৭ জন মিলে ধর্ষণের পর শিশু মীমকে হত্যা
একে
একে সাতজন ধর্ষণ করে শিশু মীমকে। এরপর গলা টিপে হত্যা করে তারা। ধর্ষকদের
আশঙ্কা- বেঁচে থাকলে মীম সবাইকে ধর্ষণের কথা বলে দেবে। এতে ফেঁসে যাবে
তারা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ফেঁসেই গেল। পুলিশের তদন্তে সুরতহাল
রিপোর্ট আর সন্দেহভাজন হিসেবে আটক মনিরুল ইসলামের দেয়া তথ্যের সূত্র ধরে পুলিশ ৫ ধর্ষককে আটক করেছে।
চট্টগ্রাম মহানগর আকবর শাহ্ থানার পুলিশ বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন জায়গা ও কুমিল্লায় অভিযান চালিয়ে ৫ ধর্ষককে আটক করে।
এ নিয়ে মোট ৬ জনকে আটক করার কথা জানান আকবর শাহ্ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আলমগীর মাহমুদ। তিনি জানান, সন্দেহভাজন হিসেবে ঘটনার দিন মমতাজ মহল ভবনের কেয়ারটেকার মনিরুল ইসলামকে (৪১) আটক করা হয়।
মনিরুল ইসলামের স্বীকারোক্তিতে ৫ খুনিকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ৯ বছরের শিশু মীমকে সাতজনে ধর্ষণের পর গলা টিপে হত্যার কথা স্বীকার করেছে বলে জানান ওসি আলমগীর মাহমুদ।
তবে মামলা তদন্তের স্বার্থে তিনি আটক ৫ ধর্ষকের নাম ও পরিচয় প্রকাশ করেননি। বাকি এক ধর্ষককেও আটকে পুলিশের অভিযান চলছে বলে জানান তিনি।
ওসি আলমগীর মাহমুদ জানান, গত ২১শে জানুয়ারি রাত সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম মহানগরীর আকবর শাহ্ থানা সংলগ্ন বিশ্বকলোনি এলাকায় মমতাজ মহল নামক পাঁচতলা একটি ভবনের দ্বিতীয় তলার বারান্দা থেকে ফাতেমা আক্তার মিম নামে ৯ বছরের শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ সময় মিমের গালে ও গলায় জখমের চিহ্ন দেখা যায়। এতে ধারণা করা হয় ধর্ষণের পর শিশু মীমকে খুন করা হয়। পরে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। সেখান থেকে মীমকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যার কথা জানানো হয়।
পর দিন ২২শে জানুয়ারি মীমের মা রাবেয়া আক্তার বাদী হয়ে নগরীর আকবর শাহ্ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে সুনির্দিষ্টভাবে কাউকে আসামি করা হয়নি। তবে অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়।
এ ঘটনায় মীমের লাশ উদ্ধারের সময় মমতাজ মহল ভবনের কেয়ারটেকার মনিরুল ইসলামকে আটক করার পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও সে এ ব্যাপারে কিছুই জানে না বলে জানান। এমনকি ভবনে মিমের লাশ কিভাবে এলো সে ব্যাপারেও জানে না বলে দাবি করেন।
কিন্তু ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে নিশ্চিত হওয়া গেছে, মীমের লাশ ভবনের উপর থেকে কোলে করে দ্বিতীয় তলার বারান্দায় এনে রাখা হয়েছে। সোহান নামে ওই ভবনের এক বাসিন্দা কাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে রাতে প্রথম মীমের লাশ দেখে পুলিশকে খবর দেন।
পরে আশপাশের দোকানদারদের সঙ্গে কথা বলার পর নিশ্চিত হওয়া গেছে মীমকে হত্যার পর এ ভবনে আনা হয়নি। বরং মীমকে এ ভবনে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এ বিষয়ে তথ্য উপস্থাপন করার পর ভবনের কেয়ারটেকার মনিরুল ইসলাম ধর্ষণের পর মীমকে গলাটিপে হত্যার কথা স্বীকার করে।
তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার রাতে অভিযান শুরু করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন স্থান ও কুমিল্লায় অভিযান চালিয়ে ধর্ষক গ্রুপের ৫ জনকে আটক করা হয়। বাকি একজনকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।
