কোটা সংস্কার: জনপ্রতিক্রিয়া
মহিউদ্দিন আহমদ
সুস্থ-সবল ও জ্ঞানবুদ্ধিসম্পন্ন কারো জন্য কোনোরকম কোটা থাকা উচিত নয়। হউক সে আদিবাসী, পাহাড়ি, সংখ্যালঘু, সংখ্যাগুরু নারী-পুরুষ, কিংবা বিশেষ ব্যক্তিদের সন্তান। প্রতিবন্ধী, বিকলাঙ্গ, কিংবা তৃতীয় লিঙ্গের, এ জাতীয় মানুষদের জন্য কোটা থাকতে পারে।
মাহবুব ভূঁইয়া
কোটা চালু থাকলে তো সরকার দলীয় সবাই মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হয়ে যায়। মেধাবীরা রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে, মোটা অংকের ঘুষ দিতে পারেনা। তাই তাদের কপালে ভালো সরকারি চাকরিও জুটে না। দু’-একটা বিসিএস-এর গল্প দিয়ে তো আর পুরো বাংলাদেশের মেধাবীদের বিচার করা যায় না। একজন মুক্তিযোদ্ধার পরিচয়ে তার সন্তানরা কোটার আওতায় থাকতে পারে। তবে তার নাতি-নাতনিরা কেমন করে কোটার আওতায় থাকে? এমনও তো হতে পারে দাদা মুক্তিযোদ্ধা কিন্তু বাবা দেশদ্রোহী, জঙ্গিযোদ্ধা, সেই নাতিরা কেমন করে কোটা পাবে?
শাহাদত ওয়ালী
মুক্তিযোদ্ধাদের কারণে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাদের কারণেই এই দেশ বিধায় সবার আগে তাদের অধিকার। মুক্তিযোদ্ধাদের ছেলে-মেয়ে-নাতি-নাতনি সবাই সর্বাগ্রে অধিকার ভোগ করবে। সে কারণে চাকরিতে আমরা কোটার ব্যবস্থা করেছি। মুক্তিযোদ্ধাদের কারণেই তো এই চাকরি করতে পারছেন, সুতরাং তাদের ছেলে-মেয়েরা এ সম্মান পাবেন। কোটা নিয়া আন্দোলন করে লাভ নাই। নাতি কোটা এসে গেছে।
মো. সারওয়ার
সীমিত কোটা থাকতে পারে প্রতিবন্ধীদের জন্য। বাকি কোটা ব্যবস্থা তুলে নেয়া উচিত। কারণ, এটা প্রশাসনকে মেধাহীন দলবাজে রূপান্তরিত করছে।
মো. আলী আকবর
এই জাতি ধ্বংসের পদ্ধতি বন্ধ হোক। মুক্তিযোদ্ধারা দেশটা গিলে খাবার জন্য যুদ্ধ করেননি। এক মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আমি। আমি দেখেছি এসব মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নামে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন, যার শিকার আমার পরিবার।
মোতাসিম বিল্লাহ মুন্না
‘কোটা প্রথা নিপাত যাক; মেধাবীরা মুক্তি পাক।’ ৫৬-১০০% কোটা কোনো দেশে নেই। এটা বাংলাদেশেও থাকা উচিত নয়। ২৭ লাখ বেকারের কথা চিন্তা করে বাতিল না করেন এটা নামিয়ে ১০% নিয়ে আসা হোক।
আশরাফ হোসেন
সকল ধরনের কোটা বাতিল করা হোক। কোটামুক্ত নিয়োগ পরীক্ষা চাই। কোটামুক্ত বাংলাদেশ চাই।
মো. ওমর
সর্বপ্রথম মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের কোটা বাতিল করা দরকার। কারণ বর্তমানে যে সকল মুক্তিযোদ্ধা আছে তাদের অনেকেই ভুয়া। তাই মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের কোটা বাতিল করা উচিত।
শাহিনুর ইসলাম
দেশকে এগিয়ে নেয়ার জন্য দরকার একজন মেধাবী এবং সৎ চাকুরে। কিন্তু কোটা হচ্ছে এর প্রধান প্রতিবন্ধকতা।
সোলায়মান মজুমদার
কোটা ব্যবস্থার কারণে আজ প্রবাসে আসতে বাধ্য হলাম। দেশে কোটা, আর মামার কারণে বহু যোগ্য লোক বেকার ঘুরে বেড়াচ্ছে ।
শাফায়েত হোসেন
কোটা সংস্কার চাই করতে হবে, প্রয়োজনে গণভোট নেয়া হোক। জনগণকে তার অধিকার থেকে খর্ব করা যাবে না।
মান্নান দুলাল
এই যাদুর কৌটা বন্ধ হোক! এই কোটায় বহু অযোগ্য মানুষ চাকরি পাচ্ছে। আর সুশিক্ষিতরা নানারকম অপরাধের সঙ্গে জড়িত হচ্ছে। এদিকে ভারতের নাগরিকরা দেশের মাথা বাংলাদেশ ব্যাংকে চাকরি করে। কোনোভাবেই এই কোটা সমর্থন করা যায় না।
জিয়াউর রহমান রানা
কোটা প্রথা সম্পূর্ণ উঠিয়ে দেয়া উচিত। মুক্তিযুদ্ধের সেনানিদের এবং তাদের পরিবারের ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো যেতেই পারে। কিন্তু সরকারি চাকরিতে কোটা থাকা উচিত নয়। এর মাধ্যমে যে মুক্তিযুদ্ধের সময় জন্মেইনি তাকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। তার অপরাধ কি?
আবু নাসের কাইয়ুম
মতামত আর কি দেবো! দেশে এখন তো কোনো আইন-আদালত নেই। যদি থাকতো তাহলে সংবিধানে মৌলিক কাঠামোর বিরুদ্ধে এই পদ্ধতিকে আদালত কিভাবে স্বীকৃতি দেয়? দেশ বলে এখন কিছু আছে বলে মনে হয় না।
মেহেদী হাসান
প্রতিবন্ধী ছাড়া কোনো কোটা বাংলাদেশে চলতে পারে না।
কামরুল হাসান মিয়াজী
কৌটার দুধ শিশুর মেধা বিকাশে প্রতিবন্ধক, কোটার চাকরি জাতির মেধা বিকাশে প্রতিবন্ধক। কোটাকে না বলুন, জাতির মেধা বিকাশে এগিয়ে আসুন।
আবদুল আউয়াল
কোটার নামে মদখোর, গাঁজাখোর, ইয়াবাখোর, ধর্ষক, সন্ত্রাসীরা রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রশাসনে বসে দুর্নীতি করছে। দেশের মেরুদ- ভেঙে যাচ্ছে। আর মেধাবীরা রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে না খেয়ে ভালো উচ্চ ডিগ্রি নিয়ে।
এমএ করিম
কোটা ব্যবস্থা হচ্ছে বৈষম্য ও সংবিধান-বিরোধী। ১০% এর অধিক কোটা কখনও গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। আমিও চাই কোটা প্রথা সংস্কার হোক এবং তা সময়ের দাবি।
আঃ রহীম আবু আনাস
কোটা একটা অভিশাপ। কোটায় আমার কুমিল্লা জিলা স্কুলে অনেক ছেলে ভর্তি হয়। কিন্তু সিক্স পাস করতে পারে না। অথচ মেধাবীরা সুযোগ পায় না।
মো. ইউসুফ
বৈষম্য প্রশমিত করার প্রত্যয় নিয়ে কোটা পদ্ধতি চালু হলেও এখন ‘কোটা’ পদ্ধতিই বৈষম্যের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে! যে রাষ্ট্র প্রতিবন্ধীদের দায়িত্ব নিতে পারে কিন্তু মেধাবীদের দায়িত্ব নিতে পারেনাÑ সেই দেশে মেধাবীর জন্মই অবান্তর নয় কি? বাংলাদেশ যতদিন ধরণীতে থাকবে ততদিন ঋণ শোধ করলেও মুক্তিযোদ্ধাদের ঋণ কখনোই শোধ হবার নয়। তাই ওনাদের সন্তানদের কোটা বলবৎ থাকুক; কিন্তু নাতি-নাতনিদের নয়। প্রয়োজনে ওনাদেরকে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করা হোক। তবুও মেধার জায়গায় মোটা মাথা কাম্য নয়। আমাদের বিশাল হৃদয়ের বীর সেনানিরাও নিজেদেরকে দেশপ্রেমে উৎসর্গ করার সময়েও হয়তো মেধাহীন (মেরুদ-হীন) জাতি কখনও কামনা করেননি। মূলত সত্তরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের পরও তৎকালীন ক্ষমতাসীন পাকিস্তানিরা রাষ্ট্রক্ষমতা হস্তান্তর করেনি বলেই মুক্তিযুদ্ধের সূচনা। তৎকালীন নির্বাচনে রেজিস্টার্ড প্রায় ‘দুই লাখ’ মুক্তিযোদ্ধার বাইরে যারা ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগের বিজয় নিশ্চিত করতে ভূমিকা রেখেছিলেন তাঁদের উত্তরাধিকারীরাও কোটা পদ্ধতির কারণে বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। যদিও তারাও অন্তর থেকেই মুক্তিকামীদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। অতএব এখন সময়ের দাবি সবরকম কোটা সংস্কার এবং আবশ্যক।
মোহাম্মদ ওয়ালী আহমেদ
প্রতিবন্ধী কোটা শতকরা ১ ভাগ রাখা যেতে পারে। এ ছাড়া সব কম্পিটিশনের মাধ্যমে বাছাই হলে দেশে জ্ঞানের চর্চা বাড়বে।
ডালিম আহমেদ
কিসের কোটা! এই কোটার কারণে দেশের মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা চাকরি পায় না। এই কোটা নিয়ে হয় দুর্নীতি। কোটা বাতিল করা হোক।
আবুল বারাকাত
কোটা ১০%-এ নামিয়ে আনা দরকার। জেলা কোটা, আদিবাসী, পাহাড়ি, এবং জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, নাতি-নাতনিরা কেন কোটায় চাকরি করবে? তারা বাবা, নানা-দাদার মতো যোগ্য সন্তান হবেÑ এটাই তো দেশের মানুষের চাওয়া। প্রতিবন্ধী, বিকলাঙ্গ, তৃতীয় লিঙ্গ- এ জাতীয় লোকদের জন্য কোটার প্রয়োজন আছে।
আসাদুজ্জামান আসাদ
কোনো কোটা চাই না। যার মেধা আছে সেই আসুক। মেধার মূল্যায়ন না করলে দেশ কিভাবে এগোবে?
