ইয়েমেন সংকট: কে কার সঙ্গে কেন লড়াই করছে?
মানব
ইতিহাসের অন্যতম প্রাচীন বসতি আর আরব বিশ্বের সবচেয়ে গরিব দেশ ইয়েমেন।
গৃহযুদ্ধে দেশটি পুরোপুরি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। রোববারই ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধে
সৌদি জোটের হস্তক্ষেপের তিনবছর পূর্তি হয়েছে। আর সেই উপলক্ষেই এই হামলা।
হুতি বিদ্রোহীরা জানিয়েছে, তারা সৌদি আরবের বেশ কয়েকটি লক্ষ্যে হামলা
চালিয়েছে, তার মধ্যে রিয়াদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরও রয়েছে।
ইয়েমেন থেকে হুতি বিদ্রোহীদের ছুড়ে মারা সাতটি মিসাইল গুলি করে ভূপাতিত করেছে সৌদি আরব। এর তিনটি মিসাইল সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদ লক্ষ্য করে ছোড়া হয়। মিসাইলের টুকরো নিচে পড়ার সময় একজন মিশরীয় নাগরিক নিহত হয়েছেন। ইয়েমেনের এই প্রাণঘাতী যুদ্ধ নিয়ে একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিবিসি বাংলা। ওই প্রতিবেদনে ইয়েমেনে কেন যুদ্ধ শুরু হয়েছিল, কে কে যুদ্ধ করছে ও কেন, যুদ্ধে বেসামরিক নাগরিকদের কি মূল্য দিতে হচ্ছে আর এই যুদ্ধ নিয়ে আন্তর্জাতিক সমপ্রদায়ের ভূমিকা কি তা তুলে ধরা হয়েছে।
যুদ্ধ কীভাবে শুরু হলো?
বিবিসি বাংলা’র প্রতিবেদনে বলা হয়, ইয়েমেনের লড়াইয়ের শুরুটা হয় আরব বসন্ত দিয়ে, যার মাধ্যমে আসলে দেশটিতে স্থিতিশীলতা আসবে বলে মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু ঘটেছে উল্টোটা। ২০১১ সালে দেশটির দীর্ঘদিনের প্রেসিডেন্ট আলি আবদুল্লাহ সালেহকে তার ডেপুটি আবদারাবুহ মানসুর হাদির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে বাধ্য করে।
কিন্তু প্রেসিডেন্ট হাদিকে অনেকগুলো সংকটের মুখোমুখি হতে হয়। আল কায়েদার হামলা, দক্ষিণে বিছিন্নতাবাদী আন্দোলন, সালেহ’র প্রতি অনেক সামরিক কর্মকর্তার আনুগত্য। এর বাইরে দুর্নীতি, বেকারত্ব আর খাদ্য সংকট তো রয়েছেই। আর নতুন প্রেসিডেন্টের দুর্বলতার সুযোগে ইয়েমেনের যাইডি শিয়া মুসলিম নেতৃত্বের হুতি আন্দোলনের কর্মীরা সাডা প্রদেশ এবং আশেপাশের এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। এ সময় অনেক সুন্নিরাও তাদের সমর্থন যোগায়। এরপর বিদ্রোহীরা সানা অঞ্চলেরও নিয়ন্ত্রণও নিয়ে নেয়। পরের মাসে দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দর এডেন থেকে পালিয়ে যান প্রেসিডেন্ট হাদি।
হুতি আর নিরাপত্তা বাহিনীগুলো সাবেক প্রেসিডেন্ট সালেহ’র প্রতি অনুগত। এরপর তারা পুরো দেশের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টা করে। তাদের পেছনে ইরান সমর্থন জুগিয়ে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হয়। এ পর্যায়ে হাদি দেশের বাইরে পালিয়ে যান। কিন্তু হাদিকে ইয়েমেনে পুনরায় ক্ষমতায় আনতে সৌদি আরব আর অন্য আটটি সুন্নি দেশ একজোট হয়ে ইয়েমেনে অভিযান শুরু করে। এই জোটকে লজিস্টিক আর ইন্টেলিজেন্স সহায়তা করে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য আর ফ্রান্স।