ফাতেমা আক্তার মীম চট্টগ্রাম মহানগরীর ফয়’স লেক সি ওয়ার্ল্ড এলাকায় মা-বাবার সঙ্গে থাকতো। তার বাবা জামাল উদ্দিন নগরীতে কাপড় ধোয়ার কাজ করেন। মা রাবেয়া গৃহিণী ও বাইরের অন্য পরিবারে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করেন।
তাদের বাড়ি ভোলা জেলায়। ২ বছর আগে স্বামী-স্ত্রী কাজের সন্ধানে চট্টগ্রামে এলেও গত বছরের শেষের দিকে মীমকে চট্টগ্রামে নিয়ে আসেন। মীমকে তারা স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় আরবি শিক্ষার জন্য ভর্তি করিয়ে দেন। ঘটনার দিন বিকালে মীম পাশের ঘরের দুই শিশুর সঙ্গে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয়।
একপর্যায়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে খবর পেয়ে নগরীর আকবর শাহ্ থানায় ছুটে যান মা রাবেয়া খাতুন ও বাবা জামাল উদ্দিন। তারা সেখানে গিয়ে মীমের লাশ শনাক্ত করে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
এ সময় বাবা জামাল উদ্দিন পুলিশের পায়ে ধরে এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত নরপশুদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করেন। বাবার আকুতি ও মায়ের আহাজারিতে তখন এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয় বলে জানান আকবর শাহ্ থানার এসআই সফিউল আলম মুন্সী। তিনি এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, ময়নাতদন্তে ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর মীম হত্যায় থানায় মামলা দায়ের করেন তার মা রাবেয়া খাতুন। কিন্তু গত তিনদিনেও মীম হত্যার কোনো ক্লু না পাওয়ায় তার ডিএনএও সংগ্রহ করা হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আটক মনিরুলের স্বীকারোক্তিতে ধরা পড়ল মীমের ধর্ষক ও খুনিরা।
তিনি বলেন, মীম ধর্ষণে ধর্ষক গ্রুপের সাতজনের মধ্যে আরও একজন আটকের বাইরে রয়ে গেছে। তাকে আটকে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে বলে জানান তিনি।
রিপোর্ট আর সন্দেহভাজন হিসেবে আটক মনিরুল ইসলামের দেয়া তথ্যের সূত্র ধরে পুলিশ ৫ ধর্ষককে আটক করেছে।
চট্টগ্রাম মহানগর আকবর শাহ্ থানার পুলিশ বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন জায়গা ও কুমিল্লায় অভিযান চালিয়ে ৫ ধর্ষককে আটক করে।
এ নিয়ে মোট ৬ জনকে আটক করার কথা জানান আকবর শাহ্ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আলমগীর মাহমুদ। তিনি জানান, সন্দেহভাজন হিসেবে ঘটনার দিন মমতাজ মহল ভবনের কেয়ারটেকার মনিরুল ইসলামকে (৪১) আটক করা হয়।
মনিরুল ইসলামের স্বীকারোক্তিতে ৫ খুনিকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ৯ বছরের শিশু মীমকে সাতজনে ধর্ষণের পর গলা টিপে হত্যার কথা স্বীকার করেছে বলে জানান ওসি আলমগীর মাহমুদ।
তবে মামলা তদন্তের স্বার্থে তিনি আটক ৫ ধর্ষকের নাম ও পরিচয় প্রকাশ করেননি। বাকি এক ধর্ষককেও আটকে পুলিশের অভিযান চলছে বলে জানান তিনি।
ওসি আলমগীর মাহমুদ জানান, গত ২১শে জানুয়ারি রাত সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম মহানগরীর আকবর শাহ্ থানা সংলগ্ন বিশ্বকলোনি এলাকায় মমতাজ মহল নামক পাঁচতলা একটি ভবনের দ্বিতীয় তলার বারান্দা থেকে ফাতেমা আক্তার মিম নামে ৯ বছরের শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ সময় মিমের গালে ও গলায় জখমের চিহ্ন দেখা যায়। এতে ধারণা করা হয় ধর্ষণের পর শিশু মীমকে খুন করা হয়। পরে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। সেখান থেকে মীমকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যার কথা জানানো হয়।