লোটাস হোসাইন
কোটা বাতিল চাই। চাকরিতে কোনো বৈষম্য চাই না। মেধাবীদের দ্বারা দেশ শাসন চাই। কোটা অভিশাপ স্বরূপ।
মামুন খান
সকল ধরনের কোটা বাতিল করা হোক। কোটামুক্ত নিয়োগ পরীক্ষা চাই। কোটামুক্ত বাংলাদেশ চাই।
আবদুল্লাহ নিজামী
দেশের জন্য যারা জীবন বাজি রেখেছে তাদেরকে প্রয়োজনে প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা সম্মানী ভাতা বরাদ্দ করতে পারে সরকার। কিন্তু নাতি, তার নাতি এরপর তার নাতি এগুলো কি?
আল কাশিম
কোটা চিরদিনের জন্য উঠিয়ে দেয়া উচিত। একটা স্বাধীন দেশে কোটা ব্যবস্থা থাকতে পারে না।
জাহান সূচী
এতো কিছু না করে যাদের কোটা আছে শুধু তারাই চাকরি করুক। আর আমরা ময়লা টোকাই।
আতিকুর রহমান
দেশ ছাড়ার উপযুক্ত সময়। সবক্ষেত্রেই আয়করের হার উচ্চ।
জামাল উদ্দীন
সারা বাংলাদেশের মানুষ এই কোটা প্রথার বিপক্ষে।
নীরব পথিক গিয়াস
সবকোটা নিপাত যাক...মেধাবীরা মুক্তি পাক...!
শাফায়েত হোসেন
প্রয়োজনে গণভোট চাই কোটা বাতিল চাই জাতি আর কতদিন বহন করবে এই অভিশাপ।
মোহাম্মদ ইকবাল
কোটা মেধাবী জাতি ধ্বংসের নীল-নকশা।
আলী আক্কাস
স্বাধীনতার এত বছর পর কোটা থাকাটা ঠিক না
শামসুল আলম
শুধুমাত্র বুদ্ধি প্রতিবন্ধীদের জন্য কোটা থাকা দরকার।
ওমর ফারুক
কোটা পদ্ধতি দেশকে তিলে তিলে শেষ করে দিচ্ছে।
শিশির বাবু
বিপক্ষে আবার কি মত আছে? আছে অপরাজনীতি, গোয়ার্তুমি ও পাশবিকতা।
মঞ্জুরুল হেলাল উৎপল
এখনি এই কোটা প্রথা প্রত্যাহার করা উচিত।
রাজু মহিউদ্দিন
সাধারণের মতামতের কোনো মূল্য নাই। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন কোটা থাকবেই।
হাওলাদার মামুন
প্রতিবন্ধী ছাড়া সব কোটাই বতিল চাই।
মুজাক্কের আল ইক্তেহাদ আহমেদ
বেকার ভাতার ব্যবস্থা করুন
১০ শতাংশ কোটা সংরক্ষণের কথা বলেছেন ওবায়দুল্লাহ, হাসান ও সুমন আহমেদ।
কোটা বাতিল না করে সংস্কারের পক্ষে মত দিয়েছেন রাফিন শরীফ খান, রুহুল আমিন, শেখ দেলওয়ার গালিব, সাইফুল ইসলাম চঞ্চল, আল মামুন, মো. রোকনুজ্জামান রোকন, শামস আল আহমেদ হাসিন, হিরণ সিকদার।
কোটা সম্পূর্ণরূপে বাতিলের পক্ষে মতামত জানিয়েছেন রেজোয়ান হক, এসএম শায়েস্তা, হ্যাপি জামান, আশিক ইসলাম, আবদুল্লাহ আল মামুন, আল মামুন, রোমানা খান রেশমী, আবু আনিস, তানজিল আহমেদ, রফিকুল ইসলাম, সাঈদ হক, মাসুদ রানা, জাহাঙ্গীর হোসেন, সাইদ হক, ইসহাক মিয়া, সাজ্জাদ হোসেন, আবুল মনসুর, নাঈম, ফেরদৌস, মিজান আহমেদ ও এরশাদ মিয়া।
জাহিদ হাসান
যে দেশে ৫৬ শতাংশই কোটা সে দেশ মেধার মূল্য কিভাবে বুঝবে? কোটার মাধ্যমে মেধাবীরা চাকরি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এই কোটা মেধাবী তরুণ প্রজন্মের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি করছে। কোটা যদি রাখতেই হয় তাহলে ১৫ শতাংশ কোটা রাখা যেতে পারে। কোটা প্রথার মাধ্যমে সঠিক জায়গায় যোগ্য লোক যেতে পারছে না। ফলে দেশ মূল ধারার উন্নয়ন থেকে অনেক পিছিয়ে। আমরা কোটা সংস্কারের জন্য যে আন্দোলন করছি সে আন্দোলন মুক্তিযোদ্ধাদের বিপক্ষে নয়।
আশরাফুল ইসলাম
মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল বৈষম্য থেকে মুক্তির জন্য। তাই কোটা বৈষম্য ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। জনবহুল এই বাংলাদেশে যেখানে লাখ লাখ শিক্ষিত বেকার যোগ্যতা থাকার পরেও চাকরি না পাওয়ায় হাহাকার করে সেখানে কোটা পদ্ধতির মতো বিলাসিতা মানায় না।
ইমদাদুল হক মুকুল
মুক্তিযোদ্ধারা চেয়েছিলেন এদেশে কোনো বৈষম্য থাকবে না, ধর্মের নামে বাড়াবাড়ি থাকবে না। দেশকে মুক্ত করার জন্য যিনি রক্ত দিতে জানেন তিনি কোনো বৈষম্যবাদী নন। এমনকি নিজের সন্তানের ক্ষেত্রেও নন। তাই আমার দৃঢ় বিশ্বাস স্বাধীনতার চেতনাকামী মুক্তিযোদ্ধারাও কোটা পদ্ধতিতে কোনো ফায়দা উসুলের পক্ষপাতী নন। বরং সন্তানের চাকরি তার মেধার যোগ্যতায় অর্জন করুক এটাই তাদের প্রত্যাশা বলে মনে করি। দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধারা এদেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে আমাদের চেয়ে একটু বেশি সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করুক আমরা কামনা করি। আমরা মুক্তিযুদ্ধার সন্তান না হলেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আমাদের ভেতরে আছে। মুক্তিযুদ্ধাদের, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের সুযোগ দিতে শিক্ষায় কোটা করে কেন? অন্যভাবে কি দেয়া যায় না? রাজনৈতিক ক্ষেত্রে ৩০% বা ৫০% অধিকার দেন আমার/আমাদের বিন্দুমাত্র আপত্তি নেই। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পোষণকারী মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে কোটা দিলে এদেশের রাজনীতিও এখনকার মতো এতটা প্রশ্নবিদ্ধ হবে না।
আদিব আল হাকীম
সংবিধানের ১৯ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে’
(১) সব নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা নিশ্চিত করতে রাষ্ট্র সচেষ্ট হবেন;
(২) মানুষে মানুষে সামাজিক ও অর্থনৈতিক অসাম্য বিলোপ করার জন্য, নাগরিকদের মধ্যে সম্পদের সুষম বণ্টন নিশ্চিত করার জন্য এবং প্রজাতন্ত্রের সর্বত্র অর্থনৈতিক উন্নয়নের সমান স্তর অর্জনের উদ্দেশ্যে সুষম সুযোগ-সুবিধা দান নিশ্চিত করার জন্য রাষ্ট্র কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে;
(৩) জাতীয় জীবনের সর্বস্তরে নারীদের অংশগ্রহণ ও সুযোগের সমতা রাষ্ট্র নিশ্চিত করবে।’
উপরোক্ত অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রের সকল নাগরিকই সমান অধিকার পাবেন, এই সমতা প্রদান নিশ্চিত করবে রাষ্ট্র (সরকার)। কোটা প্রথার মূল লক্ষ্য একটা পিছিয়ে পরা জাতিগোষ্ঠীকে অগ্রসর করা, বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্রের এটিই নিয়ম। পিছিয়ে পড়া জাতি-গোষ্ঠীর মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের পর ক্ষতিগ্রস্ত, সর্বহারা, পাহাড়ি আদিবাসী, শারীরিক প্রতিবন্ধী ইত্যাদিই পাওয়া যায়। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী শুধু মুক্তিযোদ্ধারাই নন, বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষই পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী, যেসব ছেলেরা দরিদ্র, অর্থ ও অন্ন কষ্ট উপেক্ষা করে মেসে থেকে প্রাইভেট পড়িয়ে অনার্স, মাস্টার্স ও বিসিএস পাস করে সে কি অনগ্রসর নয়? আজ দেশ চলছে, দেশের মতো শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা চলছে না ভালো মতো, নানান প্রতিবন্ধকতায় ঝরে পড়ছে অনেক শিক্ষার্থী। অনেকেই আবার হাল ছেড়েই দিচ্ছে এই ভেবে “কি লাভ এই পড়ালেখা করে!, না কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত, না আমার মামা খালু আছে, না আমার টাকা আছে এমনকি একটা কোটাও নেই!” বড়ই পরিতাপের বিষয়, এই কোটা প্রথা নামে মেধার অবমূল্যায়ন, এই কোটা প্রথার ক্ষমতায় অযোগ্য লোক নিয়োগ, এই কোটা প্রথার নামে দলীয়করণ, বড়ই আফসোস এর!
আমিনুল ইসলাম বাবু
দাউদ হায়দার বলেছিলেন, জন্মই আমার আজন্ম পাপ। বঙ্গবুন্ধু যেটা সাময়িক সময়ের জন্য করেছিলেন সেটা কেন দীর্ঘস্থায়ী হলো? স্বাধীন দেশে জন্ম নিয়ে আমি কি কোনো পাপ করেছি ?
