে দিতে সক্ষম হবে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, দেশব্যাপী মাদকবিরোধী সাঁড়াশি অভিযানে বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ১টা থেকে শুক্রবার ভোর পর্যন্ত নগরীর সদরঘাট থানার আইস ফ্যাক্টরি মোড়ে বরিশাল কলোনিতে অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানে সিএমপির দক্ষিণ বিভাগের পুলিশ উপকমিশনার এস এম মোস্তাইন হোসেন, সদরঘাট থানার ওসিসহ প্রায় ২০০ পুলিশ সদস্য অংশ নেন। আর এই অভিযান হচ্ছে বরিশাল কলোনিতে চালানো তৃতীয় অভিযান।
১৪ই মে বরিশাল কলোনির মাদক সম্রাট হাবিবুর রহমান প্রকাশ মোটা হাবিব ও তার সহযোগী মোশাররফ র্যাবের অভিযানে গোলাগুলিতে নিহত হয়। এরপর গত ২৩শে মে দ্বিতীয় অভিযানে বরিশাল কলোনির গিরাখ্যাত মাদক বিক্রির শতাধিক স্পট গুঁড়িয়ে সাফ করে দেয়া হয়। এরপরও থেমে নেই মাদক বিক্রি।
১৯৮০ সালের শুরুর দিকে গড়ে ওঠা বরিশাল কলোনি ক্রমেই মাদকের রাজ্য হিসেবে পরিচিতি পেলেও এমন সাঁড়াশি অভিযান কোনো সময় চালানো হয়নি। পুলিশ যতবারই এই কলোনিতে অভিযান চালিয়েছে, ততবারই মাদক কারবারি ও সেবনকারীদের হামলা শিকার হয়েছে।
চট্টগ্রাম মহানগরীর সবচেয়ে বড় মাদকের আখড়া হিসেবে পরিচিত সদরঘাট থানার বরিশাল কলোনিতে গত ১৩ বছর ধরে এ সাম্রাজ্য পরিচালনা করে আসছে পারুল বেগম (৪৩)। আর জহুরা বেগম (৫৬) ছিল তার অন্যতম সহযোগী।
পারুল জহুরা বেগমকে মা বলে ডাকে। সেই ঘুরে ঘুরে মাদক ও পতিতার খদ্দের জোগাড় করত। এমন তথ্য দিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার সৈয়দ আবদুর রউফ। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে শুক্রবার ভোর পর্যন্ত চালানো অভিযানে ৬৫০ বোতল ফেনসিডিলসহ পারুল বেগম ও জহুরা বেগম ধরা পড়ে বলে জানান তিনি।
তিনি জানান, জহুরা বেগম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া থানার মানিক মিয়ার বাড়ির আবুল হোসেনের স্ত্রী। জিজ্ঞাসাবাদে জহুরা ও পারুলের প্রদত্ত তথ্যে তাদের এই বিশাল অপরাধজগতের কথা জানা গেছে। বরিশাল কলোনির মাদক সম্রাট মোটা হাবিব ও ফারুকের মতো পারুলেরও রয়েছে বড় ধরনের মাদকের হাট।
পারুল জানিয়েছে, সে ভারত থেকে সরাসরি কুমিল্লা সীমান্ত দিয়ে ফেনসিডিল ও কক্সাবাজার থেকে ইয়াবা এনে বরিশাল কলোনিতে জমা করত। সেখান থেকে মাদক কারবারীরা এসে ইয়াবা ও ফেনসিডিল নিয়ে যেত। মাদকসেবীরা এসে তা সেবনও করত।
