নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় সরকার নার্ভাস হয়ে পড়েছে : শামসুজ্জামান দুদু
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, নির্বাচনের সময় যত ঘনিয়ে আসছে সরকার তত নার্ভার্স হয়ে পড়ছে। ক্ষমতা হারানোর ভয়ে সরকারের হৃদকম্পন শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, বিএনপির ‘ভিশন-২০৩০’ ঘোষণার পর আওয়ামী লীগের অবস্থা খুবই খারাপ। এতই খারাপ হয়েছে যে ক্ষমতা হারানোর ভয়ে তাদের হৃদকম্পন শুরু হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন’ আয়োজিত এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন ও মধুখালী পৌর সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ সতেজসহ সকল রাজবন্দীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। শামসুজ্জামান দুদু বলেন, নির্বাচনের সময় যত ঘনিয়ে আসছে সরকার তত নার্ভাস হয়ে পড়ছে। পুলিশকে ব্যবহার করে সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী শুধু তাই নয় কালকেও যদি বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, তার পরের দিন যিনি প্রধানমন্ত্রী হবেন সেই খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে কোনো কারণ ছাড়াই হঠাৎ তল্লাশি করা হয়েছে। এসময় সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন,
যতই চেষ্টা করুন ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না। আগামী দিনে বাংলাদেশে নির্বাচন হবে সহায়ক সরকারের অধীনে, দলীয় সরকার বলে কিছুই থাকবে না। তখন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য আপনারা কোনো প্রার্থীই খুঁজে পাবেন না। নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু ও যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন ও সংগ্রাম করছে। তাদেরকে কারাগারে রাখার অর্থই হল গণতন্ত্রকে কারাঘারে রাখা। এসময় তিনি সকল রাজবন্দীদের নিঃশর্ত মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানান। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, সহ-তথ্যবিষয়ক সম্পাদক কাদের গণি চৌধুরী, নির্বাহী কমিটির সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা শাহ মো: আবু জাফর, নির্বাহী কমিটির সদস্য বিলকিস সুলতান, ন্যাপের মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, কল্যাণ পার্টির সহসভাপতি সাহিদুর রহমান তামান্না প্রমুখ।
No comments