মোহাম্মদ শাহাদাত
আমি দুবাই প্রবাসী। আমি সম্পূর্ণরূপে কোটাবিরোধী। আমিও একজন ভালো ছাত্র ছিলাম, কিন্তু আমাদের দেশের প্রচলিত কোটার কারণে আর মামা খালু না থাকায় আজকে আমাকে প্রবাসী হতে হয়েছে। অথচ, আমার মেধা আর শ্রম যদি আমার দেশ ব্যবহার করতো; আমি যদি দেশ সেবার মহান সুযোগ পেতাম তাহলে আমিও নিজেকে উজাড় করে দিতাম এবং দেশও উপকৃত হতো।
কোটার পরিবর্তে একটা নাম্বারিং সিস্টেম চালু করা যায়। সেটা হলো, প্রতিবন্ধীদের ১০ নম্বর, মুক্তিযোদ্ধা এবং উপজাতীদের ৫ নম্বরের গ্রেস দেয়া। অর্থাৎ, লিখিত পরীক্ষায় তাদের প্রাপ্ত নম্বরের সঙ্গে ১০ এবং ৫ নম্বর গ্রেস পেতে পারে তারা। তাহলে তাদের মধ্যেও প্রতিযোগিতার একটা মনোভাব তৈরি হবে এবং লেখাপড়া করবে। আর কোটাহীনরা তো অবশ্যই পড়ালেখা করেই, প্রতিযোগিতা করেই আসবে। তাহলে দেশ মেধাবীদের সেবা থেকে বঞ্চিত হবে না এবং মেধাহীনদের বোঝা বয়ে বেড়াতে হবে না।
মুহাম্মদ উল্লাহ শাহীন
কোটার কারণে মেধার মূল্যায়ন হয় না। এছাড়া দেশে দুর্নীতি বাড়ার অন্যতম কারণ এটা।
আমিরুল ইসলাম
কোটাপ্রথা অবশ্যই পরিবর্তন প্রয়োজন। কোটা প্রথার কারণে আমরা পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। বর্তমানে আমরা মুক্ত। কিন্তু কোটা প্রথা রয়ে গেছে।
শামির
মেধাবী প্রার্থীদের বঞ্চিত করা হচ্ছে যেটা সম্পূর্ণ অনৈতিক। মেধাবীদের অবমূল্যায়ন করে দেশকে এগিয়ে নেয়া একেবারেই অসম্ভব।
রাজিয়া সুলতানা
কোটাধারীদের জন্য এতবেশি সুযোগ আছে। অথচ প্রার্থী নেই। তার মানে কোটার প্রয়োজন নেই।
মাজিদ ইকবাল খান
সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা ব্যবস্থা বাতিল করা প্রয়োজন।
এম হোসাইন
কোটা বাতিল করা দরকার। কেন না কোটার কারণে অনেকে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। কোটার রাজনৈতিক ব্যবহার হচ্ছে।
রাসেল আমিন
আমি ব্যবস্থাপনাতে বিবিএ শেষ করে এখন এমবিএ করছি। আমি ৫৬ ভাগ কোটার পক্ষে আছি। কারণ এটি মেধাবীদের প্রতি জুলুম করা হচ্ছে। আমি আন্দোলনকারীদের পক্ষে আছি।
আবদুল কাদের
কোটার প্রয়োজন নেই। মুক্তিযোদ্ধারা কোটার জন্য যুদ্ধ করেননি। সঠিক ব্যক্তিকে সঠিক জায়গায় প্রয়োজন।
জাহিদ
মতামত আর কি দিব? প্রধানমন্ত্রীতো বলে দিয়েছেন কোটা ব্যবস্থা থাকবে। এখন আন্দোলন করা ছাড়া বিকল্প পথ নাই।
করিম
মেধাবীদের অধিকার হরণ করা হচ্ছে!
আমিনুর রহমান
যারা কোটা বাতিলের জন্য লম্ফঝম্ফ কেরে তারা জানে না এটা প্রতিবন্ধকতা নয়, বরং মেধাবীদের জন্য প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে যে কারণগুলো তার অন্যতম হলোÑ ঘুষ, দুর্নীতি, অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি ও প্রশ্ন ফাঁস। মেধা কোটার অধিকাংশই ‘ঘুষ, দুর্নীতি, অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি ও প্রশ্ন ফাঁস’ নামক অলিখিত কোটার পেটে যাচ্ছে। ওটা রাতকানারা দেখে না। এ ছাড়া চাকরির বয়স নামক অযৌক্তিক বেড়ায় আটকে আছে লাখ লাখ যোগ্য ও মেধাবী মুখ। তাই আসুন ঘুষ, দুর্নীতি, অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি ও প্রশ্ন ফাঁসমুক্ত সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নিয়োগ প্রক্রিয়া ও ৩০ বছরের বেড়া ভাঙতে সচেতন ও সক্রিয় হই।
সাবের মিঞা
কোটা ব্যবস্থা বাতিল করা প্রয়োজন। সরকার বলেছে, প্রতিটি পরিবারে একটি করে চাকরি দিবে। কিন্তু আমরা সাত ভাই কেউ কোনো চাকরি পাইনি।
আবু বকর চৌধুরী
আমরা মেধা সমর্থন করি।
আলিম উদ্দীন
কোটা চাই না।
এইচ এম রহমান
মেধার ভিত্তিতে নিয়োগই কেবল একটি উন্নত জাতি ও রাষ্ট্র গঠনে সাহায্য করতে পারে।
আকতারুজ্জামান আপন
দেশের জন্য জনগণ, আর জনগণের জন্য সরকার, সরকার যদি এই কথা চিন্তা করেন। তাহলে কোটা সংস্কার দরকার।
আফরোজ ইসলাম
মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দেখানো এবং তাদের পরিবারকে যথাযথ সুযোগ সুবিধা দেয়া যেমন সরকারের দায়িত্ব ঠিক তেমনি মেধার ভিত্তিতে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করাও সরকারের কর্তব্য। মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারকে যথাযথ সুযোগ দিতে গিয়ে তাদের সন্তান ও নাতি-নাতনিদের কোটা দেয়ার প্রয়োজন আছে, তবে তা সহনীয় পর্যায় পর্যন্ত। পৃথীবিতে হয়তো এমন কোনো দেশ খুঁজে পাওয়া যাবে না যেখানে মোট ৫৬ শতাংশ কোটা। কোটার কারণে শিক্ষা জীবনেই হোঁচট খেতে হয় মেধাবী শিক্ষার্থীদের।
কাজী
কোটা ব্যবস্থা একই যোগ্যতা সম্পন্ন দুই প্রার্থীর ক্ষেত্রে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে প্রযোজ্য হতে পারে। অযোগ্য উত্তরাধিকারীর জন্য কোনো বিশেষ চাকরি কোটা বরাদ্দ থাকতে পারে না। এতে দেশের প্রশাসন মেধা শূন্য হয়ে পড়বে।
সায়েম
যোগ্য প্রশাসন গড়ে তোলার জন্য মেধার বিকল্প কোটা হতে পারে? একটি দেশের কোটা ৫-১০% হতে পারে কিন্তু ৫৬%!
সৈয়দ রবিউল ইসলাম
কোটা ব্যবস্থা সংযোজন করা হয়েছিল অনগ্রসর জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে আনার জন্য। এ ব্যবস্থা ছিল একটি মহতী উদ্যোগ। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় এখন সেই পরিস্থিতি দেশে নেই। মুক্তিযোদ্ধারা জাতির সেরা সন্তান তাঁদের অবশ্যই মর্যাদা এবং সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের অন্যান্য সুবিধা বাড়িয়ে তাঁদের কোটা হালনাগাদ করা যায়। উপজাতিদের অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। তাঁদের কোটা যৌক্তিক করা যায়। মহিলাদের অবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে। মহিলা কোটা যৌক্তিক করা যায়। প্রতিবন্ধী কোটার আবশ্যকতা আছে। মেধা কোটা বৃদ্ধি করা দরকার।
মহিউদ্দিন ভুঁইঞা
কোটা প্রথা হচ্ছে যৌতুকের মতো, কোটা দেশকে মেধা শূন্য করছে, মেধাকে অগ্রাধিকার দিন, কোটা প্রথা বাতিল করুন, দেশকে এগিয়ে নিন। সোনার বাংলা গড়ুন। ইনশাআল্লাহ সোনার বাংলা এগিয়ে যাবে।
এস আলম
কোটা পদ্ধতির একটা বড় বাজে দিক হচ্ছে, অসংখ্য মেধাবী মানুষ এর ফলে দেশ সেবায় নিজের মেধা, যোগ্যতাকে কাজে লাগাতে পারছে না। মেধার মূল্যায়ন যে দেশে হয় না, সে দেশে মেধাবী মানুষের জন্ম হবে না। দেশের মেধার একটা বড় অংশ তখন বাধ্য হয়ে দেশের বাইরে চলে যাবে। ক্ষতি তো আলটিমেটলি দেশের। আমার বিশ্বাস ১৯৭১-এ আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা, তাদের সন্তান, নাতিপুতি সহজে সরকারি চাকরি পাবে, এই নিয়তে দেশ স্বাধীন করার জন্য প্রাণ বিসর্জন দেন নি, বা যুদ্ধ করেননি। দেশ মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের মর্যাদা দিয়েছে, তাদের সন্তানদের মর্যাদা দেয়ার কোনো দরকার আছে বলে মনে করি না। এসব করে দেশের মানুষের মধ্যে বিভেদ বাড়ানো হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি মানুষের সম্মানকে হেয় করার চেষ্টা করা হচ্ছে। যোগ্যরাই দেশ চালাক, সেই স্বপ্ন থেকেই কোটা পদ্ধতির সংস্কার চাই।
অ্যাডভোকেট আমিন আহমেদ
৫৬ ভাগ কোটা? ভাবা যায়! একটা সভ্য সুশিক্ষিত সমাজে এভাবে মেধার কবর রচনা হতে দেয়া যায় না। মেধাবীরা সুযোগ না পেলে মেধা পাচার হবেই। এতে পিছাবে দেশ, পিছাবে জাতি। আমরা পিছাতে চাইনা, এগিয়ে যেতে চাই দুর্বার গতিতে। তাই কোটা ব্যবস্থার সংস্কার অতীব জরুরি।
কামরুল
কোটা ব্যবস্থা আমার কাছে বিষের মতো। আমি এটাকে চরম ঘৃণা করি। কারণ, এর দ্বারা মেধাবীদের ধ্বংস করা হচ্ছে।
আবুল হাসনাত
কোটা প্রথা সাময়িক বিষয়, কিন্তু আমাদের দেশে মনে হচ্ছে চিরস্থায়ী ব্যবস্থা। যদি সার্বিক বিবেচনায় রাখতে হয় তাহলে সর্বোচ্চ ২৫ ভাগের বেশি নয়।
নূর আলম মামুন
মেধাবী এবং আগামীর সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য কোটা একান্ত জরুরি।
মো. আমলাক আলী
কোটা মুক্ত বাংলাদেশ অবশ্যই চাই, সেই সঙ্গে চাই ঘুষ মুক্ত চাকরি।
নাজ
কোটা থাকা উচিত নয়। শুধু মেধাকেই গুরুত্ব দেয়া উচিত। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কিছুটা কোটা থাকতে পারে, তা কি তাদের নাতি-নাতনিদের জন্য? তারা কি দেশকে বাঁচানোর জন্য রক্ষা করার জন্য নাকি কোটার জন্য?