এ কাজে ৪০ জনেরও বেশি নারী জড়িত। প্রায় ৩০-৩২ জন শিশুকেও মাদক বহন ও বিক্রয় কাজে ব্যবহার করত। যাদের বয়স ১২-১৪ বছরের মধ্যে। এসব শিশু ভাসমান ও টোকাই শ্রেণির। এছাড়া মাদক বিক্রয়ের পাশাপাশি মাদক সেবনকারীদের চাহিদা পূরণে চট্টগ্রামের বিভিন্ন বস্তির উঠতি কিশোরী মেয়ে ও এমনকি অভিজাত শ্রেণির অনেক তরুণীকে পতিতাবৃত্তি কাজে ব্যবহার করত। এ কাজে পারদর্শী বেশি পারুলের ডাক মা জহুরা বেগম।
পারুল জানায়, সে নিজেও পতিতাবৃত্তি করেছে এক সময়। জহুরা বেগমও পতিতা ব্যবসা করত। বয়স বেশি, এখন নিজেদের চাহিদা কম। তাই বস্তি ও ভাসমান কিশোরীদের দিয়ে পতিতা ও মাদক ব্যবসা করে। এ কাজে শতাধিক কিশোরী ও ৪০-৪২ জনের মতো শিশু-কিশোর রয়েছে। এদের মধ্যে নারীরা পারুলকে ডাকে আপা। পুরুষরা ডাকে ভাবি।
নগরীর সদরঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নিজাম উদ্দিন জানান, জিজ্ঞাসাবাদে পারুল যে তথ্য দিয়েছে তা উঠতি যুবসমাজ, শিশু-কিশোর এমনকি চট্টগ্রামের সার্বিক পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি। এ যেন অপরাধ জগতের বিশাল ইন্ডাস্ট্রি।
পারুল আরও দম্ভ প্রকাশ করে জানায়, খেতে না পাওয়া নারী, শিশু-কিশোরীকে নাকি সে কাজে লাগিয়েছে। গতর খেটে নাকি তারা পেটের ভাত জোগাড় করছে। অপরাধ জগতের রানি হতে পেরে সে একরকম গর্ববোধ করছে।
ওসি নিজাম উদ্দিন বলেন, পারুলের দেয়া তথ্যমতে তার অপরাধজগতের বাকি সদস্যদের ধরার জন্য পুলিশ ইতিমধ্যে মাঠে কাজ শুরু করেছে। আশা করি, খুব শিগগিরই পারুলের অপরাধজগত গুঁড়িয়ে দিতে সক্ষম হবে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, দেশব্যাপী মাদকবিরোধী সাঁড়াশি অভিযানে বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ১টা থেকে শুক্রবার ভোর পর্যন্ত নগরীর সদরঘাট থানার আইস ফ্যাক্টরি মোড়ে বরিশাল কলোনিতে অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানে সিএমপির দক্ষিণ বিভাগের পুলিশ উপকমিশনার এস এম মোস্তাইন হোসেন, সদরঘাট থানার ওসিসহ প্রায় ২০০ পুলিশ সদস্য অংশ নেন। আর এই অভিযান হচ্ছে বরিশাল কলোনিতে চালানো তৃতীয় অভিযান।
১৪ই মে বরিশাল কলোনির মাদক সম্রাট হাবিবুর রহমান প্রকাশ মোটা হাবিব ও তার সহযোগী মোশাররফ র্যাবের অভিযানে গোলাগুলিতে নিহত হয়। এরপর গত ২৩শে মে দ্বিতীয় অভিযানে বরিশাল কলোনির গিরাখ্যাত মাদক বিক্রির শতাধিক স্পট গুঁড়িয়ে সাফ করে দেয়া হয়। এরপরও থেমে নেই মাদক বিক্রি।
১৯৮০ সালের শুরুর দিকে গড়ে ওঠা বরিশাল কলোনি ক্রমেই মাদকের রাজ্য হিসেবে পরিচিতি পেলেও এমন সাঁড়াশি অভিযান কোনো সময় চালানো হয়নি। পুলিশ যতবারই এই কলোনিতে অভিযান চালিয়েছে, ততবারই মাদক কারবারি ও সেবনকারীদের হামলা শিকার হয়েছে।
No comments