বিদ্রোহী আর সরকারি বাহিনীর মধ্যে ফাটল
হুতি আর সালেহ একটি জোট গঠন করলেও সেখানে এর মধ্যেই ফাটল দেখা দিয়েছে। ২০১৭ সালের নভেম্বরে সানার বড় মসজিদের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে একটি সশস্ত্র লড়াইয়ে বহু মানুষ হতাহত হয়। সালেহ তখন সৌদি আরবকে প্রস্তাব করেন যে, তারা যদি অবরোধ তুলে নেয় আর ইয়েমেনে হামলা বন্ধ করে, তাহলে নতুন সমপর্ক হতে পারে। হুতিরা পাল্টা জবাবে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে যে, তিনি এই জোটে কখনোই বিশ্বাস করতেন না। হুতিরা সানার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেয়ার জন্য অভিযান শুরু করে। ৪ঠা ডিসেম্বর তারা ঘোষণা দেয় যে, সালেহ রাজধানী থেকে পালানোর সময় নিহত হয়েছেন।
এর এক সপ্তাহ পরে সরকারি বাহিনীর মধ্যেও লড়াই বেধে যায়। বিচ্ছিন্নতাবাদীরা দাবি করে, ১৯৯০ সালে যে উত্তরের সঙ্গে দক্ষিণের যে ইউনিয়ন তৈরি হয়, সেটি ভেঙে আলাদা একটি রাষ্ট্র গঠন করা হবে। এ নিয়ে হাদির পক্ষের সৈন্যদের সঙ্গে তাদের বিরোধ তৈরি হয়।
এ বছর জানুয়ারিতে সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি আর অব্যবস্থাপনার অভিযোগ তোলার পর উত্তেজনা আরো বেড়েছে। তারা প্রধানমন্ত্রী আহমেদ বিন ডাগারের পদত্যাগও দাবি করেছে। বিচ্ছিন্নতাবাদীরা এডেনের সরকারি দপ্তর আর সামরিক ঘাঁটিগুলোর নিয়ন্ত্রণও নিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। ফলে এই পরিস্থিতি সৌদি জোটের মধ্যেও জটিলতার তৈরি করেছে। কারণ সৌদি আরব হাদিকে সমর্থন করছে। অন্যদিকে জোটের শরিক সংযুক্ত আরব আমিরাত সমর্থন করছে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের।
সাধারণ মানুষদের কি মূল্য দিতে হচ্ছে?
জাতিসংঘ বলছে, সংক্ষেপে ইয়েমেনের পরিস্থিতি হলো, বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানব-সৃষ্ট মানবিক বিপর্যয়। গত তিন বছরে ৯ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে এবং প্রায় ৫৩ হাজার মানুষ আহত হয়েছে। এদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক।
দেশটির ৭৫ শতাংশ মানুষের জরুরি মানবিক সহায়তা প্রয়োজন। অন্তত সোয়া কোটি মানুষের বেঁচে থাকার জন্য জরুরি খাদ্য সহায়তা দরকার। প্রায় পৌনে দুই কোটি মানুষের জানা নেই, তাদের পরবর্তী বেলার খাবার জুটবে কিনা। পাঁচ বছরের কম বয়সী ৪ লাখ শিশু চরম অপুষ্টিতে ভুগছে, যা তাদের জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলছে। দেশটিতে স্বাস্থ্য সেবা ভেঙে পড়েছে, কলেরা আর ডিপথেরিয়া ছড়িয়ে পড়েছে।
ইয়েমেন সংকট নিয়ে সারা বিশ্ব কি করছে?