ডা. মাজিদ
কোটা পদ্ধতি এখনই বন্ধ করা উচিত।
আবদুল কাদির
এটা দেশের মানুষের মৌলিক অধিকারের বিরোধী।
শফিকুল ইসলাম
কোটার কারণে স্বাধীন দেশে নিজেকে পরাধীন মনে হয়।
কাজী আনিসুর রহমান
কোটা পদ্ধতি আমাদের সকল প্রকার অর্জনকে ধ্বংস করে দেয়।
সামিরুল ইসলাম
প্রথমত মেধাবী প্রার্থীদের চরম ভাবে বঞ্চিত করা হচ্ছে, যেটা সম্পূর্ণ অনৈতিক। মেধাবীদের অবমূল্যায়ন করে দেশকে এগিয়ে নেয়া একেবারেই অসম্ভব। দ্বিতীয়ত কোটা পদ্ধতি আমাদের মহান সংবিধানের সঙ্গে শতভাগ সাংঘর্ষিক যেটা আমরা যুগের পর যুগ টানতে পারি না। তবে জনসংখ্যার ঘনত্ব অনুযায়ী শুধুমাত্র জেলা কোটা রাখা যেতে পারে।
মমতাজ
কোটা নয় মেধাভিত্তিক চাই।
রাকিব ইমন
কোটা প্রথার কারণে লাখ লাখ মেধাবী সরকারি চাকরি থেকে বঞ্চিত হয়ে বেকার ও মানবেতর জীবন যাপন করেছে। আমি কোটাপ্রথা বাতিল চাই।
মো. আশিকুর রহমান
কোটা রহিত হোক এটা আমার মত।
মোহাম্মদ ইউসুফ
বৈষম্য প্রশমিত করার প্রত্যয় নিয়ে কোটা পদ্ধতি চালু হলেও এখন ‘কোটা’ পদ্ধতিই বৈষম্যের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে! যে রাষ্ট্র প্রতিবন্ধীদের দায়িত্ব নিতে পারে কিন্তু মেধাবীদের দায়িত্ব নিতে পারে না সেই দেশে মেধাবীর জন্মই অবান্তর নয় কি? বাংলাদেশ যতদিন বেঁচে থাকবে ততদিনেও মুক্তিযোদ্ধাদের ঋণ কখনোই শোধ হবার নয়। তাই ওনাদের সন্তানদের কোটা বলবৎ থাকুক কিন্তু নাতি-নাতনিদের নয়। প্রয়োজনে ওনাদেরকে রাষ্টীয় কোষাগার থেকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করা হোক। তবুও মেধার জায়গায় মোটা মাথা কাম্য নয়।
এমএস এইচ চৌধুরী
কোটা পদ্ধতি দ্রুত সংস্কার করে যোগ্য ব্যক্তিকে যথাযথ স্থানে বসানো উচিত। যোগ্য ব্যক্তির পরিচালনা দ্বারাই একটা ভালো জেনারেশন তৈরি হতে পারে। কোটা বাদ দিয়ে যদি মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া হয় তাহলে আমাদের দেশের দ্রুত উন্নয়ন হবে।
জুয়েল রানা
আমি কোটা পদ্ধতিকে চরমভাবে ঘৃণা করি। কোটা সংস্কারের পাশাপাশি আরো বলতে চাই, চাকরির ক্ষেত্রে মামা, খালু, দুলাভাই এমনকি দালাল ঘুষখোরদের হাত থেকে যোগ্য মেধাবীদের রক্ষা করার জন্য অনুরোধ করছি।
এসকে লোকমান হোসেন
বর্তমান শেখ হাসিনার সরকারের দেশের শিক্ষার সঙ্গে সব কিছুর উন্নয়ন হচ্ছে। একজন ব্যক্তির লেখাপড়া শেষ করতে কমপক্ষে ৩০ বছর সময় লাগে। তার জন্য বাবা মা’র যে কতটুক শ্রম দিতে হয় তা লেখাপড়া যারা করান তারা ভালোভাবেই জানেন। তার পর যদি সেই সন্তানের চাকরি না হয়। তা হলে সেই সন্তানের করার আর কী আছে। তখনই তারা খারাপ পথে চলে যায়। আর যদি লেখাপড়া শেষে চাকরি হয়ে যায় তা হলে তার কোনো খারাপ চিন্তা মাথায় থাকে না। তাই আমার অনুরোধ বর্তমান সরকার তাদের চিন্তা করে সবাইর জন্য চাকরির ব্যবস্থা করবেন।
আনোয়ার আহমেদ
কোটা ব্যবস্থা উঠিয়ে দিয়ে মেধার বিকাশ ঘটানোর সুযোগ দেয়া উচিত! এভাবে চললে মেধা ধ্বংস হয়ে যাবে।
নাজমুল হাসান
মুক্তিযোদ্ধা কোটা ব্যবস্থা অবশ্যই থাকা উচিত, কিন্তু সেটা শুধুমাত্র তৃতীয় এবং চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারীর জন্য। বিসিএস শুধু মেধাবীদের জন্য। এখানে কোনো ছাড় দেয় যাবে না।
সাফায়েত
বর্তমানে কোনো ভাবেই কোটাকে গ্রহণ করা সম্ভব না, স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর আমরা কেন কোটার কারণে বঞ্চিত হব।
আকরাম হোসাইন
আমার মনে হয় যেহেতু প্রতিটি সরকারি প্রতিষ্ঠানেই পর্যাপ্ত সংখ্যক লোকবলের অভাব। তাই কোটার সঙ্গে সঙ্গে মেধাভিত্তিক নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটার দ্বিগুণ পরিমাণ লোকবল নিয়োগ দিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোকে সঠিকভাবে পরিচালনা করলে হয়তো কাজকর্ম সঠিকভাবে সম্পাদিত হবে। কারণ প্রায়ই শোনা যায় লোকবলের কারণে কার্য সম্পাদন যথাসময়ে সম্পন্ন হয় না। তাই প্রথমেই বিবেচনা করা উচিত প্রতিষ্ঠানের কার্যপরিধি এবং পরে বিবেচনা করা উচিত কি পরিমাণ লোকবলের দরকার। অতঃপর কোনরকম গড়িমসি না করে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জটিলতা দূর করে একটি আধুনিক ও দ্রুত সেবাভিত্তিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা। যা কিনা জনগণ তথা দেশের কল্যাণ বয়ে আনবে।
টিএম সোহাগ
আমার কাছে যৌতুকপ্রথা যেমন, চাকরির ক্ষেত্রে ৫৬ ভাগ কোটা ব্যবস্থা তেমন।
মো. ওয়াসিম
কোটা ব্যবস্থা সংস্কার কেন জরুরি? বর্তমানে কোটা ব্যবস্থা অনগ্রসর করার এক নীল নকশা বলে আমি মনে করি। কারণ পোষ্য ও মুক্তিযোদ্ধা কোটার কোনো সাংবিধানিক ভিত্তি নেই এবং এটি সংবিধানের সঙ্গে সরাসরি সাংঘর্ষিক। জেলা কোটাও বর্তমানে এক শ্রেণির সুবিধাই প্রকাশ করে। যেমন ঢাকা জেলা ৮ দশমিক ৩৬ ভাগ, অন্যদিকে দরিদ্র কুড়িগ্রাম ১ দশমিক ৪৪ ভাগ, বান্দরবন শূন্য দশমিক ২৭ ভাগ, উপজাতি কোটার প্রয়োজন আছে তবে এত বেশি নয়। ১ দশমিক ১৩ ভাগ, ৫ ভাগ কোটা যা সংস্কার জরুরি। নারী কোটা সংস্কার করে একটু কমানো উচিত বলে আমি মনে করি। আর প্রাইমারি শিক্ষাকে ধ্বংস করতে না চাইলে এর নিয়োগ বিধি সম্পূর্ণ রূপে সংস্কার করা উচিত বলে আমি মনে করি। আর অন্যান্য কোটা বাতিল করা সময়ের সঙ্গে অগ্রগতি সাধনের অন্যতম পথই নির্দেশ করবে বলে আশা করি।
আমিনুল ইসলাম
কোটা নয় মেধাভিত্তিক চাই। কোটা দ্বারা মেধাবীদের ধ্বংস করা হচ্ছে।
মীর নজরুল
কোটাপ্রথা বিলীন করা উচিত। চাকরির ক্ষেত্রে মেধা আর যোগ্যতার পরীক্ষায় যারা নির্বাচিত হয়ে আসবে তারাই প্রকৃত যোগ্য।
সঞ্জয় হালদার
আমি কোটা পদ্ধতিকে চরমভাবে ঘৃণা করি।
শফিক আহমেদ
বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে দেশকে বা একটা জাতিকে এগিয়ে নিতে মেধার বিকল্প আরো বেশি মেধা। খুব সাদমাটা ভাবে দেখলে জাতীয় বাজেটের উন্নয়ন ব্যয়ের একটা বৃহত্তম অংশ প্রতি বছর অব্যয়িত থাকতে দেখা যাচ্ছে। আর যা ব্যয় হচ্ছে সেটাও পুরোই দুর্নীতি আর অপব্যয় ছাড়া কিছুই নয়।
সাইফুল ইসলাম
কোটা নয় মেধাভিত্তি চাই।
আল হাছনাত
কোটা সংস্কার জরুরি কিন্তু সরকার মনে হয় সংস্কার করবে না। কারণ এতগুলো আন্দোনলের পরেও কোনো বিবৃতি দিল না যেটা তরুণদের জন্য খুবই বেদনাদায়ক। সরকার কিসের জন্য সংস্কার করছে না এটা আমাদের জানা নেই। কিন্তু সংস্কার না কারার পিছনে যে সরকারের দুর্বলতা আছে সেটা নিশ্চিত। সরকারের যত বড়ই দুর্বলতা থাকুক না কেন তরুণদের এভাবে হতাশ করার কোনো প্রশ্নই আসে না। আর সর্বোচ্চ ৩ ভাগ মানুষ ৭১ এর পর থেকে আজ পর্যন্ত ৫০ বছর ৫৬ থেকে ৭০ ভাগ কোটা ভোগ করে আসছে। এই ৩ ভাগ পিছিয়ে পড়া জাতি আজ এতটাই এগিয়ে যে আজকেই যদি কোটা বন্ধ করে দেয়া হয় তবে ৯৭ ভাগ মানুষ তাদের সমান হতে ১০০ বছরেরও বেশি সময় লাগবে। এর পরো যদি সরকার বলে ৩ ভাগ এখনো পিছিয়ে আছে তবে এই ৩ ভাগকে আগামী ৫০০ বছর ১০০ ভাগ কোটা প্রদান করলেও তারা তাদের অবস্থার উন্নয়ন করতে পারবে না।
শেখ আব্দুল মালেক
দেশ প্রকৃত মেধাবী আমলা পাচ্ছে না। দ্বিতীয়/তৃতীয় শ্রেণির লোক প্রথম শ্রেণির চাকরি করছে আর প্রথম শ্রেণির লোক বেকার ঘুরে বেড়াচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে যেমন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এর পরিবর্তে নাতি-নাতনি পাচ্ছে।
মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ
কোটা ব্যবস্থা আমার কাছে বিষের মতো। আমি এটাকে চরম ঘৃণা করি। কারণ এর দ্বারা মেধাবীদের ধ্বংস করা হচ্ছে।
সুস্থ-সবল ও জ্ঞানবুদ্ধিসম্পন্ন কারো জন্য কোনোরকম কোটা থাকা উচিত নয়। হউক সে আদিবাসী, পাহাড়ি, সংখ্যালঘু, সংখ্যাগুরু নারী-পুরুষ, কিংবা বিশেষ ব্যক্তিদের সন্তান। প্রতিবন্ধী, বিকলাঙ্গ, কিংবা তৃতীয় লিঙ্গের, এ জাতীয় মানুষদের জন্য কোটা থাকতে পারে।
মাহবুব ভূঁইয়া
কোটা চালু থাকলে তো সরকার দলীয় সবাই মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হয়ে যায়। মেধাবীরা রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে, মোটা অংকের ঘুষ দিতে পারেনা। তাই তাদের কপালে ভালো সরকারি চাকরিও জুটে না। দু’-একটা বিসিএস-এর গল্প দিয়ে তো আর পুরো বাংলাদেশের মেধাবীদের বিচার করা যায় না। একজন মুক্তিযোদ্ধার পরিচয়ে তার সন্তানরা কোটার আওতায় থাকতে পারে। তবে তার নাতি-নাতনিরা কেমন করে কোটার আওতায় থাকে? এমনও তো হতে পারে দাদা মুক্তিযোদ্ধা কিন্তু বাবা দেশদ্রোহী, জঙ্গিযোদ্ধা, সেই নাতিরা কেমন করে কোটা পাবে?