পর দিন ২২শে জানুয়ারি মীমের মা রাবেয়া আক্তার বাদী হয়ে নগরীর আকবর শাহ্ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে সুনির্দিষ্টভাবে কাউকে আসামি করা হয়নি। তবে অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়।
এ ঘটনায় মীমের লাশ উদ্ধারের সময় মমতাজ মহল ভবনের কেয়ারটেকার মনিরুল ইসলামকে আটক করার পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও সে এ ব্যাপারে কিছুই জানে না বলে জানান। এমনকি ভবনে মিমের লাশ কিভাবে এলো সে ব্যাপারেও জানে না বলে দাবি করেন।
কিন্তু ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে নিশ্চিত হওয়া গেছে, মীমের লাশ ভবনের উপর থেকে কোলে করে দ্বিতীয় তলার বারান্দায় এনে রাখা হয়েছে। সোহান নামে ওই ভবনের এক বাসিন্দা কাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে রাতে প্রথম মীমের লাশ দেখে পুলিশকে খবর দেন।
পরে আশপাশের দোকানদারদের সঙ্গে কথা বলার পর নিশ্চিত হওয়া গেছে মীমকে হত্যার পর এ ভবনে আনা হয়নি। বরং মীমকে এ ভবনে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এ বিষয়ে তথ্য উপস্থাপন করার পর ভবনের কেয়ারটেকার মনিরুল ইসলাম ধর্ষণের পর মীমকে গলাটিপে হত্যার কথা স্বীকার করে।
তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার রাতে অভিযান শুরু করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন স্থান ও কুমিল্লায় অভিযান চালিয়ে ধর্ষক গ্রুপের ৫ জনকে আটক করা হয়। বাকি একজনকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।
ফাতেমা আক্তার মীম চট্টগ্রাম মহানগরীর ফয়’স লেক সি ওয়ার্ল্ড এলাকায় মা-বাবার সঙ্গে থাকতো। তার বাবা জামাল উদ্দিন নগরীতে কাপড় ধোয়ার কাজ করেন। মা রাবেয়া গৃহিণী ও বাইরের অন্য পরিবারে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করেন।
তাদের বাড়ি ভোলা জেলায়। ২ বছর আগে স্বামী-স্ত্রী কাজের সন্ধানে চট্টগ্রামে এলেও গত বছরের শেষের দিকে মীমকে চট্টগ্রামে নিয়ে আসেন। মীমকে তারা স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় আরবি শিক্ষার জন্য ভর্তি করিয়ে দেন। ঘটনার দিন বিকালে মীম পাশের ঘরের দুই শিশুর সঙ্গে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয়।
একপর্যায়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে খবর পেয়ে নগরীর আকবর শাহ্ থানায় ছুটে যান মা রাবেয়া খাতুন ও বাবা জামাল উদ্দিন। তারা সেখানে গিয়ে মীমের লাশ শনাক্ত করে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
এ সময় বাবা জামাল উদ্দিন পুলিশের পায়ে ধরে এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত নরপশুদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করেন। বাবার আকুতি ও মায়ের আহাজারিতে তখন এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয় বলে জানান আকবর শাহ্ থানার এসআই সফিউল আলম মুন্সী। তিনি এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, ময়নাতদন্তে ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর মীম হত্যায় থানায় মামলা দায়ের করেন তার মা রাবেয়া খাতুন। কিন্তু গত তিনদিনেও মীম হত্যার কোনো ক্লু না পাওয়ায় তার ডিএনএও সংগ্রহ করা হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আটক মনিরুলের স্বীকারোক্তিতে ধরা পড়ল মীমের ধর্ষক ও খুনিরা।
তিনি বলেন, মীম ধর্ষণে ধর্ষক গ্রুপের সাতজনের মধ্যে আরও একজন আটকের বাইরে রয়ে গেছে। তাকে আটকে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে বলে জানান তিনি।
No comments