ইয়েমেনে যা কিছুই ঘটছে, তা যেন আঞ্চলিক দেশগুলোরই ব্যাপার। তবে দেশটি অস্থিরতার মধ্যে থাকলে তা পশ্চিমা দেশগুলোর জন্য হামলার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিতে পারে। ইয়েমেনের আল কায়েদাকে বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর জঙ্গি সংগঠন বলে আসছে পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। কারণ তাদের প্রযুক্তিগত সুবিধা এবং আন্তর্জাতিক যোগাযোগ আছে। তবে ইয়েমেনের এই সংকটকে সৌদি আরব আর ইরানের মধ্যে আঞ্চলিক ক্ষমতার লড়াই হিসেবেও দেখা হচ্ছে।
অন্যদিকে কৌশলগত দিক থেকেও ইয়েমেনের নিয়ন্ত্রণ গুরুত্বপূর্ণ, কারণ দেশটি বাব আল-মানডাবের ওপর বসে আছে, যা লোহিত সাগর আর গালফ অফ এডেনের সংযোগস্থল। আর এখান থেকেই বিশ্বের সবচেয়ে বেশি তেলের সরবরাহ হয়ে থাকে।
(সূত্র: বিবিসি বাংলা)
ইয়েমেন থেকে হুতি বিদ্রোহীদের ছুড়ে মারা সাতটি মিসাইল গুলি করে ভূপাতিত করেছে সৌদি আরব। এর তিনটি মিসাইল সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদ লক্ষ্য করে ছোড়া হয়। মিসাইলের টুকরো নিচে পড়ার সময় একজন মিশরীয় নাগরিক নিহত হয়েছেন। ইয়েমেনের এই প্রাণঘাতী যুদ্ধ নিয়ে একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিবিসি বাংলা। ওই প্রতিবেদনে ইয়েমেনে কেন যুদ্ধ শুরু হয়েছিল, কে কে যুদ্ধ করছে ও কেন, যুদ্ধে বেসামরিক নাগরিকদের কি মূল্য দিতে হচ্ছে আর এই যুদ্ধ নিয়ে আন্তর্জাতিক সমপ্রদায়ের ভূমিকা কি তা তুলে ধরা হয়েছে।
যুদ্ধ কীভাবে শুরু হলো?
বিবিসি বাংলা’র প্রতিবেদনে বলা হয়, ইয়েমেনের লড়াইয়ের শুরুটা হয় আরব বসন্ত দিয়ে, যার মাধ্যমে আসলে দেশটিতে স্থিতিশীলতা আসবে বলে মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু ঘটেছে উল্টোটা। ২০১১ সালে দেশটির দীর্ঘদিনের প্রেসিডেন্ট আলি আবদুল্লাহ সালেহকে তার ডেপুটি আবদারাবুহ মানসুর হাদির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে বাধ্য করে।
কিন্তু প্রেসিডেন্ট হাদিকে অনেকগুলো সংকটের মুখোমুখি হতে হয়। আল কায়েদার হামলা, দক্ষিণে বিছিন্নতাবাদী আন্দোলন, সালেহ’র প্রতি অনেক সামরিক কর্মকর্তার আনুগত্য। এর বাইরে দুর্নীতি, বেকারত্ব আর খাদ্য সংকট তো রয়েছেই। আর নতুন প্রেসিডেন্টের দুর্বলতার সুযোগে ইয়েমেনের যাইডি শিয়া মুসলিম নেতৃত্বের হুতি আন্দোলনের কর্মীরা সাডা প্রদেশ এবং আশেপাশের এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। এ সময় অনেক সুন্নিরাও তাদের সমর্থন যোগায়। এরপর বিদ্রোহীরা সানা অঞ্চলেরও নিয়ন্ত্রণও নিয়ে নেয়। পরের মাসে দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দর এডেন থেকে পালিয়ে যান প্রেসিডেন্ট হাদি।
হুতি আর নিরাপত্তা বাহিনীগুলো সাবেক প্রেসিডেন্ট সালেহ’র প্রতি অনুগত। এরপর তারা পুরো দেশের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টা করে। তাদের পেছনে ইরান সমর্থন জুগিয়ে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হয়। এ পর্যায়ে হাদি দেশের বাইরে পালিয়ে যান। কিন্তু হাদিকে ইয়েমেনে পুনরায় ক্ষমতায় আনতে সৌদি আরব আর অন্য আটটি সুন্নি দেশ একজোট হয়ে ইয়েমেনে অভিযান শুরু করে। এই জোটকে লজিস্টিক আর ইন্টেলিজেন্স সহায়তা করে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য আর ফ্রান্স।
বিদ্রোহী আর সরকারি বাহিনীর মধ্যে ফাটল