শাহাদত ওয়ালী
মুক্তিযোদ্ধাদের কারণে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাদের কারণেই এই দেশ বিধায় সবার আগে তাদের অধিকার। মুক্তিযোদ্ধাদের ছেলে-মেয়ে-নাতি-নাতনি সবাই সর্বাগ্রে অধিকার ভোগ করবে। সে কারণে চাকরিতে আমরা কোটার ব্যবস্থা করেছি। মুক্তিযোদ্ধাদের কারণেই তো এই চাকরি করতে পারছেন, সুতরাং তাদের ছেলে-মেয়েরা এ সম্মান পাবেন। কোটা নিয়া আন্দোলন করে লাভ নাই। নাতি কোটা এসে গেছে।
মো. সারওয়ার
সীমিত কোটা থাকতে পারে প্রতিবন্ধীদের জন্য। বাকি কোটা ব্যবস্থা তুলে নেয়া উচিত। কারণ, এটা প্রশাসনকে মেধাহীন দলবাজে রূপান্তরিত করছে।
মো. আলী আকবর
এই জাতি ধ্বংসের পদ্ধতি বন্ধ হোক। মুক্তিযোদ্ধারা দেশটা গিলে খাবার জন্য যুদ্ধ করেননি। এক মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আমি। আমি দেখেছি এসব মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নামে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন, যার শিকার আমার পরিবার।
মোতাসিম বিল্লাহ মুন্না
‘কোটা প্রথা নিপাত যাক; মেধাবীরা মুক্তি পাক।’ ৫৬-১০০% কোটা কোনো দেশে নেই। এটা বাংলাদেশেও থাকা উচিত নয়। ২৭ লাখ বেকারের কথা চিন্তা করে বাতিল না করেন এটা নামিয়ে ১০% নিয়ে আসা হোক।
আশরাফ হোসেন
সকল ধরনের কোটা বাতিল করা হোক। কোটামুক্ত নিয়োগ পরীক্ষা চাই। কোটামুক্ত বাংলাদেশ চাই।
মো. ওমর
সর্বপ্রথম মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের কোটা বাতিল করা দরকার। কারণ বর্তমানে যে সকল মুক্তিযোদ্ধা আছে তাদের অনেকেই ভুয়া। তাই মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের কোটা বাতিল করা উচিত।
শাহিনুর ইসলাম
দেশকে এগিয়ে নেয়ার জন্য দরকার একজন মেধাবী এবং সৎ চাকুরে। কিন্তু কোটা হচ্ছে এর প্রধান প্রতিবন্ধকতা।
সোলায়মান মজুমদার
কোটা ব্যবস্থার কারণে আজ প্রবাসে আসতে বাধ্য হলাম। দেশে কোটা, আর মামার কারণে বহু যোগ্য লোক বেকার ঘুরে বেড়াচ্ছে ।
শাফায়েত হোসেন
কোটা সংস্কার চাই করতে হবে, প্রয়োজনে গণভোট নেয়া হোক। জনগণকে তার অধিকার থেকে খর্ব করা যাবে না।
মান্নান দুলাল
এই যাদুর কৌটা বন্ধ হোক! এই কোটায় বহু অযোগ্য মানুষ চাকরি পাচ্ছে। আর সুশিক্ষিতরা নানারকম অপরাধের সঙ্গে জড়িত হচ্ছে। এদিকে ভারতের নাগরিকরা দেশের মাথা বাংলাদেশ ব্যাংকে চাকরি করে। কোনোভাবেই এই কোটা সমর্থন করা যায় না।
জিয়াউর রহমান রানা
কোটা প্রথা সম্পূর্ণ উঠিয়ে দেয়া উচিত। মুক্তিযুদ্ধের সেনানিদের এবং তাদের পরিবারের ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো যেতেই পারে। কিন্তু সরকারি চাকরিতে কোটা থাকা উচিত নয়। এর মাধ্যমে যে মুক্তিযুদ্ধের সময় জন্মেইনি তাকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। তার অপরাধ কি?
আবু নাসের কাইয়ুম
মতামত আর কি দেবো! দেশে এখন তো কোনো আইন-আদালত নেই। যদি থাকতো তাহলে সংবিধানে মৌলিক কাঠামোর বিরুদ্ধে এই পদ্ধতিকে আদালত কিভাবে স্বীকৃতি দেয়? দেশ বলে এখন কিছু আছে বলে মনে হয় না।
মেহেদী হাসান
প্রতিবন্ধী ছাড়া কোনো কোটা বাংলাদেশে চলতে পারে না।
কামরুল হাসান মিয়াজী
কৌটার দুধ শিশুর মেধা বিকাশে প্রতিবন্ধক, কোটার চাকরি জাতির মেধা বিকাশে প্রতিবন্ধক। কোটাকে না বলুন, জাতির মেধা বিকাশে এগিয়ে আসুন।
আবদুল আউয়াল
কোটার নামে মদখোর, গাঁজাখোর, ইয়াবাখোর, ধর্ষক, সন্ত্রাসীরা রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রশাসনে বসে দুর্নীতি করছে। দেশের মেরুদ- ভেঙে যাচ্ছে। আর মেধাবীরা রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে না খেয়ে ভালো উচ্চ ডিগ্রি নিয়ে।
এমএ করিম
কোটা ব্যবস্থা হচ্ছে বৈষম্য ও সংবিধান-বিরোধী। ১০% এর অধিক কোটা কখনও গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। আমিও চাই কোটা প্রথা সংস্কার হোক এবং তা সময়ের দাবি।
আঃ রহীম আবু আনাস
কোটা একটা অভিশাপ। কোটায় আমার কুমিল্লা জিলা স্কুলে অনেক ছেলে ভর্তি হয়। কিন্তু সিক্স পাস করতে পারে না। অথচ মেধাবীরা সুযোগ পায় না।
মো. ইউসুফ
বৈষম্য প্রশমিত করার প্রত্যয় নিয়ে কোটা পদ্ধতি চালু হলেও এখন ‘কোটা’ পদ্ধতিই বৈষম্যের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে! যে রাষ্ট্র প্রতিবন্ধীদের দায়িত্ব নিতে পারে কিন্তু মেধাবীদের দায়িত্ব নিতে পারেনাÑ সেই দেশে মেধাবীর জন্মই অবান্তর নয় কি? বাংলাদেশ যতদিন ধরণীতে থাকবে ততদিন ঋণ শোধ করলেও মুক্তিযোদ্ধাদের ঋণ কখনোই শোধ হবার নয়। তাই ওনাদের সন্তানদের কোটা বলবৎ থাকুক; কিন্তু নাতি-নাতনিদের নয়। প্রয়োজনে ওনাদেরকে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করা হোক। তবুও মেধার জায়গায় মোটা মাথা কাম্য নয়। আমাদের বিশাল হৃদয়ের বীর সেনানিরাও নিজেদেরকে দেশপ্রেমে উৎসর্গ করার সময়েও হয়তো মেধাহীন (মেরুদ-হীন) জাতি কখনও কামনা করেননি। মূলত সত্তরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের পরও তৎকালীন ক্ষমতাসীন পাকিস্তানিরা রাষ্ট্রক্ষমতা হস্তান্তর করেনি বলেই মুক্তিযুদ্ধের সূচনা। তৎকালীন নির্বাচনে রেজিস্টার্ড প্রায় ‘দুই লাখ’ মুক্তিযোদ্ধার বাইরে যারা ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগের বিজয় নিশ্চিত করতে ভূমিকা রেখেছিলেন তাঁদের উত্তরাধিকারীরাও কোটা পদ্ধতির কারণে বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। যদিও তারাও অন্তর থেকেই মুক্তিকামীদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। অতএব এখন সময়ের দাবি সবরকম কোটা সংস্কার এবং আবশ্যক।
মোহাম্মদ ওয়ালী আহমেদ
প্রতিবন্ধী কোটা শতকরা ১ ভাগ রাখা যেতে পারে। এ ছাড়া সব কম্পিটিশনের মাধ্যমে বাছাই হলে দেশে জ্ঞানের চর্চা বাড়বে।
ডালিম আহমেদ
কিসের কোটা! এই কোটার কারণে দেশের মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা চাকরি পায় না। এই কোটা নিয়ে হয় দুর্নীতি। কোটা বাতিল করা হোক।
আবুল বারাকাত
কোটা ১০%-এ নামিয়ে আনা দরকার। জেলা কোটা, আদিবাসী, পাহাড়ি, এবং জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, নাতি-নাতনিরা কেন কোটায় চাকরি করবে? তারা বাবা, নানা-দাদার মতো যোগ্য সন্তান হবেÑ এটাই তো দেশের মানুষের চাওয়া। প্রতিবন্ধী, বিকলাঙ্গ, তৃতীয় লিঙ্গ- এ জাতীয় লোকদের জন্য কোটার প্রয়োজন আছে।
আসাদুজ্জামান আসাদ
কোনো কোটা চাই না। যার মেধা আছে সেই আসুক। মেধার মূল্যায়ন না করলে দেশ কিভাবে এগোবে?
লোটাস হোসাইন
কোটা বাতিল চাই। চাকরিতে কোনো বৈষম্য চাই না। মেধাবীদের দ্বারা দেশ শাসন চাই। কোটা অভিশাপ স্বরূপ।
মামুন খান
সকল ধরনের কোটা বাতিল করা হোক। কোটামুক্ত নিয়োগ পরীক্ষা চাই। কোটামুক্ত বাংলাদেশ চাই।
আবদুল্লাহ নিজামী
দেশের জন্য যারা জীবন বাজি রেখেছে তাদেরকে প্রয়োজনে প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা সম্মানী ভাতা বরাদ্দ করতে পারে সরকার। কিন্তু নাতি, তার নাতি এরপর তার নাতি এগুলো কি?
আল কাশিম
কোটা চিরদিনের জন্য উঠিয়ে দেয়া উচিত। একটা স্বাধীন দেশে কোটা ব্যবস্থা থাকতে পারে না।
জাহান সূচী
এতো কিছু না করে যাদের কোটা আছে শুধু তারাই চাকরি করুক। আর আমরা ময়লা টোকাই।
আতিকুর রহমান
দেশ ছাড়ার উপযুক্ত সময়। সবক্ষেত্রেই আয়করের হার উচ্চ।
জামাল উদ্দীন
সারা বাংলাদেশের মানুষ এই কোটা প্রথার বিপক্ষে।
নীরব পথিক গিয়াস
সবকোটা নিপাত যাক...মেধাবীরা মুক্তি পাক...!
শাফায়েত হোসেন
প্রয়োজনে গণভোট চাই কোটা বাতিল চাই জাতি আর কতদিন বহন করবে এই অভিশাপ।
মোহাম্মদ ইকবাল
কোটা মেধাবী জাতি ধ্বংসের নীল-নকশা।
আলী আক্কাস
স্বাধীনতার এত বছর পর কোটা থাকাটা ঠিক না
শামসুল আলম
শুধুমাত্র বুদ্ধি প্রতিবন্ধীদের জন্য কোটা থাকা দরকার।
ওমর ফারুক
কোটা পদ্ধতি দেশকে তিলে তিলে শেষ করে দিচ্ছে।
শিশির বাবু
বিপক্ষে আবার কি মত আছে? আছে অপরাজনীতি, গোয়ার্তুমি ও পাশবিকতা।
মঞ্জুরুল হেলাল উৎপল
এখনি এই কোটা প্রথা প্রত্যাহার করা উচিত।
রাজু মহিউদ্দিন
সাধারণের মতামতের কোনো মূল্য নাই। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন কোটা থাকবেই।
হাওলাদার মামুন
প্রতিবন্ধী ছাড়া সব কোটাই বতিল চাই।
মুজাক্কের আল ইক্তেহাদ আহমেদ
বেকার ভাতার ব্যবস্থা করুন
১০ শতাংশ কোটা সংরক্ষণের কথা বলেছেন ওবায়দুল্লাহ, হাসান ও সুমন আহমেদ।
কোটা বাতিল না করে সংস্কারের পক্ষে মত দিয়েছেন রাফিন শরীফ খান, রুহুল আমিন, শেখ দেলওয়ার গালিব, সাইফুল ইসলাম চঞ্চল, আল মামুন, মো. রোকনুজ্জামান রোকন, শামস আল আহমেদ হাসিন, হিরণ সিকদার।
কোটা সম্পূর্ণরূপে বাতিলের পক্ষে মতামত জানিয়েছেন রেজোয়ান হক, এসএম শায়েস্তা, হ্যাপি জামান, আশিক ইসলাম, আবদুল্লাহ আল মামুন, আল মামুন, রোমানা খান রেশমী, আবু আনিস, তানজিল আহমেদ, রফিকুল ইসলাম, সাঈদ হক, মাসুদ রানা, জাহাঙ্গীর হোসেন, সাইদ হক, ইসহাক মিয়া, সাজ্জাদ হোসেন, আবুল মনসুর, নাঈম, ফেরদৌস, মিজান আহমেদ ও এরশাদ মিয়া।
জাহিদ হাসান
যে দেশে ৫৬ শতাংশই কোটা সে দেশ মেধার মূল্য কিভাবে বুঝবে? কোটার মাধ্যমে মেধাবীরা চাকরি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এই কোটা মেধাবী তরুণ প্রজন্মের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি করছে। কোটা যদি রাখতেই হয় তাহলে ১৫ শতাংশ কোটা রাখা যেতে পারে। কোটা প্রথার মাধ্যমে সঠিক জায়গায় যোগ্য লোক যেতে পারছে না। ফলে দেশ মূল ধারার উন্নয়ন থেকে অনেক পিছিয়ে। আমরা কোটা সংস্কারের জন্য যে আন্দোলন করছি সে আন্দোলন মুক্তিযোদ্ধাদের বিপক্ষে নয়।
আশরাফুল ইসলাম
মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল বৈষম্য থেকে মুক্তির জন্য। তাই কোটা বৈষম্য ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। জনবহুল এই বাংলাদেশে যেখানে লাখ লাখ শিক্ষিত বেকার যোগ্যতা থাকার পরেও চাকরি না পাওয়ায় হাহাকার করে সেখানে কোটা পদ্ধতির মতো বিলাসিতা মানায় না।
ইমদাদুল হক মুকুল
মুক্তিযোদ্ধারা চেয়েছিলেন এদেশে কোনো বৈষম্য থাকবে না, ধর্মের নামে বাড়াবাড়ি থাকবে না। দেশকে মুক্ত করার জন্য যিনি রক্ত দিতে জানেন তিনি কোনো বৈষম্যবাদী নন। এমনকি নিজের সন্তানের ক্ষেত্রেও নন। তাই আমার দৃঢ় বিশ্বাস স্বাধীনতার চেতনাকামী মুক্তিযোদ্ধারাও কোটা পদ্ধতিতে কোনো ফায়দা উসুলের পক্ষপাতী নন। বরং সন্তানের চাকরি তার মেধার যোগ্যতায় অর্জন করুক এটাই তাদের প্রত্যাশা বলে মনে করি। দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধারা এদেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে আমাদের চেয়ে একটু বেশি সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করুক আমরা কামনা করি। আমরা মুক্তিযুদ্ধার সন্তান না হলেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আমাদের ভেতরে আছে। মুক্তিযুদ্ধাদের, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের সুযোগ দিতে শিক্ষায় কোটা করে কেন? অন্যভাবে কি দেয়া যায় না? রাজনৈতিক ক্ষেত্রে ৩০% বা ৫০% অধিকার দেন আমার/আমাদের বিন্দুমাত্র আপত্তি নেই। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পোষণকারী মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে কোটা দিলে এদেশের রাজনীতিও এখনকার মতো এতটা প্রশ্নবিদ্ধ হবে না।
আদিব আল হাকীম
সংবিধানের ১৯ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে’
(১) সব নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা নিশ্চিত করতে রাষ্ট্র সচেষ্ট হবেন;
(২) মানুষে মানুষে সামাজিক ও অর্থনৈতিক অসাম্য বিলোপ করার জন্য, নাগরিকদের মধ্যে সম্পদের সুষম বণ্টন নিশ্চিত করার জন্য এবং প্রজাতন্ত্রের সর্বত্র অর্থনৈতিক উন্নয়নের সমান স্তর অর্জনের উদ্দেশ্যে সুষম সুযোগ-সুবিধা দান নিশ্চিত করার জন্য রাষ্ট্র কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে;
(৩) জাতীয় জীবনের সর্বস্তরে নারীদের অংশগ্রহণ ও সুযোগের সমতা রাষ্ট্র নিশ্চিত করবে।’
উপরোক্ত অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রের সকল নাগরিকই সমান অধিকার পাবেন, এই সমতা প্রদান নিশ্চিত করবে রাষ্ট্র (সরকার)। কোটা প্রথার মূল লক্ষ্য একটা পিছিয়ে পরা জাতিগোষ্ঠীকে অগ্রসর করা, বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্রের এটিই নিয়ম। পিছিয়ে পড়া জাতি-গোষ্ঠীর মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের পর ক্ষতিগ্রস্ত, সর্বহারা, পাহাড়ি আদিবাসী, শারীরিক প্রতিবন্ধী ইত্যাদিই পাওয়া যায়। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী শুধু মুক্তিযোদ্ধারাই নন, বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষই পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী, যেসব ছেলেরা দরিদ্র, অর্থ ও অন্ন কষ্ট উপেক্ষা করে মেসে থেকে প্রাইভেট পড়িয়ে অনার্স, মাস্টার্স ও বিসিএস পাস করে সে কি অনগ্রসর নয়? আজ দেশ চলছে, দেশের মতো শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা চলছে না ভালো মতো, নানান প্রতিবন্ধকতায় ঝরে পড়ছে অনেক শিক্ষার্থী। অনেকেই আবার হাল ছেড়েই দিচ্ছে এই ভেবে “কি লাভ এই পড়ালেখা করে!, না কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত, না আমার মামা খালু আছে, না আমার টাকা আছে এমনকি একটা কোটাও নেই!” বড়ই পরিতাপের বিষয়, এই কোটা প্রথা নামে মেধার অবমূল্যায়ন, এই কোটা প্রথার ক্ষমতায় অযোগ্য লোক নিয়োগ, এই কোটা প্রথার নামে দলীয়করণ, বড়ই আফসোস এর!
আমিনুল ইসলাম বাবু
দাউদ হায়দার বলেছিলেন, জন্মই আমার আজন্ম পাপ। বঙ্গবুন্ধু যেটা সাময়িক সময়ের জন্য করেছিলেন সেটা কেন দীর্ঘস্থায়ী হলো? স্বাধীন দেশে জন্ম নিয়ে আমি কি কোনো পাপ করেছি ?