হুতি আর সালেহ একটি জোট গঠন করলেও সেখানে এর মধ্যেই ফাটল দেখা দিয়েছে। ২০১৭ সালের নভেম্বরে সানার বড় মসজিদের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে একটি সশস্ত্র লড়াইয়ে বহু মানুষ হতাহত হয়। সালেহ তখন সৌদি আরবকে প্রস্তাব করেন যে, তারা যদি অবরোধ তুলে নেয় আর ইয়েমেনে হামলা বন্ধ করে, তাহলে নতুন সমপর্ক হতে পারে। হুতিরা পাল্টা জবাবে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে যে, তিনি এই জোটে কখনোই বিশ্বাস করতেন না। হুতিরা সানার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেয়ার জন্য অভিযান শুরু করে। ৪ঠা ডিসেম্বর তারা ঘোষণা দেয় যে, সালেহ রাজধানী থেকে পালানোর সময় নিহত হয়েছেন।
এর এক সপ্তাহ পরে সরকারি বাহিনীর মধ্যেও লড়াই বেধে যায়। বিচ্ছিন্নতাবাদীরা দাবি করে, ১৯৯০ সালে যে উত্তরের সঙ্গে দক্ষিণের যে ইউনিয়ন তৈরি হয়, সেটি ভেঙে আলাদা একটি রাষ্ট্র গঠন করা হবে। এ নিয়ে হাদির পক্ষের সৈন্যদের সঙ্গে তাদের বিরোধ তৈরি হয়।
এ বছর জানুয়ারিতে সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি আর অব্যবস্থাপনার অভিযোগ তোলার পর উত্তেজনা আরো বেড়েছে। তারা প্রধানমন্ত্রী আহমেদ বিন ডাগারের পদত্যাগও দাবি করেছে। বিচ্ছিন্নতাবাদীরা এডেনের সরকারি দপ্তর আর সামরিক ঘাঁটিগুলোর নিয়ন্ত্রণও নিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। ফলে এই পরিস্থিতি সৌদি জোটের মধ্যেও জটিলতার তৈরি করেছে। কারণ সৌদি আরব হাদিকে সমর্থন করছে। অন্যদিকে জোটের শরিক সংযুক্ত আরব আমিরাত সমর্থন করছে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের।
সাধারণ মানুষদের কি মূল্য দিতে হচ্ছে?
জাতিসংঘ বলছে, সংক্ষেপে ইয়েমেনের পরিস্থিতি হলো, বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানব-সৃষ্ট মানবিক বিপর্যয়। গত তিন বছরে ৯ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে এবং প্রায় ৫৩ হাজার মানুষ আহত হয়েছে। এদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক।
দেশটির ৭৫ শতাংশ মানুষের জরুরি মানবিক সহায়তা প্রয়োজন। অন্তত সোয়া কোটি মানুষের বেঁচে থাকার জন্য জরুরি খাদ্য সহায়তা দরকার। প্রায় পৌনে দুই কোটি মানুষের জানা নেই, তাদের পরবর্তী বেলার খাবার জুটবে কিনা। পাঁচ বছরের কম বয়সী ৪ লাখ শিশু চরম অপুষ্টিতে ভুগছে, যা তাদের জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলছে। দেশটিতে স্বাস্থ্য সেবা ভেঙে পড়েছে, কলেরা আর ডিপথেরিয়া ছড়িয়ে পড়েছে।
ইয়েমেন সংকট নিয়ে সারা বিশ্ব কি করছে?
ইয়েমেনে যা কিছুই ঘটছে, তা যেন আঞ্চলিক দেশগুলোরই ব্যাপার। তবে দেশটি অস্থিরতার মধ্যে থাকলে তা পশ্চিমা দেশগুলোর জন্য হামলার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিতে পারে। ইয়েমেনের আল কায়েদাকে বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর জঙ্গি সংগঠন বলে আসছে পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। কারণ তাদের প্রযুক্তিগত সুবিধা এবং আন্তর্জাতিক যোগাযোগ আছে। তবে ইয়েমেনের এই সংকটকে সৌদি আরব আর ইরানের মধ্যে আঞ্চলিক ক্ষমতার লড়াই হিসেবেও দেখা হচ্ছে।
অন্যদিকে কৌশলগত দিক থেকেও ইয়েমেনের নিয়ন্ত্রণ গুরুত্বপূর্ণ, কারণ দেশটি বাব আল-মানডাবের ওপর বসে আছে, যা লোহিত সাগর আর গালফ অফ এডেনের সংযোগস্থল। আর এখান থেকেই বিশ্বের সবচেয়ে বেশি তেলের সরবরাহ হয়ে থাকে।
(সূত্র: বিবিসি বাংলা)
No comments