মোহাম্মদ শাহাদাত
আমি দুবাই প্রবাসী। আমি সম্পূর্ণরূপে কোটাবিরোধী। আমিও একজন ভালো ছাত্র ছিলাম, কিন্তু আমাদের দেশের প্রচলিত কোটার কারণে আর মামা খালু না থাকায় আজকে আমাকে প্রবাসী হতে হয়েছে। অথচ, আমার মেধা আর শ্রম যদি আমার দেশ ব্যবহার করতো; আমি যদি দেশ সেবার মহান সুযোগ পেতাম তাহলে আমিও নিজেকে উজাড় করে দিতাম এবং দেশও উপকৃত হতো।
কোটার পরিবর্তে একটা নাম্বারিং সিস্টেম চালু করা যায়। সেটা হলো, প্রতিবন্ধীদের ১০ নম্বর, মুক্তিযোদ্ধা এবং উপজাতীদের ৫ নম্বরের গ্রেস দেয়া। অর্থাৎ, লিখিত পরীক্ষায় তাদের প্রাপ্ত নম্বরের সঙ্গে ১০ এবং ৫ নম্বর গ্রেস পেতে পারে তারা। তাহলে তাদের মধ্যেও প্রতিযোগিতার একটা মনোভাব তৈরি হবে এবং লেখাপড়া করবে। আর কোটাহীনরা তো অবশ্যই পড়ালেখা করেই, প্রতিযোগিতা করেই আসবে। তাহলে দেশ মেধাবীদের সেবা থেকে বঞ্চিত হবে না এবং মেধাহীনদের বোঝা বয়ে বেড়াতে হবে না।
মুহাম্মদ উল্লাহ শাহীন
কোটার কারণে মেধার মূল্যায়ন হয় না। এছাড়া দেশে দুর্নীতি বাড়ার অন্যতম কারণ এটা।
আমিরুল ইসলাম
কোটাপ্রথা অবশ্যই পরিবর্তন প্রয়োজন। কোটা প্রথার কারণে আমরা পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। বর্তমানে আমরা মুক্ত। কিন্তু কোটা প্রথা রয়ে গেছে।
শামির
মেধাবী প্রার্থীদের বঞ্চিত করা হচ্ছে যেটা সম্পূর্ণ অনৈতিক। মেধাবীদের অবমূল্যায়ন করে দেশকে এগিয়ে নেয়া একেবারেই অসম্ভব।
রাজিয়া সুলতানা
কোটাধারীদের জন্য এতবেশি সুযোগ আছে। অথচ প্রার্থী নেই। তার মানে কোটার প্রয়োজন নেই।
মাজিদ ইকবাল খান
সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা ব্যবস্থা বাতিল করা প্রয়োজন।
এম হোসাইন
কোটা বাতিল করা দরকার। কেন না কোটার কারণে অনেকে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। কোটার রাজনৈতিক ব্যবহার হচ্ছে।
রাসেল আমিন
আমি ব্যবস্থাপনাতে বিবিএ শেষ করে এখন এমবিএ করছি। আমি ৫৬ ভাগ কোটার পক্ষে আছি। কারণ এটি মেধাবীদের প্রতি জুলুম করা হচ্ছে। আমি আন্দোলনকারীদের পক্ষে আছি।
আবদুল কাদের
কোটার প্রয়োজন নেই। মুক্তিযোদ্ধারা কোটার জন্য যুদ্ধ করেননি। সঠিক ব্যক্তিকে সঠিক জায়গায় প্রয়োজন।
জাহিদ
মতামত আর কি দিব? প্রধানমন্ত্রীতো বলে দিয়েছেন কোটা ব্যবস্থা থাকবে। এখন আন্দোলন করা ছাড়া বিকল্প পথ নাই।
করিম
মেধাবীদের অধিকার হরণ করা হচ্ছে!
আমিনুর রহমান
যারা কোটা বাতিলের জন্য লম্ফঝম্ফ কেরে তারা জানে না এটা প্রতিবন্ধকতা নয়, বরং মেধাবীদের জন্য প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে যে কারণগুলো তার অন্যতম হলোÑ ঘুষ, দুর্নীতি, অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি ও প্রশ্ন ফাঁস। মেধা কোটার অধিকাংশই ‘ঘুষ, দুর্নীতি, অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি ও প্রশ্ন ফাঁস’ নামক অলিখিত কোটার পেটে যাচ্ছে। ওটা রাতকানারা দেখে না। এ ছাড়া চাকরির বয়স নামক অযৌক্তিক বেড়ায় আটকে আছে লাখ লাখ যোগ্য ও মেধাবী মুখ। তাই আসুন ঘুষ, দুর্নীতি, অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি ও প্রশ্ন ফাঁসমুক্ত সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নিয়োগ প্রক্রিয়া ও ৩০ বছরের বেড়া ভাঙতে সচেতন ও সক্রিয় হই।
সাবের মিঞা
কোটা ব্যবস্থা বাতিল করা প্রয়োজন। সরকার বলেছে, প্রতিটি পরিবারে একটি করে চাকরি দিবে। কিন্তু আমরা সাত ভাই কেউ কোনো চাকরি পাইনি।
আবু বকর চৌধুরী
আমরা মেধা সমর্থন করি।
আলিম উদ্দীন
কোটা চাই না।
এইচ এম রহমান
মেধার ভিত্তিতে নিয়োগই কেবল একটি উন্নত জাতি ও রাষ্ট্র গঠনে সাহায্য করতে পারে।
আকতারুজ্জামান আপন
দেশের জন্য জনগণ, আর জনগণের জন্য সরকার, সরকার যদি এই কথা চিন্তা করেন। তাহলে কোটা সংস্কার দরকার।
আফরোজ ইসলাম
মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দেখানো এবং তাদের পরিবারকে যথাযথ সুযোগ সুবিধা দেয়া যেমন সরকারের দায়িত্ব ঠিক তেমনি মেধার ভিত্তিতে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করাও সরকারের কর্তব্য। মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারকে যথাযথ সুযোগ দিতে গিয়ে তাদের সন্তান ও নাতি-নাতনিদের কোটা দেয়ার প্রয়োজন আছে, তবে তা সহনীয় পর্যায় পর্যন্ত। পৃথীবিতে হয়তো এমন কোনো দেশ খুঁজে পাওয়া যাবে না যেখানে মোট ৫৬ শতাংশ কোটা। কোটার কারণে শিক্ষা জীবনেই হোঁচট খেতে হয় মেধাবী শিক্ষার্থীদের।
কাজী
কোটা ব্যবস্থা একই যোগ্যতা সম্পন্ন দুই প্রার্থীর ক্ষেত্রে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে প্রযোজ্য হতে পারে। অযোগ্য উত্তরাধিকারীর জন্য কোনো বিশেষ চাকরি কোটা বরাদ্দ থাকতে পারে না। এতে দেশের প্রশাসন মেধা শূন্য হয়ে পড়বে।
সায়েম
যোগ্য প্রশাসন গড়ে তোলার জন্য মেধার বিকল্প কোটা হতে পারে? একটি দেশের কোটা ৫-১০% হতে পারে কিন্তু ৫৬%!
সৈয়দ রবিউল ইসলাম
কোটা ব্যবস্থা সংযোজন করা হয়েছিল অনগ্রসর জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে আনার জন্য। এ ব্যবস্থা ছিল একটি মহতী উদ্যোগ। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় এখন সেই পরিস্থিতি দেশে নেই। মুক্তিযোদ্ধারা জাতির সেরা সন্তান তাঁদের অবশ্যই মর্যাদা এবং সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের অন্যান্য সুবিধা বাড়িয়ে তাঁদের কোটা হালনাগাদ করা যায়। উপজাতিদের অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। তাঁদের কোটা যৌক্তিক করা যায়। মহিলাদের অবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে। মহিলা কোটা যৌক্তিক করা যায়। প্রতিবন্ধী কোটার আবশ্যকতা আছে। মেধা কোটা বৃদ্ধি করা দরকার।
মহিউদ্দিন ভুঁইঞা
কোটা প্রথা হচ্ছে যৌতুকের মতো, কোটা দেশকে মেধা শূন্য করছে, মেধাকে অগ্রাধিকার দিন, কোটা প্রথা বাতিল করুন, দেশকে এগিয়ে নিন। সোনার বাংলা গড়ুন। ইনশাআল্লাহ সোনার বাংলা এগিয়ে যাবে।
এস আলম
কোটা পদ্ধতির একটা বড় বাজে দিক হচ্ছে, অসংখ্য মেধাবী মানুষ এর ফলে দেশ সেবায় নিজের মেধা, যোগ্যতাকে কাজে লাগাতে পারছে না। মেধার মূল্যায়ন যে দেশে হয় না, সে দেশে মেধাবী মানুষের জন্ম হবে না। দেশের মেধার একটা বড় অংশ তখন বাধ্য হয়ে দেশের বাইরে চলে যাবে। ক্ষতি তো আলটিমেটলি দেশের। আমার বিশ্বাস ১৯৭১-এ আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা, তাদের সন্তান, নাতিপুতি সহজে সরকারি চাকরি পাবে, এই নিয়তে দেশ স্বাধীন করার জন্য প্রাণ বিসর্জন দেন নি, বা যুদ্ধ করেননি। দেশ মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের মর্যাদা দিয়েছে, তাদের সন্তানদের মর্যাদা দেয়ার কোনো দরকার আছে বলে মনে করি না। এসব করে দেশের মানুষের মধ্যে বিভেদ বাড়ানো হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি মানুষের সম্মানকে হেয় করার চেষ্টা করা হচ্ছে। যোগ্যরাই দেশ চালাক, সেই স্বপ্ন থেকেই কোটা পদ্ধতির সংস্কার চাই।
অ্যাডভোকেট আমিন আহমেদ
৫৬ ভাগ কোটা? ভাবা যায়! একটা সভ্য সুশিক্ষিত সমাজে এভাবে মেধার কবর রচনা হতে দেয়া যায় না। মেধাবীরা সুযোগ না পেলে মেধা পাচার হবেই। এতে পিছাবে দেশ, পিছাবে জাতি। আমরা পিছাতে চাইনা, এগিয়ে যেতে চাই দুর্বার গতিতে। তাই কোটা ব্যবস্থার সংস্কার অতীব জরুরি।
কামরুল
কোটা ব্যবস্থা আমার কাছে বিষের মতো। আমি এটাকে চরম ঘৃণা করি। কারণ, এর দ্বারা মেধাবীদের ধ্বংস করা হচ্ছে।
আবুল হাসনাত
কোটা প্রথা সাময়িক বিষয়, কিন্তু আমাদের দেশে মনে হচ্ছে চিরস্থায়ী ব্যবস্থা। যদি সার্বিক বিবেচনায় রাখতে হয় তাহলে সর্বোচ্চ ২৫ ভাগের বেশি নয়।
নূর আলম মামুন
মেধাবী এবং আগামীর সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য কোটা একান্ত জরুরি।
মো. আমলাক আলী
কোটা মুক্ত বাংলাদেশ অবশ্যই চাই, সেই সঙ্গে চাই ঘুষ মুক্ত চাকরি।
নাজ
কোটা থাকা উচিত নয়। শুধু মেধাকেই গুরুত্ব দেয়া উচিত। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কিছুটা কোটা থাকতে পারে, তা কি তাদের নাতি-নাতনিদের জন্য? তারা কি দেশকে বাঁচানোর জন্য রক্ষা করার জন্য নাকি কোটার জন্য?
ডা. মাজিদ
কোটা পদ্ধতি এখনই বন্ধ করা উচিত।
আবদুল কাদির
এটা দেশের মানুষের মৌলিক অধিকারের বিরোধী।
শফিকুল ইসলাম
কোটার কারণে স্বাধীন দেশে নিজেকে পরাধীন মনে হয়।
কাজী আনিসুর রহমান
কোটা পদ্ধতি আমাদের সকল প্রকার অর্জনকে ধ্বংস করে দেয়।
সামিরুল ইসলাম
প্রথমত মেধাবী প্রার্থীদের চরম ভাবে বঞ্চিত করা হচ্ছে, যেটা সম্পূর্ণ অনৈতিক। মেধাবীদের অবমূল্যায়ন করে দেশকে এগিয়ে নেয়া একেবারেই অসম্ভব। দ্বিতীয়ত কোটা পদ্ধতি আমাদের মহান সংবিধানের সঙ্গে শতভাগ সাংঘর্ষিক যেটা আমরা যুগের পর যুগ টানতে পারি না। তবে জনসংখ্যার ঘনত্ব অনুযায়ী শুধুমাত্র জেলা কোটা রাখা যেতে পারে।
মমতাজ
কোটা নয় মেধাভিত্তিক চাই।
রাকিব ইমন
কোটা প্রথার কারণে লাখ লাখ মেধাবী সরকারি চাকরি থেকে বঞ্চিত হয়ে বেকার ও মানবেতর জীবন যাপন করেছে। আমি কোটাপ্রথা বাতিল চাই।
মো. আশিকুর রহমান
কোটা রহিত হোক এটা আমার মত।
মোহাম্মদ ইউসুফ
বৈষম্য প্রশমিত করার প্রত্যয় নিয়ে কোটা পদ্ধতি চালু হলেও এখন ‘কোটা’ পদ্ধতিই বৈষম্যের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে! যে রাষ্ট্র প্রতিবন্ধীদের দায়িত্ব নিতে পারে কিন্তু মেধাবীদের দায়িত্ব নিতে পারে না সেই দেশে মেধাবীর জন্মই অবান্তর নয় কি? বাংলাদেশ যতদিন বেঁচে থাকবে ততদিনেও মুক্তিযোদ্ধাদের ঋণ কখনোই শোধ হবার নয়। তাই ওনাদের সন্তানদের কোটা বলবৎ থাকুক কিন্তু নাতি-নাতনিদের নয়। প্রয়োজনে ওনাদেরকে রাষ্টীয় কোষাগার থেকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করা হোক। তবুও মেধার জায়গায় মোটা মাথা কাম্য নয়।
এমএস এইচ চৌধুরী
কোটা পদ্ধতি দ্রুত সংস্কার করে যোগ্য ব্যক্তিকে যথাযথ স্থানে বসানো উচিত। যোগ্য ব্যক্তির পরিচালনা দ্বারাই একটা ভালো জেনারেশন তৈরি হতে পারে। কোটা বাদ দিয়ে যদি মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া হয় তাহলে আমাদের দেশের দ্রুত উন্নয়ন হবে।
জুয়েল রানা
আমি কোটা পদ্ধতিকে চরমভাবে ঘৃণা করি। কোটা সংস্কারের পাশাপাশি আরো বলতে চাই, চাকরির ক্ষেত্রে মামা, খালু, দুলাভাই এমনকি দালাল ঘুষখোরদের হাত থেকে যোগ্য মেধাবীদের রক্ষা করার জন্য অনুরোধ করছি।
এসকে লোকমান হোসেন
বর্তমান শেখ হাসিনার সরকারের দেশের শিক্ষার সঙ্গে সব কিছুর উন্নয়ন হচ্ছে। একজন ব্যক্তির লেখাপড়া শেষ করতে কমপক্ষে ৩০ বছর সময় লাগে। তার জন্য বাবা মা’র যে কতটুক শ্রম দিতে হয় তা লেখাপড়া যারা করান তারা ভালোভাবেই জানেন। তার পর যদি সেই সন্তানের চাকরি না হয়। তা হলে সেই সন্তানের করার আর কী আছে। তখনই তারা খারাপ পথে চলে যায়। আর যদি লেখাপড়া শেষে চাকরি হয়ে যায় তা হলে তার কোনো খারাপ চিন্তা মাথায় থাকে না। তাই আমার অনুরোধ বর্তমান সরকার তাদের চিন্তা করে সবাইর জন্য চাকরির ব্যবস্থা করবেন।
আনোয়ার আহমেদ
কোটা ব্যবস্থা উঠিয়ে দিয়ে মেধার বিকাশ ঘটানোর সুযোগ দেয়া উচিত! এভাবে চললে মেধা ধ্বংস হয়ে যাবে।
নাজমুল হাসান
মুক্তিযোদ্ধা কোটা ব্যবস্থা অবশ্যই থাকা উচিত, কিন্তু সেটা শুধুমাত্র তৃতীয় এবং চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারীর জন্য। বিসিএস শুধু মেধাবীদের জন্য। এখানে কোনো ছাড় দেয় যাবে না।
সাফায়েত
বর্তমানে কোনো ভাবেই কোটাকে গ্রহণ করা সম্ভব না, স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর আমরা কেন কোটার কারণে বঞ্চিত হব।
আকরাম হোসাইন
আমার মনে হয় যেহেতু প্রতিটি সরকারি প্রতিষ্ঠানেই পর্যাপ্ত সংখ্যক লোকবলের অভাব। তাই কোটার সঙ্গে সঙ্গে মেধাভিত্তিক নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটার দ্বিগুণ পরিমাণ লোকবল নিয়োগ দিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোকে সঠিকভাবে পরিচালনা করলে হয়তো কাজকর্ম সঠিকভাবে সম্পাদিত হবে। কারণ প্রায়ই শোনা যায় লোকবলের কারণে কার্য সম্পাদন যথাসময়ে সম্পন্ন হয় না। তাই প্রথমেই বিবেচনা করা উচিত প্রতিষ্ঠানের কার্যপরিধি এবং পরে বিবেচনা করা উচিত কি পরিমাণ লোকবলের দরকার। অতঃপর কোনরকম গড়িমসি না করে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জটিলতা দূর করে একটি আধুনিক ও দ্রুত সেবাভিত্তিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা। যা কিনা জনগণ তথা দেশের কল্যাণ বয়ে আনবে।
টিএম সোহাগ
আমার কাছে যৌতুকপ্রথা যেমন, চাকরির ক্ষেত্রে ৫৬ ভাগ কোটা ব্যবস্থা তেমন।
মো. ওয়াসিম
কোটা ব্যবস্থা সংস্কার কেন জরুরি? বর্তমানে কোটা ব্যবস্থা অনগ্রসর করার এক নীল নকশা বলে আমি মনে করি। কারণ পোষ্য ও মুক্তিযোদ্ধা কোটার কোনো সাংবিধানিক ভিত্তি নেই এবং এটি সংবিধানের সঙ্গে সরাসরি সাংঘর্ষিক। জেলা কোটাও বর্তমানে এক শ্রেণির সুবিধাই প্রকাশ করে। যেমন ঢাকা জেলা ৮ দশমিক ৩৬ ভাগ, অন্যদিকে দরিদ্র কুড়িগ্রাম ১ দশমিক ৪৪ ভাগ, বান্দরবন শূন্য দশমিক ২৭ ভাগ, উপজাতি কোটার প্রয়োজন আছে তবে এত বেশি নয়। ১ দশমিক ১৩ ভাগ, ৫ ভাগ কোটা যা সংস্কার জরুরি। নারী কোটা সংস্কার করে একটু কমানো উচিত বলে আমি মনে করি। আর প্রাইমারি শিক্ষাকে ধ্বংস করতে না চাইলে এর নিয়োগ বিধি সম্পূর্ণ রূপে সংস্কার করা উচিত বলে আমি মনে করি। আর অন্যান্য কোটা বাতিল করা সময়ের সঙ্গে অগ্রগতি সাধনের অন্যতম পথই নির্দেশ করবে বলে আশা করি।
আমিনুল ইসলাম
কোটা নয় মেধাভিত্তিক চাই। কোটা দ্বারা মেধাবীদের ধ্বংস করা হচ্ছে।
মীর নজরুল
কোটাপ্রথা বিলীন করা উচিত। চাকরির ক্ষেত্রে মেধা আর যোগ্যতার পরীক্ষায় যারা নির্বাচিত হয়ে আসবে তারাই প্রকৃত যোগ্য।
সঞ্জয় হালদার
আমি কোটা পদ্ধতিকে চরমভাবে ঘৃণা করি।
শফিক আহমেদ
বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে দেশকে বা একটা জাতিকে এগিয়ে নিতে মেধার বিকল্প আরো বেশি মেধা। খুব সাদমাটা ভাবে দেখলে জাতীয় বাজেটের উন্নয়ন ব্যয়ের একটা বৃহত্তম অংশ প্রতি বছর অব্যয়িত থাকতে দেখা যাচ্ছে। আর যা ব্যয় হচ্ছে সেটাও পুরোই দুর্নীতি আর অপব্যয় ছাড়া কিছুই নয়।
সাইফুল ইসলাম
কোটা নয় মেধাভিত্তি চাই।
আল হাছনাত
কোটা সংস্কার জরুরি কিন্তু সরকার মনে হয় সংস্কার করবে না। কারণ এতগুলো আন্দোনলের পরেও কোনো বিবৃতি দিল না যেটা তরুণদের জন্য খুবই বেদনাদায়ক। সরকার কিসের জন্য সংস্কার করছে না এটা আমাদের জানা নেই। কিন্তু সংস্কার না কারার পিছনে যে সরকারের দুর্বলতা আছে সেটা নিশ্চিত। সরকারের যত বড়ই দুর্বলতা থাকুক না কেন তরুণদের এভাবে হতাশ করার কোনো প্রশ্নই আসে না। আর সর্বোচ্চ ৩ ভাগ মানুষ ৭১ এর পর থেকে আজ পর্যন্ত ৫০ বছর ৫৬ থেকে ৭০ ভাগ কোটা ভোগ করে আসছে। এই ৩ ভাগ পিছিয়ে পড়া জাতি আজ এতটাই এগিয়ে যে আজকেই যদি কোটা বন্ধ করে দেয়া হয় তবে ৯৭ ভাগ মানুষ তাদের সমান হতে ১০০ বছরেরও বেশি সময় লাগবে। এর পরো যদি সরকার বলে ৩ ভাগ এখনো পিছিয়ে আছে তবে এই ৩ ভাগকে আগামী ৫০০ বছর ১০০ ভাগ কোটা প্রদান করলেও তারা তাদের অবস্থার উন্নয়ন করতে পারবে না।
শেখ আব্দুল মালেক
দেশ প্রকৃত মেধাবী আমলা পাচ্ছে না। দ্বিতীয়/তৃতীয় শ্রেণির লোক প্রথম শ্রেণির চাকরি করছে আর প্রথম শ্রেণির লোক বেকার ঘুরে বেড়াচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে যেমন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এর পরিবর্তে নাতি-নাতনি পাচ্ছে।
মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ
কোটা ব্যবস্থা আমার কাছে বিষের মতো। আমি এটাকে চরম ঘৃণা করি। কারণ এর দ্বারা মেধাবীদের ধ্বংস করা হচ্ছে।
No comments